![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখাটির শিরোনাম দেখেই যে কেউ আমাকে রাজাকার বলে দিতে পারেন। অতি উৎসাহী কেউ কেউ আবার আমাকে যুদ্ধাপরাধীও বলে দিতে পারেন। এসব বলে ব্যবস্থা নিতে এসে স্বাধীনতার বছর পনের পরে জন্মগ্রহন করেছি বলে হয়ত হতাশ হতে পারেন। এসব নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নাই।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যখন উদগ্রিব ঠিক তখনি মাওলানা ভাসানী নির্বাচন বয়কটের ডাক দিলেন। দুরদর্শী ভাসানী ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন যে এই নির্বাচন কোনো সমাধান দেবে না। ফলে তার দলের শ্লোগান ছিল , নির্বাচনকে লাথি মার, পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন কর ।
যাই হোক বঙ্গবন্ধু নির্বাচনের পক্ষে অনড় ই রইলেন। জিতেও গেলেন। কিন্তু পাকিস্তানিরা তার হাতে ক্ষমতা দিল না। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষনে স্বাধীনতার স্পষ্ট ঘোষনা করেননি। তিনি মুলত চার দফা দাবি পাকিস্তান সরকারের কাছে পেশ করেছিলেন। ১। সামরিক আইন মার্শাল ল তুলে নিতে হবে। ২। সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে ৩। ইতিপূর্বে যত হত্যাকান্ড হয়েছে তার তদন্ত করতে হবে ৪। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হয়ে জনগনের সেবা করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বোধহয় পূর্ব পাকিস্তানের সবথেকে শক্ত নেতা যিনি স্পষ্টত পাকিস্তানের অখন্ডতায় বিশ্বাস করতেন। তবে স্বাধীনতা ছিল প্রানের দাবি। আর সেই ঘোষনা টা তার কাছ থেকেই আসার কথা ছিল। সেই দায়িত্বও জনগন তাকেই দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। করলে হয়ত এত লোককে আমাদের হারাতে হত না।
তিনি যদি ৭ মার্চের ভাষনে স্পষ্ট স্বাধীনতার ঘোষনা দিতেন , তাহলে ইতিহাসবিদরা বলেন , যে অনেক কম রক্তপাতে , এমনকি কোন ধরনের রক্তপাত ছাড়াই পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে যেত। কারন তখন পাকিস্তানি সৈন্য ছিল আনুপাতিক হারে বাঙালী সৈন্যদের তুলনায় খুবই নগন্য । ফলে তারা খুব একটা প্রতিরোধই হয়ত করত না। কিন্তু সেটা তিনি করেন নি। ফলে পাকিস্তানিরা তাদের সৈন্য সমাগম ঘটানোর সুযোগ পেল। তিনি তার ৭ মার্চের ভাষনে পাকিস্তানীরা আর সৈন্য এদেশে আনতে পারবে না এমন কথাও বলেন নি। এগুলো বলা সম্ভব ছিল্। কারন তখন অলরেডি তার কথায়ই দেশ চলত। এবং তিনিই ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা।
২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে কেউ পাকিস্তানী পতাকা না তুলে পূর্ব পাকিস্তানের লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে স্পষ্টতই বিদ্রোহের ও স্বাধীনতার জানান দিয়ে দিয়েছিলেন। সুতরাং তার পরেও কালবিলম্বের কারন কি ছিল?
