নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন (পর্ব - ০১)
আমার এই লেখাটি পড়ে কেউ আমাকে বলবে নাস্তিক, কেউ বলবে মহা পন্ডিৎ, কেউ বলবে গন্ডমূর্খ এছাড়াও নানা প্রকার মন্তব্য আসতে পারে সে জন্য মন্তব্যের ঘর উন্মক্ত আছে।
এবার শুরু করতে যাচ্ছি আলোচনা তবে প্রথমে আলোচনার বিষয়বস্তু উল্লেখ করতেছিঃ
* ধর্ম ব্যবসাসী
* মূর্খদের মুখে জ্ঞানীদের সমালোচনা
* সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিষর্যন
আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু
* ধর্ম ব্যবসাসী (০২ পর্ব)
যেহেতু আমাদের দেশে মুসলিম সংখ্যগরিষ্ট (আমিও মুসলিম) সেহেতু সংখ্যলঘুদের নিয়ে টানাটানি না করে সংখ্যগরিষ্টদের নিয়েই কিছু লিখতেছি তবে দয়া করে আমার কথাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ে আমার ভুল হলে শুধরে দিবেন। আমাদের দেশ যেহেতু মুসলিম প্রধান সেহেতু অসংখ্য মসজিদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এর ভিতরে কিছু অস্বাভাবিক দিক রয়েছে আজ তাই নিয়ে কথা বলবো।
ঘ। মাজার ব্যবসা
ঙ। পীর ব্যবসা
ঘ। মাজার ব্যবসা
১। বলা হয় অলি আউলিয়াদের দেশ বাংলাদেশ। আমি তাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা ভক্তি করি কিন্তু তাদের মাজার বানিয়ে সেখানে টাকা উঠানের কি দরকার। যদি টাকা উঠানের প্রয়োজন পড়ে তাহলে যার মাধ্যমে ইসলাম প্রচার হল সেই মহামানব নবীকরিম (সঃ) বেশি প্রাপ্য।
২। ইসলামের মতে মৃত্যু পর কেউ কারো উপকারে আসতে পারেনা তাহলে মাজারগুলোতে মানুষ মাথা ঠুকে কি পাচ্ছে ! তারা আল্লাহর কাছে কেন মাথা ঠোকে না ?
৩। মাজারের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে সারাদেশে এমন কোন শহর পাওয়া যাবেনা যেখানে মাজারের দান বাক্স নেই। এই বাক্সে এবং চাঁদা তোলার অনুমতি তাদের কে দিল ? মাজারের খাদেমদের এই টাকা তোলার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তারা বলে মাজারে আসা ভক্তদের খাওয়ানের জন্য টাকা তোলা হয় কিন্তু প্রশ্ন হল খাওয়ানের দায়িত্ব তাদের কে দিল ?
৪। ইসলামে বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে গান নিষেধ করেছেন সেখানে মাজারে উচ্চশব্দে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ওরশ মাহফিলের নামে এগুলো কি হচ্ছে ?
৫। ইসলামে নারীদের পর্দার বিধান আছে এবং লঘ্নন হলে শাস্তির কথা বলা হয়েছে কিন্তু মাজারের ওরস মাহফিলের নামে যে পালাগান হয় তাতে নারীদের হেলেদুলে গান গাইতে দেখা যায় এটা কি হচ্ছে ? এবার আপনারা যা বলার বলুন।
ঙ। পীর ব্যবসা
ইসলাম ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তির সাথে সম্পর্ক রাখতে বলেছে, বর্তমানে আমরা ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তি খোজার আগে পীর খুজি কিন্তু এই পীরেরা কতটা ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তি তা খুজিনা কেন ?
এইসব পীরেদের মুরিদদের সামনে এই ধরনের কথা বললে ঈমান থাকবেনা বলে হুমকিও দেয়। কেউ তো সরাসরি নাস্তিক বলে ফেলে।
বর্তমানে পীরের ছেলে পীর বা পীরের কাছের মুরিদ পীর হয়ে গদিতে বসেন। আসলে ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তি পীর নাকি পীরের গদিটাই পীর?
