নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বেদুঈন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়া করি না কাহারে কুর্নিশ। আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনা চিৎকার, বুকের ব্যাথা বুকে চাপিয়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার। এক মুঠো সুখের সন্ধানে ঘুরে বেড়াই অবিরত…

এম আর তালুকদার

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

এম আর তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে গান বাজনা কি হারাম ? কেন !

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৪১



“এক শ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে(আল্লাহর পথ) নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ করে। এদের জন্যে রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি”। (সূরা লুকমান ৩১: ৬ আয়াত)।

আল-ওয়াহিদি (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা), অন্যান্য তাফসীরকারগণের সাথে ব্যাখ্যা করেন যে, এই আয়াতে “অবান্তর কথাবার্তা” বলতে গান সঙ্গীতকে বুঝানো হয়েছে। যেসকল সাহাবাগণ এই ব্যাখ্যা প্রদান করেন তারা হলেন ইবন আব্বাস, ইবন মাসউদ, মুজাহিদ, ইকরিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)।ইবন মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, “আল্লাহর শপথ, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, ‘অবান্তর কথাবার্তা’ হল গান”।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে। এবং কিছু লোক এমন হবে যারা একটি পর্বতের নিকটে অবস্থান করবে এবং সন্ধ্যাবেলায় তাদের মেষপালক তাদের নিকট মেষগুলো নিয়ে আসবে এবং তাদের নিকট কিছু চাইবে, কিন্তু তারা বলবে, ‘আগামীকাল ফেরত এসো’। রাতের বেলায় আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ধ্বংস করে দিবেন এবং তাদের উপর পর্বত ধ্বসিয়ে দিবেন, বাকি লোকদেরকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিবেন এবং শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত তারা এই অবস্থায় থাকবে”। [বুখারী, ভলিউম ৭, বুক ৬৯,সংখ্যা৪৯৪]

এই হাদীসে উল্লেখ হচ্ছে বাদ্যযন্ত্র হারাম, এবং উলামাগণের মধ্যে এই ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। ইবন আল- কাইয়্যিম (রাহিমুল্লাহ) তাঁর বই ইগাছাতুল লাহফান এ বলেন, “যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘বৈধ মনে করবে’, তার মানে তিনি বুঝিয়েছেন এটা অবৈধ, এরপর লোকেরা একে বৈধ বানিয়েছে ”।

• আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘একদল লোকদেরকে তিনি বানর ও শূকরে পরিণত করে দিবেন’ সাহাবাগণ আরজ করলেন, “তারা কি ‘লা~ ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এই সাক্ষ্য প্রদান করে?” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “হ্যাঁ, এবং তারা সিয়াম ও হজ্জও পালন করে”। সাহাবাগণ আরজ করলেন, “তাহলে, তাদের সমস্যা কি ছিল?” তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তারা বাদ্যযন্ত্র, ঢোল ও নারী সঙ্গীতশিল্পী ব্যবহার করবে। (একদিন) তারা রাতভর মদপান, হাসি তামাশা করে নিদ্রা যাবে, সকালে(আল্লাহর ইচ্ছায়) তারা বানর ও শূকরে পরিণত হবে”। [ইগাছাতুল লাহফান]

আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের কাবাঘরের চারপাশের ইবাদতের কথা সমালোচনা করে বলেন, “(এ ঘরের পাশে) তাদের (জাহেলী যুগের) নামায তো কিছু শিষ দেয়া ও তালি বাজানো ছাড়া কিছুই ছিল না ”[সূরা আল আনফাল ৮-৩৫] । ইবন আব্বাস, ইবন উমর, আতিয়্যাহ, মুজাহিদ, আদ-দাহাক, আল হাসান এবং ক্বাতাদাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘মু’কান’ অর্থ শিষ বাজানো, ‘তাসদিয়াহ’ অর্থ তালি বাজানো।

কুরআন মজীদের অন্য আয়াতে আছে, ইবলিস- শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বললেন, “তোর আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর”।- সূরা ইসরা : ৬৪
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে।

আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহ. বলেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যেসব বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৯

বস্তুত গান বাজনার ক্ষতিকর প্রভাব এত বেশি যে, তা নাজায়েয হওয়ার জন্য আলাদা কোনো দলীল খোঁজার প্রয়োজন পড়ে না। এতদসত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বহু হাদীসের মাধ্যমে তা প্রমাণিত।

• গান-গায়িকা এবং এর ব্যবসা ও চর্চাকে হারাম আখ্যায়িত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- তোমরা গায়িকা (দাসী) ক্রয়-বিক্রয় কর না এবং তাদেরকে গান শিক্ষা দিও না। আর এসবের ব্যবসায় কোনো কল্যাণ নেই। জেনে রেখ, এর প্রাপ্ত মূল্য হারাম।- জামে তিরমিযী হাদীস : ১২৮২; ইবনে মাজাহ হাদীস : ২১৬৮

বর্তমানে গান ও বাদ্যযন্ত্রের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে যাতে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এর সকল উপার্জন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর হাদীস অনুযায়ী সম্পূর্ণ হারাম।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেন, আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে। আর তাদের মাথার উপর বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকা রমনীদের গান বাজতে থাকবে। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন।- সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস : ৪০২০; সহীহ ইবনে হিব্বান হাদীস : ৬৭৫৮

• হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, পানি যেমন (ভূমিতে) তৃণলতা উৎপন্ন করে তেমনি গান মানুষের অন্তরে নিফাক সৃষ্টি করে।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৯৩; তাফসীরে কুরতুবী ১৪/৫২

উপরোক্ত বাণীর সত্যতা এখন দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার। গান-বাজনার ব্যাপক বিস্তারের ফলে মানুষের অন্তরে এই পরিমাণ নিফাক সৃষ্টি হয়েছে যে, সাহাবীদের ইসলামকে এ যুগে অচল মনে করা হচ্ছে এবং গান-বাদ্য, নারী- পুরুষের মেলামেশা ইত্যাদিকে হালাল মনে করা হচ্ছে।

• বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত নাফে’ রাহ. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার চলার পথে আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বাঁশির আওয়াজ শুনলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই কানে আঙ্গুল দিলেন। কিছু দূর গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, হে নাফে’! এখনো কি আওয়াজ শুনছ? আমি বললাম হ্যাঁ। অতঃপর আমি যখন বললাম, এখন আর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না তখন তিনি কান থেকে আঙ্গুল সরালেন এবং বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলার পথে বাঁশির আওয়াজ শুনে এমনই করেছিলেন। – মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৪৫৩৫; সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪৯২৪ বিখ্যাত তাবেয়ী মুজাহিদ রাহ. থেকেও এমন একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।- ইবনে মাজাহ হাদীস : ১৯০১

বাজনাদার নুপুর ও ঘুঙুরের আওয়াজও সাহাবায়ে কেরাম বরদাশত করতেন না। তাহলে গান ও বাদ্যযন্ত্রের প্রশ্নই কি অবান্তর নয়? নাসাঈ ও সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত আছে, একদিন হযরত আয়েশা রা.-এর নিকট বাজনাদার নুপুর পরে কোনো বালিকা আসলে আয়েশা রা. বললেন, খবরদার, তা কেটে না ফেলা পর্যন্ত আমার ঘরে প্রবেশ করবে না। অতঃপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ঘরে ঘণ্টি থাকে সেই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।-সুনানে আবু দাউদ হাদীস : ৪২৩১; সুনানে নাসাঈ হাদীস : ৫২৩৭

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ঘণ্টি, বাজা, ঘুঙুর হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র।- সহীহ মুসলিম হাদীস : ২১১৪

