![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চোখ যখন শূন্যগর্ভ, হৃদপিণ্ড যেদিন অচল। সেদিন গলির মোড়ের কুকুরটা অন্তত কাঁদুক। এটাও জন্মের স্বার্থকতা।
আবেগে জড়িয়ে সবসময় মানবতা দেখাতে নেই। রহিঙ্গারা এদেশে আরেকটি ইসরাইলও সৃষ্টি করতে পারে। একটা সত্য হলো, মানবতা কখনো কখনো চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবার কখনো কখনো একটি জাতিকে করতে পারে সমৃদ্ধশালী।
ফিলিস্তিনির কথা যদি বলি, জেরুজালেম এমন একটি জায়গা যেটা মুসলিম, ইহুদী ও খৃষ্টান এই তিন ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র স্থান। এই তিন ধর্মের মানুষই মনেকরে এদের আদী ভূমী এটা। কারন এখানেই এই তিন ধর্মের জাতীর জনক ইব্রাহীম (আঃ) এর জন্মস্থান। এটা এমন স্থান যেটা এখন পর্যন্ত ২ বার ধ্বংস করা হয়েছে। ২৩ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। মুসলিম, খৃষ্টান ও ইহুদীদের মধ্যে ৪৪ বার দখল বেদখল হয়েছে। ৫২ বার বিভিন্ন প্রকার যুদ্ধে আক্রান্ত হয়েছে। সোজা কথা জেরুজালেমের ভূমিতে এই তিন ধর্মেরই বসবাসের অধিকার আছে। কিন্তু ৬৩৭ খৃষ্টাব্দের আগে খৃষ্টানরা ফিলিস্তিন থেকে সব ইহুদীদের বিতাড়িত করে, ফিলিস্তিনিকে পুরোপুরিভাবে ইহুদী শুন্য করে ফেলে। ৬৩৭ খৃষ্টাব্দে উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ'র নেতৃত্বে মুসলিমরা আবার ফিলিস্তিনে ক্ষমতা দখল করে। সে সময় বিশ্বের নানা জায়গায় ছড়িয়ে থাকা ইহুদীরা মারাত্মক নিপীড়নের মধ্যে পতিত হয়। তখন ফিলিস্তিনির উদার নেতাগন ইহুদীদের প্রতি মানবতা দেখিয়ে তাদের জেরুজালেমে ফিরয়ে আনেন। এবং সেখানে ইহুদীদের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করে দেন। যেখানে ইহুদীরা তাদের নিজেদের ধর্ম, শিক্ষা, সংস্কৃতি অবাধে পালন করতে পারবে। সে মানবতাই পরবর্তিতে কাল হয়েছে। এরপরেও দখল বেদখলের খেলা হয়েছে কিন্তু অবস্থান শক্ত থাকায় ইহুদীদের আর কউ ফিলিস্তিনির মাটি থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি।
এর ইতিহাস বলতে গেলে আরও একটা ব্লগ লেখা প্রয়োজন। তাই এটাকে নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাইনা। আধুনিক বিশ্বের শেষ পরিস্থিতি আরব ছিলো বৃটিশদের দখলে। কিন্তু আরব বৃটিশদের দখলে থাকলেও তারা মুসলিমদের ও ইহুদীদের ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করতে পারেনি। এবং মুসলিম আরব দেশগুলো দিন দিন স্বাধীনতার জন্য আকুল হয়ে পড়েছিলো। এক এক করে আন্দোলন সংগ্রাম করতে লাগলো। যার মধ্যে ফিলিস্তিন ও সিরিয়া অন্যতম। সে অবস্থায় খৃষ্টানরা ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে ভাল অবস্থানে ছিলো, মুসলিমরা ছিলো আরবে। কিন্তু ইহুদীদের তেমন কোনো অবস্থান ছিলোনা পৃথিবীতে। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো।
১৯৮০ সালের দিকে পুরো পৃথিবীতে আবার ইহুদী নিপীড়ন শুরু হয়। তখন পূর্বের নেয় ফিলিস্তিনিরা ইহুদীদের জেরুজালেমে আশ্রয় দেয়। তখন থেকেই অস্ট্রিয়ার এক ইহুদী নেতা জেরুজালেমে ইহুদীদের জন্য আলাদা একটা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব রাখে। আর তখন থেকেই শুরু ইহুদী আর মুসলিমদের দ্বন্দ্ব। বৃটিশরা তাদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের বিদ্রহো ঠেকাতে পারছিলোনা, তাই তারা মদদ দিতে থাকে ইহুদীদের। যাতে করে ইহুদী মুসলিম ঝামেলায় জড়িয়ে পরে এবং বিদ্রোহ দূর্বল হয়ে পরে। এবং ১৯১৮ সালে ইহুদীদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জোরালো সমর্থন দেয় বৃটেন। আর এটা তাদের যুদ্ধের অপচেষ্টা।
