নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু পাগলার ডায়েরী

আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই।

এম এস নিলয়

স্রোতস্বিনীর বয়ে চলা ঢেউয়ের মত হতে চাই; সৃষ্টিশীল স্রষ্টাদের মাঝে থাকতে ভাল লাগে। ভালবাসি মাকে, বাবাকে, আমার আদুরে বোনকে আর পাশে রাখি বই বন্ধুকে। হতে চাই অনেক কিছু,হতে পারি অল্পকিছু। চেষ্টাটাই বা কম কিসে !!! আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই। আমি স্বাধীনচেতা। নিজের কোন বিষয়ে অন্যের হস্তক্ষেপ পছন্দ করিনা। বন্ধুদেরকে ভালবাসি। ভালবাসি আড্ডা দিতে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে। যুক্তি দিয়ে তর্ক করা পছন্দ করি। আমিই সেই নিলুপাগলা :D

এম এস নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫৭ ধারা, ধর্ম অবমাননা ও ধর্মানুভুতির সমীকরণ!!!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৫৪

সালটা সম্ভবত ২০০৮; একটি মুভি দেখেছিলাম তখন; মুভিটা অসাধারণ কিছু ছিলনা কিন্তু মুভিতে দেখানো কিছু দৃশ্য কিছুটা দৃষ্টিকটু লেগেছিল আমার কাছে। মুভির নাম ছিল The Last Temptation of Christ। যীশুর জীবনী নিয়ে করা একটি মুভি; কিন্তু যেভাবে মগ্দলিনী মরিয়মের সাথে যীশুর একান্ত গোপন যৌনক্রিয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছিলো তাতে যতটা বিশৃঙ্খলা হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি শুনে বেশ অবাক হয়েছিলাম তখন। মুভিটিতে খৃস্ট অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার মতন অনেক কিছুই ছিল; কিন্তু কেউ মুভিটিকে তেমন আমলে নিয়েছিলো বলে মনে হয়না।



কিন্তু ইসলামের নবীর যৌনজীবন নিয়ে এমন একটা দৃশ্য কেউ তৈরি করলে তার কি হত চিন্তা করুন।

চিন্তা না করাই ভালো; সহ্য করতে পারবেন না সেই কল্পনা।

কেবল প্রশ্ন করেই রায়হান রাহী এবং উল্লাস দাস এখন হাজতে।



একই মূল অর্থাৎ মগ্দলিনী মরিয়মের সাথে যীশুর প্রেম বিবাহ নিয়ে আমার সবচাইতে প্রিয় থ্রিলার উপন্যাস "দি ডা ভিঞ্ছি কোড" লেখা হয়েছিলো।

খৃস্ট অনুসারীদের প্রচলিত বিশ্বাসের পরিপন্থী হলেও বইটি নিজ গুনেই বেস্ট সেলার হয়েছিলো বারবার; অনেক গুলো দেশে অনেক গুলো ভাষায়। কেউ কোনদিন বইটি নিষিদ্ধ করার দাবী করেছিল বলে শুনিনি।



আরেকটি মুভির কথা মনে আসছে; নাম । যীশুকে পচিয়ে এর চাইতে মজার মুভি আমি আর আগে দেখিনি কোন। মেকিং যতই খারাপ হোক অন্তত "ইনোসেন্স অব মুসলিমস" এর মেকিং থেকে হাজার গুণ উন্নত ছিল মুভিটি; IDM রেটিং দেখুন ৮.২। কিন্তু মুভিটি নিয়ে তেমন হইচই হয়নি; ১৯৭৯ সালে বানানো মুভিটির মূল চরিত্র যদি "ইনোসেন্স অব মুসলিমস" এর মূল চরিত্র নিয়ে হত তবে কত হাজার হাজার প্রান যেত ভেবেই ভয় লাগে।



এত ভূমিকা কেন বলছি তার কারন এখন বলি।

আমি মনে করি ধর্ম অনুভূতি আর সাহিত্য, শিল্পকে আলাদা করে দেখার যে নজির উপরে উল্লেখিত সাহিত্য এবং চলচিত্রে আমরা দেখেছি সেটাই সব ধর্মের অনুসারীদের কাছে কাম্য।

কিন্তু আর যেখানে যা হোক মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে দৃশ্যটি ভিন্ন।

বাংলাদেশে ধর্মানুভুতি ৫৭ ধারার বাতাসে পেয়াছে এক নতুন মাত্রা।



এবার আসুন ফারাবিদের ধর্মানুভুতির মুলা নিয়ে একটু আলোচনা করি।





কি এই ধর্ম অবমাননা???



