নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অস্তিত্বকে ছাড়তে নেই,ভুলতে নেই...

মৃত্তিকামানব

আজীবন মাটির মানুষ হয়ে থাকতে চাই।হিংসা, অহংকার,ভন্ডামী এই তিন শক্তিশালী শত্রুর বিরুদ্ধে জিততে চাই

মৃত্তিকামানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার থিয়েটার

১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৬

এয়ারকন্ডিশনার রুমে মানবতা উদ্ধারের রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে।পেছনের দেয়ালে ঝুলানো ব্যানারে বড় হরফে লেখা ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কনফারেন্স। উপস্থিত আছেন বিশ্বের বড় বড় নামডাকওয়ালা বিশিষ্ঠ মানবাধিকার কর্মীরা।আমেরিকা,ফ্রান্স,রাশিয়া সরকারের প্রতিনিধিসহ উপস্থিত আছেন এশিয়া, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কতেক মানবাধিকার কর্মী।
ছোট্ট বাংলাদেশ থেকেও গিয়েছেন শান্তি
কমিটির রথী-মহারথীরা।জাতিসংঘ তো প্রথম
বেঞ্চের নিয়মিত ছাত্র।পাহাড়ের গুহায়
গোপনে ধর্মচর্চা করা সংগঠনগুলোর
জুব্বাওয়ালা নেতারাও হাজির কোর্ট-টাই
গায়ে ঝুলিয়ে। যথারীতি মিটিং চলছে।কথার
ঘোড়া ছোটাচ্ছেন বক্তৃতার বখতিয়ার
খিলজীরা।বড় বড় মিডিয়ায় ফলাও করে
প্রচার করা হচ্ছে হিউম্যান রাইটস
কনফারেন্সের খবর।সারা বিশ্বের শান্তি ও
মানবতা গিয়ে জড়ো হল এয়ারকন্ডিশনার
রুমে।অধীর আগ্রহে সাধারণ জনতা মানবতার
বাতাস খাওয়ার অপেক্ষায়।
যথাসময়ে সফল ও সার্থক মিটিং এর
পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে উপস্থিত সদস্যরা গেলেন
পাশের আরেকটি কক্ষে। সেখানে আগে
থেকেই উপস্থিত দুই সহোদর ইসরাইল ও
মায়ানমার সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদ্বয়।
মানবতার চিন্তকদের আরো একটি মিটিং শুরু
হল।কিন্তু এ কী! একটু আগেও যাদের বক্তব্য
বিশ্বের মিডিয়াগুলোতে প্রচার করা হচ্ছিল,
স্থান পরিবর্তনে মিডিয়ার মনও পরিবর্তন হল
কোন এক অজ্ঞাত কারণে।মিডিয়া বয়কট
করল বৈঠকের খবর।ভিন্ন পন্থায় খবর
পৌছানো হল বিশ্ববাসীর কাছে।ইসরাইলী
মানবদরদীরা কামানের গোলাকে গোলাপ
ভেবে নিক্ষেপ করল ফিলিস্তিনী জনগণের
দিকে।ফলে তাদের শরীর হয়ে উঠল
গোলাপের রঙে রাঙানো।সিরিয়া,ই
য়েমেন,ইরাকে জনসংখ্যা কমানোর মহান
দায়িত্ব মহোৎসবের মত মহাধুমধামে পালন
করা হল।কোটি কোটি মধ্যপ্রাচ্যবাসী
অনির্দিষ্টকালের জন্য সমুদ্র ভ্রমণের সুযোগ
পেলেন বিনা মূল্যে শরণার্থীর ভিআইপি
টিকিটে।ভূমিকম্প কিংবা ভূমিধসে
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় দূর্বল অসহায়
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আরাকান থেকে
পার্শ্ববর্তী দেশে মায়ানমার সরকার সরিয়ে
নেয়ার ব্যবস্থা করল।বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নত না
হওয়ায় রোহিঙ্গাদের বাড়ীঘর রাতভর আগুণ
জ্বালিয়ে পাহারা দিল রাখাইন ফায়ার
সাপ্লায়ার দলের সদস্যরা।
বিশ্বজুড়ে মানবতার এমন সুবাতাসে শুকিয়ে
গেল বিশ্ববাসীর কন্ঠস্বর।
আরও একটি সফল ও সার্থক গোপন বৈঠক শেষ
করে হাসিমুখে বেরিয়ে আসা মানবাধিকার
কর্মীরা আবারও হিউম্যান রাইটস
কনফারেন্সের আয়োজন করলেন।
পর্দার আড়ালে মানবাধিকার কেবল ধিক্কার
জানালেন মানবতার এমন মহান নিদর্শনকে!
চট্টগ্রাম

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৩

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হুম।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: মানবাধিকার রক্ষা কমিটি না মানবাধিকার ধ্বংসের কমিটি!
এই শালারা মানুষ নামের পশু, উশৃঙ্খল, মানুষের সুখ সহ্য করতে পারেনা।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

বিজন রয় বলেছেন: একবছর পর পোস্ট দিলেন!!!

ভাল।
নিয়মিত লিখুন।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

মৃত্তিকামানব বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০১

মৃত্তিকামানব বলেছেন: ব্লগে অনিয়মিত ছিলাম।অন্যান্য মাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে।
নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করতেছি।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

মৃত্তিকামানব বলেছেন: মানবাধিকার রক্ষা কমিটির মুখোশ পরে এরাই মানবাধিকার ধ্বংস কমিটির মিটিংয়ে মিলিত হয়ে পৃথিবীব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।শান্তিতে নোবেলপ্রাপ্তরাই অশান্তির মূল কারণ।এরা একপক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করে, সে অস্ত্রের গুলিতে যখন অপর পক্ষের কেউ মারা যায় তখন এরা সমবেদনা জানায়,অর্থ সহযোগিতা করে। এটাই মানবাধিকার নেতাদের দ্বিমুখী নীতি।
@ধ্রুবক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.