আমাদের অঞ্চলে একটা প্রবাদ আছে সব পন্ডিত এক কাঁথার নিচে থাকতে পারেনা।
বর্তমান পীরদের অবস্থা দেখে এই প্রবাদটির ব্যাতিক্রম খুঁজে পাইনা। সবাই নিজেকে ইসলামিক জ্ঞানে পন্ডিত বলে দ্বাবী করেন কিন্তু কারো কথার সাথে কারো কথা হুবহু মিলেনা কেন ? এমনকি টুপির ক্ষেত্রেও অমিল !
পীরদের যাতাকলে আমরা সাধারন মুসলিমরা আজ পিষ্ট, হে আল্লাহ আমাদের বাঁচাও।
এই যন্ত্রনায় তিক্ত হয়েছি তাই তো এদের নিয়ে আমার লেখা কবিতা
"ঐক্যের আহব্বান"
এক বিশ্বাস, এক ধর্ম,
ভিন্ন কেন তোদের মত !
একতার অভাবে ছিন্নভিন্ন
হারিয়েছ শান্তির পথ।
হামাস মরছে ফিলিস্তিনে
রোহিঙ্গা মরে আরাকানে
মুসলিম দেশে আগুন জ্বলে
হত্যার প্রতিযোগিতা চলে।
তোদের দোষেই নিঃস্ব তোরা
ডুবছে তোদের তরী !
ঝড়ের মাঝেই দাড় টেনে যা
দিতে হবে সাগর পারি।
ওহে মুসলিম এক হও
ভুলে যাও সকল দন্দ,
হাতে হাত রেখে ঘুরে দাড়াও
হঠাও সকল মন্দ।
আর কতকাল দেখবি তোরা
নিজের ভাইয়ের রক্ত !
অত্যাচারীর দোষ দেবো কী!
তোরাই তাদের ভক্ত।
এমনি ভাবে থাকলে পরে
পুরে হবি ছারখার,
অত্যাচারের প্রতিবাদ করে
ঐক্য, শান্তির বিশ্ব গড়।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভুল বানানের জন্য দুঃখিত, আপনার মন্তব্যের পরে কয়েকটি বানান শুধরে দিয়েছি।
এই শিরোনামে আলোচনার বিষয় তিনটি, দুই পর্বে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে বাকী পর্বগুলো পড়ার আমন্ত্রন রইলো।
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
ক্স বলেছেন: ইসলামে গান বাজনা নিষেধ - এটা কোন হাদীসে পেয়েছেন? কিছু মনে করবেন না, জানিনা তাই জিজ্ঞেস করলাম।
মাজার বা পীরের আস্তানা এক ধরণের ব্যবসা। গরীব দুঃখীদের অসহায় অবস্থাকে পুঁজি করে এই ব্যবসার পত্তন। এর সাথে ইসলামের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই।
কোন পীরের যাতাকলে আপনি পিষ্ট হইলেন। এক পীর বরিশালে, একজন ফরিদপুরে, একজন পিরোজপুরে, আর একজন রাজারবাগে - কেউ তো আপনাকে বিরক্ত করছেনা।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩১
এম আর তালুকদার বলেছেন: বাদ্য যন্ত্রের সাথে গান বাজনা নিষেধ যার ইসলামিক দলিল আছে। আপনি জানতে চাইলে ভাল একজন মুফতির কাছে যান।
আমি কোন পীরের যাতাকলে পিষ্ট হইনি, আপনি কি কোন পীরের মুরিদ ?