মূলত “অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত লাগে এমন কিছু বলা বা করাই হল ধর্ম অবমাননা”।

অন্তত বাংলাদেশে ধর্ম অবমাননা বলতে যে শুধু ইসলাম ধর্ম অবমাননাই বোঝায় তা বুঝতে কেমব্রিজে যাওয়া লাগেনা। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, তবে মুসলিমদের হাতে মন্দির, গির্জা ও বুদ্ধ মন্দিরে হামলা আর মূর্তি ও পবিত্র গ্রন্থে অগ্নিসংযোগ ও পদদলিত করা কি হিন্দু, বুদ্ধ ও খ্রিস্টানদের ধর্ম অবমাননা নয়???

ওই চ্যাপটার বাদ দেই, কেননা ওই কথা বললে অনেকেই বলবে “উহা ইসলাম নহে, বিপদগামী নাফরমানদের আপনি মুসলিমদের স্ট্যান্ডার্ড ধরতে পারেন না”। ওকে, তবে প্রতি বছর উৎসব করে হিন্দুদের পূজার প্রাণী, যাকে তারা মা বলে ডাকে সেই গরুকে রাস্তায় জবাই দেয়া কি হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত নয়???

এখন কল্পনা করুন, বাংলার হিন্দুরা যদি এখন রাস্তায় শূয়র জবাই দিয়ে অনুষ্ঠান পালন শুরু করে তবে কি বাংলার মুসলিমরা সেটাকে গরু জবাইয়ের উৎসবের মতন সাধারণ ভাবে নেবে ??? কিন্তু তুলনা করলে মুসলিমদের কাছে শুয়োরের মাংস যতটা ঘৃণার ততটাই হিন্দুদের কাছে গরুর মাংস ঘৃণার। ধর্মে আঘাত কি তবে শুধু মুসলিমদের একার লাগে ???



কিছুদিন আগে আমার ফেসবুকের এক পোষ্টে আমি বলেছিলাম “হিন্দুদের কাছে গঙ্গার পানি যতটা পবিত্র, জমজম কূপের পানি মুসলিমদের কাছে ঠিক ততটাই পবিত্র”। সেই পোষ্টে কিছু ইসলাম প্রেমী আমার এই কথার বিরোধিতা করেছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পিএইচডি স্টুডেন্ট তমা। সেই পোষ্টে তিনি পারলে আমাকে খুন করতেন। তার কথা হল “আপনি পবিত্র জমজমের পানির সাথে গঙ্গার গুয়ের পানির তুলনা করে জমজম, ইসলাম ও মুসলিমদের অপমান করেছেন”। আমি অনেক ভাবে বুঝিয়েও তাকে এটা বোঝাতে পারিনি যে আমি যা বললাম তা অপেক্ষা আপনি যা বললেন তাতে ধর্ম অবমাননা ও বিশ্বাসে আঘাত বেশী দেয়া হয়েছে। আমি জমজম আর গঙ্গার পানির ধর্মীয় বিশ্বাসের দৃষ্টিতে সমতুল্য তুলনা করেছি মাত্র, আর আপনি হিন্দুদের পবিত্র গঙ্গাকে গুয়ের পানি বলেছেন।



সেদিন বেশ ভালভাবেই বুঝেছিলাম ধর্মানুভুতি নামক মূলো কেবল মুসলিমদের নাকের সামনেই ঝোলে। তাদের কাছে ইসলামের অপমানই শুধু অপমান, কিন্তু তারা টিনের চশমা পড়ে প্রতিনিয়ত অন্য ধর্মকে হেও করে যাচ্ছেন।



তাহলে ধর্ম অবমাননা আসলে কি???



আমার নিজস্ব বক্তব্য হল “ধর্ম অবমাননার শিক্ষা আস্তিকরা জন্ম সুত্রেই পায় আর সে সারাজীবন নিজ ধর্ম পালনের সাথে সাথে অন্য ধর্ম গুলোকে প্রতিনিয়ত অবমাননা করে যায়। ধর্ম অবমাননা না করে নাস্তিক হওয়া যায় কিন্তু আস্তিক হওয়া যায় না। একটি ধর্মতে বিশ্বাস স্থাপন মানে অন্য সকল ধর্মকে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে বিশ্বাস করা। এটাই মূলত ধর্ম অবমাননার বীজ। কিন্তু ধর্মের কু শিক্ষা তাদের অন্ধ করে রাখে। বিবেককে করে রাখে স্তব্ধ। তাই তারা নিজ ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মের অসম্মানকে অসম্মান হিসেবেই গণ্য করেন না”।



নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে অন্য ধর্মগুলোকে ভুয়া প্রমান করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তাইতো খ্রিস্টানরা বলে মুহাম্মদ ভণ্ড নবী আর কোরআন তার নিজের লেখা, মুসলিমরা বলে বাইবেল বিকৃত হয়ে গিয়েছে। এটা তাদের তার মত প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বলতে হবে। এটা কি তবে ধর্ম অবমাননা হবে না? এখন তবে প্রশ্ন হল, উপরের কথা দুটো যদি ধর্ম অবমাননা না হয় তবে নাস্তিকরা তাদের মত প্রকাশ করলে অর্থাৎ “ঈশ্বর মানব সৃষ্টি করেননি, ঈশ্বরকে মানুষ সৃষ্টি করেছে এবং তাই সকল ধর্মই মানব সৃষ্ট” ধর্ম অবমাননা হবে কেন ???

সব তালগাছ আস্তিকদের কেন ???



আমাকে মাসে শতবার যে কথাটি শুনতে হয় তা হল “তুমি খ্রিস্টান, তুমি নিজ ধর্ম নিয়া থাকো। ইসলামের পিছে লাগো কেন???” তারা যদিও জানে আমি জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই মুক্তমনা, কিন্তু যুক্তি প্রমানে না পারলেই কেবল শেষে এই কথাটি বলে। তখন এমন একটা ভাব যেন যে যেই পরিবারে জন্মায় সে সেই ধর্মের বাইরে যেতে পারবে না। তখন আমি প্রশ্ন করি “তবে তো যীশু ইহুদী আর মুহাম্মদ হিন্দু, তারা কিভাবে খ্রিস্টান বা মুসলিম হলেন ??? তখন তারা বলে “মুহাম্মদ কোনদিন হিন্দু রীতি নীতি পালন করেন নাই, তাই হিন্দু ঘরে জন্মাইলেও সে হিন্দু ছিলেন না”। কিন্তু যখন আমি বলি, “আমিও কোনদিন খ্রিস্টান রীতি নীতি পালন করিনি; তবে আমাকে কেন খ্রিস্টান বলো”??? তখন উত্তর “এতো বাইড়ো না, নিজেকে নবীদের সাথে তুলনা করো না”।



শেষমেষ যা বুঝলাম তা হল, আস্তিক হয়ে অন্য আস্তিকের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করলে সেটা ধর্ম অবমাননা হয় না। নাস্তিক হয়ে প্রশ্ন করলেই কেবল ধর্ম অবমাননা ও ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়া হয়। কেননা নয়তো জাকির নায়েক অন্য ধর্মকে খোঁচানোর দায়ে উপমহাদেশের সবচাইতে বড় ধর্ম অবমাননাকারী সাব্যস্ত হতেন। এখন আস্তিকদের প্রশ্ন তাই আস্তিক হয়ে করাই ভালো।



ধরি; আজ এই পোস্টে আমি একজন খ্রিস্টান, এবং এই লেখায় খ্রিস্টানদের প্রতিনিধি। আমার ধর্মকে অবমাননার জন্য আমি এখানে ফারাবিদের কাছে প্রশ্ন করতে এসেছি।



আগে খ্রিস্টান ধর্মের মূল কিছু বিশ্বাস সম্পর্কে জেনে নেই যা ইসলাম সরাসরি বিরোধিতা করে।



# খ্রিস্টানরা বলে বাইবেল ঈশ্বরের বানী (২ তীমথিও ৩:১৬-১৭), যা পরিবর্তন কোনদিন হবেনা। ঈশ্বর এর রক্ষক (দানিয়েল ১২:৯)। আর ইসলাম বলে বাইবেল বিকৃত হয়ে গিয়েছে, উহা সাধারণ মানুষের লেখা (সূরা বাকারা-৭৫ ও ৭৯, সূরা মায়িদা-৪১)।

= কথাটা ততটাই খ্রিস্টানদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয় যতটা এই কথা বললে লাগবে “কোরআন মুহাম্মদ নিজে লিখেছেন”।



# খ্রিস্টানরা বলে যীশু ঈশ্বর পুত্র (যোহন ৩:১৬) ও ৩ ঈশ্বরের ১ ঈশ্বর যা মুসলিমরা শুনলেই নাউজুবিল্লাহ বলে ওঠেন (কোরআন ৪:১৭১)।

