নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.saifoddowla.com

এম এস জুলহাস

কোচিং, প্রাইভেট ও নকলমুক্ত শিক্ষক, শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন চাই . . .

এম এস জুলহাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কতিপয় পরিমলের জাত ভাই, সবাই নয়, সবাই পরিমল নয়। (পোলাপান ঢুকবানা, এখানে বড়রা কথা বলছেন)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৯

দানিং শিক্ষক নামের কিছু কিছু ইতর প্রাণীদের কারণে মাঝে মাঝে নিজেকে মনে হয় রাস্তার একটা মরা ছাগলেরও কিছু দাম আছে, কিন্তু আমারতো তা-ও নাই ! লজ্জায়, ঘৃনায় নিজের গা নিজের কাছেই গন্ধ করে। কারণ আমিতো ওদের পেশাতেই আছি, ঐ পেশাতেইতো আমার রুটী-রুজী চলে !



শিক্ষকতা নাকি একটা মহান পেশা। এই যুগে মানুষ এটা কেন বলে আমি তা ভেবে পাইনা। ছোট সময় দেখতাম আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণকে দারিদ্রতার চরম কষাঘাতে পিষ্ঠ হতে। কয়েকমাইল দূর থেকে ১০/১৫ বছরের পুরানো ভাঙ্গা-চোড়া সাইকেলে চেপে আসতেন। সাইকেলের ব্রেক নাই, বেল নাই। সীটের উপর নরম কিছু নাই। সীটের উপর আল-আমীনের গ্লুকোজ আর সুপার বিস্কুটের কয়েক টুকরা কাগজ আর পলিথীন পেঁচিয়ে পাটের দড়ি দিয়ে মোড়ানে। পড়নে নরসিংদির ভাগলপুরী মোটা সবুজ লুঙ্গী। তারও আবার কয়েক জায়গায় আরশোলায় চেটেছে। দু’এক জায়গায় সাদা কিংবা কালো সুতায় রিপু করা . . .।



তখন ভাবতাম স্যাররা বুঝি খুব কৃপণ হয়। এতটাকা বেতন পেয়েও তাদের অবস্থা এমন কেন ? তখন কৌতুহল বশতঃ স্যারদের ছেলে-মেয়ে সহপাঠীদেরকে জিজ্ঞাসা করতাম- স্যার আমাদেরকে পড়িয়ে কতটাকা বেতন পানরে ? শুনেছি সর্ব সাকুল্লে ২৮ শ’ টাকা। -এ হচ্ছে তখনকার গ্রাম্য শিক্ষকদের চিত্র। এত কিছুর পরও কখনো দেখিনি তাদের নৈতিক কোন স্খলনের দৃশ্য। শুনিনি কোন দোকানে বাকীর খাতায় তাদের নাম আছে। এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারি কেন তাঁরা অমন ছিলেন। ওটা আসলে কৃপণতা নয়। ওটাই দারিদ্রতা। আসল দারিদ্রতা। তাঁরা কাউরো কাছে হাতও পাততে পারতেন না। পারেন না। লোক লজ্জার ভয়ে তাঁরা অনেক কিছুই চেপে গেলেও আমাদের কচি মনে তা কিছুটা হলেও ধরা দিতো। -এই হচ্ছে আদর্শ-মহান পেশার স্বরূপ। যাঁদেরকে দেখলে, যাঁদের কথা স্মরণ হলে শ্রদ্ধায় মাথা নুইয়ে আসে এখনোও।



আসলে প্রত্যেকটি পেশাইতো সেবামূলক আর সু-মহান। শুধুমাত্র শিক্ষকতা পেশাটা সামান্য একটু ব্যতিক্রম। এ পেশাতে উচ্চাকাঙ্খা দোষের কিছু নয়।



তবে মাঝে-মধ্যে মনকে শুধু এই বলে প্রবোধ দেই যে- সমাজের একজন নিম্নশ্রেণীর পেশাদার থেকে উচ্চ শ্রেণীর পেশাদার ব্যক্তিমাত্রই তার পেশা সংক্রান্ত উচ্চাকাঙ্খা থাকতে পারে। একজন ঝাড়ুদার, জুতা সেলাইকারীও আশা করে দিনে তার আরোও বেশী আয় হোক। তেমনি একজন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারও তা চান। এ চাওয়াতে কোন দোষ দেখিনা। একজন ডাক্তারের এ উচ্চাকাঙ্খায় বলতে পারি তিনি মনে মনে চাচ্ছেন দেশে রোগীর পরিমাণ আরোও বেড়ে যাক, একজন উকিলের চাওয়া- দেশে আরোও মামলা মোকাদ্দমা বেড়ে যাক, সহিংসতা বাড়ুক তাতে তাঁর ইনকাম আরোও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এমনটা সকল পেশার বেলায়ই প্রযোজ্য। কেবলমাত্র ব্যতিক্রম শিক্ষকতার পেশায়। একজন শিক্ষক চান তাঁর বিদ্যালয়ে, কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী আরোও বৃদ্ধি পাক। এতে তাঁর ইনকাম বাড়বে আরোও। যেমনটা সবাই চান। কিন্তু তাঁর এ চাওয়ায় কল্যাণ নিহিত দেশ জাতি সমাজ রাষ্ট্রের। তাঁর এ চাওয়া সমাজ রাষ্ট্রকে আলোকিত করার জন্যে। এ আশাটা তাঁর যত দ্রুত আর বেশী বেশী পূরণ হবে দেশ জাতির ততই মঙ্গল ততই আলোকিত হবে। এ ব্যতিক্রমী পেশার তফাতটা সেখানেই. . .



খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এ পাঁচ মৌলিক অধিকারের মধ্যে মানুষকে সভ্য ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলে সু-শিক্ষা। সু-শিক্ষাই পারে মানুষকে তার কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছে দিতে। আমাদের দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় যা রয়েছে তা হলো- শহর লেভেলে ছেলে মেয়েরা নার্সারী, কেজি স্কুল পার হয়ে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হয় এবং তা হতে পারে কোন কিন্ডার গার্টেন বা প্রাথমিক বিদ্যালয় বা সরকারী / বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কিন্তু গ্রাম-গঞ্জে সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের কথা বলতে চাই না কারণ এ ব্যাপারে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং ফলাফল সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল আছেন। আমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু বলতে চাই। মাধ্যমিক পর্যায়ে- নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ - ৮ম শ্রেণী, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ষ্ঠ - ১০ম শ্রেণী এবং অনেক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূতে শিক্ষার ধারা ও মান সম্পর্কে আমি আমার একান্ত কিছু পর্যালোচনা তুলে ধরছি। প্রথমে আমরা দেখি মাধ্যমিক পর্যায়ে যারা শিক্ষা প্রদান করেন তাদের কী অবস্থা ?



মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থাকায় এখানে নিয়োগ প্রক্রিয়ায়ও রয়েছে ভিন্ন ধারা। সরকারী পর্যায়ে একটা নির্দিষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক / শিক্ষিকা নিয়োগের ধারা প্রচলিত আছে। বর্তমানে চার বছরের অনার্স বা তিন বছরের অনার্স ও মাস্টার্স পাশ এবং গ্র্যাজুয়েশন সহ বি.এড. পাশ নূন্যতম যোগ্যতা ধরে ইন্টারভিউয়ের (লিখিত + মৌখিক) মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান করা হয়ে থাকে। গ্র্যাজুয়েট বি. এড. ধারী যে সকল শিক্ষক / শিক্ষিকা নিয়োগপ্রাপ্ত তাঁরা শিক্ষকতা পেশাকে প্রথম থেকেই মানিয়ে নে’য়ার চেষ্টা করে থাকেন। কারণ অধিকাংশই এ লক্ষ্যই বি. এড. কোর্সটা করেছে। কিন্তু যে সকল শিক্ষক / শিক্ষিকা চার বছরের অনার্স বা তিন বছরের অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করে সরকারী বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে থাকেন তাঁদের বয়স সীমা ৩০ / ৩২ বছর পর্যন্ত শিক্ষকতায় মনোনিবেশ করতে পারেন না। তারা শুধু হতাশায়েই ভুগেন না, কখনো কখনোও তাদের আচরণও অস্বাভাবিক হয়ে থাকে। তাঁদের চিন্তা-চেতনা থাকে শুধু কলেজ শিক্ষক / অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ পাওয়া নিয়ে। কারণ মাধ্যমিক পর্যায়ের সহকারী শিক্ষকগণ এখনো তৃতীয় শ্রেণীর মর্যাদায় পড়ে রয়েছেন। যদিও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পি.টি.আই ইনস্ট্রাক্টরগণ পূর্বে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণের পদমর্যাদা ভোগ করলেও এখন তারা প্রথম শ্রেণী পদমর্যাদা ভোগ করছেন।



সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ এখনো একই পর্যায়ে থেকে যাওয়ায় চাকুরীর উচ্চমূল্যের বাজারে শুধু নামকাওয়াস্তে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শুধু চাকুরীকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এ হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিভিন্ন ভাবে। কেউ কেউ শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের পরিবর্তে প্রাইভেট টিউশনীতে বেশী সময় ব্যয় করেন। কারণ তাঁরা হতাশাকে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে ভুলতে চান। আমি তাঁদের সমালোচনা করছি না- তাঁদের অবস্থাটা তুলে ধরছি। তাঁরা এ পথে যেতে বাধ্য হন। কারণ তাঁদের নূন্যতম চাহিদাটুকুও পূরণ করার মতো বেতন তারা পান না। ফলে সরকারী স্কুলের শিক্ষক / শিক্ষিকাগণ পরিবারের নূন্যতম চাহিদা পূরণের জন্য এ ধরণের ভিন্ন পথ বেছে নেন। শিক্ষকগণ ভালোভাবে জীবন যাপন করুন তা কিন্তু অনেকেই চায় না। ক’দিন আগেই একটি পত্রিকা ও এই ব্লগেই দেখলাম- শিক্ষকগণের প্রাইভেট টিউশনী সম্পর্কে একটি লেখা। জনৈক শিক্ষক না-কি মাসে ২ লক্ষ টাকা ইনকাম করেন। সাংবাদিক ও ব্লগার ভাইকে বলতে ইচ্ছে করে- কতিপয় হাতে গোনা এ ধরণের কিছু শিক্ষক ছাড়া যখন দেশের অধিকাংশ শিক্ষক তাঁর পরিবারের নূন্যতম চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হন, কই তাঁদেরকে নিয়েতো কখনো পত্রিকার শিরোনাম করেন না, তাঁদেরকে নিয়েতো ব্লগে কোন লেখা চোখে পড়েনা ? আপনারা শুধু নেগেটিভ চিন্তাটাই করলেন ? পজেটিভ হিসেবে আপনার কি বলা উচিত ছিলোনা শিক্ষকগণকে যে নূন্যতম বেতন ভাতা দিয়ে বেঁধে রেখেছেন তা অন্যায় ও অমানবিক ? আশা করি, সাংবাদিক ও ব্লগার ভাইয়েরা ভবিষ্যতে এ পজেটিভ চিন্তাটা করার অবসর পাবেন। বেতন, ভাতার এই দৈন্য দশায় কোন ভালো শিক্ষক এখানে থাকতে চাননা। সব সময় তাঁদের একই চিন্তা কখন এ চাকুরী থেকে মুক্তি পেয়ে কোন সুপিরিয়র চাকুরী যোগাড় করতে পারবেন।



বেসরকারী বিদ্যালয়ের দশাতো আরোও করুণ। এখানে সরকার থেকে বেতনের যে অংশ দে’য়া হয় তা সরকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের বেতনের চে’ও অনেক কম। তারা কীভাবে জীবন যাপন করবেন ? তাঁরাও বাধ্য হয়ে শ্রেণী পাঠের দিকে মনোযোগী না হয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে টিউশনীর পথ বেছে নেন। এটাকে আমি এখন আর দোষ হিসেবে দেখিনা। কারণ তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য সরকারী তরফ থেকে কোন উদ্যোগ নে’য়া হয়নি। সরকার হুমকি ধামকি দিয়ে শিক্ষকদেরকে শুধু নাজেহালই করে থাকেন, সমস্যার কিন্তু সমাধান করেন না।