মৃদু আওয়াজের ঘণ্টি-ঘুঙুরের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে আধুনিক সুরেলা বাদ্যযন্ত্রের বিধান কী হবে তা খুব সহজেই বুঝা যায়। সঙ্গীত সম্পর্কে উলামাগণের অভিমত ইমাম ইবন তাইমিয়া (রাহিমুল্লাহ) বলেন, “যে সকল কাজ শয়তানের পথকে শক্তিশালী করে তাদের মধ্যে গান বাজনা শোনা এবং অন্যায় হাসি তামাশা অন্যতম। এটা সেই কাজ যা কাফেররা করত। আল্লাহ তায়ালা বলেন “(এ ঘরের পাশে) তাদের (জাহেলী যুগের) নামায তো কিছু শিষ দেয়া ও তালি বাজানো ছাড়া কিছুই ছিল না ”[সূরা আল আনফাল ৮-৩৫]।

ইবন আব্বাস, ইবন উমর, আতিয়্যাহ, মুজাহিদ, আদ-দাহাক, আল হাসান এবং ক্বাতাদাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘মু’কান’ অর্থ শিষ বাজানো, ‘তাসদিয়াহ’ অর্থ তালি বাজানো। এটা মুশরিকদের উপাসনার পথ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ আল্লাহর ইবাদত করেছেন, তাঁর ( আল্লাহর) আদেশ অনুসারে, তাদের ইবাদতে ছিল কুরআন তিলাওয়াত ও যিকর (দু’আ)। এমনটা কখনো হয়নি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) গান-বাজনা শোনার জন্যে সমবেত হয়েছেন এবং যার সাথে তালি বাজানো হত অথবা ঢোল ব্যবহার করা হত”।

ইমাম ইবন তাইমিয়া (রাহিমুল্লাহ) আরো বলেন সেই ব্যক্তির সম্পর্কে যার স্বভাব হল গান-বাজনা শোনা, “ সে যখন কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করে তখন সে আবেগাপ্লুত হয় না, অপরদিকে সে যখন শয়তানের বাদ্যযন্ত্র (গান-বাজনা) শ্রবণ করে, সে নেচে উঠে। যদি সে সালাত প্রতিষ্ঠা করে, তবে সে হয় বসে বসে তা আদায় করে অথবা মুরগী যেভাবে মাটিতে ঠোকর দিয়ে শস্যদানা খায় সেভাবে দ্রুততার সাথে আদায় করে। সে কুরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করতে অপছন্দ করে এবং তাতে কোন সৌন্দর্য খুঁজে পায় না। তার কুরআনের প্রতি কোন রুচি নেই এবং যখন তা পড়া হয় সে এর প্রতি কোন টান বা ভালোবাসা অনুভব করে না। বরং, সে মু’কা ও তাসদিয়া শুনে মজা পায়। এগুলো শয়তানী আনন্দ এবং সে তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আমি তার জন্যে একটি শয়তান নিযুক্ত করে দেই, অতঃপর সেই সর্বক্ষণ তার সাথী হয়ে থাকে”।[৪৩-৩৬] [আউলিয়া আর রাহমান]

ইমাম ইবন আল-কাইয়্যিম (রাহিমুল্লাহ) বলেন, “ আল্লাহর শত্রু শয়তানের কৌশলসমূহের মধ্যে একটি হল মুকা ও তাসদিয়া, এই ফাঁদ সে ঐ সকল লোকের জন্য পাতে যারা দীনের প্রতি বুদ্ধিমত্তা,জ্ঞান,অথবা আন্তরিকতায় নিরাসক্ত। এই গাফেল(মূর্খ) লোকেরা গান-বাজনা শ্রবণ করে এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে, যা নিষিদ্ধ এবং যার ফলে কুরআনের প্রতি তাদের অন্তর বিমুখ হয়ে যায়। তাদের হৃদয় পাপাচারের প্রতি উদাসীন ও আল্লাহর অবাধ্য। গান-বাজনা(সঙ্গীত) শয়তানের কুরআন এবং ব্যক্তি ও আল্লাহর মাঝের দেয়াল। এটা সমকামিতা ও ব্যভিচারের পথ। যে অন্যায় ভালোবাসার সন্ধান করে ও স্বপ্ন দেখে সে এতে সান্ত্বনা খুঁজে পায়। গান- বাজনার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে ও একে তাদের চোখে শিল্প হিসেবে দেখিয়ে শয়তান দুর্বলচিত্তের মানুষদের ফাঁদে ফেলে। শয়তান তার অনুসারীদের সঙ্গীতের সৌন্দর্যের মিথ্যা দলীল দেখায়। এই লোকগুলো শয়তানের ওহী গ্রহণ করে এবং ফলস্বরুপ কুরআন ত্যাগ করে। যখন আপনি তাদের গান- বাজনা শোনা অবস্থায় দেখেন, তাদেরকে বিনয়াবত,অলসভাবে বসা,নীরব নিশ্চুপ অবস্থায় পাবেন; তাদের অন্তর দিয়ে তারা মনোযোগ দেয় এবং চরমভাবে গান বাজনা উপভোগ করে। তাদের অন্তর গান বাজনায় এতটা নৈকট্য পায়, যেন তারা মাতাল। তারা নেচে উঠে এবং কুরুচিপূর্ণভাবে পতিতাদের মত অঙ্গভঙ্গি করে। এবং কেন নয় ? কারণ তারা সঙ্গীতে মত্ত মাতাল, অনুরুপ তাদের আচরণ। তারা আল্লাহর জন্যে নয়, তারা শয়তানের জন্য, এগুলো ঐ সকল হৃদয় যা পাপাচারে নাজুক, এদের জীবন আল্লাহর সন্তুষ্টি বাদে অন্য যেকোন কিছুর জন্য। তারা তাদের জীবন হাসি তামাশায় কাটায় ও দীনের প্রতি তামাশা করে। শয়তানের যন্ত্র তাদের নিকট কুরআন অপেক্ষা মধুর। তাদের কেউ যদি কুরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে, সে এতে সামান্যই প্রভাবিত হবে। আর যদি শয়তানের কুরআন শোনানো হয়, তারা অন্তরে আনন্দ অনুভব করে এবং নিজের চোখেই তারা এটা দেখতে পায়। তাদের পা নাচে, হাত তালি বাজায়, নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসে এবং সারা শরীর আনন্দ উপভোগ করে। ওহে যে এই ফাঁদে আটকে আছো ! যে আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানের নিকট বিক্রি হয়ে গেছো , কত বাজে তোমার এই কারবার ! যখন কুরআন শ্রবণ কর কেন তুমি আনন্দ পাও না? যখন মহিমান্বিত কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন কেন শান্তি স্বস্তি পাও না ? হায়, সবাই তাই খুঁজে যাতে সে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে, এবং শেষ পর্যন্ত সত্যিই নিজেকে মানিয়ে নেয়”। [ইগাছাতুল লাহফান]

শেখ আব্দুল আযীয বিন বায(রাহিমুল্লাহ) এর কাছে গান বাজনা সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, “এটা কি হারাম? আমি শুধু আনন্দের জন্যেই শুনি। রাবাবা(এক প্রকার গিটার) ও হারানো দিনের গান সম্পর্কে কি বলেন? আর বিয়ে শাদীতে ঢোল ব্যবহার সম্পর্কে?”