=মুসলিমদের যীশুকে ঈশ্বর পুত্র নয় বরং সাধারণ মানুষ বলা খ্রিস্টানদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত।



# খ্রিস্টানদের প্রধার ধর্মীয় বিশ্বাস হল “খ্রিস্ট যদি উত্থাপিত না হইয়া থাকেন , তাহা হইলে তো আমাদের প্রচারও বৃথা, তোমাদের বিশ্বাসও বৃথা (১ করিন্থীয় ১৫:১৪)”। বাইবেলের ১ করিন্থীয় ১৫ তম অধ্যায় পড়লেই আপনি খ্রিস্ট ধর্মের মূল নীতি সম্পর্কে জানতে পারবেন। খ্রিস্টের মৃত্যু ও পুনুরুত্থানে বিশ্বাস এনে সকল পাপ হতে মুক্তিই হল মূলত খ্রিস্টধর্মের কলেমা।

=কিন্তু মুসলিমরা এই কথায় অবিশ্বাস করে (আন নেসা ১৫৭)। খ্রিস্টের মৃত্যু ও পুনুরুত্থানকে মিথ্যা বলা মানে হল সম্পূর্ণ খ্রিস্ট ধর্মকে মিথ্যা বলা। কথাটা ততটাই খারাপ যতটা খারাপ এই কথাটা বলা যে “মুহাম্মদ ভণ্ড নবী অর্থাৎ ইসলাম ভুয়া”।



এখন খ্রিস্টানরা যদি দিনে ৫ বার বলে “মুহাম্মদ ভণ্ড নবী, কোরআন মুহাম্মদ নিজে লিখেছেন” সেটা কি ইসলাম ধর্ম অবমাননা হবে ??? কেন হবে ??? মুসলিমরা বললে যদি খ্রিস্টানদের ধর্ম অবমাননা না হয় তবে খ্রিস্টানরা বললে কেন মুসলিমদের ধর্ম অবমাননা হবে ???



প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ নামাজ পড়ে। আর নামাজে উপরে উল্লেখিত আয়াত গুলো কোরআন থেকে পাঠ করে খ্রিস্টানদের ধর্মকে ভুয়া বলে গালি দেয় । ব্লগে যত মানুষ ধর্মকে (পড়ুন মুসলিমদের) নিয়ে কথা বলে ধর্ম অবমাননা (!!!) করে; তার থেকে শুধু আমাদের এই ঢাকাতেই হাজার গুন বেশী মুসলমান অন্য ধর্ম অবমাননা করে। তাহলে চিন্তা করুন সারা পৃথিবীতে খ্রিস্টান ধর্ম অবমাননাকারী মুসলিমের সংখ্যা কত হবে??? ধর্ম অবমাননার জন্য যদি কোন ব্লগকে নিষিদ্ধ করা হয় তবে হাজার বছর আগেই কোরআন নিষিদ্ধ করার দরকার ছিল। ব্লগারদের যদি ফাঁসি দাবী করা হয় তবে কোরআন যারা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়েছে তাদের কি করা উচিৎ ছিল ???



এতো কথার পরে যেটা আমার শেষ কথা সেটা হল “নাস্তিক ব্লগারদের সসম্মানে মুক্তি চাই"। সকলের নিজ মতামত অন্যকে জানানোর অধিকার আছে। আপনার ভালো না লাগলে পড়বেন না। নাস্তিকরা কোন বিশ্বাসে নয় বরং বিজ্ঞান ও যুক্তিতে আস্থাশীল। তাই আস্তিকদের অপেক্ষা নাস্তিকেরা উন্নত শ্রেণীর প্রানিদের মধ্যে গণ্য। ব্লগ ও ব্লগার নিষিদ্ধ করার আগে ধর্মগ্রন্থ নিষিদ্ধ বেশী জরুরী, কেননা ধর্ম অবমাননার বীজ ধর্মগ্রন্থেই নিহিত”। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন “অন্যকে নিজের ধর্মের প্রতি সম্মান করতে বলার আগে ভেবে দেখা উচিৎ আসলে আপনার ধর্ম কতটা সম্মান পাওয়ার যোগ্য”।



শুধু নিজের বিশ্বাসকেই হেফাজত নয় বরং সকল বিশ্বাসকে হেফাজত করুন।

কাল নামাজে সূরা পাঠের সময় খেয়াল রাখবেন “কোন ধর্ম অবমাননা করছেন না তো???”।



############################################################



ফারাবিরা এবার যে কথাটি বলবে সেটা হলঃ ৯০% মুসলমানের দেশে বসবাস করে ইসলাম অবমাননা করার সাহস আপনারা পান কই-



জি খুব ভালো একটা যুক্তি দিয়েছেন। মুসলিমরা যেহেতু বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই ইসলাম নিয়ে কিছু বলা অবশ্যই অপরাধ।

আমি আপনাদের সাথে সম্পূর্ণ একমত।



কিন্তু! কিন্তু!! কিন্তু!!!