শিক্ষকরা যে শুধু এভাবেই বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। সরকারী অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সপ্তাহে দুইদিন ছুটি ভোগ করছেন এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি নিজেও দুই দিন ছুটি ভোগ করছেন আর শিক্ষকগণ সপ্তাহে ছুটি ভোগ করছেন একদিন। ব্যাংক যেখানে একদিন বন্ধ থাকলে সরকারের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে সেই ব্যাংকও দুই দিন বন্ধ থাকে। শুধু কি তাই ? কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যেমন- বুয়েট, ডুয়েট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকে, সেখানে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছোট ছোট শিশুদের জন্য দুইদিন ছুটি দিয়ে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের সুযোগ দিচ্ছেননা, যা তাদের জন্য একান্তই প্রয়োজন ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সপ্তাহে দুইদিন ছুটির প্রয়োজন হলে শিশুদেরতো একদিন পরপর ছুটি হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু শিশুদের দিকে না তাকিয়ে, আছেন শুধু শিক্ষকদের কীভাবে খাটানো যায় সেই ধান্দায় ! বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিভিন্ন নির্বাচন ডিউটি, আদম শুমারী, বিভিন্ন ধরণের শুমারী, কার বাড়ী টিউবওয়েল নাই, কার বাড়ী কাঁচা পায়খানা কয়টা, পাকা কয়টা ইত্যাদি গুনানো।



আমরা শিক্ষকরাওতো আগের থেকেই গো-বেচারা, সরকার যা বলেন তা-ই মাথা পেতে নেই। নিতেও বাধ্য হই। কোন দ্বিধাবোধ করি না, তার কারণও রয়েছে ঢের। যেমন- সরকারী বিদ্যালয়ে সমূহের মধ্যে যারা রাজধানী কিংবা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় চাকুরী করেন- তারা কখনোও সরকারের মতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান না, করেন না। সরকারী-বেসরকারী বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষকদের যে কয়টা সংগঠন আছে তার প্রত্যেটির কর্তাব্যক্তি, সভাপতি, সহঃ সভাপতি, সম্পাদাদ, যুগ্ম সম্পাদক, সহঃ সম্পাদক ইত্যাদি পদগুলো রাজধানীর ঐ প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলোরই শিক্ষক। তাঁরা কিভাবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবী আদায়ে সচেষ্ট হবেন ? প্রত্যন্ত এলাকায় চাকুরীরত অবস্থায় সরকারের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শিক্ষকটির মুখে প্রতিবাদের ঝড় বইতো সে-ই কোনক্রমে ঘুষ বাণিজ্যের বিনিময়ে রাজধানীর বুকে কোন বিদ্যালয়ে ঠাঁই নেন। শত অব্যবস্থাপনাতেও তার মুখে এখন আর রা’ শব্দটিও নেই। তারা জানেন প্রতিবাদ করলে তাদেরকে রাজধানী কিংবা সিটি কর্পোরেশনের বাইরে বদলী করে দেবে। এই ভয়ে সরকারী স্কুলের শিক্ষগণ সব সময় বদলী আতঙ্কে থাকে। এ অবস্থা আমার বেলায় হলে আমার করণীয়ও হয়তো তাই হতো। হয়তো এ লেখারও অবতারণা হতো না। কর্তৃপক্ষের রোষানলের ভয়ে তাঁরা সর্বদা থাকে তটস্থ।



সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কোন নিয়মনীতি নেই। সরকারী চাকুরীর কোন বিধান এখানে মানা হয়না। অতীতে হয়নি কোনদিন। কেহকেহ তার সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে পোস্টিং নিয়ে থাকছে আজীবন। আবার কেহ জীবন ভর অসুবিধার মধ্যে থেকে কোন দিনই সুবিধাজনক স্থানে বদলী হতে পারছেন না। এ সকল অনিয়মের দোলাচলে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো চলছে।



ওদিকে সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে প্রমোশন পাওয়া সে তো সোনার হরিণ ! একজন শিক্ষক সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়ে সারা জীবন এক পদে চাকুরী করেই পেনশনে যান। অথচ অন্য বিভাগগুলোতে তারই কোন প্রতিবেশী সর্বনিম্ন পদে যোগদান করে এল.পি.আর. -এ যান সর্বোচ্চ পদ মাড়িয়ে। যদিওবা অনিয়মের বেড়াজালে কদাচিত কাউরো কপালে পদোন্নতি জোটে তা-ও দেখা যায় শত অভিযোগের পাহাড়।



সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদ- ডিজি, ডাইরেক্টর বা ডিডি প্রত্যেকেটি পদেই আছেন কলেজ শিক্ষক। এখানে এসে তারা শুধু কলেজের কথাই চিন্তা করেন। মাধ্যমিক পর্যায় নিয়ে চিন্তা করার অবসর তাঁরা পান না। তাঁরা পদের ও নিজের সুবিধাগুলো আদায়ের পর এল.পি.আর. -এ চলে যান। মাধ্যমিক পর্যায় নিয়ে ভাববার ফুরসত ও সময় তাঁদের কোথায় ? মাঝে মাঝে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের গালাগালীও শুনতে হয়। যেমন- কর্ম কমিশনের জনৈক চেয়ারম্যান তিনি কথায় কথায় বলেন সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ তৃতীয় শ্রেণীর। তারা কীভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষকের ১ম শ্রেণীর পদ মর্যাদা পাবেন ?



বছর তিন / চারেক আগে একবার বদলীর দরখাস্ত নিয়ে দেখা করতে যাই একজন সচিব মহোদয়ের সাথে। যাওয়া মাত্রই লজ্জায় রুম থেকে বেরিয়ে আসি, যখন দেখি আমার জন্য অপমানিত হচ্ছেন তিনি, যিনি আমাকে নিয়ে গেছেন। পিতৃ স্থানীয় লোকটিকে যখন বলতে শুনি- কী সব আজে বাজে তৃতীয় শ্রেণীর লোক ধরে নিয়ে এসেছেন বদলীর জন্য ? এসব গরু ছাগল মাস্টারদের বদলীর জন্য আমাকে বলবেন না। চাকুরীর বয়স ২ বছর পূর্ণ হোক দরখাস্ত দিলে নিয়মানুযায়ী এমনি বদলী হতে পারবে। তখন পর্যন্ত অবশ্য আমার সাথে যোগদান করা ১১ জনের মধ্যে ৭ জনেরই বদলী হয়েছিলো। ৫ বছর পর আজ অবধি আমার বদলীটা হয়নি। নিজের প্রতি, পেশার প্রতি, চাকুরীর প্রতি, শিক্ষকতার প্রতি একরাশ ঘৃনায় ঘিন ঘিন করা দেহটা নিয়ে ফিরে এসেছিলাম। প্রশ্ন জাগে- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ কি তাঁরা নিজে নিজেই তৃতীয় শ্রেণীর হয়েছেন ? না-কি তাঁরা সরকারের অব্যবস্থাপনার শিকার ?