১৯৩০ সালে আবার জার্মান ইহুদীদের নির্যাতন শুরু করে। ফলে সেখান থেকে পালিয়ে এসে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে আশ্রয় নেয়। দিন দিন ইহুদী বাড়তেই থাকে। আর সাথে বাড়তে থাকে ইহুদিদের সাথে ফিলিস্তিন মুসলিমদের ঝামেলা। কেনোনা ইহুদীরা তখন থেকেই ফিলিস্তিনির মিধ্যে ইহুদীদের জন্য আলাদা একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।
এরপর ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলা কালিন সময়ে নাৎসি বাহিনি ৬০ লক্ষ ইহুদীকে হত্যা করে। বেচে যাওয়া বহু সংখ্যক ইহুদী আবার আশ্রয় নেয় ফিলিস্তিন সহ বিভিন্ন দেশে। আর তখনই ফিলিস্তিনের ইহুদী-মুসলিম দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারন করে।
যেহেতু আগে থেকেই বৃটেন ইহূদীদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র ঘঠনের জন্য তাদের সমর্থন জানিয়েছে সেহেতু, বৃটেন ১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনিকে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য জাতিসংঘর কাছে আহবান করে। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ এ ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহন করে।
এরপর ১৯৪৮ সালের ৪ মে বৃটিশরা ফিলিস্তিন থেকে প্রত্যাবর্তন করে। এবং ৪ মে'তেই ইহুদীরা সেখানে একটি অঞ্চলকে "ইজরাইল" নামে আলাদা একটা রাষ্ট্রর ঘোষণা দেয়। এরপর ১৯৫৭ সাল পর্জন্ত তারা গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীর দখল করে। পশ্চিম তীরের দখলদারি চলছে এখনো। তাই বলাই যায় মানবতার জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে ফিলিস্তিকে। এতোটা ক্ষতি যা আর কোনোভাবেই শোধরানো সম্ভব নয়।
আবার শরণার্থী দ্বারা সমৃদ্ধশালী হয়েছে এমন রাষ্ট্রের কথা বলি, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর কথা বলা যায়। যেখানে বহু বছর ধরে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা পরিশ্রম করে যুক্তরাষ্ট্রকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রর প্রভাবশালী হয়ে ওঠার শিড়িটা আসলে তৈরি করে দিয়েছে ওরাই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের নীতি কি হওয়া উচিৎ? এ ব্যাপারে আগে উপরের বিষয় দুটি নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। আমাদের ভাবতে হবে, শরণার্থীদের পার্মানেন্ট আশ্রয় দিলে আমাদের জাতী লাভবান বা সমৃদ্ধশালী হবে কি? বা এতে আমাদের ক্ষতি বা চড়া মূল্য দিতে হতে পারে কি?
যদি সমৃদ্ধির কথা ভাবি, তবে বাংলাদেশ আর যুক্তরাষ্ট্রর মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। তখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর ফাকা জমি ছিলো এবং কৃষি কাজের লোকেরও অভাব ছিলো। এ ক্ষেত্রে সেখানে একটা কৃষি বিপ্লব ঘটানো সহজ ছিলো। যেটা বাংলাদেশের বর্তমান পেক্ষাপটে সম্ভব নয়। সুতরাং রোহিঙ্গা শরণার্থী দ্বারা সুবিধার কথা চিন্তা করার ব্যাপারটাও ভুলে যাওয়াই শ্রেয়।
আর রোহিঙ্গা নিয়ে ক্ষতির দিক চিন্তা করতে গেলে সহজেই বলা যায়, রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বিষফোঁড়া। রোহিঙ্গারাও যে ইসরাইলের মত এদেশে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে চাইবেনা তার নিশ্চয়তা কি? আর এ সম্ভাবনা উরিয়ে দেওয়া না যাওয়ার কারনও আছে।