কিছু কথা থেকে যায় :)



বাংলাদেশে না হয় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই তারা মাতুব্বুরি ফলাচ্ছে; কিন্তু সাড়া বিশ্বে কিন্তু মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়।

এমনকি একক ভাবে শুধু রোমান ক্যাথলিক থেকেও মুসলমানদের সংখ্যা কম। তবে ফারাবিদের এত লাফালাফি কিসের???

তাদের মতন করে বলতে হয়; "পৃথিবীতে সংখ্যালঘু হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ খৃষ্টানদের ধর্ম এবং বাইবেল নিয়ে কটূক্তি করার সাহস তারা পায় কোথায়???



সংখ্যালগু হলে যদি সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্ম নিয়ে কথা বলা অন্যায় হয় তবে আজকেই পৃথিবী থেকে কোরআন নিষিদ্ধ করা হোক!!!

খৃষ্টানদের বাইবেল এবং বিশ্বাসকে নিয়ে কটূক্তি করে খৃষ্টানদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে জোকার নালায়েক সহ সকল ফারাবিদের ৫৭ ধারায় বিচার চাই এবং পৃথিবী থেকে কোরআন নিষিদ্ধ চাই!!!



ফারাবিদের যুক্তির বাইরে কিছু বললাম কি???



############################################################



যেহেতু আজকের এই পোস্টে আমি খৃষ্টানদের প্রতিনিধি তাই বাইবেল থেকে ফারাবিদের বংশপরিচয়টা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।



বাইবেলে মুসলমানদের সম্পর্কে মুহাম্মদ জন্মের ৩-৪ হাজার বছর আগেই মুসলমানদের স্বভাব সম্পর্কে নিখুঁত বর্ণনা দেয়া হয়েছে।



আসুন দেখি, বাইবেলে কী লেখা আছে:



আদিপুস্তক ১৬, অধ্যায় ১২ পদ-

"ইসমাইল স্বাধীন এবং উদ্দাম হবে যেমন উদ্দাম হয় বন্য গাধা। সে সবার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে এবং সবাই হবে তার প্রতিপক্ষ। সে স্থান থেকে স্থানান্তরে ঘুরে বেড়াবে এবং ভাইদের বসতির কাছে তাঁবু গাড়বে"।



মোহাম্মদ যে ইসমাইলের বংশধর ছিলেন এবং মুসলমানদের যে ইসমাইলের বংশধর বলা হয়, সেটা, সম্ভবত, কারো অজানা নয়। মানে বাইবেল অনুযায়ী মুসলমানেরা বন্য গাধার স্বভাবের ইসমাইলের বংশধর - মানে আরও উৎকৃষ্ট (!!!) স্বভাবের বন্য গাধা বলা হয়েছে। আর ফারাবি গং সেই বন্য গাধাদের মধ্যে সম্ভবত বাংলাদেশের সবচাইতে উৎকৃষ্ট মানের বন্য গাধার পাল।





এখন আসুন দেখি বন্য গাধারা স্বভাবে কেমন হয়; এবং তাদের সঙ্গে ফারাবিদের সত্যিই মিল আছে কি নাঃ



# বন্য গাধা হয় অবাধ্য; যেখানে যায়, সেখানেই গ্যাঞ্জাম লাগায়।

# বন্য গাধা অযথা কর্কশ কণ্ঠে ডাকাডাকি করে।

# অকারণে আক্রমন করে; অল্পতেই রেগে উঠে লাথি ঝাড়ে।

# অন্য প্রাণীরা এদের তাড়িয়ে দেয় অযথা উৎপাত করে বলে।

# সারাদিন যাবর কাটে তসবি গোনার ধাঁচে।

# বন্য গাধা অন্য গাধার সঙ্গীকে ধর্ষণ করে।



আরও কোন বৈশিষ্ট্য আছে কি?...

আপনাদের কী মনে হয়, বাইবেলের ভবিষ্যৎবাণী কি সঠিক প্রমাণিত হয়েছে?



