![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিপথগামী ছাত্রদের সঠিক পথে আনতে আসুন সবাই একাত্ব হই।
বর্তমানে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধা তথা বেতন ভাতাদি বা জাতীয় বেতন স্কেল নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করার সময় হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রনালয় বা বিভাগ তাদের জন্য আলাদা আলাদা বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো কার্যকর ও করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়াত্ত চার ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ও আলাদা বেতন কাঠামো সুপারিশ করা হয়েছে। সবারই বেতন কাঠামো তথা বেতন স্কেল মানসম্মত এবং যুগোপযোগী করা হয়েছে। ব্যাংকে বর্তমান স্কেলে ১৯ টি গ্রেড বিদ্যমান আছে। সুপারিশকৃত কাঠামোতে ১১ টি গ্রেডের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সকল বিভাগ বা মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা আলাদা বেতন কাঠামো দেয়া না গেলেও বর্তমানে বেতন কাঠামো সংস্কার ও সমণ¦য় করা একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে। অন্যান্য সরকারী চাকরীজীবিদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বিয়যটি ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। বর্তমান বেতন কাঠামোতে ২০ টি গ্রেড বিদ্যমান। বেতন কাঠামোর ২০ গ্রেড থেকে ১১ গ্রেড পর্যন্ত ধাপসমূহ অতি অমানবিয় ও আপত্তিজনক। গ্রেডের ধাপসমূহ যথাক্রমে ৪১০০ - ৪২৫০ - ৪৪০০ - ৪৫০০ - ৪৭০০ - ৪৯০০ - ৫২০০ - ৫৫০০ - ৫৯০০ - ৬৪০০ টাকা। যার ফলে একজন ২০ তম গ্রেডের কর্মচারী ৮ বছর পর টাইম স্কেল পেয়ে ১৯ তম গ্রেডে উন্নিত হওয়ায় তার স্কেলে ১৫০ টাকা, আরও ৫ বছর পর ২য় টাইম স্কেল পেয়ে ১৮ তম গ্রেডে উন্নিত হওয়ায় তার স্কেলে আর মাত্র ১৫০ টাকা, এরপর আরও ৩ বছর পরে ৩য় টাইম স্কেল পেয়ে ১৭ তম গ্রেডে উন্নিত হওয়ায় তার স্কেলে আর মাত্র ১৫০ টাকা অর্থাৎ জীবনের ৩ টি টাইম স্কেল পেয়ে তার স্কেলে ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ = ৪৫০ টাকা যোগ হচ্ছে। অথচ ১০ম গ্রেড থেকে এই বৃদ্ধিটা হচ্ছে ৩০০০ + ১০০০ + ৩০০০ = ৭০০০ টাকা বা তার ও বেশী। সুতরাং বৃহত্তর স্বার্থে বর্তমান বেতন স্কেল কাঠামোয় সংস্কার পূর্বক সমণ¦য় করা আবশ্যক। সে কাঠামোয় ২০ টি গ্রেডকে সমণ¦য় করে ১১/১২ টি গ্রেডে রূপান্তর করা যেতে পারে। ১, ২ , ৩, ১০, ১১, ১২ নম্বর গ্রেডকে ঠিক রেখে ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডকে ১টি, ৬ ও ৭ নম্বর গ্রেডকে ১টি, ৮ ও ৯ নম্বর গ্রেডকে ১টি, ১৩ ও ১৪ নম্বর গ্রেডকে ১টি, ১৫, ১৬ ও ১৭ নম্বর গ্রেডকে ১টি এবং ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর গ্রেডকে ১টি গ্রেডে একীভূত করে জাতীয় স্কেলকে এভাবে ১২ টি গ্রেডে রূপান্তর করে দীর্ঘ দিনের বেতন বৈষম্য দূর করা সম্ভব। তবে যেসব গ্রেডকে একটি গ্রেডে একীভূত করা হবে সে ক্ষেত্রে বিদ্যমান ন্যূনতম স্কেল থেকে যারা উচ্চতর স্কেলে বেতন পান, সেসব প্রতি উচ্চতর স্কেলের বিপরীতে একটি করে ইনক্রিমেন্ট দেয়া যেতে পারে। বর্তমানে স্থায়ী পে কমিশন গঠন করার পাশাপাশি বেতন বৈষম্য দূর করনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলমান। এমতাবস্থায় উক্ত কমিশন ও কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষন পূর্বক নতুন বেতন স্কেল এর জন্য সুপারিশ করবেন বলে দেশবাসী আশাবাদী।
©somewhere in net ltd.