২৫ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু নাকি টেলিগ্রামে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তখনকার সাত কোটি বাঙালীর মধ্যে আজ পর্যন্ত কেউ সেই টেলিগ্রাম পেয়েছিল বলে দাবি করেনি ।
এবং অনেকটা স্বেচ্ছায় পাকিস্তান সরকারের হাতে ধরা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এবং ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরাই বাধ্য করে এদেশের জনগনকে যুদ্ধে নামতে। অবশ্য শত চাপ ও লোভ দেখানো সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বিপক্ষে ও কোনো কথা বলেননি। সেটা বললে আমাদের স্বাধীনতা অনেক বিলম্বে হত।
২৭ মার্চ মেজর জিয়া প্রথমে নিজেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেন, এবং সর্ব স্তরের বাঙালীকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে আহ্বান করেন। পরে অবশ্য তার এ ঘোষনা বাদ দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা করেন। সেই ঘোষনা দেশবাসীকে অনুপ্রানিত করেছিল যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে। অবশ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তার ও আগে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতেই। ইপিআর এর বাঙালী সৈন্যরা তাদের আত্মরক্ষার জন্য প্রানপনে যুদ্ধ করে যান। অনেক সচেতন যুবক ২৬ মার্চে নিজেরাই সংগঠিত হওয়া শুরু করে। এভাবেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বর্তমান সরকার যাই বলুক , মূল ঘটনা সংক্ষেপে এমনই ছিল। এখন আপনারাই বিবেচনা করবেন কার কি ভূমিকা ছিল সেই যুদ্ধে।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪
সুমন এম রহমান বলেছেন: পতাকার প্রতি প্রনোদনা...মেজর কামরুর ইসলাম ভূইয়া
গেরিলা থেকে স্মুখ যুদ্ধে ...মাহবুব আলম
১৯৭১..হুমায়ুন আহমেদ
মুক্তিযুদ্ধের অনুগল্প ...হাফিজুর রহমান
মুক্তিযুদ্ধে নারী ...এমাজুদ্দিন আহমেদ
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৬
বেঈমান আমি বলেছেন: আপনার কেপি টেস্ট তো আগেই পজেটিভ প্রমানিত।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯
আরফিন নিয়াজ বলেছেন: যে আছো অন্তরে বলেছেন: লেখার তথ্যসূত্র প্লিজ?
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০
কাউসার রানা বলেছেন: একটা কথা বুঝতে পারছি না, কেন আমরা বার বার স্বাধীনতাটাকে বির্তকিত করতে চাই। কয়েকদিন আগে এক গাধার বাচ্চা বলল, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের প্রথম গুরু শেখ মুজিবর রহমান কারন----------- তিনিই প্রথম সংসদে ওর মায়ের ভাতার (গাধার বাচ্চার) তৎকালিন পাকিস্থানের প্রধান মন্ত্রীকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করেছিলেন।
মেজাজ টা খারাপ হয় কি না বলেন।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৩
সুমন এম রহমান বলেছেন: হা হা হা............এরা অন্ধ,
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১০
স্বপন খাঁন বলেছেন: ভাই মনে কিছু নিয়েন না। অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এ কথা শেখ মুজিব কোথায় বলেছিলেন? ৭ই মার্চ। আপনি মনে হয় জিয়াউর রহমানের দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষনা ঠিক ভাবে পড়েন নাই। উনি বলেছিলেন I am Ziaur Rahman declare independent of Bangladesh of behalf Sheikh Muzibor Rahman.
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯
সুমন এম রহমান বলেছেন: পুরো লেখাটি কি পড়েছেন? আপনি নিজেই জানেন না। কিন্তু যা লিখেছি সেটা আবার পড়েন্। সেখানে আপনার এ কথাগুলো লেখা আছে। জিয়া প্রথমে যে ঘোষনা দেন সেটা এই ঘোষনা ছিল না। পরের ঘোষনা টি ( যেটি পরে বার বার প্রচারিত হয়েছে, সেটিই আপনি লিখেছেন)
আর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্পষ্টত স্বাধীনতার ঘোষনা করলে তো সেদিনই যুদ্ধ শুরু হত। পরেরদিন থেকে ইয়াহিয়ার সাথে বৈঠকে বসতে হত না। আর এই ঘোষনাটি স্বাধীনতার একটি অনুঘটক তো অবশ্যই। এভাবে বলা যায় , তিনি সেদিন একই সাথে স্বাধীনতার ঘোষনা করেছিলেন , আবার করেনও নি।
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৬
মোঃ শরিফুল বলেছেন: ভাই সুন্দর একটা লিখা দিয়েছেন
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২১
রিয়াদ চৌধুরী বলেছেন: "তিনি যদি ৭ মার্চের ভাষনে স্পষ্ট স্বাধীনতার ঘোষনা দিতেন , তাহলে ইতিহাসবিদরা বলেন , যে অনেক কম রক্তপাতে , এমনকি কোন ধরনের রক্তপাত ছাড়াই পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে যেত।"
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
সুমন এম রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে......