ফারাবিদের বন্য গাধা বলায় তাদের অনুভূতিতে লাগলো কি??? কিন্তু লাগার তো কথা না :/



১) “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে আল্লাহ তায়ালার নিকট কাফিরেরাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (সূরা আনফাল- ৫৫)

২) নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক বা অপবিত্র। (সূরা-তাওবাহ, আয়াত : ২৮)

৩) নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফিরদের শত্রু (সূরা বাকারার : ৯৮)

৪) ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।’ (সূরা মায়িদা: ৮২)

৫) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।” (সূরা মায়িদা-৫১)

৬) “মু’মিনগণ যেন মু’মিনগণ ব্যতীত কাফেরদিগকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেউ এরূপ করবে তার সাথে আল্লাহ’র কোন সম্পর্ক থাকবে না ”(সূরা আল ইমরান: ২৮)

৭) হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার শত্রু এবং তোমাদের শত্রুকে ভক্তি বা শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করোনা।” (সূরা মুমতাহিনা-১)



এগুলো তো পরধর্ম বিদ্বেষ নয় তাইনা??? কোরআন পাঠ করে এবং তাতে বিশ্বাস করে ইহুদী-খৃস্টানরা নাপাক-নরকের কীট-অমুক-তমুক গালি এবং সম্বোধন দিলে সেটা যদি ধর্ম বিদ্বেষ না হয়; তাদের বিশ্বাসকে এবং ধর্ম গ্রন্থকে ভুয়া, বিকৃত হয়ে গিয়েছে বলা যদি ধর্মামানুভুতিতে আঘাত না হয়ে থাকে তবে আমি বাইবেল থেকে পড়ে বাইবেলে বিশ্বাস করে ফারাবিদের বা মুসলমানদের যদি বন্য গাধার বংশধর বলি তবে আমি দোষী হবে কেন???



আইন সবার জন্য সমান হওয়ার কথা।

তাই কোরআন পড়ে ইহুদী নাসারাদের অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যদি ৫৭ ধারা অনুযায়ী অপরাধ না হয়ে থাকে তবে বাইবেল পড়ে মুসলমানদের বন্য গাধার বংশধর বলাও অপরাধ হওয়ার কথা নয়।



কোরআন পড়ে ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্মকে ভুয়া বলা যদি ৫৭ ধারা অনুযায়ী অপরাধ না হয়ে থাকে তবে একজন নাস্তিক সাথে ধর্মে বিশ্বাসী হিসেবে সকল ধর্মকে ভুয়া বলা কোন অপরাধ হতে পারেনা। কারন “পাস্তাফারিয়ানিজম” ধর্মের ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী যে কোন ধর্মকে নিয়া অবাধ আলোচনার সাথে প্যারোডি করার অধিকার আমার আছে ।



মুক্তমনা ব্লগে আমার “পাস্তাফারিয়ানিজম” নিয়ে লেখাটিতে ধর্মটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আশা করি।

লেখাটির লিঙ্কঃ http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=40525



এই ব্লগে এইটাই সম্ভবত আমার শেষ লেখা।

মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অপরাধে বারবার আমি ব্যান খাচ্ছি।

সামু অথরিটির কাছেও উপরের প্রশ্ন গুলো রাখলাম।

ইসলামকে নিয়ে লিখে যদি আমরা ব্যান খাই তাহলে এই ব্লগে পরধর্মবিদ্বেষী এবং পরধর্মনিন্দা করে যেসব মুমিন (!!!) সমানে অন্য ধর্মের লোকদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে (নাস্তিকদের নাস্তিকানুভুতি তে আঘাত সহ) লিখে যাচ্ছে তাদের জন্যও সামুর আইন সমান হওয়া উচিৎ।

ভেবে দেখবেন।




বিদায় সবাইকে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:১৭

কাকপাখি ২ বলেছেন:
নাস্তিকানুভুতি বলে আসলেই কি কিছুর অস্তিত্ব আছে? যদি থেকে থাকে তাহলে বলতেই হয়: "নাস্তিকদের নাস্তিকানুভুতি তে তখনই আঘাত লাগে যখন নাস্তিকরা ধার্মিকদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করেন।"

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

এম এস নিলয় বলেছেন: নাস্তিকরা অনুভূতিতে আঘাতের শিক্ষা কই থেকে পেয়েছে সেটা তো উপরেই সুন্দর ভাবে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করলাম। টাও বুঝলেন না???

পরধর্ম নিন্দা আর পরধর্ম বিদ্বেষ শেখার জন্য কোরআন বাইবেল থেকে ভালো বই আর আছে কি বাজারে ???

