নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.facebook.com/solhere

সোলায়মান

নিজের একটি ছোট আইটি ফার্ম আছে। সরকারি বেসরকারি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করি আর কাজ শেষে ঘুমাই। :)

সোলায়মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে সামান্য কিছু তথ্য

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৭

আমার এই পোস্টটি বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে। জন্মসূত্রে আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। কিন্তু কপালের গুণে, বাবার চাকরী ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পোস্টিং হওয়াতে গত ২০০১ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই আছি। এ সময়ের সুবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। সেই লক্ষ্যে চষে বেরিয়েছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আদি কিছু তথ্যের খোঁজে। তাঁরই কিছু অংশ কলাম আকারে তুলে ধরলাম -



প্রথমে লিখব ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং নামকরণ সম্পর্কে :

মেঘনা ও তিতাসের মধ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সংগীত, ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পার্শ্ববর্তীদেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সুপরিচিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রয়েছে বহুপ্রাচীন নিজস্ব ঐতিহ্য, যা এখনো লালন করে আছে তার একান্ত চিন্তা ধারায়। চলমান বাংলাদেশের বিস্তর একটি জেলা কুমিল্লা। এই কুমিল্লা জেলা থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারী, ১৯৮৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়। বিকেন্দ্রীয়করনের পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তার নিজস্ব ধারায় শিক্ষা, শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সংগীত, ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে বহুদিক দিয়ে। পুরোনো তথ্যগুলোকে খুঁজতে খুঁজতে বেরিয়ে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরনে একাধিক মতপার্থক্য। তবে একটি মতানুযায়ী, সেন বংশের আমলে রাজা লক্ষণ সেন বিশেষ প্রয়োজনে কিছু সংখ্যক ব্রাহ্মণ পরিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বর্তমান শহর এলাকা মৌলভীপাড়াস্থ বসতি করে এবং ঐ ব্রাহ্মণ পরিবারের স্থান অনুযায়ী ব্রাহ্মণপাড়া নামকরণ করা হয়। আনুমানিক ঐ ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নামকরণ করা হয়।



আর সীমানার দিক দেয় যদি চিন্তা করি, তাহলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্ব দিকে : হবিগঞ্জ জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা, পশ্চিম দিক : নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জ জেলা, উত্তর দিকে : হবিগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণ দিকে : কুমিল্লা জেলা।



ঐতিহ্যের দিক দিয়ে ঐতিহাসিক স্থান ও ঐতিহ্য

১) আরিকাইলের মসজিদ (সরাইল)

২) কালভৈরব মন্দির (সদর)

৩) খরমপুর মাজার (আখাউড়া)

৪) কুল্লা পাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ (কসবা)

৫) বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল এর কবর (আখাউড়া)

৬) তোফায়েল আজম মনুমেন্ট (বি-বাড়িয়া সদর)

৭) ভাদুঘর মসজিদ (বি-বাড়িয়া সদর)

৮) বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র মৈত্রী সেতু (আশুগঞ্জ)

৯) আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্ত মঞ্চ (পৌরমুক্ত মঞ্চ) ইত্যাদি।



ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এবং ঐতিহ্য :

সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ফকির আফতাব উদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আয়াত আলী, মহর্ষি আনন্দময়ীসহ অনেক জন্ম হয় এই জেলায়। বাংলার বার ভূইয়ার শ্রেষ্ঠ ভূইয়া ইসা খাঁর জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাছাড়া সৈয়দ শামসুল হুদা, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন ছাড়াও অনেক মান্যগন্য পুরুষ এ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাছাড়া তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ, সরাইলের হাসলি মোরগ, পুতুল নাচ এবং ভাদুঘরের সার্কাস ও যাত্রা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যের অন্যতম অংশ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন: ভাল সুচনা। চালিয়ে যান।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪০

সোলায়মান বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফ ভাই।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৪:৩৯

এম এস সোহেল বলেছেন: পরবর্তিতে নোয়াখালি নিয়ে লিখবেন আশা রাখি।






ব্লগে স্বাগতম

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৩৫

সোলায়মান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আশা করি নোয়াখালি নিয়ে লিখতে পারব।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:০৪

নষ্ট ছেলে বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।
জন্ম সূত্রে আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৩৭

সোলায়মান বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো হলো প্রথমেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজনকে পাওয়া গেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.