![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণত গল্প লেখি, কবিতা আর তেমন মনে আসে না। এক কথায় গল্প নিয়ে আমার বসবাস। নিজের মত জোরালোভাবে প্রকাশের চেষ্টা করি। দেশকে ভালোবাসি, প্রেমকে শ্রদ্ধা করি।
সে অনেকদিন আগের কথা, এক দেশে বাস করত এক রসায়নবিদ। সে ছিল অসম্ভব সুন্দর। সে এতটাই সুন্দর ছিল যে, তার সৌন্দর্য দেখতে আকাশের পরীরা রাতে নেমে আসতো পৃথিবীতে। সে যখন স্নান করত নদীতে- মৎস্যকুমারীরা তার চারপাশে খেলা করত আর তাকে ছুঁয়ে ধন্য হত। শুধু রসায়নশাস্ত্রে নয়, তলোয়ার বিদ্যাতেও তার পারদর্শিতা ছিল। দেশ বিদেশের সুন্দরী রাজকুমারীরা প্রস্তাব পাঠাত তাকে বিয়ে করার জন্য। তবে সব প্রস্তাবই ফেরত যেত, কেননা রসায়নবিদের এসব দিকে খেয়াল নেই। সে তার গবেষণা নিয়েই ব্যস্ত থাকত রাত-দিন।
সে দেশের রাজা তাকে অনেক ভালোবাসতেন, অবশ্য তার সুন্দর চেহারার জন্য নয়, রসায়নশাস্ত্রে তার অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য। এজন্যই বনের ধারে এক সুন্দর গবেষণাগার বানিয়ে দিয়েছিলেন রাজা, যার চারপাশ ফুলের বাগানে ঘেরা, আর আছে একটি সুন্দর দীঘি। দেশ-বিদেশের অনেক অভিজ্ঞ টেকো রসায়নবিদেরাও রসায়নবিদ্যায় তার কাছে হার মানতো।
তবে বিপত্তি দেখা গেল যখন রাজপ্রাসাদে কানাঘুষো শুরু হল স্বয়ং রাজকুমারী রসায়নবিদের প্রেমে মশগুল। কথাটা রাজার কানে আসতেও দেরী হল না। রাজা গভীর চিন্তায় পড়ে গেলেন। রাজা তার একমাত্র মেয়েকে সরাসরি কষ্টও দিতে পারে না, আবার সহজ-সরল জ্ঞানী রসায়নবিদকেও তার খুব দরকার। এজন্য ঘনিষ্ঠ ক’জন রাজকর্মচারী নিয়ে সলাপরামর্শ করতে বসেন রাজা।
কেউ বলে, ‘আটকাও রসায়নবিদকে।’
কেউ আবার বলে, ‘হলে সম্বন্ধ রসায়নবিদের সাথে, দোষ কি তাতে। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে তারতো জুড়ি নাই।’
সবার কথা শেষে রাজা বলেন কেশে, ‘রাজকর্ম জটিল কর্ম, হবে না ও মাথায়।’
হবে কি তবে এখন? অবশেষে বারো দিন বারো রাতে বের হল এক পন্থা, যে পন্থায় রসায়নবিদও বাঁচবে, রাজাও তাতে নাচবে।
রাজার নির্দেশে খুঁজে আনা হল রাজ্যের সেরা সুন্দরীদের। অবনী, শ্রাবণী, অনুরাধা সবাই গেল রসায়নবিদের কাছে রসালাপ জমাতে। তবে কারো রসেই ভিজল না রসায়নবিদের মন, সারাদিন-সারারাত রসায়নের রসেই ভিজে রইল সে। রাজ্যের সেরা সুন্দরী অরনাও গেল তার কাছে। সে তার মায়াময়ী কণ্ঠে, তার জাদুকরী ভঙ্গিমায় রসায়নবিদকে বধের সব চেষ্টা করতে লাগল। রসায়নবিদের গবেষণাগারে আলোর ঝলকানি হয়ে ঘুরে বেড়াত সে। রাজা অরনাকে দামী প্রসাধনী, জমকালো পোশাক দিলেন। তবু বধ হয় না রসায়নবিদ। রাজা পড়লেন বিপাকে। যদি না হয় রসায়নবিদের প্রেম, তবে কেমনে ঠেকাবে রাজকুমারীকে?
এবারে রাজা ঘোষণা করেন, যে রসায়নবিদের সাথে প্রেম করতে পারবে, তার রসায়নবিদও মিলবে, ধন-সম্পদও মিলবে।
হাওয়ার বেগে কথাটা ছড়িয়ে পড়ল দেশ-বিদেশে। এরপর দিনের পর দিন সুন্দরীরা আসতে লাগল এই আজব প্রেমের খেলায় মাততে। তবে কিছুতেই কিছু হয় না, রসায়নবিদের মন রসায়নেই পড়ে রইল।
এত সব ঘটনা আর রাজকুমারী জানবে না, তা কি হয়? রাজকুমারী সব জেনে আরো বেশী ভালোবেসে ফেলল রসায়নবিদকে।
রাজপ্রাসাদে অশান্তি বেড়েই চলল। রাজার ঘুম হল কাবার, রাজকুমারী হল গৃহবন্দী।
[চলবে......]
পরের পর্ব--->>
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চালান +++
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে একজন বীর পুরুষ ছিলেন, উনার নাম ঈসা খাঁ। মোগল সম্রাটদের মধ্যে সব চাইতে কির্তীমান বলে যাকে ধরা হয় সেই জালালউদ্দীন আকবর বশ্যতা স্বীকার করে খাঁজনা দিতে আদেশ দিলেন ঈসা খাঁ-কে। বরাবরই স্বাধীনচেতা বাংলার নেতা ঈসা খাঁ সেই আদেশে সাড়া তো দিলেনই না উল্টা যুদ্ধ ঘোষণা বসলেন। ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উঠলেন সম্রাট আকবর।...
বাংলার নেতাকে শায়েস্তা করার জন্য আকবর পাঠালেন তার সর্বাধিক বিশ্বাসভাজন রাজপুত সেনাপতি মানসিংহকে। বাংলার মানুষও লেজ গুটিয়ে পালানোর নয়, বীরের বেশে অস্ত্র ধারণ করে প্রতিরোধ গড়ে তুললো ঈসা খাঁ-র নেতৃত্বে।...
শেষে তারা দুইজন আর যুদ্ধ করেন নি। দু'জন মিলে আপোষ করে ফেলেন।
সত্যিই বীর সেইই যে নিরস্ত্র, অসহায়, দুর্বলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেনা। আর কাপুরুষ সেইই যে সুযোগ পেলেই নিরস্ত্র, অসহায়, দুর্বলের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।