১৯৭৩ সনে জাতীর জনক, বঙ্গবন্ধু সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের সহকারী শিক্ষকগণকে ২য় শ্রেণীর পদমর্যাদা দিয়ে কিছু কিছু শিক্ষকগণের নাম গেজেট নোটিফিকেশন করেছিলেন। যা পরবর্তী সরকার এসে এ পদ মর্যাদাটুকুও বাতিল করেন। তাহলে এ দোষ কার ? সহকারী শিক্ষকগণের, না-কি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের ? এ সকল অনিয়মের মধ্যে থেকে সরকারী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকগণ হতাশায় ভুগতে ভুগতে এক সময় নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে, শ্রেণীতে পাঠদানের পরিবর্তে ঝোঁকে পড়েন প্রাইভেট টিউশনীতে। এটাও আবার তাঁদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ ভালো চোখে দেখেন না। আমি বলতে চাই- এর একটা সুষ্ঠু সমাধান হওয়া প্রয়োজন। নতুবা এক সময় এ অনিয়মগুলো মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার মান আরোও দূর্বল করে দিবে। মাধ্যমিক পর্যায়েই ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বেশী ঘটে থাকে। এ সময়টুকু অযত্নে অবহেলায় চলে গেলে পরবর্তীতে তা শোধরানোর উপায় থাকে না।



আর বেসরকারী বিদ্যালয় সমূহের অবস্থাতো আরোও করুণ। এ পর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের একেবারে নূন্যতম চাহিদার দিকেও সরকারের নজর আছে বলে মনে হয়না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনৈক অতিরিক্ত সচিব কথায় কথায় বলতেন বেসরকারী শিক্ষকগণের এম.পি.ও. কেটে দিবেন, স্কুল বন্ধ করে দিবেন। তিনি কারোও বক্তব্য শুনতেন না। তিনি নিজের ঢোল নিজেই পেটাতেন। কেউ কোন প্রশ্ন করলে তিনি বলতেন- আমাদের কর্মচারীদের একজন পিয়ন যে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন, বাংলাদেশের একজন কৃষক ও শ্রমিক কি সে সুবিধা ভোগ করছেন ? কাজেই আপনারা ভালো আছেন। বেতন ভাতাদি নিয়ে বা সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোন কথা বলবেন না। -এ হলো বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হালচাল। বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের বাড়ী ভাড়া বাবদ প্রদান করা হয় ১০০/- টাকা। যা দিয়ে এ উচ্চ মূল্যের বাজারে কিছু চিন্তা করা যায় কি ?



দেশের অধিকাংশ সরকারী বেসরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অপ্রতুলতা। সরকারী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক স্বল্পতার কথাতো সেই আদিকাল থেকেই শুনে আসছি। শিক্ষক স্বল্পতার কারেণ বাড়তি একটা চাপ পড়ে স্বল্প সংখ্যকদের উপরে। অনুপস্থিত শিক্ষকের অভাবটা কোনদিনই পূরণ হয়না শিক্ষার্থীদের। তদুপরি অধিকাংশ শিক্ষককেই দেখা যায় অনেক দূর থেকে জার্নি করে বিদ্যালয়ে পৌঁছায়, কোনমতে হাজিরা দেয়। আমার কর্মস্থলে ২৭ পদের বিপরীতে আমরা আছি মাত্র ১৪ জন। এঁদের মধ্যে ৭ জনই প্রতিদিন ৫ ঘন্টা করে ব্যয় করেন যাতায়াতে। বাড়ীর শত ঝামেলা মাথায় নিয়ে এত কষ্ট করে রোজগার করে যদি পরিবারে সময়ই না দিতে পারলাম তাহলে আর চাকরী-বাকরী করা কেন ? অনেকেই আবাসিক। যারা আবাসিক তাঁরা পারিবারীক, অর্থনৈতিক নানাবিধ ঝামেলায় থাকেন। এমতাবস্থায় তাঁদের পক্ষে পাঠদানে মন বসানো বড় কঠিন। নানা ঝামেলা নিয়েও অনেক বয়োঃবৃদ্ধ শিক্ষককে আবাসিক থাকতে হয়। তাদের পক্ষে কী করে সম্ভব পাঠদানে মনোযোগ দে'য়া ? সহকর্মীদের মধ্যে বয়োঃবৃদ্ধ ক'জনকে দেখি এই শেষ বয়সে নিজ হাতে রান্না করতে।



আরোও কথা আছে- কোন বিদ্যালয়ের কোচিং ফি নিয়ে এস.এস.সি. পরীক্ষার্থীদের কোচিং করালে কর্তৃপক্ষ জ্বলে যান। কোচিং ফি নে’য়া যাবে না। বিনামূল্যে কোচিং করাবেন। বড় বড় উপদেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারী করে দেন- কেহ কোচিং ফি নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নে’য়া হবে। কোন কোন বিদ্যালয় প্রধান কর্তৃপক্ষের চোখ রাঙ্গানীকে ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কোচিং ফি নিচ্ছেন এবং তাদের ফলাফল দেশের সর্বোচ্চদের কাতারে দাঁড়ায়। ফলাফল যখন ভালো হয় তখন তার ফায়দা লুটে নিতে ঠিকই ভুল করেন না কর্তৃপক্ষ। প্রধান অতিথি সেজে তখন বড় বড় বক্তৃতা প্রদান করেন। এ অবস্থা চলতে দে’য়া ঠিক হবেনা। তবে সবসময়ই কামনা করি প্রাইভেট ও কোচিংমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।