শেখ বিন বায বলেন, “ গান বাজনা শোনা হারাম এবং পাপ। এটা হল সেই কাজ যার ফলে আল্লাহর স্মরণ ও প্রার্থনা থেকে অন্তর দুর্বল করে দেয়। কুরআনের আয়াত “এবং সেই মানুষগুলো যারা অর্থহীন কথাবার্তা ক্রয় করে” [সুরা লুকমান ৩১-৬] ,

এখানে “অর্থহীন কথাবার্তা” বলতে গান বাজনাকে বোঝানো হয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু), যিনি একজন বিশিষ্ট সাহাবী, তিনি আল্লাহর শপথ করে বলেছেন এর মানে হল গান। আর গান যদি রাবাবা এর সাথে হয়,উ’দ(আরবীয় গিটার), বাঁশি কিংবা ঢোলের সাথে হয়, তবে তো আরো বেশি হারাম। যে কোন গান, যেকোন প্রকার বাদ্যযন্ত্র সহকারেই হোক তা হারাম এবং আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত। সুতরাং, মুসলমানদের এ ব্যাপারে সাবধান হওয়া উচিত।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে”[বুখারি]।

বিয়ে শাদীর ব্যাপারে, দফ [এক প্রকার আরবীয় বাদ্যযন্ত্র, দফ-এর এক পাশ খোলা। বাজালে ঢ্যাব ঢ্যাব আওয়াজ হয়। প্লাস্টিকের গামলা বাজালে যেমন আওয়াজ হবে তেমন। আসলে দফ কোনো বাদ্যযন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে না। আওনুল বারী গ্রন্থে দফ-এর পরিচয় দিতে গিয়ে লেখা হয়েছে যে, এর আওয়াজ স্পষ্ট ও চিকন নয় এবং সুরেলা ও আনন্দদায়কও নয়। কোনো দফ-এর আওয়াজ যদি চিকন ও আকর্ষণীয় হয় তখন তা আর দফ থাকবে না; বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হবে।- আওনুল বারী ২/৩৫৭ । আর দফ-এর মধ্যে যখন বাদ্যযন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এসে যাবে তখন তা সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েয বলে পরিগণিত হবে] ব্যবহার করা যেতে পারে এমন কথার গানের সাথে যাকে পাপ বলা যায় না। আর এটা রাতে করা যেতে পারে, কেবলমাত্র বিয়ে শাদীতে, কেবলমাত্র মহিলাদের জন্যে এবং মহিলাদের দ্বারা। এই গীতসমূহ ইসলামিক বিয়ে ঘোষণার একটি অংশ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ হতে তা প্রমাণিত। এবং ড্রামস তথা ঢোলের ক্ষেত্রে, তা সর্বক্ষেত্রে হারাম। দফ কেবলমাত্র বিয়ে শাদীতে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং শুধুমাত্র মহিলাদের দ্বারা শুধুমাত্র মহিলাদের জন্যে”।

সাহাবী ও তাবেয়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী বহু গুনাহর সমষ্টি হল গান ও বাদ্যযন্ত্র। যথা :
• ক) নিফাক এর উৎস
• খ) ব্যভিচারের প্রেরণা জাগ্রতকারী
• গ) মস্তিষ্কের উপর আবরণ
• ঘ) কুরআনের প্রতি অনিহা সৃষ্টিকারী
• ঙ) আখিরাতের চিন্তা নির্মূলকারী
• চ) গুনাহের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টিকারী ও
• ছ) জিহাদী চেতনা বিনষ্টকারী।– [ইগাছাতুল লাহফান ১/১৮৭]

চার ইমামের ভাষ্য
গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান- বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইমাম মালেক রাহ. কে গান-বাদ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেবল ফাসিকরাই তা করতে পারে।- কুরতুবী ১৪/৫৫

ইমাম শাফেয়ী রাহ. বলেছেন যে, গান-বাদ্যে লিপ্ত ব্যক্তি হল আহমক।তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রকার বীণা, তন্ত্রী, ঢাকঢোল, তবলা, সারেঙ্গী সবই হারাম এবং এর শ্রোতা ফাসেক। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৭৯; কুরতুবী ১৪/৫৫

হাম্বলী মাযহাবের প্রখ্যাত ফকীহ আল্লামা আলী মারদভী লেখেন, বাদ্য ছাড়া গান মাকরূহে তাহরীমী। আর যদি বাদ্য থাকে তবে তা হারাম।-আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৩৮৮

ইমাম শাফেয়ী রাহ. শর্তসাপেক্ষে শুধু ওলীমা অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশ আছে বলে মত দিয়েছেন। কেননা বিয়ের ঘোষণার উদ্দেশ্যে ওলীমার অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশের বর্ণনা হাদীসে রয়েছে।- জামে তিরমিযী হাদীস : ১০৮৯; সহীহ বুখারী হাদীস : ৫১৪৭, ৫১৬২

মনে রাখতে হবে, এখানে দফ বাজানোর উদ্দেশ্য হল বিবাহের ঘোষণা, অন্য কিছু নয়।-ফাতহুল বারী ৯/২২৬




(সংগ্রহীত)

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: :(:(:(:(

আমিতো তিন বেলা গান শুনি। ভাবছি, ওটা কমায়ে দিমু।।
শুভ রাত্রি।।:(

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৩

এ আর ১৫ বলেছেন: যারা গানকে হারাম মনে করেন এবং বিশ্বাষ করেন তারা দয়া করে এই প্রশ্নটার উত্তর দিবেন ---- 

গানের ভিতরে ৩টি ভিত্তি আছে যা দ্বারা একটা গান বিকাশ লাভ করে , সেগুলো হোল -- 
১) কথা বা লিরিক্স
২) সুর বা টিউন 
৩)তাল বা রিদম 
অর্থাৎ কথা, সুর ও তাল দ্বারা গান গঠিত হয় । গানের কথাটা ভালো খারাপ দুটোই হতে পারে একই ভাবে সুর ও তাল ভালো খারাপ দুটোই হতে পারে । কথা সুর ও তালের সম্মনয়ে গান গঠিত হয় । গান মানে হোল কথা সুর ও তালের সমাহার .. 

এবার বলুন 
১) আজানের মধ্যে -- কথা, সুর ও তাল আছে কিনা ? যদি থাকে তাহোলে গান কেন হারাম ????
২)কোরান তেলোয়াতের ভিতর ---- কথা, সুর ও তাল আছে কিনা ? যদি থাকে তাহোলে গান কেন হারাম ?????

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৯

এম আর তালুকদার বলেছেন: পোষ্টটি বড় দেখে আপনি না পড়েই মন্তব্য করেছেন, দয়াকরে ভালভাবে পড়ে মন্তব্য করুন অথবা খোড়া যুক্তির প্রশ্ন নিয়ে দৌড়ের উপর থাকেন। শুধু শিরোনাম দেখেই মন্তব্য করার অভ্যাস পরিহার করুন। ধন্যবাদ।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:১৮

এ আর ১৫ বলেছেন: Music in Islam ....... Kindly click here for the link and answer of your article

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২১

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার যুক্তির পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে রেফারেন্স দিন। আমি আলোচনা করে জানতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আপনার যুক্তির পক্ষে সহীহ হাদীস থেকে রেফারেন্স দিন। আমি আলোচনা করে জানতে পছন্দ করি। ধন্যবাদ।

------ Read the link please ... Every thing is there .Without reading please don't make such comment. With in one minute how you read that article . Your claiming is baseless . My comment no 2 is enough to prove Music is acceptable in Islam . Explanation from Quran and Hadith etc have given in the link which I gave in comment no 3

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৪৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: হা হা হা
আমি আমার পোষ্টে হাদীস কুরআনের যে পরিমান দলিল দাখিল করেছি তার সিকি ভাগ দলিল আপনার ঐ পোষ্টে পাই নাই। দয়াকরে আলোচনার জন্য আরো দলিল দাখিল করেন। যথাযথ যুক্তিতর্কে অনেক অজানা তথ্য বেড়িয়ে আসতে পারে। ধন্যবাদ।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:২৬

