![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বার্থপর মানুষ
২৪ নভেম্বর ২০১৩ রবিবার বিকেল ৪:২২ এয়ারটেল অফিস পিঙ্কসিটি গুলশান-২, ঢাকা
প্রিয় মৃন্ময়ী,
গাজীপুরে তিনদিন অবস্থান করে গতকাল রাত্রে ঢাকা ফিরলাম। বেশ ধুমধাম করে আনন্দের সাথে ইমরান ও কুমকুমের বিয়ে হল। আমরা ওদের যৌথ নাম দিয়েছি বাবু + কুমকুম = বাকবাকুম। (বাবু ইমরানের ডাকনাম।) রাত্রে বাসায় ফিরে ওদেরকে নিয়ে একটি ছবিসহ স্ট্যাটাস দিলাম। নিচে ছবিসহ তা হুবুহু তুলে দিচ্ছি।
নিজেকে মাঝে-মাঝে ‘অসামাজিক’ মনে হয়। কেননা, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আমি সবার সাথে মিশতে পারিনা। আমার চলাফেরার বৃত্তটা খুব ছোটো। সেই ছোটো বৃত্তের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ কিছু মানুষ। ইমরান তাদের মধ্যে অন্যতম। ২০০৪ সাল থেকে আমাদের বন্ধুত্বের পথ চলা শুরু। একত্রে প্রায় ৯ বছর কাটিয়েছি; একই ফ্লাটে, একই বিছানায় প্রায় ৬ বছর জীবন পার করেছি। সময়ের ব্যবধানে আমাদের মধ্যে আত্মার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো ক্ষুদ্র স্বার্থ নেই; কোনো ঈর্ষা নেই; কোনো খাদ নেই; একদম অকৃত্রিম, নি:স্বার্থ, নিখাদ বন্ধুত্ব।
গতকাল ২২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে বন্ধুটি নতুন পথে পা বাড়িয়েছে। সেই পথের সঙ্গীনীটিও মানুষ হিসেবে চমৎকার, একজন ভালো মানুষ। দুজন ভালো মানুষ একত্র হয়েছে। প্রার্থনা করি, প্রত্যাশা করি, তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হবে, অনাবিল আনন্দের উৎস হবে। উভয়ের জন্য শুভ কামনা রইল।
খ.
আজকের প্রথম আলো'তে শচীন টেন্ডুলকারের ৭টি পরামর্শ পড়লাম। একই সাথে সাবিরুল ইসলামের লেখা 'ব্যবসা শুরুর টুকিটাকি' পড়লাম। দুটি লেখাই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে শচীনকে দেয়া তাঁর বাবার উপদেশ। তিনি সফল হবার শর্টকাট রাস্তা পরিহার করে ধৈর্য্য ও একাগ্রতা নিয়ে লেগে থাকতে বলেছেন। সেই উপদেশ পালন করায়ই আজকের অবস্থানে শচীন পৌঁছেছে। যাহোক, লেখাটি নিচে তুলে রাখছি।
সাফল্যের সাত সোপান
শচীন টেন্ডুলকার | আপডেট: ১২:৪৯, নভেম্বর ২৪, ২০১৩
১. নিজের কাজকে ভালোবাসো
খেলার প্রতি ভালোবাসাই আমাকে এত দূর নিয়ে এসেছে। আমি মনে করি, কেউ যখন অনেক দিন ধরে কোনো কাজ করে, সেই কাজই তার পরিচয় হয়ে ওঠে। আমি ভাগ্যবান এ কারণে যে আমি আমার পরিচয়কে এতটা ভালোবাসতে পেরেছি।
আমার খেলার শুরুটা আসলে হয়েছিল ৯-১০ বছর বয়সে, যখন আমি আমার বড় দুই ভাই আর অ্যাপার্টমেন্টের অন্যদের খেলতে দেখতাম। আমার কল্পনার জগতে তখন তারাই ব্যাট ঘোরাত। আমি তাদের মতো খেলতে চাইতাম। সে সময় আমার স্বপ্ন ছিল, সমবয়সীদের সঙ্গে খেলায় সবাইকে পেছনে ফেলা, যাতে করে আমার চেয়ে বয়সে বড়দের দলে খেলতে পারি, আর অ্যাপার্টমেন্টে আমার নাম ছড়ায়। এভাবে ১০ বছর বয়সেই আমি ২০-২২ বছর বয়সীদের সঙ্গে খেলতাম। সেই বছরই ভারত বিশ্বকাপ জেতে। এরপর আমার জীবনটাই একেবারে বদলে যায়। সে সময় ভারতের ৪০ লাখ তরুণ এক আশ্চর্য নেশায় আটকা পড়ে, একটি খেলার প্রতি সীমাহীন ভালোবাসায় তারা সবকিছু ভুলে যায়। আমিও সেই সময় থেকেই ক্রিকেটের প্রেমে পড়ি। এর আগে আমি অনেক খেলাই খেলতাম, ব্যাডমিন্টন, হকি, ফুটবল, টেনিস—কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি মুগ্ধতা ছিল আমার জীবনের সেরা ঘটনা। সেই মুগ্ধতা আমার কখনো কাটেনি।
২. নিজের ওপর ভরসা রাখা