একটি বই ২০০০ বছর আরেকটি ১৪০০ বছর ধরে পরধর্ম নিন্দা আর পরধর্ম বিদ্বেষ শিখিয়ে আসছে; আমাদের শিক্ষার মূল খুঁজে পেলেন কি ???

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ব্যান খাইসেন তাও ভালো কুপানি খান নাই। জাঝাকাল্লাহ!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

এম এস নিলয় বলেছেন: উগ্র বন্য গাধাদের লাথি মাড়া ছাড়া আর কোন যোগ্যতা আছে কি ??? এদের থেকে যুক্তির আশা বৃথা।

এদের মধ্যে যারা একটু মানুষের বুদ্ধি রাখে তাদের মুখ এরা চেপে ধরে ভয় দেখিয়ে। দেখছেন না এখানে আমার যুক্তির উত্তর না দিয়ে আউল ফাউল কমেন্ট করছে সবাই।

এরা নিজেও জানে এরা কেমন; কিন্তু রক্তের দোষ।
কি আর করার :/

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার বলেছেন: আপনার পরিবারের যৌন জীবন নিয়ে কেউ যদি উপন্যাস লেখে বা মুভি বানায় তবে আশা করি আপনার অনুভূতিতে আঘাত লাগবেনা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০১

এম এস নিলয় বলেছেন: আমার বা আমার পরিবারের যৌন জীবনের মধ্যে যদি আলোচনা বা সমালোচনা বা ষ্টোরি তৈরির মতন উপাদান থাকে তবে সেটা নিয়ে গল্প সিনেমা বানালে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো।

কিন্তু দুঃখিত; আমাদের যৌন জীবনে আপাতত কোন ষ্টোরি নাই; থাকলে সেটা নিয়ে আমি নিজেই গল্প লিখে ফেলতাম :) কোন গল্প থাকলেও সেটা গোপন আছে । কিন্তু হাদিসে তো বিষয় গুলো গোপন করা নাই; ঝুল্লাম খুল্লা ভাবেই বলা আছে।
তবে যখন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর এত সুন্দর বর্ণনা দেয়া আছে তখন তা থেকে গল্প কবিতা বা মুভি বানালে দোষ কি ??? স্ক্রিপ্ট তো রেডি সেই হাজার বছর আগেই; চিত্রায়ন বাকী শুধু।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

পথহারা সৈকত বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ার শাহারিয়ার বলেছেন: আপনার পরিবারের যৌন জীবন নিয়ে কেউ যদি উপন্যাস লেখে বা মুভি বানায় তবে আশা করি আপনার অনুভূতিতে আঘাত লাগবেনা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২

এম এস নিলয় বলেছেন: আমার বা আমার পরিবারের যৌন জীবনের মধ্যে যদি আলোচনা বা সমালোচনা বা ষ্টোরি তৈরির মতন উপাদান থাকে তবে সেটা নিয়ে গল্প সিনেমা বানালে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো।

কিন্তু দুঃখিত; আমাদের যৌন জীবনে আপাতত কোন ষ্টোরি নাই; থাকলে সেটা নিয়ে আমি নিজেই গল্প লিখে ফেলতাম :) কোন গল্প থাকলেও সেটা গোপন আছে । কিন্তু হাদিসে তো বিষয় গুলো গোপন করা নাই; ঝুল্লাম খুল্লা ভাবেই বলা আছে।
তবে যখন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোর এত সুন্দর বর্ণনা দেয়া আছে তখন তা থেকে গল্প কবিতা বা মুভি বানালে দোষ কি ??? স্ক্রিপ্ট তো রেডি সেই হাজার বছর আগেই; চিত্রায়ন বাকী শুধু।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: হে আল্লাহ মুসলমানদের হেফাজত করুন, কেননা আপনি হেফাজত কারী।


নাস্তিক,ইসলাম বিদেষীরা নিপাত যাক।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

এম এস নিলয় বলেছেন: জি এভাবে যদি শুধু দোয়া করতেন তবে আমরা সান্তিতেই থাকতাম। সান্তিতে থাকতো দুনিয়ার সকল সাধারন মানুষ।

আল্লাকে ভয় পাইনা কারন তার কারো কোন ক্ষতি করার সামর্থ্য নেই; কারন তিনি অলীক।

বিশ্বাসীর মন ছাড়া ঈশ্বর আর কোথাও নেই; তবে বিশ্বাসের ভাইরাস এবং বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত রুগীরা আল্লার চাইতে শক্তিশালী। এরা বন্য গাধার মতনই বিপদজনক।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

কাফের বলেছেন: বাচতে হলে
মুখ বন্ধ রাখতে হবে!

