![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণত গল্প লেখি, কবিতা আর তেমন মনে আসে না। এক কথায় গল্প নিয়ে আমার বসবাস। নিজের মত জোরালোভাবে প্রকাশের চেষ্টা করি। দেশকে ভালোবাসি, প্রেমকে শ্রদ্ধা করি।
ভারতচন্দ্ররায় গুনাকর সেই মধ্যযুগে এক চরিত্রের মাধ্যমে প্রার্থনা করেছিলেন, 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে।'
মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ট এই কবির প্রার্থনা কোনদিন পূর্ণ হয়েছিল কিনা জানা নেই। বাঙালী দুধে-ভাতে দিন যাপন করেছিল কিনা অত গভীর ইতিহাস না জানা থাকলেও এটা জানা আছে, ভারতচন্দ্রের প্রার্থনার পরও দুর্ভিক্ষে বাংলার লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল।
মোদ্দাকথা হচ্ছে, 'দুধে-ভাতে বাঙালী' কিংবা 'মাছে-ভাতে বাঙালী' চিরদিন বলে আসা হয়েছে ধনাঢ্যদের আধিপত্যের কারণে। বাঙালীর যে বৃহৎ অংশ 'ডালে-ভাতে বাঙালী' কিংবা 'পান্তা-মরিচে বাঙালী' একথা বেমালুম ভুলে গেছে সবাই। বাঙালীর সংস্কৃতি এভাবেই ধনাঢ্যদের মুষ্টির বস্তু। তবে এখন বুঝি সময় এসেছে সার্বজনীনভাবে ভাবার। কেননা, আধুনিক মানুষেরা অধিক উদার।
পহেলা বৈশাখে যে 'পান্তা-ইলিশ' সংস্কৃতি নিয়ে বিতর্ক চলছে তা অত্যন্ত সমীচীন। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়া দোষের নয়। সার্বজনীন উৎসব হিসেবে পরিচিত 'বাংলা নববর্ষে' এমন কিছু উদ্ভট সংস্কৃতি চালু করা উচিৎ নয় যা সার্বজনীন নয়। ইলিশ হয়তো একসময় বাংলার সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল, সে সময় ইলিশের প্রাচুর্যও ছিল। তবে এখনকার দিনের ইলিশ আর সাধারণের খাবার নয়। ইলিশ এখন শোভা পায় বড়লোকের খাবার টেবিলে। গরীবের কানা থালায় ইলিশের স্থান নেই।
পহেলা বৈশাখের মত সার্বজনীন উৎসবের এই দিনে বাংলার ক্ষুদ্র অংশ পান্তা-ইলিশের মজা লুটবে আর বৃহৎ অংশ পান্তা-মরিচ খেয়ে আফসোসে ভুগবে তা কাম্য নয়। হয় সবাইকে ইলিশ দাও নয়তো ইলিশের এই সংস্কৃতি ছাড়ো।
এ তো গেল একদিকের কথা, অন্যদিকের কথা হলো, পহেলা বৈশাখ এমন একটি সময়ে হয়ে থাকে যে সময়টা ইলিশ ধরার জন্য উপযুক্ত সময় নয়। এর ফলে ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এমনকি এই অপসংস্কৃতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বাংলা ইলিশ শূন্য হতে পারে। এসব কথা মাথায় রেখে যে বাঙালী পহেলা বৈশাখের ইলিশ সংস্কৃতি ছেড়ে দেবে তা ভাবা সম্ভব নয়।
এর জন্য আমার মনে হয় বিকল্প একটি প্রস্তাবনা আনা যেতে পারে। যার ফলে, বাংলার ইলিশও রক্ষা পাবে, বাঙালীর ইলিশ ভোজনেরও উপলক্ষ হবে। সেটা হলো, যেহেতু আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র ইলিশ আহরণের উপযুক্ত সময় সেহেতু এই সময়ের কোন সাত দিন বা একদিন (শ্রাবণ মাসের প্রথম সাত দিন/পহেলা শ্রাবণ) 'ইলিশ উৎসব' হিসেবে পালন করা হোক।