শিক্ষা অধিদপ্তরতো দূর্নীতি আর ঘুষখোরের আখড়া। ক’দিন আগেই দেখলাম- মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ঝটিকা অভিযানে সেখানে যান ঘুষখোর ধরতে। তাঁর মতো এত বড় মানের একজন মন্ত্রীর পক্ষে এভাবে ঘুষখোর ধরা কতটা সম্ভব ? যদিও জেনেছি সেদিন একজনকে হাতে নাতে ধরেই ফেলেছেন। এতো এতো সতর্কতা সত্বেও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় নিজেই যেখানে হাতে নাতে ঘুষখোর ধরতে পারেন সেখানকার ঘুষ বাণিজ্যের অবস্থাটা সহজেই অনুমান করা যায়। এক সময় আমার মাথায় উঁকুন এত বেশী ছিলো যে শরীরে- চোখের ভ্রুতেও তা পাওয়া যেত। ঠিক যেমনটি হয়েছে শিক্ষকদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল- শিক্ষা অধিদপ্তর- শিক্ষা ভবন। তাই এদেরকে চিরুনীর আওতায় নে’য়াই যুক্তিযুক্ত। বিষয়টি যে শুধু শিক্ষা ভবনের বেলায় প্রযোজ্য তা নয়। সারা দেশের সবক’টি আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কার্যালয়েরও অবস্থা একই। সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছা থাকলে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। এ লক্ষ্যে সারাদেশের ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মাঠে নামা উচিত।



বর্তমান সরকার ডিজিটালাইজড সরকার। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা অধিদপ্তরে কিংবা এদের কোন সাইটে এমন কোন ব্যবস্থা নাই, যেখানে শিক্ষক কিংবা সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা গোপনে বা প্রকাশ্যে তাদের অভিযোগগুলো জানাবে, তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করবে, যা সবাই দেখতে পাবে।



তবে তার আগে চাই শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধি অভিযান তথা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জোরালো, বাস্তব প্রয়োগ।

কারণ, প্রায় ৫ বছরের অভিজ্ঞতায় আমার মতে মাউশি'র গুণগত মান বৃদ্ধিতে, ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সবার আগে প্রয়োজন এর সবকটি ভবণের পলেস্তারা চটিয়ে ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে ফ্রেস বালি-সিমেন্ট দিয়ে নতুন পলেস্তরা লাগানো। কারণ এখানকার ভবণগুলির ইট-পলেস্তরা পর্যন্তও ঘুষখোর। এবার সহজেই অনুমেয় যে এর জনবল (উপরওয়ালা থেকে ঝাড়ুদার পর্যন্ত) কী পরিমাণ আর কী কী কাজের জন্য ঘুষ নেয়না বা নিতে পারেনা



স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও এখন পর্যন্ত কোন সঠিক শিক্ষানীতি অর্জন করতে পারলোনা এ জাতি। বঞ্চিতের পাহাড় জমে গেছে বঞ্চিত হতে হতে। এর শেষ কোথায় এ জাতি তা-ও জানেনা। এক সরকার কোন এক শিক্ষানীতি চালু করলে অন্য সরকার এসে তা বাতিল করে অন্য আর একটা নীতি চালু করেন। এ সকল সিদ্ধান্তহীনতার শিকার হচ্ছে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ আজ দিশেহারা। শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ যখন দিশেহারা তখন তারা জাতীর জন্য কী সেবা দেবে তা এখন ভাববার বিষয়।



আমি এ পর্যালোচনা থেকে বলতে চাই- বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাধ্যমিক পর্যায় যতক্ষণ পর্যন্ত অবহেলিত থাকবে ততদিন শিক্ষার মানের কোন উন্নতি সম্ভব নয়। সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা আমুল পরিবর্তন এনে শিক্ষার মানকে নির্দিষ্ট মাত্রায় বজায় রাখার নিমিত্তে শিক্ষার সকল স্তরকে সমান গুরুত্ব দে’য়া। এতে উপকৃত হবে ছাত্র-ছাত্রীরা, উপকৃত হবে দেশ ও জাতি।



আমার এ লেখা কাউরো মনে কোন প্রকার কষ্টের কারণ হয়ে থাকলে বাস্তবতার নিরিখে তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।

সাথে- সময়ের অভাব আর অলসতার কারণে লেখাটা ছোট করতে পারলামনা বলে দুঃখিত।



Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৫

বেঈমান আমি বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১০

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।



আতঙ্কে আছি। চাকুরীটা থাকবেতো ? বদলীটা হবেতো?

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪০

অংকন কুরী বলেছেন: সূদূরপ্রসারী চিন্তা, ভালো লাগলো B-)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১২

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।



আর ভাল্লাগেনা ভাই।

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫

ছেঁড়া পাল বলেছেন: একজন শিক্ষকের সন্তান হিসেবে ব্যাপারটা আমি অনুভব করতে পারি । আপনার পুরো লেখাটাই পড়লাম । শুভকামনা রইল ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
শুভ কামনা আপনার জন্যেও।


একবার হিসেব করেন দেখেন, ঐ সমস্ত দারিদ্র পীড়িত শিক্ষকদের সন্তানরা তুলনামূল একটু বেশীই সমীহ প্রাপ‌্য। অন্ততঃ আমি এটাই দেখি।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৩৩

মুনসী১৬১২ বলেছেন: কি বলব--সহমত

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৮

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে মুনসী১৬১২।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

হুদাই পেচাল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাই, সময়ের অভাবে সবটা পড়তে পারিনি। কয়েক লাইন পড়েই বুঝেছি, অসাধারন লিখছেন। সামুতে এই ধরনের লেখাই দেখতে চাই। লিংক রেখে দিলাম পরে পড়বো। ধন্যবাদ আপনাকে....

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৯

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭

অসামাজিক ০০৭০০৭ বলেছেন: সহমত রইলো জুলহাস ভাই

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫২

এম এস জুলহাস বলেছেন:
আপনি কেমন আছেন অসামাজিক ০০৭০০৭ ভাই ?