ইসরাইলের ব্যাপারটাই বলি। তারা কিন্তু সোজা দুঃখে ইহুদীদের জন্য আলাদা একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়নাই তখন। এর পেছনে অনেক কারন ছিলো। তারা বহুকাল বহু দেশে নির্যাতিত হয়েছে। বহু দেশ থেকে তাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। আস্তে আস্তে তারা দলবদ্ধ হওয়া শুরু করেছে। সর্বশেষ হিটলার কতৃক গনহত্যা থেকে তারা জার্মান ছেড়ে পালিয়েছে।
ইহুদীরা তাদের পূর্বঘটনা বিবেচনা করে তারা ইহুদীদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা করলো। এ ব্যাপারে তাদের সবচেয়ে বড় সাহায্য করেছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য তাদের যুদ্ধস্বার্থে ইহুদীদের এই সাহায্য করেছিলো। যুক্তরাজ্য চাইতো ইহুদীদের আলাদা একটা রাষ্ট্র হোক। আর তাদের অবস্থান পক্ত করতে সাহায্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইহুদীরা নিজেদের স্বাধীন ভাবে বাচিয়ে রাখার জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ভাবতে হয়েছে। ফিলিস্তিনির সাথে বেঈমানি করে হলেও ভাবতে হয়েছে। কেনোনা, আগে নিজেদের বাচা প্রয়োজন। তেমনি রোহিঙ্গাদেরও চাওয়া স্বাভাবিক যে তাদের জন্য আলাদা একটা রাষ্ট্র হোক। কেনোনা মানুষ স্বাধীনভাবে বাচতে চায়। নিজেদের মত করে বাচতে চায়। তা সে স্বাধীন রাষ্ট্র হোক আরাকানে অথবা বাংলাদেশের কোথাও।
শংকার বিষয় হলো বান্দরবন, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্রোগ্রামকে আগে থেকেই "জুমল্যান্ড" নামে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে চলেছে সেখানকার চাকমারা। রহিঙ্গাদের সেখানে রাখা হলে রহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নবাদীদের সাথে মিলে যেতে পারে। কেনোনা তাদেরও একটা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রয়োজন। এতে তাদের জনবল ও সৈন্য বৃদ্ধি পাবে। বহুকাল থেকেই ইন্ডিয়া বিদ্রহীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। এর দুটি কারন খুজে পাওয়া যায়। এক, বাংলাদেশকে নিজেদের ইচ্ছামত চালাতে যে বিষয়গুলো দিয়ে চাপ দেওয়া হয় এটা তার মধ্যে একটা। দুই, ১৯৪৭ সালে ঐ এলাকায় যেখানে পাকিস্তানের পতাকা ওরার কথা ছিলো সেখানে তারা উড়িয়েছিলো ভারতের পতাকা। এবং রটনা আছে, "জুমল্যান্ড" স্বাধীন করার পর একটা গনভোট এর আয়োজন করা হবে। গনভোটের বিষয় হবে "জুমল্যান্ডকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা" এবং "জুমল্যান্ডকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবেই রাখা"। এই দুই বিষয় নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে ভোট হবে। তাই এখানে ভারতের একটু পুরোনো লোভ আছেই। সাথে আছে বার্মা। বার্মার চাওয়া না চাওয়া মূলত নিয়ন্ত্রিত হয় চিন দ্বারা। তাই বলাই যায়, "জুমল্যান্ড" প্রতিষ্ঠার পেছনে সাহায্যের অন্য ইন্ডিয়া, বার্মা ও চিন বদ্ধপরিকর।
জুমল্যান্ড এর ব্যাপারটা ছাড়াও অনেক অনেক জটিল সমস্যায় পড়তে হবে। এমনিতেই লাখ লাখ শিক্ষিত জনগন বেকার হয়ে বসে আছে। শ্রমবাজারে চাকরি শংকট। এর উপর যদি আরও এতো মানুষ দেশে প্রবেশ করে তবে সম্ভবত বড়সড় একটা ধাক্কা খেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আঁকড়ে ধরতে চলেছে অভাব। শিক্ষিতরা হতে চলেছে সন্ত্রাসী।
এছাড়। রহিঙ্গাদের মধ্যে ১৩০০ শিশু এসেছে যাদের কোনো বাবা মা আসেনি। মোট রহিঙ্গার পাচঁ ভাগের চারভাগই নারী, বয়স্ক ও শিশু। এ মানুষগুলোর দায়িত্ব কে নিবে? মানুষ ও এনজিওগুলো ত্রান পাঠাবে সর্বচ্চ আর তিনমাস। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো তাদের খোজ খবর নিবে তাদের রাজনীতির ফয়দা পর্জন্তই। এরপর তাদের কি হবে? তাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা এগুলোর কি হবে?