ক্রিকেটে নিজের অনুভূতির ওপর বিশ্বাস রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটাই একজন ভালো খেলোয়াড়ের সঙ্গে একজন খারাপ খেলোয়াড়ের পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রতিটি খেলোয়াড়ের স্বকীয়তা আছে, আছে নিজেকে মাঠে তুলে ধরার নিজস্ব স্টাইল। সমালোচকেরা আমাকে খেলতে শেখাননি। আমি মনে করি, তাঁরা জানেন না, মাঠে আমি কী চিন্তা করছি, কিংবা আমার শরীর আমাকে কতটুকু সাহায্য করছে।
প্রতিটি বল খেলার জন্য আমার হাতে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ সেকেন্ড সময় থাকে, কখনো বা তারও কম। সময়টা আসলে কোনো সমালোচক আমাকে কী বলেছেন, তা চিন্তা করার জন্য নয়। আমি স্বাভাবিকভাবে আমার নিজের অনুভূতিকে কাজে লাগাই, আমার অবচেতন মন জানে, আমার কী করা উচিত এবং আমি ঠিক সেই কাজই করি। কারণ, এই কাজ করার জন্যই আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছি। প্রতিটি বলকে দেখা এবং তাকে তার প্রাপ্য জবাব দেওয়া—সহজ এই কাজ করতে পারাই একজন ক্রিকেটারের মূল চ্যালেঞ্জ।
৩. স্বপ্নকে ধাওয়া করা
খেলায় আমার উত্থান-পতন ছিলই। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে আমি কখনোই হারতে পছন্দ করতাম না। বাস্তবে শুধু সন্তানদের সঙ্গে খেলার সময়ই আমি নিজেকে ছাড় দিই। কারণ, আমার স্ত্রী আমাকে বলেছে যে মাঝেমধ্যে সন্তানদের জিততে দিতে হয়। কিন্তু সব সময় আমি তাদের জিততে দিই না। কারণ, তাদের সামনে এখনো অনেকটা পথ পড়ে আছে এবং এই পথে তাদের লড়াই করে জিততে হবে। আমি সব সময়ই আমার সন্তানদের বলি, ‘তোমাকেই জীবনের পথে এগিয়ে যেতে হবে, অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং জীবনে জিততে হবে।’ আমি ১৫ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট শুরু করি এবং তখন থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল একজন টেস্ট খেলোয়াড় হওয়া। দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছেটা আমার তখন থেকেই তীব্রতা পেতে শুরু করে। সেই স্বপ্নকে ধাওয়া করেই আমি এত দূর এসেছি। আমি কখনো নিজের জন্য কোনো শেষ ভেবে রাখিনি। ঠিক করিনি যে এই পর্যন্ত গিয়ে আমি থেমে যাব। আমার বাবার একটি উপদেশ সব সময়ই মনে রাখি, ‘জীবনে কখনো শর্টকাট খুঁজো না। এটা তোমাকে ক্ষণিক সাফল্য দেবে, কিন্তু তোমাকে সেরা বানাবে না। সেরা হওয়ার পথ সব সময়ই বন্ধুর ও কঠিন। কিন্তু তুমি যদি নিজের ওপর বিশ্বাস রাখো এবং ধৈর্য ধরো, কেউ তোমার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।’ আমি আমার সারা জীবনে কখনো এই উপদেশ ভুলিনি। আমি সফল হওয়ার জন্য নয়, সেরা হওয়ার জন্যই কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং স্বাভাবিক পথেই জীবনকে চালিয়ে নিয়ে এসেছি।
৫. গতকালের কথা ভুলে যাও
ক্যারিয়ারের শুরুতে ম্যাচের আগের রাতে আমি ঘুমাতে পারতাম না। সারা রাত ধরে আমি টস করতাম, পরদিন ম্যাচে কী হবে। ঘুমানোর জন্য তখন আমাকে নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হতো। কিন্তু এখন আমি আর তা করি না। কারণ, আমি জানি এটা কোনো ফল এনে দেয় না; বিশেষ করে ম্যাচের পরে আমি আর কখনো সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবি না। আমি কারও সঙ্গে নিজের তুলনায় বিশ্বাসী নই। আমি কেবল আমার নিজের ভুলগুলো নিয়ে নেটে পরিশ্রম করি এবং পরবর্তী ম্যাচের জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি।
৬. একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া