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০
আবরার নাঈম বলেছেন: ইসলামে গান বাজনা জায়েজ সেটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? ইসলামের মূল উৎস কয়টি? সবকিছু কুরআন আর হাদীসে স্পষ্ট করে বলা থাকলে ইজমা আর কিয়াসের প্রয়োজন ছিল না বা তার পথ খোলা থাকত না। হক পীর এখনো আছেন এবং তারা মাজার নিয়ে ব্যবস্যা করে না। তবে মানুষের কাছ থেকে হাদিয়া নেয় এবং মানুষ সেটা খুশি হয়েই দেয়। তারা কাউকে হাদিয়া দিতেও বাধ্য করে না। আমি কোনো পীরের যাতাকলে পিষ্ট হইনাই। এই নিতান্ত সত্যটা উপলব্ধি করতে গেলে পীরের যাতাকলে পিষ্ট হওয়া লাগে না। চাক্ষুস্মান অন্ধ না হইলেই দেখা সম্ভব।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
এম আর তালুকদার বলেছেন: এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
গুলফাম বলেছেন: ইসলামে গান-বাজনা ও বাদ্য যন্ত্র নিষিদ্ধ। এ ব্যপারে বিশুদ্ধ বহু প্রমাণাদি আছে। নিম্নে মাসিক আল-কাউসার থেকে-
কুরআনের ভাষ্য :
আল্লাহ তাআলা সূরা লুকমানে আখেরাত-প্রত্যাশী মুমিনদের প্রশংসা করার পর দুনিয়া-প্রত্যাশীদের ব্যাপারে বলছেন,
আর একশ্রেণীর লোক আছে, যারা অজ্ঞতাবশত খেল-তামাশার বস্তু ক্রয় করে বান্দাকে আল্লাহর পথ থেকে গাফেল করার জন্য।-সূরা লুকমান : ৬ উক্ত আয়াতের শানে নুযূলে বলা হয়েছে যে, নযর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদী খরিদ করে এনে তাকে গান-বাজনায় নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন শ্রবণের ইচ্ছা করলে তাকে গান শোনানোর জন্য সে গায়িকাকে আদেশ করত এবং বলত মুহাম্মদ তোমাদেরকে কুরআন শুনিয়ে নামায, রোযা এবং ধর্মের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কথা বলে। এতে শুধু কষ্টই কষ্ট। তার চেয়ে বরং গান শোন এবং জীবনকে উপভোগ কর।-মাআরিফুল কুরআন ৭/৪
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা উক্ত আয়াত নাযিল করেন।
সাহাবী ও তাবেয়ীদের ব্যাখ্যা:
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে উক্ত আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রাহ. বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়।-তাফসীরে ইবনে কাসীর ৩/৪৪১
কুরআন মজীদের অন্য আয়াতে আছে, ইবলিস-শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বললেন,
তোর আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর।-সূরা ইসরা : ৬৪
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহ. বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেসব বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৯
হাদীসের ভাষ্য
গান-গায়িকা এবং এর ব্যবসা ও চর্চাকে হারাম আখ্যায়িত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
তোমরা গায়িকা (দাসী) ক্রয়-বিক্রয় কর না এবং তাদেরকে গান শিক্ষা দিও না। আর এসবের ব্যবসায় কোনো কল্যাণ নেই। জেনে রেখ, এর প্রাপ্ত মূল্য হারাম।-জামে তিরমিযী হাদীস : ১২৮২; ইবনে মাজাহ হাদীস : ২১৬৮
বর্তমানে গান ও বাদ্যযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে যাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এর সকল উপার্জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন।-সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ৪০২০; সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৬৭৫৮
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, পানি যেমন (ভূমিতে) তৃণলতা উৎপন্ন করে তেমনি গান মানুষের অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৩; তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫২
উপরোক্ত বাণীর সত্যতা এখন দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার। গান-বাজনার ব্যাপক বিস্তারের ফলে মানুষের অন্তরে এই পরিমাণ নিফাক সৃষ্টি হয়েছে যে, সাহাবীদের ইসলামকে এ যুগে অচল মনে করা হচ্ছে এবং গান-বাদ্য, নারী-পুরুষের মেলামেশা ইত্যাদিকে হালাল মনে করা হচ্ছে। সহীহ বুখারীতে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
আমার উম্মতের মধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করবে।-সহীহ বুখারী হাদীস : ৫৫৯০ মুসনাদে আহমদের হাদীসে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
আল্লাহ তাআলা আমাকে মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছেন এবং বাদ্যযন্ত্র, ক্রুশ ও জাহেলি প্রথা বিলোপসাধনের নির্দেশ দিয়েছেন
মাসিক আল কাউসার-ডিসেম্বর ২০০৯
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
এম আর তালুকদার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
প্রবাসী দেশী বলেছেন: আবরার নাঈম বলেছেন: যেসব লোকজন তাদের মাজারে যায় বা গিয়ে চাঁদা দেয় অথবা সেজদা করে তারা অবশ্যই অবশ্যই গণ্ড মূর্খ যাদের ইসলাম সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো মৌলিক জ্ঞানও নেই। চরম সহমত
আমার মনে হয় এর পর যারাই মন্তব্য করবেন মোটা মুটি আমি সবার সাথেই এক মত। ভদ্র শিক্ষিত নুন্নতম জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ সামাজিক ভাবে যারা সচেতন তারা খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান কোনো এক অদ্ভুদ কারনে।
ইসলামের মতে মৃত্যু পর কেউ কারো উপকারে আসতে পারেনা : আমার মনে হয় এই বিষয় সত্য নয়। লেখার আগে আরেকটু তথ্য যাচাই করুন।
লেখার শুরু খুব ভালো। বিষয় নিঃসন্দেহে সময়উপযোগী। আরেকটু কষ্ট করলে আমার মনে হয় আরো ভালো কিছু হবে। ভালো থাকবেন সব সময়.