এরপর তারা বেচে থাকার তাগিদে অবৈধ পথ বেছে নিবে। ক্যাডাররা তাদেরকে ব্যাবহার শুরু করবে। দেশে অন্যায় অপরাধ বেড়ে যাবে। ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি বৃদ্ধি পাবে। এবং তা নিয়ন্ত্রণ করাটাও প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।
তাই আমাদের খুব সাবধানেই পা ফেলতে হবে। আমাদের জন্য অসংখ্য ফাত পাতা আছে। সেগুলো দেখেশুনে এগুতে হবে। তাছাড়া আমাদের সত্যিই সত্যিকারের কোনো বন্ধু নেই। সব স্বার্থের বন্ধু। সুতরাং, যেভাবেই হোক রহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে হবে। অবশ্যই সেটা যুদ্ধ বাদে। কারন মায়ানমার চাচ্ছেই একটা যুদ্ধ বাধুক। তারা একটা যুদ্ধে জড়াতে চাচ্ছে। কিন্তু আমাদের সে ফাদে পা দেওয়া যাবেনা। জাতিসংঘর বন্দুক মায়ানমারের ঘারে চেপে রহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়াতে হবে। এ ছাড়া কোনো রাস্তা নেই। আশাকরি এ ব্যাপারে সরকার বুদ্ধির সাথে পা ফেলবে। প্রার্থনা করি এ দেশে কোনো অশুভ ছায়া না পরুক।
বিঃ দ্রঃ আসুন আপাতত আমরা রহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াই। তাদের রহিঙ্গা না ভেবে মানুষ ভাবি। যতটুকু সাধ্য আপনার আছে, ততটুকু দিয়েই সাহায্য করি। এটা ভুললেও চলবেনা যে, আমাদের দেশের অনেকেই একসময় ভারতে গিয়ে শরণার্থী হয়েছিলো। ভূখণ্ড, আইন কানুন, নিয়ম এসবের জন্য মানুষ সৃষ্টি হয়নি। মানুষের জন্য এসব সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং রহিঙ্গা ভাবার আগে মানুষ ভেবে তাদের পাশে থাকি। এটাই ভাল হবে। গড়ে উঠুক #মানবিক #বাংলাদেশ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ইসরেয়েলের ইতিহাস জানেন না, প্রথমে রাশিয়ান ইহুদীরা এসে আরবদের থেকে যায়গা কিনেছিল ১৮৯০ সালের দিকে; ১৯৩০ সালে ও বিশ্বুযুদ্ধের সময়, ইংরেজরা তাদের উপনিবেশে ইহুদীদের আসতে দেয়; কেহ আরবদের অমুমতি নিয়ে আসেনি; কারণ, দেশ আরবদের ছিলো না, ছিলো বৃটিশদের।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ভাই আমি ইতিহাস না জেনে আসলে লিখিনি। আপনিও হয়তো জানেন। কিন্তু আমিও জানি। কিছু ইহুদিরা প্রথমে আরবে এসে ব্যাবসা করতো এবং সে এলাকায় ভাড়া থাকতো ব্যবসায়া প্রয়োজনে। তারা কোনো জায়গা কিনেনি সেখানে। হিটলার কতৃক নির্যাতনের পর যখন ইহুদীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো তখন ফিলিস্তিনিরা চিন্তা করলো, আগে থেকেই যে ইহুদিরা আরবের ঐ অংশে ব্যাবসা বানিজ্য করতো সেখানে ওদের আশ্রয় দেই। আর এতে বাহাবা দিচ্ছিলো ব্রিটিশরা ও আমেরিকানরা। যেমনটা এখন দিচ্ছে। তাদের সাহাজ্য করেছে। এবং বৃটিশরা চেয়েছে সেখানে ওদের আলাদা একটা রাষ্ট্র হোক। তাই তারা আরবে জায়গা কিনে নিয়েছে বলে একটা দাবী করাতে থাকে ইহুদীদের দিয়ে। কিন্তু আদোও তেমন কোনো প্রমান আজ অবধি তারা দেখায়নি। তারা এ কথাগুলো বলেছে, সেখানে আলাদা একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। এবং তারা সার্থক।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৬
গেছো দাদা বলেছেন: /তখন ফিলিস্তিনিরা তাদের আশ্রয় দিয়েছে। খাওয়ার জন্য ত্রান দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে।
কিন্তু ইহুদীরা তাদের পূর্বঘটনা বিবেচনা করে ভাবলো, ফিলিস্তিনিরাও হয়তো একদিন ইহুদীদের বিতারিত করবে। তাই তারা ইহুদীদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা করলো।/ ....... এই তথ্যটা গোলমেলে ।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ভাইয়া, কোন দিকে গোলমেলে একটু বুঝিয়ে দিলে ভাল হতো।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: একদল জীবন সংকটাপন্ন মানুষ জীবন বাঁচানোর সর্বশেষ প্রচেষ্টায় নিজের আত্মীয় স্বজন, ঘরবাড়ি-সম্পদ ফেলে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত সংগী করে এই দেশে এসেছে। সাহায্য করার মুরোদ যদি আপনার না থাকে, করবেন না, কিন্তু এইসব ফালতু আজাইরা প্যাচাল পারেন ক্যান?
মুক্তিযুদ্ধের সময় কি আমাদের মানুষজন কি গিয়া ইন্ডিয়া দখল করে ফেলেছিল?
শালার ব্লগ ভইরা গেল হরিদাস পালে!!!