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৮
ইমরান খান সবুজ বলেছেন: ভাল লাগল,
সত্যটা জানিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৫
সুমন এম রহমান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ.......
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৩
***হাফিজ*** বলেছেন: ২৭ মার্চ মেজর জিয়া প্রথমে নিজেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেন,
একজন মেজর নিজেরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষনা দেওয়ার সাহস পায় , মনে হচ্ছে বি এন পির সার্পোটার বি এন পির পক্ষে বক্তিতা দিতেছে
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯
সুমন এম রহমান বলেছেন: সেটাই মনে হওয়ার কথা, এটা জাতি হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা , যে মুখ খুললেই কোনো না কোনো দলের সাপোর্টার বলা হয়।
যাই হোক , ঘটনা যা লিখেছি তা সত্য। প্লিজ আমার লিষ্টের বইগুলোতে ঘটনার উল্লেখ আছে। একদিন আসেন না পাবলিক লাইব্রেরীতে , যদি অন্তত ১০০ বইয়ে এই ঘটনার উল্লেখ দেখাতে না পারি তাহলে জীবনে আর লেখালেখি করব না।
১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শেখ ইরফান বলেছেন: এমনকি কোন ধরনের রক্তপাত ছাড়াই পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হয়ে যেত????? তাহলে বহির্বিশ্বের কোন সমর্থন ই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান পেত না... ইতিহাস ভালো মত না পড়ে দলের সমর্থনে ব্লগিং করেন?? ভালোই... তবে দেশের জন্য না...অল্প বিদ্যা আসলেই ভয়ংকরী। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে ভাষন দিয়েছিলেন সেটা ই ছিলো স্বাধীনতার মূল টনিক...
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
সুমন এম রহমান বলেছেন: অদ্ভুত তো!! কেন সমর্থন পাবে না? আর টনিকের বিষয়টা কে অস্বিকার করেছে?
ভাই প্রত্যক্ষ সমর্থন যদি বলেন তা হচ্ছে ভারতীয়। তারা তখনও সমর্থন করেই যেত। মূল কথা হল সমর্থন প্রয়োজনই তো ছিল না। কয়জন পাকিস্তানী ছিল এদেশে ? সৈন্য তো ওরা ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যের সময়টায় জড়ো করেছে।
১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪১
বিদ্রোহী রণক্লান্ত ৭১ বলেছেন: সব জাতিই চায় সামনে এগিয়ে যেতে কিন্তু আমরা?আমরা কত বড় মূর্খ জাতি পেছনের ইতিহাসকে কলন্কিত করতে করতে একেবারে বস্তা পচা বানিয়েছি। তারপর মুক্তিযুদ্ধের মত পবিত্র একটা ইস্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতিকরা রাজনীতি করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন। আরও কিছু মাথামোটা বুদ্ধিজীবি সেই নোংরামী নিয়েই পরে আছে । হয়ত তারাও উপকৃত হচ্ছেন। যেখানে এমন সম্ভাবনাময় একটি দেশের ৪০ বছরে অনেক ডেভলপ্ড হওয়ার কথা ছিলো সেখানে এখোনো দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ দিন আনে দিন খায়। আমাদের চরিত্রই কি এরকম । নাকি আমরা কোন ষরযন্ত্রের স্বীকার???