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: লেখার টপিক ভালো। উপরের মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে বুঝার চেষ্টা করুন এবং যথাসাধ্য উত্তর দিন। দেখবেন লেখার জোশ আরো বেড়ে যাবে।
ধন্যবাদ।।
২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৮
এম আর তালুকদার বলেছেন: সু-পরামর্শের সহিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:১৪
তার ছিড়া আমি বলেছেন: মাসিক আল কাউছারের বরাতে ব্লগার গুলফাম ঠিক বলেছেন। ব্লগার আবরার নাঈমও সঠিক বলেছেন। পোষ্টের সাথে সহমত পোষন পূর্বক আমি বলতে চাই, এ ক্ষেত্রে সরকার দায়ী। সরকার মাজার ব্যবসা ও পীর ব্যাবসাকে ধর্মের নামে জায়েজ করে রেখেছে। সরকারের উচিৎ ইসলামের সঠিক বিষয়গুলো জানা ও সেই ভাবে অনুমোদন দেয়া। মাজার সিস্টেমকে ইসলাম কোন ভাবেই অনুমোদন দেয় না।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
এম আর তালুকদার বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২০
ক্স বলেছেন: গান বাজনা কোন ইবাদত নয়। যা ইবাদত নয় এবং যা মানুষের কোন কল্যাণে আসেনা, অর্থাৎ যা বেহুদা তার ব্যাপারে রাসুল (সঃ) নিরুৎসাহিত করেছেন, নিষিদ্ধ করেননি। উপরের কোন হাদিসেই গান-বাজনাকে নিষিদ্ধ করার মত শক্ত কোন এভিডেন্স পাওয়া যায়নি। কোন ধরণের গান বাজনা মানুষকে ইবাদত থেকে গাফিল করে দেয়, সেটা আমরা বিবেক খাটিয়েই টের পাই। কিন্তু অন্তরে শান্তি আনয়ন করে যেমন হাল্কা মিউজিকের সাথে রবীন্দ্র সঙ্গীত অথবা এস্ট্রাল প্রজেকশন টাইপ মিউজিক - এগুলো ইবাদতে কোন বিঘ্ন তো ঘটায়ই না, বরং মনোযোগ বাড়িয়ে ইবাদতকে আরও উপভোগ্য করে তোলে। আমি যখন নামাজ পড়ি, তখন সমস্ত মনোযোগ নামাজেই দেয় - অন্য কোথাও না। তাহলে রবীন্দ্র সঙ্গীত তো আমার ইবাদতে কোন বিঘ্ন ঘটাচ্ছে না। পূজা পর্বের রবীন্দ্র সঙ্গীতগুলো যখন শুনি, তখন তো মননে আত্মায় স্রষ্টাকে আরও বেশি করে অনুভব করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নিজেকে আল্লাহ্র কাছে আরও নিবেদন করে দিতে ইচ্ছে হয়। স্রষ্টার ইচ্ছার কাছে নিজে কত ক্ষুদ্র - তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করার সুযোগ ঘটে।
এর বাইরেও স্বাভাবিক বিনোদনের চাহিদা মেটানোর জন্য পুরনো দিনের গান, পল্লী গীতি বা ব্যান্ড শোনা হয়। তবে এটা ঠিক মমতাজ বা এধরণের রূচিহীন শিল্পীর গান না শোনাই ভাল। এদের গান শুনলে দুনিয়াটাকে খেল তামাশা ছাড়া আর কিছু মনে হয়না।
উপরের প্রত্যেকটা হাদীস ধরে ধরে গান-বাজনা যে হারাম নয়, তা প্রমাণ করার সুযোগ আছে। কিন্তু মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাওয়ায় সেদিকে আর গেলাম না।
৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