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
এম আর এফ সোহান বলেছেন: হা হা হা। ভাই আপনি এতো উগ্র মেজাজ নিয়ে কিভাবে থাকেন? আমি কিন্তু কখনোই বলিনি তাদের সাহায্য করা যাবেনা। আর তাছাড়া আমার সাহায্যর মুরদ নেই আপনাকে কে বললো? আমি সাহায্য করিনি এটা আপনাকে কে বললো? এখানে বোঝানো হয়েছে রহিঙ্গাদের এদেশে স্থায়ীভাবে রাখলে কি ক্ষতি হতে পারে। আমি একবারো বলিনি এখনি তাদের সাহায্য বন্ধ করে দিতে। আমি বলিনি এখনি ওদের দেশ থেকে বের করে দিতে হবে। আমি বলছি, যে পার্মানেন্ট তাদের রাখা যাবেনা। আগে একটু ভালকরে পড়ুন।
উগ্রতা কমান। উগ্র মানুষ কখনোই উদার হতে পারেনা।
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
"হিটলার কতৃক নির্যাতনের পর যখন ইহুদীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো তখন ফিলিস্তিনিরা চিন্তা করলো, আগে থেকেই যে ইহুদিরা আরবের ঐ অংশে ব্যাবসা বানিজ্য করতো সেখানে ওদের আশ্রয় দেই। আর এতে বাহাবা দিচ্ছিলো ব্রিটিশরা ও আমেরিকানরা। "
-আপনি ইতিহাস তো জানেন না, বা বুঝেন না; ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন হিটলার ইহুদী মারছে, ফিলিস্তিনের মালিক তখন বৃটিশ, ফিলিস্তিন তখন উপনিবেশ; আপানর বুঝার ক্ষমতা সঠিক নয়।
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৩
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ভাই একটা দেশ দখল করে নিয়ে শাসন শুরু করলে পৃথিবীর কোনো দেশই বৃটিশদের কে তাদের মালক মানেনি। অখণ্ড ভারতওতো বৃটিশরা শাসন করেছে। আমরা কবে বৃটিশদের মালিক হিসেবে মেনে নিয়েছি? অখণ্ড ভারতীয়রা স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করেছে। সংগ্রাম করেছে।
বৃটিশরা আরবও শাসন করতো। কিন্তু তাই বলে তাদের আরবের মালিক বললে কোনো আরবই মেনে নেয়নি। তারাও আন্দোলন করেছে স্বাধীনতার জন্য। বৃটিশরা ইহুদীদের আরবে একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলো যাতে করে এদের মধ্যে ঝামেলা হয় এবং ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা সংগ্রাম দূর্বল হয়ে পরে। এবং তারা স্বার্থক হয়েছিলো। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা থেকে চল্লিশ বছর পিছিয়ে গিয়েছিলো।
তবে যদি ফিইস্তিনিরা চাইতো যে তারা ইহুদীদের আরবে থাকতে দিবেনা তবে বৃটিশরা কখনোই তা সম্ভব করতে পারতোনা। কিন্তু ফিলিস্তিনি মানবতা দেখিয়ে ফাদে পা দিয়েছিলো। সে খেসারত আজও দিচ্ছে।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
কাউয়ার জাত বলেছেন: পণ্ডিত মশাই, আজকে বাজারে গাঁজার দর কত চলছে?
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪৬
এম আর এফ সোহান বলেছেন: আপনার দারুন মন্তব্যর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
গড়াই নদীর তীরে বলেছেন: আপনার ইতিহাস জ্ঞান দেখা যাচ্ছে মাহফুজ লায়লা রহমানের গানের প্রতিভার চেয়েও ভয়ংকর কিছু।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪৭
এম আর এফ সোহান বলেছেন: জ্বি, আপনার জ্ঞান আরও বৃদ্ধিপাক। আচরন ভাল হোক অন্তত।
৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: @ এম আর এফ সোহান /লেখক : ভয় পাবেন না একদমই | তা পাবার কোনো কারণ নেই | প্যলেস্টাইনের মাটিতে ইসরাইল প্রতিষ্ঠা আর এখনকার মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কোনো কন্টেক্সচুয়াল মিল নেই | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধত্তোর ইউরোপে জু পপুলেশন ছিল অনেক কিন্তু তার চেয়েও বেশি ছিল তাদের নিয়ে খ্রিস্টানদের দ্বিধা দ্বন্দ্ব | জু আর খ্রিস্টানদের মধ্যে ঐতিহাসিক দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো, অনেক রক্তাক্ত | ইউরোপ সেটার আর পুনোবৃত্তি চায়নি দেখে তারা তাদের পুশব্যাকটা করেছে জুদের ইসরাইলে | পশ্চিমা সব দেশেরই সায় ছিল তাতে | কারণ সেটা ছিল তাদের সবার সমস্যা | কিন্তু মায়ানমার যা করছে সেটা তাদের বানানো |রোহিঙ্গাদের থেকে বানানো কোনো সমস্যা নয় | আন্তর্জাতিক সমাজের সমস্যা নয় | আন্তর্জাতিক সমর্থন তারা খুব বেশি পাবে না তিন শয়তানের অক্ষ ছাড়া | এখানে একটা বড় এডভ্যান্টেজ আমাদের আছে বলে বলে মনে করি |বাংলাদেশ আর চীন সব সময়ই ভালো মিত্র | আমাদের কৌশলী আর খানিকটা প্রাগম্যাটিক ডিপ্লোমেসিই চীনের সাথে ভালো সম্পর্কটা আবার জোরদার করতে পারে | আমরা যদি সেটা করতে চাই তাতে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হবে | রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে হয়তো কোনো দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করতে হবে না | কিন্তু আপনি এই প্রশ্নটা করতেই পারেন যে প্রাগম্যাটিক ডিপ্লোমেসি দিয়ে ভারতের ছাতার তলা থেকে বেরিয়ে চীনের সাথে ভালো সম্পর্কটা আমদের এখনকার সরকার জোরদার করতে চাইবে কি না ?