১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩
বীরেনদ্র বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ নিজে দেখা। কোন আন্দোলন বা যুদ্ধ কিন্তু একদিনে হয় না। জিয়া সাহেব ঘোষনা দিলেন দেশ স্বাধীণ হল- এই রকম দৃস্টিভঙ্গি শুধুমাত্র আপনাদের মত হীন মানসিকতার লোকের পক্ষেই সম্ভব। স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে যে বিতর্কে তাতে যদি ধরেও নি যে জিয়া সাহেবই ঘোষক তা হলেও তা পূরো মুক্তিযুদ্ধের কতোটা? ১% ও কম আর জিয়াই যদি স্বাধীনতা এনে থাকেন তো তারই তো পাকীস্তানীদের পরাজয়ের পরি প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা ছিল।
যে চূড়ান্ত যুদ্ধে পাকীস্তানীরা পরজিত হয় তাতে কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহীনি সম্মুখযুদ্ধে পাকীস্তানীদের পরজিত করে । জিয়া সাহেব কে ছিলেন তখন ?একজন সেকটর কমান্ডার। ১৯৭১ সালের ঘোষনার আগে জিয়ার নাম কে জানত? খুব বেশী হলে তার আত্মীয় স্বজন এবং একজন সেনাবাহীনির মেজরের অধীনস্ত সৈন্যরা।
সুতরাং আপনার সুত্রের জ্ঞানী লেখকদের জিজ্ঞাসা করুন তাদের ভুমিকা কি ছিল?
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪২
সুমন এম রহমান বলেছেন: বুঝে কমেন্ট করেছেন, দুখিত ভাই , আমার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে আপনার কমেন্ট এর কোথাও মিল নেই।
১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৩
বীরেনদ্র বলেছেন: ৭ই মার্চে ঘোষনা দিলেই দেশ স্বাধীন হয়ে যেত? আর যে অল্প কয়েকজন পাকীস্তানী সেনা ছিলো তাদের সহজেই পরাজিত করা যেত। ৯ মাসে'র যুদ্ধে পাকীস্তানীদের কবল থেকে কতটুকু যায়গা মেজর জিয়া ছিনিয়ে নিয়ে তা বাংলাদেশ বানিয়েছিলেন।
৭ ই মার্চে স্বাধীনতা ঘোষনা দিলে যেটা হত তা হল- পাকীস্তানীরা ২৫ শে মার্চের আগেই ঝাপিয়ে পড়ার অযুহাত পেত। বহির্বিশ্ব তারা প্রমান করতে পারতো যে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পাকীস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করার জন্য। ২৫ শে মার্চের পর সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষনা করার যে যুক্তি ছিল তা কিন্তু এর আগে ছিল না।
অনেক তথ্য আছে । দু একটা না পড়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের উপর লক্ষ কোটি তথ্য আছে,
সেগুলো জানুন।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫
সুমন এম রহমান বলেছেন: ধুর মিয়া, আন্দাজে কথা বলেন কেন? এদেশে তখন বঙ্গবন্ধু সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা। আর স্বাধীনতা এদেশের মানুষের প্রানের দাবি ছিল। আর পাকিস্তান থেকে ভারত না চাইলে যে এত এত সৈন্যের সমাগম ঘটানো সম্ভব ছিলনা সেটা তো আপনিও জানেন। ২৫ মার্চের আগে ঝাপিয়ে পড়লে কি হত? তারা ২৫ মার্চে পূর্ন প্রস্তুতি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে যে ক্ষতি করেছে তার চেয়ে নিশ্চয়ই কম ক্ষতি হত। বুঝলেন? দয়া করে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে এগুলো মেজার করবেন না।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৮
১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৫
শেখ ইরফান বলেছেন: @ লেখক বলেছেন: অদ্ভুত তো!! কেন সমর্থন পাবে না?