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার পোষ্টিং যেটা আছে কোরানের আয়াতের অপব্যাখা ----- শয়তানের আওয়াজ মানে গান বাজনা মার্কা কথা বার্তা ইত্যাদি ।
গানের পক্ষে এবং বিপক্ষে হাদিস আছে , সুতরাং আপনি এক হাজারটা ভুল হাদিস দিলে কিছুই আসা যায় না । সুর তাল কথা এই নিয়ে গান । গান হারাম হলে আজান এবং কোরান তেলোয়াত সুর তাল ছাড়া হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটা যেহেতু হয় নি তাই আপনি যতই হাদিস আনেন আর কোরানে অপব্যাখা করেন কিছুই যায় আসে না । আপনি বেশি হাদিস দিছেন তাই আপনি ঠিক এটা খোড়া যুক্তি ছাড়া কিছু না । গান নিয়ে কোরানের যত রেফারেন্স আছে সব কটার সঠিক ভাবে ব্যাখা করা হয়েছে আমার দেওয়া লিংকে । কথা সুর তাল নিয়ে হয় গান যেটা কোরান তেলোয়াত ও আজানের মধ্যে যেহেতু আছে তাই গান হারাম হতে পারে না ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৩৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: ঐ মিয়া কুরআনের আয়াতের অপব্যাখা যদি দিয়া থাকি তবে সঠিক ব্যাখা দিন আর আপনি যে মুফতি তার সনদ আগে দেখান। আমার প্রতিটা দলিল মিথ্যা প্রমান না করতে পারলে গায়ে পড়ে তর্ক করা বন্ধ করুন। এখানে আমরা কেউ কারো শত্রু না। ধন্যবাদ।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:৪৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আমার ঐ লিংকে কোরানের আয়াতের সঠিক ব্যাখা দেওয়া আছে এবং লেখক পরিচিতি নীচে দেওয়া আছে। আমার কমেন্ট নং ২ ই যথেষ্ঠ আপনা দাবিকে অবান্তর প্রমাণ করার জন্য। শুধু এই কথাটার জবাব দিন কি কারনে আজান এবং কোরান তেলোয়াত সুর এবং তালে হয় যদি গান হারাম হয়? কথা সুর আর তাল নিয়েই গান।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

এম আর তালুকদার বলেছেন: আমার জানামতে আজান এবং কোরান তেলোয়াতের সময় বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার হয় না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে”[বুখারি]।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই উক্তিতে আমারো মনে হয় বাদ্যযন্ত্রহীন গাওয়া যেতে পারে।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: আলোচনা জমে উঠেছে, আরে ভাই ইসলামে গান বাজনা হারাম। যারা গান বাজনা শোনেন তারা ইসলাম থেকে অনেক আগেই খারিজ হয়ে গেছেন। নামাজ ও পড়বেন গান ও শুনবেন, এটা হয় নাকি?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১০

এম আর তালুকদার বলেছেন: বিয়ে শাদীর ব্যাপারে, দফ [এক প্রকার আরবীয় বাদ্যযন্ত্র, দফ-এর এক পাশ খোলা। বাজালে ঢ্যাব ঢ্যাব আওয়াজ হয়। প্লাস্টিকের গামলা বাজালে যেমন আওয়াজ হবে তেমন। আসলে দফ কোনো বাদ্যযন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে না। আওনুল বারী গ্রন্থে দফ-এর পরিচয় দিতে গিয়ে লেখা হয়েছে যে, এর আওয়াজ স্পষ্ট ও চিকন নয় এবং সুরেলা ও আনন্দদায়কও নয়। কোনো দফ-এর আওয়াজ যদি চিকন ও আকর্ষণীয় হয় তখন তা আর দফ থাকবে না; বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হবে।- আওনুল বারী ২/৩৫৭ । আর দফ-এর মধ্যে যখন বাদ্যযন্ত্রের বৈশিষ্ট্য এসে যাবে তখন তা সর্বসম্মতিক্রমে নাজায়েয বলে পরিগণিত হবে] ব্যবহার করা যেতে পারে এমন কথার গানের সাথে যাকে পাপ বলা যায় না। এই গীতসমূহ ইসলামিক বিয়ে ঘোষণার একটি অংশ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ হতে তা প্রমাণিত।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৯

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: প্রিয় তে নিলাম। পরে পড়বো, ততক্ষণ আরো আলোচনা চলুক।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

এম আর তালুকদার বলেছেন: আলোচনায় অংশগ্রহন করে মূল্যবান মত প্রকাশের আমন্ত্রন রইলো। ধন্যবাদ।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


গজল গাও্য়া নিয়ে কোন আইন কানুন?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

এম আর তালুকদার বলেছেন: আমি এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে অবান্তর কথাবার্তা ও বাদ্যযন্ত্রে উপর নিষেধাজ্ঞা আছে তবে খারাপ কিছু ইঙ্গিত করার মত কথা আছে এমন গান ব্যতিত বা আল্লাহ ও তার হাবীবকে নিয়ে প্রশংসা করে গান গাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


নবী (স: )'এর সাথে যারা ছিলেন, এদের লেখাপড়া ছিলো না; ফলে, নবী (স: ) কি বলেছেন, উনার সাহাবীরা কি বুঝেছেন, বলা মুশকিল

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: সহমত। তবে আমরা কিয়াসগুলো আমলে নিতে পারি কারন সেগুলো ইসলামিক যুগের সেরা আলেমদের মত। ধন্যবাদ।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯

ক্স বলেছেন: গান বাজনা হারাম হবার পক্ষে আপনি বেশ শক্ত কিছু দলিল পেশ করেছেন। কিন্তু যুক্তিহীন কথাবার্তা যদি সাহাবাগণও বলে থাকেন (আল্লাহ্‌ মাফ করুক) আমার পক্ষে তা গ্রহন করা সম্ভব নয়। অবান্তর কথাবার্তাকে তারা কোন যুক্তিতে গান বলে মত দিলেন, তা বুঝতে পারলাম না।

সঙ্গীত প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। গাছের ডালের মধ্য দিয়ে বাতাস বয়ে গেলে সঙ্গীত উৎপন্ন হয়। খরস্রোতা নদীর কুলুকুলু শব্দ একপ্রকার সঙ্গীত। নাম না জানা পাখির কলতানও সঙ্গীত। এগুলো শ্রবণ করা যদি পাপ না হয়ে থাকে, এই শব্দগুলো মানুষের আবিষ্কৃত যন্ত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুললে তাতে পাপ হবে কোন যুক্তিতে?

আমাদের জীবন যাপনের প্রাথমিক গাইডলাইন হল কুরআন - যার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র সাথে আমাদের সরাসরি যোগাযোগ। সেই কুরআনে মদ, জুয়া, শুকর, শর নিক্ষেপ হারাম করা হল, গান কেন হারাম করা হলনা। যেসব আয়াতের উল্লেখ করা হল, সেগুলোর ব্যাখ্যা আমার কাছে মনে হয়েছে, গরু রচনা লিখতে গিয়ে নদী রচনা লিখে গরুকে নদীতে ফেলার মত।

গান বাজনা প্রসঙ্গে যাদের ফতোয়া উল্লেখ করা আছে, তাদের কাছে গান শোনা হচ্ছে মূল্যবান সময়ের অপচয়। অর্থাৎ গান তাদের কাছে কোন উপকারী জিনিস নয়। তারা যেসব মূল্যবান গবেষণা কর্মে ব্যস্ত থাকতেন, গান শুনলে তাদের মনোযোগ অন্যদিকে ডাইভার্ট হবার সম্ভাবনা ছিল, তাই গান সম্পর্কিত ফতোয়া তাদের জন্যই বেশি উপযোগী বলে মনে হয়েছে। কিন্তু যারা প্রচন্ড স্ট্রেসে থাকে, তাদের বিনোদনের প্রয়োজন হয় - আর গান ছাড়া সহজ ও শালীন বিনোদনের উপায় খুব কমই আছে।

চার ইমামের মধ্যে যার ফতোয়া সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত ও বিজ্ঞানসম্মত, সেই ইমাম আবু হানিফার (র) গানের ব্যাপারে কোন আপত্তি নেই বলেই আমার কাছে মনে হচ্ছে।

যাই হোক, এগুলো আমার যুক্তি - বোঝার ভুলও হতে পারে। আপনাকে ধন্যবাদ পরিশ্রমসাধ্য এই পোস্টটি দেবার জন্য। অনেক কিছু জানা হল - অনেক ভুল ধারণা দূর হল। আশা করি এই পোস্ট অনেকের হেদায়াতের রাস্তাও দেখাবে। আসলে ব্লগ থাকে মুফতি মুহাদ্দিসের দরকার কি?