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫০
এম আর এফ সোহান বলেছেন: প্রথমত, আমাদের রাষ্ট্র ভারতের বন্ধু ছাতার থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে কিনা।
দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্র ছাতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে কিনা।
৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৫
আবু তালেব শেখ বলেছেন: বিশদ আলোচনা কিন্তু থিওরি গুলো মনগড়া ও ভিত্তিহীন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫১
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ভাইয়া, ইডিট করে আরও একটু বড় পরিশরে লিখে ক্লিয়ার করে দিয়েছি ব্যাপারটা। এবার বোধয় মনগড়া লাগবেনা। প্রথমবার অনেকেই বুঝেনাই। অনেকেই খারাপ মন্তব্য করেছে।
ধন্যবাদ।
১০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি মত ৭/৮ কোটী ছোট মগজের লোক বাংলাদেশেই আছে; আপনার অবস্হা রোহিংগাদের মতো
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৩
এম আর এফ সোহান বলেছেন: যাক, তাও যদি ছোট ছোট মগজ দিয়ে দলবেঁধে বড় ভাল কিছু করা যায় তবে বড় মগজের চেয়ে খারাপ কি?
১১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৯
আবু তালেব শেখ বলেছেন: ঠিক বলেছেন মিঃ চাদগাজি
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৫
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ভাইয়া আপনার আগের কমেন্টের রিপ্লাইটা একটু চেক করবেন। তবে আশাকরি বুঝতে পারবেন।
১২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩১
কানিজ রিনা বলেছেন: পদ্ম পুকুরের সাথে একমত,তবে সন্তলারমা
শান্তি বাহিনী যা পারেনাই। রহিঙ্গারা দুঃসপ্নও
দেখবেনা। ধন্যবাদ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৭
এম আর এফ সোহান বলেছেন: পদ্ম পুকুরের সাথে একমত হলেন কি ভেবে আমি বুঝতে পারছিনা। আমিতো কখনো বলিনি তাদের সাহায্য বন্ধ করে দিতে। আমি শুধু বলছি তাদেত স্থায়ী করলে কি ক্ষতি হতে পারে।
আরেকবার একটু পড়ে দেখবেন। ধন্যবাদ।
১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৯
শ্রমিক আওয়াজ বলেছেন: মোটামুটি সরলিকরণ করলেও ইতিহাস কিন্তু এ রকমই। লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি রোহিঙ্গা নিয়ে আশঙ্কার কথা বলছেন-আমার মনে হয় এ ভাবনা এখন সবারই।
সিঅাই এর মন খারাপ। তারা চিন আর ভারতের মধ্যে গন্ডগোল বাধাতে পারছে না।পাকিস্তানকে দিয়ে ভারতে বোমা ফেলাতে পাারছে না। তারা এই রোহিঙ্গাক্যাম্পে মিলিট্যান্ট ব্রিডিং ক্যাম্পে পরিনত করে চিন-ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমারের ঘুম হারাম দিতে চাই কিনা এখন দেখেন।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৮
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ধরতে পারছেন ভাই।
১৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ৮ কোটি বি এন পিরে দাবাইয়া রাখছেন তিনি, আর ৮ লাখ রোহিঙ্গাতো মামুলি ব্যপার...