এম আর তালুকদার বলেছেন: আজকাল হাদিসের ব্যাখ্যা নিতে আর মুফতির প্রয়োজন হয়না ! আপনি মনে হয় কোন মুফতি নয় তাই আপনার ব্যাখ্যা গ্রহন করতে পারলাম না। কিছু কাঠমোল্লা ও আমপাবলিক ফতোয়াবাজি করে হাদিসের বারোটা বাজায় তাই হাদিসের প্রকৃত ব্যাখ্যার জন্য জানেওয়ালা মুফতির সরনাপন্ন হন।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
ক্স বলেছেন: আমার রিলেটিভের মধ্যেই মুফতি আছে। তার জবাব হচ্ছে, "তুমি তো মুজতাহিদ না, তাই ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা তোমার নাই। মুজতাহিদরা যা বলে, বিনা তর্কে মেনে নাও - আল্লাহ হেদায়াত দিবে"
আশ্চর্য কথা! নবী রাসুলগণ তো মনে প্রশ্ন নিয়েই প্রচলিত ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, তাই আল্লাহ তাদেরকে সত্যের সন্ধান দিয়েছিলেন। বিনা যুক্তিতে সব মেনে নিবে তো যারা নিরক্ষর, মূর্খ - তারা। কুরআন যারা পড়বে, তারা তো বুঝেই পড়বে, নাকি?
রিলেটিভের বাইরে একজনের কাছে গেলাম, নামে মুফতি, একটা বিরাট মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মানে হাদিসের বিশেষজ্ঞ। উনি এমন সব ফাউল টক শুরু করলেন যে উনার কথা শোনার পর মনে হল কিয়ামত পর্যন্ত তর্ক করলেও এর জবাব পাওয়া যাবেনা। উনি যা জানেন, তার মধ্যেই ঘুরাফিরা করেন, কারো কথা শোনার ধৈর্য্য উনার নেই।
যাই হোক, কেউ আমার প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলেও আল্লাহ আমাকে বিবেক দিয়েছেন, ভালো মন্দ বোঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। আমাকে গণিত শিখিয়েছেন, ভাব-সম্প্রসারণ, সারাংশ শিখিয়েছেন, যুক্তি-তর্ক শিখিয়েছেন। কোরআনের প্রতিটি আয়াত অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ পড়তে শিখিয়েছেন। বিবেক কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। উপরে আমি যা লিখেছি, তা আমার বিবেক বিদ্যাবুদ্ধি ও অর্জিত জ্ঞানের সতঃস্ফুর্ত প্রকাশ। আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে আপনি পালটা যুক্তি দিন - এতে আমার অপমান হবেনা বরং আমি শিখব একই ব্যাপার আরেকজন কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। কিন্তু তা না করে আপনি যদি আমাকে অবজ্ঞা করেন, কোণ জবাব না দেন - আমি বুঝব আপনি আমার যুক্তি সম্পূর্ণ মেনে নিয়েছেন।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি আমার খুব ভাল লেগেছে। আপনি মন্তব্যের প্রথমে যা বলেছেন আমি আমার সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন (পর্ব - ০১) এই পোষ্টের ফতোয়া ব্যবসা অংশে লিখেছি। আর আপনার মন্তব্যের ২য় অংশে যা বলেছেন তার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো (দলিল সহ)। যথাযথ উত্তর দেয়ার জন্য সময় কামনা করতেছি। ০১/০৪/২০১৮ তারিখ আমার এক আত্মীয়ের মেজর অপারেশন তাই যথাযথ উত্তর দিতে দেরি হতে পারে, এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৩
এম আর তালুকদার বলেছেন: ইসলামে গান কি হারাম, কেন?