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

এম আর তালুকদার বলেছেন:
ইমাম শাফেয়ী রাহ. শর্তসাপেক্ষে শুধু ওলীমা অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশ আছে বলে মত দিয়েছেন। কেননা বিয়ের ঘোষণার উদ্দেশ্যে ওলীমার অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশের বর্ণনা হাদীসে রয়েছে।- জামে তিরমিযী হাদীস : ১০৮৯; সহীহ বুখারী হাদীস : ৫১৪৭, ৫১৬২

আমি এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে অবান্তর কথাবার্তা ও বাদ্যযন্ত্রে উপর নিষেধাজ্ঞা আছে তবে খারাপ কিছু ইঙ্গিত করার মত কথা আছে এমন গান ব্যতিত বা আল্লাহ ও তার হাবীবকে নিয়ে প্রশংসা করে গান গাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামে গান বাজনা পুরোপুরি হারাম না।
একবার আমাদের প্রিয় নবী মোহাম্মদ তার স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তা যাচ্ছিলেন।
সেদিন ছিল ঈদের দিন। রাস্তায় কিছু বেদুইন গান বাজনা করছি। তখন নবীজির স্ত্রী গান বাজনা শোনার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।
নবীজী স্ত্রীর ইচ্ছা পূরন করলেন। এবং নিজেও গান বাজনা উপভোগ করলেন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনার মন্তব্যের ঘটনার সাথে সহমত ।

আমি এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে অবান্তর কথাবার্তা ও বাদ্যযন্ত্রে উপর নিষেধাজ্ঞা আছে তবে খারাপ কিছু ইঙ্গিত করার মত কথা আছে এমন গান ব্যতিত বা আল্লাহ ও তার হাবীবকে নিয়ে প্রশংসা করে গান গাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

123456789happy বলেছেন: http://www.somewhereinblog.net/blog/rajib128 আপনার উক্ত হাদিসটির রেফারেন্স দিন প্লিজ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: ভাই জানার ইচ্ছা থাকলে একটু কষ্ট করে খুজে নেন, এই ঘটনাটির উল্যেখ আমিও পেয়েছি তবে একটু ভিন্ন ভাবে।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৬

হাঙ্গামা বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: আলোচনা জমে উঠেছে, আরে ভাই ইসলামে গান বাজনা হারাম। যারা গান বাজনা শোনেন তারা ইসলাম থেকে অনেক আগেই খারিজ হয়ে গেছেন। নামাজ ও পড়বেন গান ও শুনবেন, এটা হয় নাকি?

ইসলাম থেকে কেউ খারিজ হয়ে গেলে ও সেটার নিশ্চয়তা আপনি কিভাবে দিলেন?
কিছু মানুষ আছে অন্যজনকে বলে "অমুক করিস তমুক করিস আবার নামায ও পড়িস, এই নামায কবুল হইবো না"
আপনি ও কি সেই দলের নাকি? আল্লাহর উপর মাতব্বরি আমরা না করি।


আর লেখক সাহেব এ আর ১৫ এর প্রথম কমেন্টের জবাব দিলেন খুব হাস্যকরভাবে।


চাঁদগাজী বলেছেন:
গজল গাও্য়া নিয়ে কোন আইন কানুন?


ইন্টারেষ্টিং প্রশ্ন।

সর্বশেষ, সাহাবীরা যা বলেছেন তার সব কিছুই কি ১০০ ভাগ সঠিক?
অমুক বলেছেন বা তমুক বলেছেন বলে কোন কিছু হালাল/হারাম হয়ে যায় না। সব কিছুর পেছনে যুক্তি থাকে।
আপনি যদি যুক্তি দিয়ে কোনপ্রশ্নের জবাব না দিতে পারেন বা ব্যাখ্যা না দিতে পারেন তাহলে এরকম পোষ্ট যুক্তিহীন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: দয়াকরে হাঙ্গামা করতে আসবেন না। অন্যের মন্তব্য টানবেন না। নিজের কোন আলোচনা থাকলে করুন। আর কারো কোন মন্তব্য প্রশ্ন ভাল লাগলে প্রতিউত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন। আমি এক্স নামক সহ ব্লগারের উত্তর দেরমাস বসে দেয়ার চেষ্টা করেছি এবং এই পোষ্টটিই হল সেই উত্তর। এখানেও সকল উত্তর এসেছে তাও আমি বলছি না, তবে আমি চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

নতুন বলেছেন: বোখারী শরিফের কিছু হাদিস তো গানকে নিষেধ করে না।

Prophet Muhammad peace be upon him allowed music:

From Bukhari Volume 2, Book 15, Number 70:

Narrated Aisha:
Allah's Apostle (p.b.u.h) came to my house while two girls were singing beside me the songs of Buath (a story about the war between the two tribes of the Ansar, the Khazraj and the Aus, before Islam). The Prophet (p.b.u.h) lay down and turned his face to the other side. Then Abu Bakr came and spoke to me harshly saying, "Musical instruments of Satan near the Prophet (p.b.u.h) ? " Allah's Apostle (p.b.u.h) turned his face towards him and said, "Leave them." When Abu Bakr became inattentive, I signaled to those girls to go out and they left. It was the day of 'Id, and the Black people were playing with shields and spears; so either I requested the Prophet (p.b.u.h) or he asked me whether I would like to see the display. I replied in the affirmative. Then the Prophet (p.b.u.h) made me stand behind him and my cheek was touching his cheek and he was saying, "Carry on! O Bani Arfida," till I got tired. The Prophet (p.b.u.h) asked me, "Are you satisfied (Is that sufficient for you)?" I replied in the affirmative and he told me to leave.

This same Hadith is reported to us again in Sahih Muslim:

Book 004, Number 1942:

'A'isha reported: The Messenger of Allah (way peace be upon him) came (in my apartment) while there were two girls with me singing the song of the Battle of Bu'ath. He lay down on the bed and turned away his face. Then came Abu Bakr and he scolded me and said: Oh! this musical instrument of the devil in the house of the Messenger of Allah (may peace be upon him)! The Messenger of Allah (may peace be upon him) turned towards him and said: Leave them alone. And when he (the Holy Prophet) became inattentive, I hinted them and they went out, and it was the day of 'Id and negroes were playing with shields and spears. (I do not remember) whether I asked the Messenger of Allah (may peace be upon him) or whether he said to me if I desired to see (that sport). I said: Yes. I stood behind him with his face parallel to my face, and he said: O Banu Arfada, be busy (in your sports) till I was satiated. He said (to me): Is that enough? I said: Yes. Upon this he asked me to go.

Once again in Bukhari, this event is recorded:

Volume 5, Book 58, Number 268:

Narrated Aisha:
That once Abu Bakr came to her on the day of 'Id-ul-Fitr or 'Id ul Adha while the Prophet was with her and there were two girl singers with her, singing songs of the Ansar about the day of Buath. Abu Bakr said twice. "Musical instrument of Satan!" But the Prophet said, "Leave them Abu Bakr, for every nation has an 'Id (i.e. festival) and this day is our 'Id."

And then in Bukhari, another Hadith relates a connection between musical instruments and the family of David (saw). Further evidence that, indeed, the Psalms were musical in nature:

Volume 6, Book 61, Number 568:

Narrated Abu Musa:
That the Prophet said to him' "O Abu Musa! You have been given one of the musical wind-instruments of the family of David .'

And on one final note, I thought the following Hadith can also be used in the matter. The Hadith relates of how the adhan came to be, and how the Prophet's companions suggested the use of musical instruments such as the horn or bell like the People of the Book. Now although the Prophet ultimately approved the use of the human voice, there is no mention that the Prophet chastised his companions for suggesting musical instruments for the adhan. And if the Prophet was so very much against musical instruments, then why would his companions dare to suggest the use of such sinful things in the call to prayer????

