নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
ইতিহাসে বঙ্গদেশ, বাংলায় মধ্যযুগের শুরু (পর্ব ০৫)
বাংলায় মুসলমান শাসন প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন বখতিয়ার খলজি। এ পর্বের প্রথম পর্যায় ছিল ১২০৪ থেকে ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এ যুগের শাসনকর্তাদের পুরোপুরি স্বাধীন বলা যাবে না।
এঁদের কেউ ছিলেন বখতিয়ারের সহযোদ্ধা খলজী মালিক। আবার কেউ কেউ তুর্কী বংশের শাসক। শাসকদের সকলেই দিলি- সুলতানদের অধীনে বাংলারর শাসনকর্তা হয়ে এসেছিলেন। পরবর্তীকালে অনেক শাসনকর্তাই দিলি- বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীন হতে চেয়েছেন।তবে এদের বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। দিল্লী আক্রমণের মুখে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। মুসলিম শাসনেরর এযুগ ছিল বিদ্রোহ-বিশৃঙ্খলায় পূর্ণ। তাই ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানী বাংলাদেশের নাম দিয়েছিলেন ‘বুলগাকপুর’। এর অর্থ ‘বিদ্রোহের নগরী’।
বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর তাঁর সহযোদ্ধাদের মধ্যে শুরু হয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। তাঁর সহযোদ্ধা তিনজন খলজী মালিকের নাম জানা যায়। এরা হচ্ছেন- মুহম্মদ শিরণ খলজি, আলী মর্দান খলজী এবং হুসামউদ্দীন ইওয়াজ খলজি। অনেকেরই ধারণা ছিল আলী মর্দান খলজি বখতিয়ার খলজির হত্যাকারী। এ কারণে খলজি আমীর ও সৈন্যরা তাঁদের নেতা নির্বাচিত করেন মুহম্মদ শিরন খলজিকে। তিনি কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। আলী মদার্ন খলজিকে বন্দী করা হয়। পরে আলী মদার্ন পালিয়ে যান এবং দিলি- সুলতান কুবুতউদ্দিনের সহযোগিতা লাভ করেন। শিরন খলজিরর শাসনকাল মাত্র একবছর স্থায়ী ছিল। এরপর ১২০৮ খ্রিস্টাব্দে দেবকোটের শাসনকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন হুসামউদ্দিন ইওয়াজ খলজি। দিলি- সহযোগিতায় দুই বছর পর ফিরে আসেন আলী মর্দান খলজি। ইওয়াজ খলজির স্বেচ্ছায় তাঁর হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। আলী মর্দান খলজি ১২১০ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং নিজের নাম নেন আলাউদ্দিন আলী মদার্ন খলজী। খুব কঠোর শাসক ছিলেন তিনি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ক্রমে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। খলজি মালিকরা এক জোট হয়ে বিদ্রোহ করেন। এদের হাতে নিহত হন আলী মদার্ন খলজি। ইওয়াজ খলজি দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসেন। তিনি এ পর্যায়ে গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজি নাম নিয়ে স্বাধীন সুলতান হিসাবে বাংলা শাসন করেন। ১২১২ থেকে ১২২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছর তিনি বাংলার সুলতান ছিলেন।
সুলতান গিয়াসউদ্দীন ইওজ খলজি
সুলতান গিয়াসউদ্দীন ইওজ খলজি নিঃসন্দেহে খলজি মালিকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন। বখতিয়ার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলার মুসলমান রাজ্যকে শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করতে তিনি সচেষ্ট হয়েছিলেন। শাসনকার্যের সুবিধার জন্য তিনি রাজধানী দেবকোট হতে গৌড় বা লখনৌতিতে স্থানান্তরিত করেন। রাজধানীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার জন্য বসনকোট নাম স্থানে একটি দুর্গ নির্মাণ করা হয়। লখনৌতি নদী তীরে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা ছিল। তাছাড়া, ইওজ খলজি বুঝতে পেরেছিলেন যে শক্তিশালী নৌ-বাহিনী ছাড়া শুধু অশ্বারোহী বাহিনীর পক্ষে নদীমাতৃক বাংলায় রাজ্য সমপ্রসারণ সম্ভব হবে না। বাংলার শাসন বজায় রাখতে হলেও নৌ-বাহিনীর প্রয়োজন ছিল। তাই বলা যায় যে, বাংলায় মুসলমান শাসকদের মধ্যে ইওজ খলজিই নৌ-বাহিনীর গোড়াপত্তন করেছিলেন। রাজধানীর নিরাপত্তার জন্য এর তিন পার্শ্বে গভীর ও প্রশস্ত পরিখা নির্মাণ করা হয়। বার্ষিক বন্যার হাত হতে লখনৌতি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে রক্ষা করার জন্য তিনি বহু খাল খনন ও সেতু নির্মাণ করেন। তিনি রাস্তা নির্মাণ করে সৈন্য ও পণ্য চলাচলের সুবন্দোস্ত করেন। এ রাজপথ নির্মাণের ফলে রাজ্য শাসন ও ব্যবসা - বাণিজ্যেরই শুধু সুবিধা হয়নি, ইহা দেশের লোকের নিকট আশীর্বাদস্বরূপও ছিল। কারণ, ইহা বার্ষিক বন্যার কবল হতে তাদের গৃহ ও শস্যক্ষেত্র রক্ষা করত।