নিজেকে নিয়ে আমি কখনোই খুব বেশি দূর চিন্তা করি না। আমি আমার পরবর্তী কাজটিকেই সব সময় চিন্তায় রাখি। যেকোনো খেলোয়াড়ের জন্যই এটা একটা চ্যালেঞ্জ, নিজের কাজ নিয়ে একাগ্র মনে সাধনা করে যাওয়া। নিজের চিন্তাকে একটি মাত্র ফ্রেমে বেঁধে রাখা। বাইরের জগতের হাজারো প্রলোভনকে উপেক্ষা করে নিজের কাজ করে যাওয়া। এগুলোই ছিল আমার কাছে ক্রিকেটের সাধনা। আমি ঠিক করে নিতাম, কখন কোন কাজটি করব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় আমি ক্রিকেট নিয়ে খুব বেশি ভাবতাম না। গান শোনা, সন্তানদের সময় দেওয়া, বাইরে বেড়াতে যাওয়া—এভাবে নিজেকে একজন সাধারণ মানুষের কাতারে নিয়ে আসতাম। কিন্তু যখন মাঠে নামতাম, তখন আমার ভাবনায় শতভাগ ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুই থাকত না। লক্ষ্য অর্জনের পথে মাঝেমধ্যে নিজেকে বিশ্রাম দেওয়া এবং পুনরায় খুব দ্রুত আগের অবস্থানে ফিরে আসতে পারা একজন খেলোয়াড়কে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
৭. হাল না ছাড়া
আমাদের জীবনটা আসলে কিছু পর্যায়ের সমন্বয়, যেখানে আমরা নিজেদের জন্য লক্ষ্য ঠিক করি, আর সেগুলো অর্জনের জন্য কাজ করি। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এ ক্ষেত্রে মা-বাবার ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। মা-বাবাই পারেন সন্তানকে শেখাতে, যাতে করে সে জীবনকে সহজভাবে নেয়, সঠিক পথেই নিজেকে নিয়ে যায় এবং সাহসের সঙ্গে জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হয়। আমার বাবা আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন, যাতে করে আমি আমার স্বপ্নের পথে চলতে পারি। যে সময় আমি ক্রিকেটের জগতে নিজেকে মেলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম, তিনি তখন আমাকে বলেছিলেন, ‘হাল ছেড়ে দিয়ো না। প্রতিটি অন্ধকার টানেলের শেষেই আলো থাকে।’ আমি হাল ছেড়ে দিইনি। এ কারণেই আমি আজকে আলোর দেখা পেয়েছি।
ব্যবসাশুরুর টুকিটাকি
সাবিরুল ইসলাম | আপডেট: ০০:০১, নভেম্বর ২৪, ২০১৩
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণ উদ্যোক্তা, লেখক ও বক্তা সাবিরুল ইসলাম নিয়মিত লিখবেন প্রথম আলোয়। ‘স্বপ্ন নিয়ে’তে প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর কলাম-
আমি এখন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে। এখানে থেকেও আমার বিশ্বাস, অনুভূতি ও ভাবনার কথা তোমাদের সঙ্গে বলতে বেশ চমৎকার লাগছে। ‘ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়ন’ নিয়ে গত দুই বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো বেলজিয়ামে আসা। এর আগে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এ আয়োজন হয়েছে চারবার। বেলজিয়ামে এবারের ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়ন আয়োজনটি যৌথভাবে পরিচালিত হচ্ছে ইউরোপিয়ান কমিশন চায়নার সঙ্গে। এর উদ্দেশ্য হলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও চায়নার তরুণদের মধ্যে উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা-সম্পর্কিত চর্চা বা অনুশীলনের ক্ষেত্রে শূন্যস্থানটুকু পূরণ করা। কাজেই, এ ধরনের একটা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারাটা সত্যিই দারুণ সম্মানের ব্যাপার।
এখন আসা যাক ব্যবসার প্রসঙ্গে। যেকোনো ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় রয়েছে। সে বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমি বলব এবং আশা করছি তোমাদের কাজে আসবে।
ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বেশির ভাগ মানুষই সাহসিকতার সঙ্গে এই সিদ্ধান্তটা নিতে পারে না। তাই শুরুতেই নিজেকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে:-
১. ব্যবসায়ের যে চিন্তাটা তোমার মধ্যে আছে, সেটা কি লাভজনক?