From Muslim Book 004, Number 0735:

Ibn Umar reported: When the Muslims came to Medina, they gathered and sought to know the time of prayer but no one summoned them. One day they discussed the matter, and some of them said: Use something like the bell of the Christians and some of them said: Use horn like that of the Jews. Umar said: Why may not a be appointed who should call (people) to prayer? The Messenger of Allah (may peace be upon him) said: O Bilal, get up and summon (the people) to prayer.

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: আমি এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে অবান্তর কথাবার্তা ও বাদ্যযন্ত্রে উপর নিষেধাজ্ঞা আছে তবে খারাপ কিছু ইঙ্গিত করার মত কথা আছে এমন গান ব্যতিত বা আল্লাহ ও তার হাবীবকে নিয়ে প্রশংসা করে গান গাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



দু:খিত, কারও কারও মতামত দেখে মনে হল, কুরআন হাদিস মেনে চলার চেয়েও গান শোনা তাদের নিকট অধিক প্রিয়। ইসলামের অনুসারীদের অবশ্যই নি:শর্তভাবে কুরআনুল কারীম এবং হাদিসের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। মনগড়াভাবে চলার কোনো সুযোগ একজন মুসলিমের অবশ্যই নেই। কারন, মুসলিম ব্যক্তির বিশ্বাস, 'নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরন, সকল কিছু কেবলমাত্র আল্লাহ পাকের জন্য নিবেদিত।' এই বিশ্বাস ধারন করে কিভাবে একজন মুসলিম বলতে পারেন, যুক্তির আলোকে হলে, ইসলামের সে বিধান মানব, অন্যথায় নয়!

ব্লগার এ আর ১৫ গান জায়েজের পক্ষে ওকালতি করতে এসেছেন। এতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। এগুলো তার রুটিন ওয়ার্ক। ইতিপূর্বে দেখেছি- মূর্তি, নারী নেতৃত্ব, নারীদের পর্দা ইত্যাকার ইসলামের অনেক বিষয়ে তার মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে অনেকের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন। মূলত: সমস্যাটা হল, তার দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি কুরআন এবং হাদিসের আলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, যা নিতান্ত গর্হিত কাজ। তার হাস্যকর যুক্তি প্রমানগুলো দেখেছি। কিন্তু বিপদ হল, তার বিপক্ষে কেউ কথা বললেই আবোল তাবোল প্যাচাল শুরু করেন। তার প্রতি শুভকামনা। তার অব্যহত কল্যান কামনা করছি।

পোস্টে ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনি আপনার মতের পক্ষ্যে যুক্তি দিন।
সবাই নিজের মত প্রকাশ করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

এ আর ১৫ বলেছেন: নতুন নকিব কি শুধু আমাকে টার্গেট করে প্যাচাল পারতে এসেছেন ---
ব্লগার এ আর ১৫ গান জায়েজের পক্ষে ওকালতি করতে এসেছেন। এতে আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই। এগুলো তার রুটিন ওয়ার্ক।


আপনিও তো রুটিন ওয়ার্কের মত একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাতে এসেছেন ---
আমার প্রথম কমেন্ট ( এখানে কমেন্ট নং ২ ) এর উত্তরটা দিন না । আমার ঐ কমেন্টটাই যথেষ্ঠ গান না জায়েজ ফতুয়াকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য । এখানে আপনার একান্ত প্রিয় ক্স সহ নতুন এবং বেশি ভাগ মন্তব্যকারির বক্তব্য ঐ ফতুয়ার বিপক্ষে গেছে , কৈ তাদের কে কেন টার্গেট করেন না ।
ইতিপূর্বে দেখেছি- মূর্তি, নারী নেতৃত্ব, নারীদের পর্দা ইত্যাকার ইসলামের অনেক বিষয়ে তার মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে অনেকের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন।

আপনি যখন গড়া ব্যাখা দিয়ে পুজা বিহিন মুর্তি হারাম , নারী নেতৃত্ব হারাম ইত্যাদি বলে বিতর্ক করতে পারেন তখন বোধ হয় কোন দোষ হয় না এবং আপনার অপব্যাখা গুলি যখন দলিল থেকে উপাত্ত এনে জবাব দি তখন তো কোন জবাব দিতে পারেন না । বার বার গায়ে পড়ে ভেজাল করতে আসেন কি কারনে ???
মূলত: সমস্যাটা হল, তার দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি কুরআন এবং হাদিসের আলোকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, যা নিতান্ত গর্হিত কাজ।
আমি কখনো আমার ব্যক্তিগত দৃষ্ঠি ভঙ্গি এখানে প্রচার করি নাই , প্রত্যাক কথার পিছনে দালিলিক সাপোর্ট আছে ।

তার হাস্যকর যুক্তি প্রমানগুলো দেখেছি।

কোনটা হাস্যকর একটু দেখান না ------ আমি যে বোললাম কথা , সুর এবং তাল দ্বারা গান তৈরী হয় ----- আমার এ কথাটা কি হাস্যকর ???? নাকি সুর আর তাল ছাড়া গান হয় ???? এই ব্লগে এই যুক্তিটি নিয়েই আমি তর্ক করছি ।
কিন্তু বিপদ হল, তার বিপক্ষে কেউ কথা বললেই আবোল তাবোল প্যাচাল শুরু করেন। তার প্রতি শুভকামনা। তার অব্যহত কল্যান কামনা করছি।
এই যে কোন কিছু যুক্তি না পেয়ে আপনি এখানে এসে আবোল তাবোল প্যাচাল শুরু করেছেন সেটা তো আপনার নিজের সমস্যা অন্য কারো নহে । এখানে বেশ কয়জন এই আর্টিকেলের বিরুধিতা করেছে মি: ক্স সহ -- তাদের মতামত আপনার নিকট হাস্যকর মনে হয় নি কেন । মি: নতুন গানের পক্ষে হাদিস পেশ করেছেন ১৫নং কমেন্টে --- সেগুলো কি আপনার নিকট হাস্যকর ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

এম আর তালুকদার বলেছেন: দয়াকরে নিজেদের মধ্যে কাদা না ছিটিয়ে বিষয়বস্তুর উপর আলোচনা করি।

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

মেরিনার বলেছেন: আরো বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে দেখুন/পড়ুন:
view this link

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৭

এম আর তালুকদার বলেছেন: এমন একটা লিংক দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০২

তারেক ফাহিম বলেছেন: আলোচনা ও মন্তব্য দেখে আমার কাছে মনে হল, গানের কথা অশ্লিল কিংবা শিরক ব্যাতিত গান শোনা যাবে।
বিস্তারিত আরও বুঝতে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:১৯

এম আর তালুকদার বলেছেন: ইমাম শাফেয়ী রাহ. শর্তসাপেক্ষে শুধু ওলীমা অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশ আছে বলে মত দিয়েছেন। কেননা বিয়ের ঘোষণার উদ্দেশ্যে ওলীমার অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশের বর্ণনা হাদীসে রয়েছে।- জামে তিরমিযী হাদীস : ১০৮৯; সহীহ বুখারী হাদীস : ৫১৪৭, ৫১৬২

আমি এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে অবান্তর কথাবার্তা ও বাদ্যযন্ত্রে উপর নিষেধাজ্ঞা আছে তবে খারাপ কিছু ইঙ্গিত করার মত কথা আছে এমন গান ব্যতিত বা আল্লাহ ও তার হাবীবকে নিয়ে প্রশংসা করে গান গাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৯

প্রামানিক বলেছেন: গানের কথা যদি অশ্লিল না হয় তা হলে গান হারাম নয়, যদি গান হারাম হয় তাহলে ইসলামী জলসায় যে ইসলামী গান গাওয়া হয় এগুলোও হারাম হবে। বাদ্য যন্ত্রের মধ্যে শুধু ডাফ বা দফা বাজানোর অনুমতি আছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫০

এম আর তালুকদার বলেছেন: অনেকদিন পরে আমার পোষ্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে ধন্য হলাম। আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ন সহমত।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: বাদ্য যন্ত্রের পক্ষে বিপক্ষে হাদিস আছে কিন্তু কোরানে এ ধরনের কোন কিছু বলা হয় নি। আমরা জানি যখন আজান কিভাবে দেওয়া এটা নিয়ে আলোচনা চলছিল তখন কয়েক জন সাহাবি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আজান দেওয়ার প্রস্তাব করেন কিন্তু সেটা গ্রহন করা হয় নি। ণবাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ হোলে তারা কখন এমন প্রস্তাব করতেন না বা রসুল (সা) এই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য রেগে জাননি বা ভৎসনা করেন নি। শুধু মাত্র হাদিসের উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কি ঠিক হবে

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে” [বুখারি]।

উপরের এই কথা দ্বারা আমরা কি বুঝবো ?