আমার মানসিক অবস্থাটা মোটেই ভালো যাচ্ছেনা।
ভালো থাকবেন।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৫

...ধরলা পারের ছেলে বলেছেন: আমার বাবা মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকতা করেন ৩২ বছর ধরে। এখন তার বেতন ১০,৬০০ টাকা। তিনি বি.এড পাস। /:)
আমার ছোটভাই গার্মেন্টস এ সার্ট বানায় ৫ বছর থেকে। ওর মাসিক ইনকাম ২৫-৩৫ হাজার টাকা। ও ক্লাস সেভেন পাস...
:P
আমার পরালেখা সুরু হয়েছে ১৬ বছর আগে। আমার ছোটভাই আমাকে লেখাপরা করার টাকা দিচ্ছে...
:((

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৩

এম এস জুলহাস বলেছেন:
কষ্ট লাগে। ভীষণ কষ্ট। যা কাউকে বলাও যায়না। কিন্তু তবুও কাউরো কাউরো কাছে শুধুমাত্র টাকার বিষয়টাই বড় না। আমিতো এই চাকুরীতে আসার আগে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। সেখান থেকেতো ৩০ এর উপরে পেতাম। আবার ঝোলা মতো ব্যাগ হাতে ভবঘুরে হয়েও দেখেছি। তাতেওতো কোন কোন মাসে ৪০/৪৫ এর বেশী আসতো।
আসল বিষয়টা সেটা বলতে চাইনি। মোটামুটি সবাই একটা স্থিতিশীল জীবন যাপন করতে চায়। আমিও চাই। কিন্তু অনিয়মের কাফনে মোড়ানো আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রের তা দে'য়ার মানসিকতাই নাই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৩

বাদ দেন বলেছেন: ++++++++++++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪

এম এস জুলহাস বলেছেন:
সবকিছুই কি বাদ দে'য়া যায় ???
ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৬

মদন বলেছেন: কিছু বলার নাই :(

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
সবাই কি আমরা মূক, বধির হয়েই থাকবো ???

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২০

নিম গাছ বলেছেন: গতরাতে আপনার পোষ্টটি পড়েছি কোন মন্তব্য করিনি। এতো অনিয়ম নিয়ে আর ভাবতে ভাল লাগে না। আমি হতভাগা আপনার মতোই হয়তো একডিগ্রী উপরে। কারণ আমি বেসরকারী পর্যায়ে আছি। টাইমস্কেল নামক মুলার সন্ধান এখনো পাইনি।

আমাদের মাল অর্থমন্ত্রী আবার বলেন বেসরকারী শিক্ষকরা তো কোন চাকুরীই করেন না অর্থাৎ এটা কোন চাকুরীই নয়-এটা তাহলে কি?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
টাইমস্কেলের বিষয়টা আর বলবেননা।
যদিও এ বিষয়টা আমার বেলায় প্রযোজ্য হয়ে উঠেনি এখনোও। তবে সহকর্মীদের বেলায় দেখতেছি- ইতোমধ্যে তাদের অনেকেরই ৬ টা করে বোনাস টাইমস্কেলের আওতার বাইরে চলে গেছে। যদিও দেরীতে হলেও কোন না কোন একদিন হবে তখন দেখা যাবে ২৫-৩০% বখরা দিতে হবে এজি অফিসে। যেখানে আঞ্চলিক অফিসে কর্মকর্তার সামনে শুধুমাত্র ফাইলটা ধরার রেট অঞ্চলভেদে ১৫০০-২০০০/- টাকা।
ক'দিন আগে পত্রিকায় দেখলাম টাকার অভাবে না কি টাইমস্কেলের মিটিংটা হচ্ছে না।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:



শিক্ষকরা চোর হতে পারেন না, ডাকাত হতে পারেন না, সবাই পরিমলও হতে পারেন না।

আপনাদের কষ্ট অনুভব করা ছাড়া আমাদের কিই বা করার আছে, বলুন?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৪

এম এস জুলহাস বলেছেন:
হাহাহাহা. . .।
যতদূর ধারণা করি- বড় লেখা বলে না পড়ে শিরোনাম দেখেই কষ্ট পেলেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে দেখিনা অনেকদিন।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ পর্যালোচনা থেকে বলতে চাই- বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় মাধ্যমিক পর্যায় যতক্ষণ পর্যন্ত অবহেলিত থাকবে ততদিন শিক্ষার মানের কোন উন্নতি সম্ভব নয়। সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা আমুল পরিবর্তন এনে শিক্ষার মানকে নির্দিষ্ট মাত্রায় বজায় রাখার নিমিত্তে শিক্ষার সকল স্তরকে সমান গুরুত্ব দে’য়া। এতে উপকৃত হবে ছাত্র-ছাত্রীরা, উপকৃত হবে দেশ ও জাতি

+

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৮

এম এস জুলহাস বলেছেন:
আমার আর কিছু বলার নাই। যা বলার আপনি বলে দিয়েছেন।


ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

উদয় কর বলেছেন: *********************************

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৮

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৯

মাসুম বাবু বলেছেন: +++++++

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ধন্যবাদ জানবেন।

১৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫১

ফারিয়া বলেছেন: সুন্দর লেখা, আসলে আমরা শিক্ষকের মর্যাদা ভুলে যাচ্ছি, কিছু করা উচিৎ।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
করা যেমন উচিত অনেক কিছুই। কিন্তু করা যাবেনা, করা হবেনা, তা-ও তেমনই নিশ্চিত।

কেউ যেমন- আমি মুসলিম, আমি হিজাব পড়ি বলেও অন্যকে উদোম নারী, নারী পুতুলের ছবি দেখিয়ে বেড়ায়, তেমনি বেশীরভাগই- হেন করেঙ্গা- তেন করেঙ্গা চিল্লায়েও আসলে কিছুই করেনা, করবেনা।
যেমন- আমি. . .।


ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।
ধন্যবাদ।

১৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৫০

ফারিয়া বলেছেন: মানুষ মাত্রই ভুল করে, আমার ভুল ধরানোর জন্য ধন্যবাদ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১২

এম এস জুলহাস বলেছেন:
হা হা হা . . .। দুঃখিত।
আমি আসলে কাউরো ভুল ধরতে যাইনাই। সে বাতিকও আমার নাই। কারণ আমি নিজেই ভুলের মণ্ডে গড়াগড়ি খাচ্ছি। তবে ভুলকরে যদি ভুল ধরে ভুল করেই ফেলি তাহলে আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:২১

অপরাজিতার কথা বলেছেন: তখন কমেন্ট করে যেতে পারিনি,তাই এখন করে যাচ্ছি।


ভাল লিখেছেন।শিক্ষকদের এই অসুবিধার দিকটা আসলে অনেকেরই অজানা।এই গোড়ার অসুবিধাটা দূর করলেই কিন্তু অনে---ক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়,তাই না?জাতিও একটা সুন্দর পরিবেশ পায় শিক্ষার।