সাত দিনের কথা একারণে বলছি, কেননা এই উৎসব একদিন হলে ইলিশ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম বেশি থাকবে। সুবিধের কথা হলো, এই সময়ে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা না থাকায় জেলেরা ইচ্ছে মত ইলিশ ধরতে পারবে। ইলিশের এই ভরা মৌসুমে ইলিশের দাম কিছুটা হলেও কম থাকার সম্ভাবনা থাকে। এই উৎসবের প্রচলন করলে একদিকে যেমন পহেলা বৈশাখ থেকে ইলিশ উৎসব পৃথক হবে, তেমনি আমরা আরেকটি বাংলা মাসকে সংস্কৃতির সাথে যুক্ত করতে পারব। এছাড়া বাংলার ছোট ইলিশ বৈশাখ মাসে মুক্তি পাবে অসাধু ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত থেকে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩২
মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: সেটা করলে তো ভালোই হত।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
আতিকুর রহমান ফরায়েজী বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট। অনেকদিন পর ব্লগে লগিন করলাম। তাও সমর্থন দেওয়ার জন্য। আমি আপনার সাথে আছি...
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:০৭
অরূপ সরকার বলেছেন: ধরার সাথে বিক্রি নিষিদ্ধ করলে ভাল হয়।
ইলিশ উতসবের প্রস্তাব ভাল
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: সঠিক কথা
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কর্পোরেটরা কি সেসব বোঝে!!
তারা চায় মুনাফা! এখন কচি আমের কেজি ১২০ টাকা! সিজনেতো ফ্রি দলেও নেবে না!
যখন জোগান কম তকণইতো ব্যবসার মোক্ষম সুযোগ! আপনার কথা কান দেবে কেনু?????
ভাল জিনিষ সব আমজনতার মাথায়। মন্দ যা সব ক্ষমতার চক্রে আর ধূরন্দরদের মগজে!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করারও লোক কম।
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৫২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এসব কেউ শুনবে না। যারা জন্য এ পোস্ট তারা এক হালি ইলিশ ৫০ হাজার দিয়ে কিনেও ইলিশ খাবে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী বলেছেন: বার বার বলে যেতে হবে সর্বত্র।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৫
শরনার্থী বলেছেন: আপডেটঃ
জার্মান প্রবাসে- 1305
অগ্নি সারথির ব্লগ- 217
ইস্টিশন ব্লগ- 147
প্রবীর বিধানের ব্লগ- 57
ইতুর ব্লগ- 23
অসম ব্যবধান শুরু হয়েছে মোটামুটি। প্রাতিষ্ঠানিক ব্লগের সাথে লড়াই করে যাওয়াটা বেশ দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে দিনের পর দিন। আবারো আপনাদের ভোট দেবার অনুরোধ করছি। প্লিজ আপনারা ভোট দিন।
ভোট দিতে যা করতে হবেঃ
প্রথমে https://thebobs.com/bengali/ এই ঠিকানায় যেতে হবে। এরপর আপনার ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করুন। লগইন হয়ে গেলে বাছাই করুন অংশে ক্লিক করুন। ক্লিক করে ইউজার অ্যাওয়ার্ড বাংলা সিলেক্ট করুন। এরপর মনোনীতদের একজনকে বেছে নিন অংশে ক্লিক করে, অগ্নি সারথির ব্লগ সিলেক্ট করুন। এরপর ভোট দিন বাটনে ক্লিক করে কনফার্মেশন পেয়ে গেলেই আপনি সফল ভাবে আমাকে ভোট প্রদান করে ফেলেছেন। এভাবে ২৪ ঘন্টা পরপর মে ২, ২০১৬ পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে।
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪
মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২১
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার প্রস্তাব সর্বান্তকরণে সমর্থন করলাম। ভাল থাকুন।