৭ ই মার্চে স্বাধীনতা ঘোষনা দিলে যেটা হত তা হল- পাকীস্তানীরা ২৫ শে মার্চের আগেই ঝাপিয়ে পড়ার অযুহাত পেত। বহির্বিশ্ব তারা প্রমান করতে পারতো যে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পাকীস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করার জন্য। ২৫ শে মার্চের পর সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষনা করার যে যুক্তি ছিল তা কিন্তু এর আগে ছিল না।৭ ই মার্চে স্বাধীনতা ঘোষনা দিলে যেটা হত তা হল- পাকীস্তানীরা ২৫ শে মার্চের আগেই ঝাপিয়ে পড়ার অযুহাত পেত। বহির্বিশ্ব তারা প্রমান করতে পারতো যে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পাকীস্তানের অখন্ডতা রক্ষা করার জন্য। ২৫ শে মার্চের পর সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষনা করার যে যুক্তি ছিল তা কিন্তু এর আগে ছিল না।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯
সুমন এম রহমান বলেছেন: কে ২৫ মার্চে স্বাধীনতা ঘোষনা করল? কি বলেন এসব? যুদ্ধ পাকিস্তানিরাই শুরু করেছিল। আর আমরা সেটা প্রতিহত করেছি মাত্র। কিন্তু দাবিটা আমাদেরই ছিল। আর আমাদেরই শুরু করার কথা ছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অখন্ড পাকিস্তানে বিশ্বাসী। বিচ্ছিন্নতাবাদী বলেও লাভ হত না। কারন তাদের সৈন্য ও ছিল না। আর আমাদের স্বাধীনতার দাবি বহির্বিশ্বের কাছে অজানা ছিল না ।
৭ ই মার্চে স্বাধীনতা ঘোষনা দিলে যেটা হত তা হল
হা হা হা , আবার তারাই বলে যে বঙ্গবন্ধু নাকি সেদিন স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন।
১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৩৭
অনিক আহসান বলেছেন: বঙ্গবন্ধুরে নিয়ে কিছু পোস্টানের আগে দয়া করে একটু ভালো করে জেনে পোস্টান ...একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে তার জতটুক করার তিনি করে গেছেন... পাকিস্তানিদের ৪টা শর্ত না দিলে দুনিয়া বাঙ্গালীদের বিচ্ছিন্নতাবাদি বলতো..
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫০
সুমন এম রহমান বলেছেন: সবজান্তা শমশের চলে এসেছে।...................
১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৭
শিপু ভাই বলেছেন:
কেন আমরা পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন রাস্ট্র চেয়েছি???----- কারন ততকালীন সময়ে রাস্ট্রের শাসনভার ছিল পশ্চিম পাকিস্তানিদের হাতে। তারা জাতিগত বিদ্বেষের কারনে পশ্চিম পাকিস্তানি তথা বাঙ্গালীদের ন্যায্য নাগরক অধিকার দেয় নি। নানা ভাবে এটা প্রমানিত হয়েছে তাদের বাঙ্গালীদের প্রতি বিদ্বেশ। ৭০ এর নির্বাচনে সংখ্যাগরিস্টতা পেল বাঙ্গালীদের দ্বারা গঠিত একটি দল। তখন যদি সুষ্ঠু ভাবে আওয়ামীলীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতো তাহলে বাঙ্গালীরা আর অবহেলিত থাকতো না। বিচ্ছিন্নতার কথাও আসতো না। তাই শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য অপেক্ষা করা হয়েছে।
আপনার ভাষ্যমতে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষনা করেন। একজন মেজর চান্স পাইয়াই চামে নিজেরে "প্রেসিডেন্ট" ঘোষনা দিয়ে বসে। এখান থেকেই তার ক্ষমতার লিপ্সা ও স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৪
সুমন এম রহমান বলেছেন: সেটা তো ছিলই, এভাবে বলা যায়। তবে তখনকার পরিস্থিতিও আমলে নিতে হবে। নেতারা সব পালিয়ে ছিলেন, আর বড় নেতা তো গ্রেফতার হয়ে গেছিলেন।
১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:২৯
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: যুক্তি দিয়ে বলেনতো, আপনি যেভাবে চিন্তা করেছেন সেইভাবে ঐ সময় ৭ কোটি বাঙালি যদি চিন্তা করত তাহলে শেখ মুজিব কিভাবে দেশে এসে প্রেসিডেন্ট বনে গেলেন? আপনার কথা অনুসারে ৭ কোটি বাঙালি ধেই ধেই করে নেচে জিয়াকে কেন প্রেসিডেন্ট বানালো না?