উপরোক্ত কার্যাবলী গিয়াসউদ্দীন ইওজ খলজিকে একজন সুশাসক হিসেবে প্রতিপন্ন করে। তিনি রাজ্য বিস্তারের দিকেও মনোনিবেশ করেন। পার্শ্ববর্তী হিন্দু রাজারা, যেমন⎯ কামরূপ, উড়িষ্যা, বঙ্গ (দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা) এবং ত্রিহুতের রাজারা তাঁর নিকট কর পাঠাতে বাধ্য হন। লখনৌতির দক্ষিণ সীমানে-র লাখনোর শহর শত্রুর কবলে পড়লেও পরে তিনি তা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হন। আব্বাসীয় খলিফা আল-নাসিরের নিকট হতে সুলতান গিয়াসউদ্দীন ইওজ খলজি স্বীকৃতিপত্র লাভ করেছিলেন। তখন কোনো মুসলিম শাসক খলিফার স্বীকৃতিপত্র বা ফরমান না পেলে ইসলামে তাকে বৈধ শাসক বলে স্বীকার করা হতো না।
দিল্লীর সুলতান ইলতুৎমিশ গিয়াসউদ্দীন ইওজ খলজির অধীনে লখনৌতির মুসলমান রাজ্যের প্রতিপত্তি বিস্তার কখনও ভালো চোখে দেখেননি। কিন্তু রাজত্বের প্রারম্ভে আশু বিপদ ও সমস্যার সমাধান করার পূর্বে বাংলার দিকে নজর দেয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। ১২২৪ খ্রিস্টাব্দে বিপদসমূহ দূর হলে সুলতান ইলতুৎমিশ বাংলার দিকে দৃষ্টি দেন। ১২২৫ খ্রিস্টাব্দে মুঙ্গে গিরিপর্বতের নিকট উভয় সৈন্যদল মুখোমুখি হলে ইওজ খলজি সন্ধির প্রস্তাব করেন। উভয়পক্ষে এক সন্ধি হয়। ইলতুৎমিশ খুশি হয়ে মালিক আলাউদ্দীন জানিকে বিহারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে এবং ইওজ খলজিকে বঙ্গের শাসক পদে বহাল রেখে দিল্লীতে ফিরে যান। কিন্তু সুলতান দিল্লীতে প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইওজ খলজি পুনরায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বিহার আক্রমণ করে সেখানকার শাসনকর্তা আলাউদ্দীন জানীকে বিতাড়ন করা হয়।
ইওজ খলজি লখনৌতি ফিরে এসেই বুঝতে পেরেছিলেন যে ইলতুৎমিশ আবার বাংলা আক্রমণ করবেন। তিনি প্রায় এক বছরকাল প্রস্তুতি নিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করেন এবং পাল্টা আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় দিল্লীর রাজকীয় বাহিনী অযোধ্যার বিদ্রোহ দমনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ইওজ খলজি মনে করলেন এ অবস্থায় দিল্লী বাহিনীরী পক্ষে বাংলা আক্রমণ করা সম্ভব হবে না। তাই তিনি এ অবসরে পূর্ববঙ্গ আক্রমণ করার মনস্তাব করেন। রাজধানী লক্ষনৌতি একপ্রকার অরক্ষিত অবস্থায় ছিল। এদিকে সুলতান ইলতুৎমিশ পুত্র নাসিরউদ্দীন মাহমুদকে লখনৌতি আক্রমণের নির্দেশ দেন। ইওজ খলজির অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে নাসিরউদ্দীন মাহমুদ বঙ্গের রাজধানী লখনৌতি আক্রমণ করেন। এ সংবাদ শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইওজ খলজি অতি অল্প সংখ্যক সৈন্য সঙ্গে নিয়ে রাজধানীতে তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন। শত্রুবাহিনী পূর্বেই তাঁর বসনকোট দুর্গ অধিকার করেছিল। যুদ্ধে ইওজ খলজি পরাজিত ও বন্দী হন। পরে তাঁকে হত্যা করা হয়। ইওজ খলজির পরাজয় ও পতনের ফলে বঙ্গদেশ পুরোপুরিভাবে দিল্লীর সুলতানের অধিকারে আসে। নাসিরউদ্দীন মাহমুদ বঙ্গদের শাসনকর্তা নিযুক্ত হলেন।
ইওজ খলজি শিল্প ও সাহিত্যের একজন পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় গৌড়ের জুমা মসজিদ এবং আরও কয়েকটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। তাঁর আমলে মধ্য এশিয়া হতে বহু মুসলিম সুফী ও সৈয়দ তাঁর দরবারে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন। এ সমস- সুফী ও সুধীগণ বঙ্গদেশে ইসলাম প্রচারে যথেষ্ট সহায়তা করেন। তাঁদের আগমন ও ইওজ খলজির পৃষ্ঠপোষকতায় লখনৌতি মুসলিম শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রে পরিণত হয়।
ইতিহাসে বঙ্গদেশ (পর্ব ০১)
ইতিহাসে বঙ্গদেশ, মৌর্য্য সাম্রাজ্য (পর্ব ০২)
ইতিহাসে বঙ্গদেশ, পাল সাম্রাজ্য (পর্ব ০৩)
ইতিহাসে বঙ্গদেশ, সেন সাম্রাজ্য (পর্ব ০৪)
ইতিহাসে বঙ্গদেশ, বাংলায় মধ্যযুগের শুরু (পর্ব ০৫)
চলবে.....