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৯
এম আর এফ সোহান বলেছেন: বি এন পি কখনো আলাদা রাষ্ট্র চাইবেনা। এটা বুঝতে হবে।
১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশই এখন চরম বিপদে।
টেকনাফ কক্সবাজারের মত সুন্দর পর্যটন এলাকার শত বর্গমাইল পাহাড় বনভুমি ব্যাবসা পরিবেশ ধ্বংশ করে রহিংগা বস্তি হয়েগেছে।
পর্যটন খাতে যারা বিপুল বিনিয়োগ করেছিল, তাদের মাথায় হাত।
তবে কিছু লোকের মন্তব্যে বোঝাযায় - রহিঙ্গাদের নিয়ে তাদের ভিন্ন কিছু অভিলাস।
এনারা সবাই মুলত বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতি চাচ্ছেন, দেশটাকে নরক বানিয়ে দেশের চুড়ান্ত সর্বনাশ করে হলেও যদি অল্প কিছু ফায়দা হাসিল সম্ভব হয়, সেটাও তাদের কাছে লাভ।
স্থানীয় রহিংগারা নিরিহ, কারো সাতে-পাচে নেই।
তারা কখনো রাজনীতি করে নি, করেও না। তাদের কোন নেতাও নেই। তারা এত মার খেয়েও কখনো স্বাধীনতা চায় নি। এখন পর্যন্ত কোন শরনার্থি মিডিয়াতে বলে নি আমরা স্বাধীনতা চাই।
ঝামেলা করেছে বহিরাগত আরব-পাকি জঙ্গিরা।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে বহিরাগত (পাকি-সৌদি মদদে) উগ্রপন্থী যে অংশটি আরাকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে, তাদের নিয়ে শংকিত হবার যথেষ্ঠ কারণ আমাদের আছে। আরাকান বলতে এরা যে মুসলিম রাষ্ট্রের কথা বলে সেখানে আমাদের কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত সেই রাষ্ট্রের অংশ।
আরসা বা আরাকান মুক্তি সংস্থার মুল যোদ্ধা ও নেতৃত্ব সবই বহিরাগত, মৌদুদীবাদী পাকিস্তানি, আরব।
কথিত মুল দেশ রাখাইন/আরাকান এলাকার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই, তাদের বাপেরও ছিলনা। আগেও ছিলনা,নেই।
আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে ‘আবু আমর জুনুনি’ বাবা করাচিবাসি খাস পাকি, আর মা কথিত রোহিংগা। এদের সন্তান বা বাষ্টার্ড ‘আতাউল্লাহ’ নামে একজন উর্দুভাষী। ভাষা উর্দু, পশতু, আরবী। আরাকানের বাংলা বা চাটগাইয়া ভাষা কিছুই জানে না। এরপরও সে নিজেকে রহিঙ্গা নেতা দাবি করে।
এই বহিরাগত জঙ্গিদের স্থানীয় সদস্য রিক্রুট প্রায় এক দেড় লাখ। মোটা বেতনে পালা এই বিশাল গেরিলারা কিন্তু বেশির ভাগই তাদের পরিবারের সাথে আসেনি। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন জংগল দিয়ে তাদের আমাদের দেশে আনাগোনা করা কঠিন কিছু না। ২০১২ ও ২০১৬ তে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলায় রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও পাওয়া যায়। পাওয়া যায় মৌদুদিবাদি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন অপ-তৎপরতার খবর।
৮-১০ লাখ রহিংগাদের এখনো রেজিষ্ট্রেশন হয়নি, এর আগে সীমান্ত পাড়িদিয়ে কি পরিমাণ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে, কতজন বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছে, কি পরিমাণ আমাদের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থান করছে তার কোন সঠিক হিসাব কারও কাছে নেই।
এই চরম নাজুক একটা পরিস্থিতি।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৫
এম আর এফ সোহান বলেছেন: ভাল কিছু তথ্য পেলাম। ধন্যবাদ ভাই।
১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪
একা স্বপ্নীল পথিক বলেছেন: হাসান ভাই, শ্রমিক ভাই - সহমত।
মানবতা, মানবতার জায়গায় এবং আমরা তা দেখিয়েছি, দেখাচ্ছি, দেখাবোও। কিন্ত এই পুরো ঘটোনার পেছনে যে সূক্ষ্ম রাজনীতি আছে বা এটাকে সিআইএ বা অন্য কেউ কাজে লাগাবে - এই ব্যপারটি আমরা বাংলাদেশী হিসেবে মাথায় না রাখলে আমাদের সামনে আসলেই সমূহ বিপদ। মনে রাখবেন, তারা অত্যাচারিত -এদের ব্রেইনওয়াশ করা অনেক সহজ। দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থাও কিন্ত আগে থেকেই ভালো নেই।
সবকিছু মিলিয়েই কিন্ত অন্য দেশগুলো রোহিঙ্গা আশ্রয় দিচ্ছে না।
সময় থাকতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এদের নিজ দেশে নিরাপত্তা সহ পাঠানোর জন্য কাজ করতে হবে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
এম আর এফ সোহান বলেছেন: আমি সেটাই বলেছি। মাথা গরম করা যাবেনা। জাতিসংঘর বিন্দুক ধরতে হবে ওদের মাথায়। কোনো প্রকার যুদ্ধে জড়ানো যাবেনা।
১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