২. এই ব্যবসায়ের জন্য কি বাজার রয়েছে?
৩. আরেকটা জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে, সম্পদ বা পুঁজির দিক থেকে তুমি কতটা শক্তিশালী অবস্থানে আছ?
এই তিনটা সহজ প্রশ্নের উত্তরই ব্যবসার জগতে তোমার অবস্থানকে নিশ্চিত করবে। কিন্তু আমরা মনে করি যে আমরা সবই জানি, আর এটাই একটা অতি সাধারণ ভুল, যেটা আমরা প্রায় সবাই করে থাকি। আমরা মনে করি, আমাদের বুদ্ধিটাই সবচেয়ে সেরা এবং কারও মাথায় এই বুদ্ধিটা আসবে না। কিন্তু এটা পুরোই ভুল ধারণা।
শুরুতে গবেষণা করাটা খুব জরুরি। ব্যবসায়ের যেকোনো ক্ষেত্রে কেউ যদি সফল হতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই সে বিষয়টা ভালো করে বুঝে নিতে হবে, কয়েকটা মাস এর পিছে সময় দিতে হবে। তাই তোমাকে ধৈর্য ধরতে জানতে হবে।
যখন তোমার গবেষণার ধাপটা পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে, তখন তুমি বলতে পারবে যে তোমার এই ব্যবসায়িক চিন্তার মার্কেট আছে কি না এবং তোমার এই চিন্তাটা লাভজনক কি না।
তৃতীয় প্রশ্নটা হলো সম্পদ বা পুঁজির। এ ব্যাপারে কিছুটা ভুল ধারণা আছে। প্রায় প্রত্যেকেই মনে করে যে পুঁজিটা হলো কেবল অর্থ-সম্পদ। টাকাপয়সা কম বা বেশি যেমনই থাকুক না কেন, এর চেয়েও প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে তোমার জনশক্তি কেমন আছে এবং এমন কোনো মানুষ আছে কি না, যে তোমাকে এবং তোমার চিন্তাটাকে সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়িত করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
তোমরা যারা ব্যবসা শুরু করতে চাও, তোমাদের পাশে যে ধরনের কিছু মানুষ থাকা দরকার, তারা হলেন:-
১. একজন উপদেষ্টা, যিনি তোমার ব্যবসায়ের ব্যাপারে উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন।
২. ছোটখাটো একটা টিম বা দল, যাদের মার্কেট ও ব্যবসা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আছে। ফলে তুমি তোমার নিজের একটা ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবে এবং তোমার চিন্তাভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে চলা সহজ হবে। এই দল তোমার পরিবার, বন্ধু বা পরিচিত মানুষদের নিয়ে গড়ে উঠতে পারে। এ ক্ষেত্রে তারা প্রত্যেকে কত আয় করবে, এর চেয়ে প্রাধান্য দিতে হবে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারটিতে। কারণ, এ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী।
৩. ব্যবসায়ের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে যে মানুষগুলো জড়িত আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাহলেই তুমি একটা নেটওয়ার্কের মধ্যে থাকতে পারবে। এই যোগাযোগটাই ভবিষ্যতে তোমার ব্যবসাকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
সব সময় মনে রাখবে, ব্যবসা কখনো একজনের কম্ম নয়, এখানে অনেক ধরনের মানুষের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কাজ করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে এবং ব্যর্থতা আসতেই পারে। কিন্তু এ সবকিছুই তোমার শেখার ও অভিজ্ঞতার একেকটা ধাপ। একদিন যখন তুমি সফল হবে, তখন এই অভিজ্ঞতাগুলোই দারুণ একটা গল্প হয়ে অন্যদের উৎসাহ জোগাবে।
শেষ করার আগে বলে নিচ্ছি, আমি আমার প্রিয় বাংলাদেশে ফিরছি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ৯০ দিনের কম সময় বাকি আছে। আর এই ফেব্রুয়ারিতেই আমাদের ইন্সপায়ার ওয়ান মিলিয়নের সর্বশেষ আয়োজনটি হবে। তোমাদের সবাইকে স্মরণীয় এই দিনটির অংশ হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
©somewhere in net ltd.