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:০৭

এ আর ১৫ বলেছেন: আমি বলছি পরস্পর বিরুধি হাদিস আছে বাদ্যযন্ত্রের ব্যপারে সুতরাং এগুলকে ভিত্তি করে মতামত নেওয়া ঠিক হবে না। ওই হাদিসের মধ্যে রেশমি কাপড়ের কথা বলা হয়েছে কিন্তু কেউ এই হাদিস মানে না এবং সবাই কখনা কখন রেশমি কাপড় পরে। ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস কতখানি নির্ভুল সেটা বিবেচনার বিষয়। রেশমি কাপড় কি অপরাধ করল বুঝলাম না এবং সেই সাথে বাদ্যযন্ত্র।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

এম আর তালুকদার বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @ চাঁদগাজী ! ধর্ম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান কি দিন দিন হাঁটুর নিচে নামিতেছে ? রাসূলের স. এর সাহাবী রা. গন আল্লাহর রাসূলের কথা ঠিকভাবে বুঝেন নাই, বুঝিয়াছে আমাদের পাঁঠারা!!

১৫ বিচিওয়ালা পাঁঠার ব্যাপারে কি বলিব ! ইহার বিচি হাইড্রার মতন বাড়িতে থাকে ! যত কাটিবেন তত বাড়িবে ! তাই কাটা বন্ধ করিয়াছি ! যাহা কিছু ইসলামে হারাম এই পাঁঠা ইনিয়ে বিনিয়ে তাহার সবকিছুই হালাল করিতে চেষ্টা করে !

ধর্মীয় বিষয়ে অধিকাংশ ব্লগারই নাবালেগ ! আর নাবালেগ কখনো বালেগ হওয়া কি জিনিস বুঝিতে পারে না ! আপনি এই নাবালেগ সম্প্রদায়ের মধ্যে ফেকাহের বিষয় আলোচনাতে আনিয়াছেন ? আজব ! প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মীয় শিক্ষা ব্যাতিত ইহার হালাল বা হারাম হওয়ার আলোচনায় নাবালেগরা কিভাবে অংশগ্রহণ করিবে ?

আফসোস ! রকেট সাইন্স আলোচনা করিতে আসিয়াছেন প্রাইমারি ইস্কুলে !

২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: ১৫ নং কমেন্টের উত্তরে আপনি যা বলেছেন -----
আমি এখন পর্যন্ত যা বুঝেছি তাতে অবান্তর কথাবার্তা ও বাদ্যযন্ত্রে উপর নিষেধাজ্ঞা আছে

অবান্তর কথাবার্তা মানে গান নহে , গানে সুর ছন্দ , তাল , তান থাকে কিন্তু কথাতে সেগুলো থাকে না । এই কথাবার্তা কেই হারাম করা হয়েছে , গানকে নহে তবে ঐ অবান্তর কথার উপর সুর তাল বসিয়ে গান করলে সেটা অবশ্যই হারাম । কোন মানুষকে যখন অন্য মানুষ প্ররোচিত করে খারাপ বা গুণার কাজ করা জন্য, সেগুলো কিন্তু তারা কথাবার্তা দিয়ে করে, গান গেয়ে করে না । কেউ যদি কাউকে মার্কসের আদর্শে মগোজ ধলাই বা তালেবানি জামাতী আদর্শে মগোজ ধলাই করে তাদের পথে আনতে চায় , সেই সব কর্ম কথাবার্তা বক্তিতা ইত্যাদির মাধ্যমে করে , এর কোনটাই গান গেয়ে করে না এবং যারা এ সমস্ত কাজ করে তাদের ৯৯.৯৯৯% গানের রেওয়াজ করে না যে গানের মাধ্যমে কু কর্ম করার জন্য প্ররোচিত করবে । এই অবান্তর কথাবার্তা ব্যপারে কোরানে বলা হয়েছে ।
এবার আসা যাক বাদ্য যন্ত্রের ব্যপারে ----- এই ব্যপারে পক্ষে বিপক্ষে দুই রকমেরই হাদিস আছে । বাদ্য যন্ত্রের বিপক্ষে আপনি যে হাদিসটি দিয়েছেন --- : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মতের মধ্য হতে একদল লোক এমন হবে যারা ব্যভিচার, রেশমি বস্ত্র পরিধান, মদ পান এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি হালাল মনে করবে” [বুখারি]।

এই হাদিসখানি ৩০০ বৎসর পরে লিখা এবং মদ এবং ব্যভিচার কে একই পাল্লায় রেশমের কাপড় পরা এবং বাদ্যযন্ত্রকে আনা হয়েছে , আমার প্রশ্ন বাদ্যযন্ত্রকে নিয়ে নয় রেশমি কাপড় নিয়ে ??? রেশমি কাপড় কি শয়তানের মন্ত্রণাদেয় বা এই কাপড়ের ব্যবহৃত গুটি পোকার ককুন টা হারাম ??? আমি নিজে রেশমের সার্ট পড়ি এবং রেশমের পান্জাবি পড়ে নামাজ পড়েছি অনেক সময় এবং প্রত্যেক মানুষ হুজুর মৌলবী সহ কখনো কখনো রেশম কাপড়ের বস্ত্র পরিধান করে । আমি এর কোন জবাব খুজে পাচ্ছি না । এবার দেখি বাদ্যযন্ত্রের পক্ষে হাদিস --
Volume 6, Book 61, Number 568:

Narrated Abu Musa:
That the Prophet said to him' "O Abu Musa! You have been given one of the musical wind-instruments of the family of David .'

And on one final note, I thought the following Hadith can also be used in the matter. The Hadith relates of how the adhan came to be, and how the Prophet's companions suggested the use of musical instruments such as the horn or bell like the People of the Book. Now although the Prophet ultimately approved the use of the human voice, there is no mention that the Prophet chastised his companions for suggesting musical instruments for the adhan. And if the Prophet was so very much against musical instruments, then why would his companions dare to suggest the use of such sinful things in the call to prayer????

From Muslim Book 004, Number 0735:

Ibn Umar reported: When the Muslims came to Medina, they gathered and sought to know the time of prayer but no one summoned them. One day they discussed the matter, and some of them said: Use something like the bell of the Christians and some of them said: Use horn like that of the Jews. Umar said: Why may not a be appointed who should call (people) to prayer? The Messenger of Allah (may peace be upon him) said: O Bilal, get up and summon (the people) to prayer.
বাদ্য যন্ত্রের পক্ষে বিপক্ষে হাদিস আছে কিন্তু কোরানে এ ধরনের কোন কিছু বলা হয় নি। আমরা জানি যখন আজান কিভাবে দেওয়া এটা নিয়ে আলোচনা চলছিল তখন কয়েক জন সাহাবি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আজান দেওয়ার প্রস্তাব করেন কিন্তু সেটা গ্রহন করা হয় নি। ণবাদ্যযন্ত্র নিষিদ্ধ হোলে তারা কখন এমন প্রস্তাব করতেন না বা রসুল (সা) এই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য রেগে জাননি বা ভৎসনা করেন নি।


তবে খারাপ কিছু ইঙ্গিত করার মত কথা আছে এমন গান ব্যতিত বা আল্লাহ ও তার হাবীবকে নিয়ে প্রশংসা করে গান গাওয়া যাবে বলে মনে হয়।

আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল যে সব ধরনের গান ই হারাম । খারাপ ভাষার শুধু গান কেন ,যে কোন কিছুই হারাম , ধরুন একটা বই, সেই বইটা ভালো সাহিত্য হতে পারে বা সায়েন্সের বই হতে পারে বা ইতিহাসের বই হতে পারে বা ধর্মীয় পুস্তক হতে পারে । এবার এই বইটা একটা নোংরা পর্ণো বই হতে পারে । কিছু বই নোংরা বলে, সব বইকে হারাম বলা কি যায় ???? যদি কিছু গানের বাণী খারাপ হয় তাহোলে, অন্য গান গুলোকে কি হারাম বলা যাবে ???? ধন্যবাদ

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

এম আর তালুকদার বলেছেন: আপনি বলেছেন আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল যে সব ধরনের গান ই হারাম ।

আমার মনে হয় আলোচনার বিষয়ের শিরোনামের বিরাম চিহ্নের মানে বুঝেননি। শিরোনামে প্রশ্নবোধক ও জিজ্ঞাসা চিহ্ন ছিল। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

এভো বলেছেন: একটা সুন্দর আলোচনা চলছিল কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল বিষয়টা । বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পক্ষে এবং বিপক্ষে অনেক কিছুই জানা গেল । এত দিন গানের বিপক্ষে মতামত পাওয়া গিয়েছিল এখন গানের পক্ষে অনেক মতামত পাওয়া গেল । এখানে আপনি বা আমরা নিজের বিবেক, যুক্তি এবং বিবেচনা দিয়ে একটা মধ্য পন্থা অবলম্বন করতে পারি । যারা হারাম বলছেন তাদের যেমন যুক্তি আছে ঠিক তেমনি যারা হালাল বলছে তাদের পক্ষেও যুক্তি আছে ।
কোন পক্ষকেই আমি মুনাফেক অইসলামিক , কাফের , নাস্তিক বলতে রাজি নই । আমার মনে হয় মতের অমিল হলে অন্য পক্ষকে নাস্তিক কাফের মুরতাদ এই জাতীয় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ । ধন্যবাদ

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

এম আর তালুকদার বলেছেন: আমি আলোচনা করার জন্যই পোষ্টি দিয়েছিলাম। পোষ্ট ও মন্তব্যগুলো পড়েছেন যেনে খুশি হলাল। তবে অনেকে শিরোনামের বিরাম চিহ্নের মানে বুঝেনি দেখেও অবাক হয়েছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৬| ১৪ ই জুন, ২০২১ রাত ১০:৩৭

ফয়সাল ইবনে সেলিম বলেছেন: এ আর ১৫
আপনার কথাগুলো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক মনে হল !এবার বলুন
১) আজানের মধ্যে -- কথা, সুর ও তাল আছে কিনা ? যদি থাকে তাহোলে গান কেন হারাম ????
২)কোরান তেলোয়াতের ভিতর ---- কথা, সুর ও তাল আছে কিনা ? যদি থাকে তাহোলে গান কেন হারাম ?????

আজান এবং কুরআন তিলাওয়াতের সুর ও তাল আছে। আপনাকে আল্লাহ তাআলা সুরতাল দিয়েছেন কুরআন তিলাওয়াতের জন্য এবং মুয়াজ্জিনদের সুরতাল দিয়েছেন কুরআন তিলাওয়াত আযান দেওয়ার জন্য !! অথবা কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি আপনার সুরতাল ব্যবহার করে ইসলামিক গান গাইতে পারেন যা দ্বারা মানুষ ইসলামের দিকে প্রভাবিত হবে ।
কিন্তু আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামত সুরতাল যা আল্লাহ তাআলা কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামের দিকে আহবান করার জন্য দিয়েছেন তা দিয়ে আপনি অনর্থক অপ্রয়োজনীয়' খারাপ বাক্য ব্যবহৃত গান গাইবেন কেন ? এতে করে কি আল্লাহ নেয়ামতকে অস্বীকার করা হচ্ছে না ?
আর বাজনা দিয়ে ইসলামের কোন কিছুই স্বীকৃত নয় !! এমনকি কুরআন তিলাওয়াত ও আজান ও বাজনা বাজিয়ে স্বীকৃত নয় । আশা করি এর ব্যাখ্যা প্রদান করার প্রয়োজন হবে না । কারণ যথেষ্ট ব্যাখ্যা পোস্টে উল্লেখ করা আছে!!

এবার আসি আপনার গান-বাজনা কে অর্থাৎ অশ্লীল গান বাজনা কে হালাল বানানোর কিছু হাদিস বা কুরআনের ব্যাখ্যা নিয়ে !! কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা স্বয়ং সাহাবী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে , (যেটা পোস্টে তাফসির আকারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে) ,, ওই একই আয়াতের ব্যাখ্যা আপনার মত অযৌক্তিক অস্বীকৃত ভুল ব্যাখ্যাকারী লোক থেকে কোন যুক্তিতে গ্রহণ করব?
সাহাবী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু দের তাফসির বেশি না আপনার তাফসীর বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন?
একজন সাহাবী যদি একটা আয়াতের তাফসীর করেন তাহলে ওই একই আয়াতের তাফসীর বর্তমানকালের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ বিজ্ঞ জ্ঞানী আলেম মুফাসসির ফকির মুহাদ্দিস মুফতি থেকেও যদি তাফসীর করা হয় তাহলে একজন সাহাবীর তাফসীর সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে !! সেই ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব তাফসীর চলবে না।
স্বার্থ হাসিলের চোখে আপনার কুরআন দেখা পরিহার করুন হেদায়েতের পথে আসুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন

২৭| ১৫ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: কমেন্ট ২৬ ফয়সাল ইবনে সেলিম,,,,, সুর তাল শুধু মাত্র আজান কোরান তেলয়াতের জন্য,, এই বক্তব্য বা দাবির পক্ষে কোরানের আয়াত এবং হাদিস পেশ করুন দয়া করে।
এই ধরনের কোন রুলিংস নাই বিধানে, তাই আপনার দাবি ধোপে টিকে না।

জী অশালীন গান কেন যে কোন জিনিস ই হারাম। কিছু গান যদি অশালীন হয় তাহোলে অন্য গান ও হারাম দাবি করা কি সংগত?
মনে করুন পুস্তক সেটা ধর্মিয় পুস্তক হতে পারে, বিজ্ঞানের বই হতে পারে, গল্প সাহিত্য হতে পারে, ইতিহাসের বই হতে পারে, ভুগোলের বই হতে পারে এবং পরি শেষে নোংড়া চটি বই হতে পারে।
এবার বলুন কিছু বই নোংড়া চটি বই বোলে, অন্য বই গুলোকে হারাম বলা যায়?
কিছু গানের কথা যদি আপত্তিকর হয় তাহোলে বাকি গান গুলো হারাম দাবি করা কি যুক্তি সংগত?
কিছু মুফতি আলেম খুব নোংড়া ভাষায় ওয়াজ করে, সেই কারনে প্রপার ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ দাবি করবেন নাকি?
আপনু যে দাবি নিয়ে এসেছেন সেটাকে বলে রিভার্স ফেলাসি বা পালটা কু যুক্তি।
সুর তাল শুধু ইসলামিক বিষয়ের জন্য প্রজোয্য এর পক্ষে সহি হাদিস তো দুরের কথা একটা দুর্বল হাদিস দেখাতে পারবেন না, কোরানের আয়াতের কথা বাদ ই দিলাম।
কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত এই বিষয়ে গ্রহন যোগ্য নহে।
পরিশেষে দেখলাম, উপরের মন্তব্যটা করার জন্য নতুন ব্লগ খুলেছেন কিন্তু এই পোস্টে বেশ কয়েক জন ইসলাম বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন কিন্তু কেহ ই আপনার মত রিভার্স ফেলাসি করে নি।
ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.