কানিজ রিনা বলেছেন: আরসা জঙ্গী বাহিনী তার প্রমান বার্মার
সামরিক জান্তারা দিতে পারেনাই। পুলিশ
চৌকীতে হামলাকারীদের হাতে বন্দুক ও
লাঠি ধরনের দেখা গেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের দূর্গম এলাকায় রয়েছে
সন্তুলারমার শান্তি বাহিনী। আমাদের ডিফেন্স
গোয়েন্দার সতর্কতা। এত এত সতর্কতার
সত্তেও আরসা বাহিনী মউদুদীবাদী জংগী
সংগঠন সুবিধা পাবে বলে বিশ্বাস হয়না।
বিশেষ করে সন্তলারমার শান্তি বাহিনীর চোখ
ফাঁকি দেওয়া কঠিন কাজ।
একটি লেখায় পড়লাম শান্তি বাহিনী রহিঙ্গাদের
বিরুদ্ধে কাজ করছে এটাও হয়ত মিথ্যা।
তবে বার্মার দূর্গম পাহাড়ে আরসা মৌদুদীরা
দল সংগঠন গড়ে তুলতে পারে হয়ত।
পিঠ যখন মাটিতে ঠেকে যায় মানুষ ভুল
পথে আগাতেও সক্ষম হয়।
আমাদের সরকার আন্তরজাতীক জংগী
সংগঠন নির্মূল করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
কেন বার্মার সরকার জঙ্গী দমনের নামে
নিরিহ জনগষ্ঠির উপর বর্বরতা চালিয়ে
রহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে এটা পুর্ব
পরিকল্পিত।
বার্মার সেনা বাহিনী বর্বর অসভ্য জলদস্যু
জাতি যুগযুগ ধরে অবরুদ্ধ জাতি আদর্শ
বলতে কিছু নাই। জংগীর থেকেও বড় জংগী
বার্মা সরকার আন্তরজাতিক নিষেধাজ্ঞা
অমান্য করে এই জলদস্যু জাতি বর্বরতা
অসভ্যতা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিরিহ অসহায় রহিঙ্গা শিশু নারী স্বরনার্থী
আত্বচিৎকার আকাশ বাতাশ ভারী হয়ে
উঠেছে। বিশ্ব আজ রহিঙ্গা স্বরনার্থীর পাশে
দাড়িয়েছে। আমরা মর্মাহত।
আসুন সবাই ওদের পাশে দাড়াই যাতে ওরা
ওদের মাতৃভূমি ফিরে পায়। ধন্যবাদ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
এম আর এফ সোহান বলেছেন: আরসার যে ম্যাপ, সেখানে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামও অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং সে আসংকা ফেলে দেওয়া যায়না। আর সান্ত লারমার কথা বললে, সবচেয়ে বেশী ভয়টা তাকে নিয়েই। উনি যতটুকু লাফ ঝাপ দেন তা ভারত, বার্মা আর চিনের কাঠিতেই। জাতীর ইব্লিস সে। রহিঙ্গাদের একটা নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র দরকার, আর লারমা বাহিনী আগে থেকেই এ ব্যাপারে লড়ছে। এখন যদি রহিঙ্গা আর বিদ্রহীরা মিলে যায় তবে হয়তো অনেক বড় রকমের সমস্যায় পড়তে হবে। যেহেতু পিছনে কল নাড়ার লোক আছে।
১৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪
জেকলেট বলেছেন: ব্যাপরটা ইসারাঈলের সাথে না মিলে আমার কাছে বরং আফগানিস্থানের সাথেই বেশি মিল মনে হচ্ছে। এবং আরেকটা উগ্র ধর্মিয় সংগঠন (তালেবান টাইপের) রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে উঠা অসম্ভব বলে মনে করার কোন কারন নাই। সেই ক্ষেত্রে এই অঞ্চলের কেউ ই নিরাপদ নন। এমনকি ইন্ডিয়া ও।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯
এম আর এফ সোহান বলেছেন: সম্ভাবনা অনেকগুলো আছে। তবে সবচেয়ে বেশী সম্ভাবনা আলাদা রাষ্ট্রর দাবী।
১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: 17 কোটি জনগন কয়েক লাখ রোহিংরা মেরে দেশ দখল করবে? দ্বিবাসপ্ন
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৭
এম আর এফ সোহান বলেছেন: একটি জাতীর স্বাধীনতার যুদ্ধ কেমন হয় আপনার জানা আছে? তার আগে বলুন আপনি আমার লেখাটি পুরোপুরি পড়েছেন? পড়ে একটু চিন্তা করলে বোধয় এটা বলতেননা।
যাইহোক, বুঝিয়ে বলছি। দেখুন স্বাধীন একটি দেশ পাওয়ার জন্য রহিঙ্গারা এখনই সবাইকে মারা শুরু করবেনা। তারা বাচার তাগিদে পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা বিচ্ছিন্নবাদি আছে অর্থাৎ যারা "জুমল্যান্ড" নামে আলাদা একটা রাষ্ট্র চায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এরিয়াতে তাদের সাথে মিলে যাবে। এদের পেছনে সাহায্যর জন্য আগে থেকেই ভারত আছে। কিছু বছর ধরে বার্মা ও চিন ও সাহায্য করছে। এর মানে বিদ্রোহীরা অস্ত্র পায় ভারত, বার্মা বা চিন থেকে। উল্লেখ, বিদ্রোহীদের নিজস্ব সেনা বাহিনীও আছে। রহিঙ্গারা তাদের সাথে মিলে গেলে তাদের সেনাবাহিনী ও জনবল অনেকগুন বৃদ্ধি পাবে। এটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় বিপদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬
ফয়েজ উল্লাহ রবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।