![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছাত্রের সাথে শ্রমিক শব্দটা কেউ মিশাতে চায় না। বাংলাদেশে এটা বড় বাস্তবতা। আজ ছাত্রশ্রমিকের কথা কেউ বলে না। আমার মনে হয় ছাত্রদের একটা অংশ যে শ্রমিক আছে এটা অনেকে জানে না। অবশ্য এই শ্রমিকের মধ্যে যারা অনেক ভালো ছাত্র তাদের কে অধম্য মেধাবী বলে। তাদেরকে মাঝেমাঝে কিছু সহযোগতীর কথা শুনা যায়।
ছাত্রশ্রমিকের নিয়ে কথা আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি। কিন্তু শিশু শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কথা হয়।মহিলা শ্রমিক, পোষাক শ্রমিক বা শ্রমজীবি মানুষের অধিকার নিয়ে কথা হয়। কিন্তু ছাত্রশ্রমিকের অধিকার,আইন, সুযোগ সুবিধা, বেতন এবং কাজের সময় এ সংক্রান্ত রাষ্ট্র বা বেসরকারী ভাবে কোন উদ্যেগ তৎপরতা দেখা যায় না।
আজ শ্রমিক দিবসে বাংরাদেশে সবচেয়ে অবহিলিত ছাত্রশ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দাবী জানাই। আজকের আধুনিক সময় অনেকে ছাত্র শ্রমিককে পার্ট টাইম জব বলে থাকেন। আসলে পাট টাইম জব বলে বিশাল একটা ছাত্রশ্রমিক কে বাদ দেয়া হয়। সাধারনত কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা শিক্ষার পাশাপাশি সন্মান জনক যে কাজ করেন তা পার্ট টাইম জব।
আমি বলছি যে ক্লাশ ওয়ান থেকে মার্স্টাস পযন্ত পড়ালেখার পাশাপাশি যে কোন কাজ করে পড়ালেখা, নিজের এবং নিজ পরিবারের জীবন ধারন করে থাকে সে ধরনের লোক ছাত্র শ্রমিক।
পৃথিবীর ইতিহাসে যারা খ্যাতিমান হয়েছেন, সফল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, তাদের অধিকাংশই খুব সাধারণ অবস্থা থেকে তিল তিল পরিশ্রমে আজকের অবস্থানে পৌঁছেছেন। আর তাদের লেখাপড়ার সুযোগ যে এত সহজলভ্য ছিলো না, তা তো বলাই বাহুল্য। অনেকেই নিজের লেখাপড়ার খরচ যোগানোর জন্যে যেকোনো কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করেন নি।
কবি কাজী নজরুল, আল ম মাহমুদ অনেকর কথা বলা যাবে যারা পড়ালেখার পাশাপাশি কাজও করেছেন আজকে আমি........।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদের উদাহরণ দেয়া যাক। গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। মাত্র দেড় বছর বয়সে মা-কে হারান। বাবাকে হারান ১০ বছর বয়সে। সহায় সম্পত্তি যা ছিলো আত্মীয়স্বজনরা সব দখল করে বিতাড়িত করলো তাকে। নিঃস্ব আলাউদ্দিন যেন অনেকটা উপলব্ধি করলেন, সকল প্রতিকূলতাকে পরাস্ত করে অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রামের একমাত্র অস্ত্র হলো শিক্ষা। বইয়ের মধ্যে খুঁজে পেলেন রোমাঞ্চকর জগৎ। হাইস্কুল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষার শেষ পর্যন্ত ক্লাসের প্রথম স্থানটি ছিলো তার জন্যে নির্ধারিত। বলাবাহুল্য, নিজের পড়ার খরচ যোগাড় করতে হতো তার নিজেকেই। কখনো টিউশনি, কখনো খবরের কাগজের অফিসে পার্টটাইম-এই করেই চলতে হতো তাকে।
মা-বাবাকে হারিয়ে যে দাদীমার কাছে বড় হয়েছিলেন, বিনা চিকিৎসায় তাকে মারা যেতে দেখে চেয়েছিলেন ডাক্তার হতে। কিন্তু অর্থাভাবে তা-ও হলো না। ভর্তি হলেন বাংলায়। ফার্স্টক্লাস ফার্স্ট হলেন। এমএ-তেও তা-ই। স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্যে গেলেন বৃটেনে। লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করলেন। ৭০ সালে তিনি হয়েছিলেন রয়েল সোসাইটির ফেলো। আমেরিকা ভাষা সমিতির সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। অসাধারণ মেধাবী ও সৃজনশীল রচনার জন্যে দেশে-বিদেশে তিনি খ্যাতিমান হয়ে উঠেছিলেন। উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, প্রবন্ধ, কাব্য, শিশুতোষ রচনা, ভ্রমণকাহিনী, জীবনীগ্রন্থ-অর্থাৎ সাহিত্যের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে তার অনন্য সৃজনের স্পর্শ লাগে নি।