০১ লা নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৩

এম এস জুলহাস বলেছেন:
সমস্যায় সমস্যায় আসলে সমস্যার পাহাড় জমে গেছে সব ক্ষেত্রেই। কোনটা রেখে কোনটা দূর করবে, কোনটাইবা আগে দূর করা উচিত সেটাই এখন আর ভাবার সময় নাই। ঠিক যেমন- না পড়া ছাত্রের পরীক্ষার পূর্ব রাত্রী !
এমতাবস্থায় আমার মতে সর্বাগ্রে করা উচিত উন্নত মানসিকতায় পরিবর্তন। আর তা না হলে লোক দেখানো সমাধানে কোন লাভ আসবে বলে মনে করতে পারিনা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৬

সোজা আঙ্গুল বলেছেন: শিক্ষকদের দুর্দশা দেখে আর তার বর্ননা পড়ে ভীষন কষ্ট পেলাম। এর থেকে বেরিয়ে আসার পথ আপনাদেরকেই তৈরি করতে হবে। শুভ কামনা ভাল থাকুন।

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৯

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।

পথ আর কোনদিনই কেউ তৈরী করবেনা, করতে কেউ এগিয়ে আসবেনা এটা এখন মোটামুটি নিশ্চিত।

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:২২

নানাভাই বলেছেন: তখন ভাবতাম স্যাররা বুঝি খুব কৃপণ হয়। এতটাকা বেতন পেয়েও তাদের অবস্থা এমন কেন ? তখন কৌতুহল বশতঃ স্যারদের ছেলে-মেয়ে সহপাঠীদেরকে জিজ্ঞাসা করতাম- স্যার আমাদেরকে পড়িয়ে কতটাকা বেতন পানরে ? শুনেছি সর্ব সাকুল্লে ২৮ শ’ টাকা। -

দরিদ্রতা মানুষরে হয় কৃপণ, না হয় মহান বানায়!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫০

এম এস জুলহাস বলেছেন:
আমাদের দুঃখবোধ- ঐ দু'টার একটাও হতে পারিনা।
আমরা আস্তে আস্তে হয়ে যাই সমাজের অপাঙতেয়, নিষ্পেশিত . . .।


ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৩০

যোবায়ের বলেছেন: "অনিয়মের কাফনে মোড়ানো আমাদের সমাজ-রাষ্ট্রের তা দে'য়ার মানসিকতাই নাই।"

দে'য়ার মানসিকতা তৈরী হোক ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪৫

এম এস জুলহাস বলেছেন:
তা হবে হয়তো, ঠিক।
তবে এর জন্য আমাদের অধিকাংশেরই সুস্থ্য ন্যায়-নীতি-অন্যায় মানার সাবানে গোসল করে পরিস্কার হতে হবে। আর আমরাও হয়তো পরিস্কার হতে সহসাই সেই ঠাণ্ডা পানিতে নামবোনা।
অতএব, হিসাব সোজা . . .।

২১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৩৭

সাগর রহমান বলেছেন: ভাই, আপনার এই লিখাটি আমি অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। একটা চিরকাল ধরে আসা ভয়াবহ অনিয়ম ( বলবো দেশের সমূল বিপর্যয়ের মূল এই শিক্ষদের প্রতি চলে আসা অবহেলা) আপনি যথেষ্ট ধৈর্য ধরে লিখেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ।।

নিজেকে অসহায় লাগে এসব পড়লে, ব্যাপারটা আসলেই যে কোন শিক্ষিত লোকই জানেন আমাদের দেশে, কিন্তু আমরা পাশ করে বের হয়ে নিজে কোন ভালো জায়গায় চাকরী করে দেশের গোড়ায় যারা নিত্য উর্বর করার কাজটি করেন/ করবেন , তাদের কথা বেমালুম ভুলে যাই। কত কিছু পরিবর্তন হয়, শিক্ষক সমাজের এই দশাটা যেন অলঙঘনীয় , কিছুই হয়না।।

আমার নিজের মনে হয়, আর সব উন্নয়ন বাদ দিয়ে আগে শিক্ষক সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করা দরকার আমাদের দেশের।।
নিজেকে কি যে অসহায় লাগে....

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ২:১৫

এম এস জুলহাস বলেছেন:
এই পেশার ৫ বছরে এক পাহাড় সমান কথা জমা হয়ে আছে, যা বলবো বলবো করে আর বলা হয়ে উঠেনা। এখনতো আরোও বলা হবেনা। যা দিন কাল পড়ছে। খড়ক নামতে কতক্ষন ? সঙ্গত কারণেই সব ড্রাফটে নিয়েছি। এটাও যাচ্ছে অচিরেই।

ভাই সত্যি বলতে কী ! এঁদের (শিক্ষক সমাজের) এই অবস্থাটা হওয়ার পেছনের সব গূঢ় কারণগুলোই আমরা জানি- সবাই জানেন। কিন্তু কেউ তা বাতলে দিলে এই আপনিই- আপনার আমার মতোই অনেকেই বলে বসবে- তাহলে চাকরীটা ছেড়ে দিলেইতো পারেন !

অথচ কলেজ-ইউনিভারসিটিগুলোর বারান্দাতে যাদের পায়ের ছাপ এখনোও মুছে যায়নাই, গা থেকে এখনোও যাদের ছাত্র/ছাত্রী গন্ধ বেরোয় আমরা- তারাইতো যৌবনের প্রারম্ভে এখানে যোগ দিয়েছিলাম তাই না ? এই মুহূর্তে আপনার মতো পরিবর্তনে চিন্তাশীলরা যা ভাবছেন আপনার মতো অবস্থায় আমরাও কী তাই ভাবিনাই ? আমরাওতো ব্যতিক্রম ছিলামনা, এখনোও নই (গুটি কয়েক বাদে)। আমাদেরও একটা দৃঢ় প্রত্যয় ছিলো একটা ভালো কিছু উপহার দে'য়ার। অথচ (নিজেদের কাছে মনে হয়) নর্দমায় এসে আমরাও যেন নর্দমারই কেউ হয়ে গেছি।

প্রকাশ করতে খারাপ লাগে, অনেক তরুণ এমন অব্যবস্থার ভূক্তভোগীর কাছে বলতে শুনা যায়- যেকোন ক্লাশের ১ থেকে ১০/১৫ রোল ধারী পর্যন্ত ছাত্র/ছাত্রী মানেই দেশ সেরা, নাম্বার ওয়ান চোর-বাটপার-দূর্নীতিবাজ . . . হবে। কারণ এরাই ক'দিন পর দেশের হাল ধরবে। এরাই হবে দেশের হর্তা-কর্তা। অতএব, এদেরকে অতি যত্নআত্তি করার কী দরকার !