মানলাম স্বাধীনতায় তার কোন অবদান নেই, সেটা আপনি ৪০ বছর পরে এসে বুঝতে পারলেন, তখনকার ৭ কোটি মানুষ কেন বুঝলো না? শেখ সাহেব নির্বাচনে গেলেন, যেখানে ভাসানী নির্বাচন বর্জন করলেন, আপনার মতে তিনি পাকিস্তানের সেবা করতে চেয়েছিলেন, তাহলে উনি কেমনে ১৫৯ টা আসন পাইলেন। সবই আপনি ঠিক বুঝলেন, কিন্তু আমি বুঝলাম না কে ঠিক? আপনি নাকি সেই সময়ের ৭ কোটি জনগন???
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:২৮
সুমন এম রহমান বলেছেন: জিয়ার প্রথম ঘোষনাটা যে ভুল ছিল সেটা তো তখনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। বা তাকে বোঝানো হয়েছিল। এই কারনেই তো পরে তিনি ঘোষনার ভাষা পরিবর্তন করে দেন। সেখানেই তো বিষয়টার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল।
স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধুর কোনো অবদান নেই সেটা চরম পাগলেও বলবে না। সেকথা পোস্টের কোথাও নেইও। শুধু অবদান আলাদা করে বলেছি।
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৯
সুমন এম রহমান বলেছেন: জনগন বঙ্গবন্ধুকে ম্যান্ডেট দিয়েছিল, তাদের অধিকার আদায়ের জন্য। ভাসানী নির্বাচনের বিরোধীতা করে। আর পরে দেখা যায় যে সেই নির্বাচন আসলেই কোনো সুফল বয়ে আনে নি। কি এনেছিল? যুদ্ধই তো করতে হয়েছিল, তাইনা? যাই হোক এগুলোই ঘটনা, তাই লিখলাম। জনগন নির্বাচনে খুব আগ্রহ করেই ভোট দিয়েছে। আমরাও তো হাসিনাকে ভোট দেই আবার খালেদাকে ভোট দেই , পরে পস্তাই। এটা তো হয়ই। নতুন তো কিছু না। তাইনা?
তবে আমাদের স্বাধীনতার সত্যিকারের সংগঠক বঙ্গবন্ধু , সেকথা তো কোথাও অস্বীকার করিনি। আর সেখানে তার আরও যেসব ভূমিকা নেয়া হয়নি সেগুলোই কেবল উল্লেখ করেছি। এমনকি জিয়াও বঙ্গবন্ধুর নাম করে স্বাধীনতার ঘোষনা না দিলে জনগন শুনত কিনা সন্দেহ। তিনি সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা ছিলেন তখনকার সময়ে। এই কথাগুলো তো কেউ অস্বীকার করবে না। অস্বীকার করারও কিছু নাই। কিন্তু যাকে জনগন দায়ীত্ব দেয় তার ই তো সকল কর্তব্য থাকে, তাইনা? তখন বঙ্গবন্ধুর কথায় অলরেডি পূর্ব পাকিস্তান চলত। দেখেছেন ৭ মার্চের ভাষনে , কে করে বেতন পাবে তাও তার কথা অনুয়ায়ী চলত। কিন্তু সেই অনুযায়ী তার ভূমিকা আরও শক্ত হলেও হতে পারত। কিন্তু তিনি তো আসলে পাকিস্তানের বিভক্তি চাননি। চাওয়ার কথাও না। কারন তিনিই তখন মূলত পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। হয়ত ক্ষমতা তাকে দেয়া হয়নি। কোনো দেশের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী তো আর সেই দেশটাকে ভাগ করতে চাইবে না , সেটাই স্বাভাবিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫২
যে আছো অন্তরে বলেছেন: লেখার তথ্যসূত্র প্লিজ?