কাজেই পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন কাজ করতে পারেন যদি প্রয়োজন হয়। আজকের বাংলাদেশে অসংখ ছাত্র পড়ালেখার পাশাপাশি বিভন্ন কাজের সাথে জরিত।
ছাত্রশ্রমিকের কাজের সময়ঃ
ছাত্র শ্রমিক সকাল ক্লাশে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এবং বিকালে ক্লাশ শেষ করে রাত্র পযন্ত। আকার কেউ কেউ সারা রাতই কাজ করেন।
ছাত্রশ্রমিকের কাজের ধরনঃ
এক্ষেত্রে শ্রেনীবেদ আছে।
ওয়ান থেকে ৫ম শ্রেনী ছাত্রশ্রমিক চা,ফল চকলেট বিক্রি। ইট ভাঙ্গা, মুদি দোকানে কাজ, ভাংঙ্গারি কাজ, কেউ কেউ অফিসে পিওনের কাজ করে। গ্রামে ক্ষেতের কাজ মাটি টানার কাজও করে থাকে। আরো অনেক কাজ হয়।
৬ষ্ঠ থেকে১০ শ্রেনীর ছাত্র শ্রমিক শহর আর গ্রামের মধ্যে কাজের পার্থাক্য আছে।
গ্রামের ছাত্রশ্রমিক রিক্সসা বা ভ্যান বা ঠেলা গাড়ি চালানো। সাপ্তাহিক হাট বাজারে বস্তা বা মাল মাথায় করে টানা, চুক্তিতে হাল চাষ ক্ষেতে
কাজ গাছের কাজ, ইত্যাদি করে থাকে অপর দিকে শহরে ছাত্রশ্রমিক রিক্সাসা বা সি এন জি চালানো, দোকান বা অফিসে কাজ, টিউশনি,
গাড়ি মেরামত বা ধোয়া মোজা বাসা বাড়িতে কাজ করে থাকে
কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশ্রমিক অনেক কাজ করে। অফিসে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বাসা-বাড়িতে, কাজ। যারা কম্পিউটার বা নেট সম্পাকে ধরনা আছে তার এ সংক্রন্ত কাজ করেন। যাদের এ জ্ঞান নাই তাদের মধ্যে অনেকে অনেক ছোট কাজ করে থাকেন যেমন রাতে রিক্সাসা বা টেম্পু চালানো। ট্রাক বা বাসের হেলপার বালু বা ইটের কাজ। আসলো চিন্তার বাহিরে অনেক কাজের সাথে সম্পার্ক যুক্ত ছাত্রশ্রমিক।
সমস্যা
বাংলাদেশের শ্রমিকের মধ্যে সবচেয়ে ছাত্রশ্রমিক নিযার্তিত বেশি। শিক্ষিত হওয়ার কারনে অভদ্র আচারন করে পারে না আবার যেহেতু পড়ালেখা করে অর্থিক সংকট আছে অনেকে এটাকে ব্যবহার করে। টাকা পয়শাও কমদেয়। একটু দেরি হলো বেতন কেটে রাখা, গায়ে হাত তোলা পর্যন্ত হয়। আমি একটা টিউশনির টিচারের নিকট কথা বলে জানতে পারলাম মাসে কতদিন আসে নি বেতন থেকে তা কেটে রাখছে
শিক্ষাজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব বা শ্রমিকের কাজ কি গ্রহণযোগ্য? এক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে?
পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করা বা শ্রমিকের কাজ করা যেতে পারে যদি সে কাজ পড়াশোনাকে ব্যাহত না করে। বরং বলা যায়, এভাবে কাজ করলে ভালো রেজাল্ট করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ অন্যরা যে সময়টাকে আড্ডাবাজি বা বন্ধুত্বের নামে অহেতুক নষ্ট করছে সেটাকেই আপনি কাজে লাগাচ্ছেন। তাই আসুন আমরা ছাত্রশ্রমিকদের সহযোগতীতা করার মধ্যেমে তাদের পড়ালেখা ও জাতি গঠনে ভুমিকা পালন করি।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২০
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ধন্যবাদ, আসলে আমার সময় খুব কম। তাই......
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
রুরু বলেছেন: নরসিংদী বাবুর হাটে এবং গাউছিয়া মার্কেটে অনেক ছাত্রই পার্ট টাইম কাজ করে।
আমি ৫ বছর যাবৎ বাবুর হাট চাকরী করছি।
সপ্তাহে ২ দিন।
আপনার কথাই ঠিক ছাত্র শ্রমিকদের নিয়ে কথা বলার কেউ নাই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২৪
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ধন্যবাদ , ছাত্রশ্রমিক অনেক সমস্যায় পরে বাট দেখার কেউ নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পোস্ট করেছি: ৬টি
মন্তব্য করেছি: ২টি
মন্তব্য পেয়েছি: ৭টি
ব্লগ লিখেছি: ১ বছর ১ মাস
অনুসরণ করছি: ৪ জন
অনুসরণ করছে: ১ জন
একারনেই কি লেখাটির পাঠকপ্রিয়তা এত কম!!