বাইরের দেশের এত্ত এত্ত কিছুর সঙ্গে কত তুলনা করতে দেখি-শুনি। অথচ কই কাউকেতো কোনদিন সেখানকার কোন শিক্ষকদের জীবন মানের কোন কিছুর সাথে আমাদের কোন কিছুর তুলনা করতে দেখলামনা- শুনলাম না !

ভালো থাকবেন।

২২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:১৩

সাগর রহমান বলেছেন: বাইরের দেশের এত্ত এত্ত কিছুর সঙ্গে কত তুলনা করতে দেখি-শুনি। অথচ কই কাউকেতো কোনদিন সেখানকার কোন শিক্ষকদের জীবন মানের কোন কিছুর সাথে আমাদের কোন কিছুর তুলনা করতে দেখলামনা- শুনলাম না !

এ বিষয়টি আমি বাইরে থাকার সুবাদে ( দূভার্গবশত) খুব কৌতুহল নিয়ে খেয়াল করছি, মেলাচ্ছি, আকাশ পাতাল প্রভেদটা খুব সহসা ধরা পড়ে, বিস্তারিতটা জানলে মনে হয়, হায় খোদা! তুলনাই সম্ভব না।

আপনার মন্তব্যটি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে খুব শীগগিরই ( বিশেষত ইংল্যান্ডে একজন শিক্ষকের অবস্থা) এ বিষয়টা নিয়ে বিশদ লিখব ভাবছি।।

একটা অনুরোধ , এ বিষয় গুলো প্রয়োজনে কোন ছদ্মনাম ব্যবহার করে হলেও পোষ্ট করুন, এট দরকারী। আপনারা যারা এর ভিতরে আছেন, তারাই সব'চে ভাল বলতে পারবেন। আর এসব বলার জন্য ব্লগ একটা দারুন মঞ্চ। আমার দেখা প্রচুর মেধাবী এবং বিবেকবান মানুষ এখানে ব্লগিং করেন, আমাদের ভবিষ্যত আমরা কিভাবে দেখতে চাই তা আমাদের কেই জানান দিতে হবে।।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:১৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভীষণ অনুপ্রেরণা আর সাহস পেলাম আপনার মন্তব্য পাঠ করে।

স্বচোক্ষে দেখা এই বিভাগের অসংগতিগুলোই লিখে শেষ করা কষ্টকর। তবুও যতটুকু পেরেছি কালো অক্ষরে ধরে রেখেছি, কোনদিন প্রকাশ হবে এই আশায়। জানি সে সাধ পূরণ হবার নয়। পারিনা মিথ্যার বেসাতি গাইতে। তাই ছদ্ম নামের আড়ালে লুকাতে পারিনা। আর লুকালেইবা কী ? কতক্ষণইবা লুকিয়ে থাকা যাবে ! আর লিখেইবা কী হবে ! কেউ পড়লেইবা কী উন্নতি বা পরিবর্তন হবে ! যদি না কাউরো ভেতর থেকে স্বপ্রণোদিত পরিবর্তন আসে ?

সে নাগাদ নিজের মধ্যেই অনাকাঙ্খিত পরিবর্তন চলে আসবে। সে পরিবর্তন ইতিবাচক নয়। অবশ্যই নেতিবাচক। কিচ্ছু করার নেই। তবুও চেষ্টা থাকবে নিজেকে সঠিক পথে ধরে রাখার।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:১৭

সাগর রহমান বলেছেন: পোষ্টটি প্রিয়তে রাখলাম,
আশাকরি আপনার সাথে আরো ইন্টারেকশান হবে বিষয়টা নিয়ে....

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:২৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
জ্বী। আশা করা যায়।

২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:০৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: অসাধারণ একটা লেখা। সেই সাথে মর্মস্পর্শীও । সেই মুজতবা আলীর গল্প এখনও শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বাস্তব। এ অবস্থা পরিবর্তন করা দরকার। বেশি বেশি করে আপনারা বলুন। তাহলে একদিন না একদিন পরিবর্তন হবে। হবেই।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৬

এম এস জুলহাস বলেছেন:
শিক্ষানীতি নিয়ে আমার কিছু প্রস্তাবনার একটা লেখায় আপনার মূল্যবান কিছু মতামত আমার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছিলো, সে অনেক আগেকার কথা।

ততটা আহামরী পরিবর্তন আমরা চাইনা। যা করতেও পারবোনা আমরা গুটি কতক শিক্ষকরা। তবে অন্ততঃ এইটুকু কি আশা করতে পারিনা (?) আমাদেরকে যেন কোন প্রকার দূর্নীতি স্পর্শ না করে। যদিও আমরা দূর্নীতি পরায়ণ হতে পারিনা সুযোগের অভাবে।

লিখেই আর কীইবা হবে। তবে ইচ্ছে আছে গতানুগতিকের বাইরের কিছু অসংগতি তুলে ধরার।

ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ধন্যবাদ।

২৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৫৫

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: আপনার আগের পোষ্টগুলা কই

১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:৫৯

এম এস জুলহাস বলেছেন:
ড্রাফট -এ।

২৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৫

robi82 বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সপ্তাহে দুইদিন ছুটির প্রয়োজন হলে শিশুদেরতো একদিন পরপর ছুটি হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু শিশুদের দিকে না তাকিয়ে, আছেন শুধু শিক্ষকদের কীভাবে খাটানো যায় সেই ধান্দায় ! বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিভিন্ন নির্বাচন ডিউটি, আদম শুমারী, বিভিন্ন ধরণের শুমারী, কার বাড়ী টিউবওয়েল নাই, কার বাড়ী কাঁচা পায়খানা কয়টা, পাকা কয়টা ইত্যাদি গুনানো


ছোটবেলায় পড়া 'পন্ডিতমশাই' গল্পটিরই বারবার মঞ্চায়ন হয় আমাদের দেশে নতুন নতুন ভঙ্গিমায়। আমারো দেশি লাটদের কুকুরের ঠ্যাঙের হিসাবটা জানতে বড় ইচ্ছে করে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১:০৯

এম এস জুলহাস বলেছেন:
দুঃখিত !
আপনার মন্তব্যের জবাব আমার কাছে নাই।


ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.