এই পোষ্টটি পড়লে উত্তর পাবেন আশাকরি, আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
কালীদাস বলেছেন: পোস্টটা ভাল লেগেছে এবং টপিকটা গুরুত্বপূর্ণ। ২০ বছর আগের তুলনায় মানুষের সচেতনতা এই দুইটা টপিকে আগের চেয়ে সামাণ্য ভাল হয়েছে বলেই আমার ধারণা। তবে সারেনি। যে কারণে এই দুই কানেক্টেড ইস্যু ভালমতই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
আহমদ ছফার একটা উপন্যাস ছিল একজন আলী কেনানের উত্থান পতন নামে। বইটাতে এই দুই গ্রুপের অনেক বুজরকি চমৎকারভাবে এসেছিল।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬
এম আর তালুকদার বলেছেন: বিষয়বস্তুর উপর আপনার কোন আলোচনা থাকলে দয়াকরে প্রকাশ করুন। আমরা সবাই সকলের মতামত গুরুত্বের সহিত নিয়ে ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
আবরার নাঈম বলেছেন: খুবই লেইম কিছু কথাবার্তা পড়লাম। এগুলো আউট অফ সিলেবাসের টপিক। এই যে যারা মাজার পূজা করে তাদেরকে কে কবে কোথায় সহিহ আকিদা পোষণকারী বা মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে? ওরা তো স্পষ্টতই শিরক করছে দিন দুপুরে। সকল ওলামায়ে কেরাম তাদের বিষয়ে একমত যে তারা প্রকৃত ইসলামী শরীয়াহ মেনে চলছে না। এবং তাদের আকিদা পুরোপুরি ভ্রান্ত। একজন সাধারণ বিবেকবান মানুষও তাদের ভণ্ডামি বোঝার ক্ষমতা রাখেন। এরা মূলত বাংলাদেশের মত মুসলিম অধ্যুষিত একটা দেশে এখনো টিকে আছে রাজনীতির জোরে। এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে এদের সম্পৃক্ততা আছে। এমনকি সেইসব এলাকার পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপরস্থ সদস্যদের সাথেও এরা বিভিন্ন ভাবে চুক্তিবদ্ধ। রমরমা ব্যবসা কি আর এমনি চালাতে পারছে? রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশদের তারা বিরাট অংকের টাকা প্রদান করে। আর এভাবেই উভয়ের যোগসাজশে এগুলো দিনের পর দিন চলছে। চাইলেও কেউ তাদের উচ্ছেদ করতে পারছে না বা পারবে না। তারপরে যেসব লোকজন তাদের মাজারে যায় বা গিয়ে চাঁদা দেয় অথবা সেজদা করে তারা অবশ্যই অবশ্যই গণ্ড মূর্খ এবং সমাজের তৃতীয় শ্রেণীর প্রাণী। যাদের ইসলাম সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো মৌলিক জ্ঞানও নেই। আবার বেশ কিছু বড় লোকও এই ধরণের মাজারে গিয়ে দান করে বা মানত করে। এরা অগাধ হারাম উপার্জন করে। এবং মনে করে মাজারে গিয়ে মানত বা দান করলে সব হালাল হয়ে যাবে। এবং তার আখেরাতও নিশ্চিত হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত পীরের যে কথাটি বললেন, এই পীরদেরও অধিকাংশ ঐ মাজার পূজারিদের অংশ। খোজ নিয়ে দেখেন বাংলাদেশে যতগুলো পীর আছে বা তাদের দরবার শরীফ আছে সেটা কারো না কারো মাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা। সুতরাং, তাদেরকে নিয়েও কিছু বলার নেই। তারপরেও বাংলাদেশে এখনো হক সিলসিলার পীর আছে। এবং তারা একনিষ্ঠভাবে ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। এবং তারা সহিহ আকিদার উপর প্রতিষ্ঠিত। হাতে গোনা কয়েকটা দরবার আছে এমন। আমি নাম বলব না। খুঁজে নেয়ার দ্বায়িত্ব আপনার। আপনার পোস্টের শিরোনাম দেখে ভাবলাম হয়ত সমাজের কোনো অন্যায়, অনাচার নিয়ে গভীরের কোনো আলোচনা হবে। কিন্তু পুরোপুরি হতাশ হলাম। অধিকন্তু আরও হতাশ হলাম ছোট্ট একটা পোস্টে সহজ সহজ একগাদা বানান ভুলের দেখে। যেটা চোখে খুব খারাপ ভাবে বেঁধেছে। যাই হোক, যেকোনো বিষয়ে আরও গভীর আলোচনা চাই। ভালো থাকুন। লিখতে থাকুন।