(তথ্য সূত্রঃ Click This Link)
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৪
এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনাদের অনুপ্রেরনায় চালিয়ে যাচ্ছি।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩০
শাহিন-৯৯ বলেছেন: ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারলে তবেই ইতিহাসরে মূল্যায়ণ হয়।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৯
এম আর তালুকদার বলেছেন: ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হলে ইতিহাস জানতে হবে, তাই ইতিহাস জানতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভেরি গুড।
খুব সুন্দর।
ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
এম আর তালুকদার বলেছেন: ইতিহাস আমারো খুব প্রিয়, বাংলার ইতিহাস জানতে আমার বেশি ভাল লাগে তাই পুরনো কোন স্থাপনা দেখলে ঢুকে পরি স্থাপনার গায়ে হাত বুলিয়ে দেখি। বর্তমান প্রজন্ম ইতিহাসকে পাশ কাটিয়ে চলতে চায় দেখে খারাপ লাগে। আপনার ভাল লাগে জেনে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫২
শামচুল হক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৩
এম আর তালুকদার বলেছেন: পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ইলতুৎমিশের আগে কেও বাংলা আক্রমণ করে নাই?
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২১
এম আর তালুকদার বলেছেন: ঐ সময়ে অন্য কেউ আক্রমণ করেছেন বলে জানা যায়নি, তবে সব পর্বগুলি পড়লে আপনার উত্তর মিলতে পারে। ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৪
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: ইলতুৎমিশ বাংলার সুলতানকে হুমকি হিসেবে দেখছিল কেন এই ব্যাপারে কিছু জানেন?
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪
এম আর তালুকদার বলেছেন: ইলতুৎমিশ বাংলার সুলতানকে হুমকি হিসেবে দেখছিল কেন এর উত্তর পোষ্টের ভিতরে দেয়া আছে।
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩১
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: পড়েছি আগেই। বলতে চাচ্ছিলাম তার তো অনেক বড় সাম্রাজ্য তাও বাংলার সুলতানকে হুমকি হিসেবে দেখছিল কেন সেটার কি আরোও কোন কারণ ছিল কিনা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০
এম আর তালুকদার বলেছেন: রাজনীতিতে কোন শক্তি মাথাচারা দিয়ে উঠলে সেটা উদ্ববেগের বিষয়। দেহে ক্ষুদ্র ফোড়া যেমন, অনেক বড় সাম্রাজ্যে ছোট হুমকিও তেমনি।
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারলে তবেই মূল্যায়ণ হয়।
দখলদার খলজিদের ষড়যন্ত্র, ভাই ভাইদের কচুকাটা?
এইসব ইতিহাস থেকে কোন শিক্ষাটা নিব?
মোগল বাদশাহি ইতিহাসও ভাই ভাইদের নৃশংসভাবে হত্যা বা চীরবন্দি করে রাখা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
এম আর তালুকদার বলেছেন: ইতিহাসে যেমন নৃশংসতা আছে তেমনি ইতিহাসের খারাপ দিকগুলো পরিহার করে ভাল দিকের সন্ধান করে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ভাল মন্দ মিলিয়ে ইতিহাস। ইতিহাসে শুধু ভাল বা মন্দ থাকেনা উভয় মিলেই সৃষ্টি।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
ছায়াহরিণ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৪
এম আর তালুকদার বলেছেন: ইতিহাস আমি লেখিনি বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে উপস্থাপন করেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল পোষ্ট, অনেকের ইতিহাস জানা হলো। ধন্যবাদ