আল্লাহু আপনাকে সঠিক ভাবে কোরআন বোঝার তৌফিক দান করুক
আমিন

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

এম এস নিলয় বলেছেন: আপনারা কোরআন বুঝে যেহেতু হত্যার হুমকি দেয়া শুরু করে দিয়েছেন; সুতরাং আপনাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে বইটা অবশ্যই মানব জাতির জন্য ক্ষতিকারক।

সকল ক্ষতিকারক জিনিসই মানবতার স্বার্থে নিষিদ্ধ করা হবে কোন এক দিন।

প্রমান তো হাতেনাতেই দিচ্ছি; গোঁড়াতেই তো সমস্যা তাই বুঝতে পারবেন না। আশা করি পুরো লেখাটা পড়েছেন; কি বুঝাতে চাইছি আশা করি বুঝেছেন :)

৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০২

কাফের বলেছেন: ভুল বুঝছেন!

বাচতে হলে
মুখ বন্ধ রাখতে হবে! এটা আমাদের দেশের অঘোষিত নিয়ম!

আল্লাহু আপনাকে সঠিক ভাবে কোরআন বোঝার তৌফিক দান করুক।আমিন। বিশ্বসিরা এ রকমই বলে থাকে।

আত্মীয়সজনের কাছে কাফের হিসাবে পরিচিত! কারন প্রশ্ন করি অযৌক্তিক কোনো কিছু মেনে নেই না!

এমন কি বাপের হাতে মার পর্যন্ত খাইছি প্রশ্ন করার অপরাধে!!












০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

এম এস নিলয় বলেছেন: বুঝলাম।

৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: আপনার দিক থেকে এই ভাবে সমালোচনা করা ঠিক আছে। কারন নাস্তিক রা ত আল্লাহর অস্তিত স্বিকার করে না ,সুতরাং আপনি যে নবী করিম (সাঃ)কে সাধারণ মানুষ হিসেবে মনে করতে পারেন , বা কোরানুল কারিমকে সাধারণ কিতাব বা বই।

মুসলিম মানে আত্মসমার্পোনকারী সেখানে আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনে রাসুলের মাধ্যমে কোনটি হারাম , কোনটি হালাল তা বলে দিয়েছেন এবং তিনি আমাদের মাঝে বিদ্রমান এবং নিরাকার সেটা কোরআনের মাধ্যমে বলে দিয়েছেন আর এইগুলো মেনে নেওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলমান ঈমানদ্বার হতে পারবেন।

আর আবু লাহাব, ফেরআউনসহ বর্তমান ইসলাম বিদ্বেষীরা পায়খানার কিট বা এর চাইতেও খারাপ। সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।


সর্বপরি আপনাকে এইটুকুই বলতে পারি আপনি নামধারী মুসলমান হলে আল্লাহর কাছে তওবাহ করে সত্যি কারের মুসলমান হন। আর যদি অন্য ধর্মের হন তাহলে দয়া করে এই বাবে কাদা ছুড়াছুড়ি না করে বিরত থাকুন।


০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৩

এম এস নিলয় বলেছেন: সেটাই তো এই পোস্টে বুঝাইতে চাইলাম; কোরআন থেকে হাজার বছর ধরে প্রজন্মের পড়ে প্রজন্ম পরধর্ম নিন্দা এবং পরধর্ম বিদ্বেষ শিখছে। নাস্তিক্রাও কোরআন থেকে ধর্মকে এবং ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে কতু কথা বলা সিখচে। তাই তো বললাম কোরআন থেকে এইসব ক্ষতিকারক আয়াত বাদ দিয়ে দিন; তাইলেই আর নাস্তিকরা ধর্ম বিদ্বেষ শিখতে পারবে না। আর কোন জেহাদিও কোরআন থেকে জেহাদ আর মানুষ হত্যা শিখতে পারবেনা।

ক্ষতিকারক আয়াত বুকলে ব্যান করা হোক; যেগুলো মানুষকে পরধর্ম বিদ্বেষ আর ধর্ম নিন্দা সিখায়।

কথা ক্লিয়ার???

৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

জগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার বা আমার পরিবারের যৌন জীবনের মধ্যে যদি আলোচনা বা সমালোচনা বা ষ্টোরি তৈরির মতন উপাদান থাকে তবে সেটা নিয়ে গল্প সিনেমা বানালে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো।

তাই নাকি?

তাইলে তো হনুমান আজাদ আপনার মায়ের কথা (কদবান-বিবির কথা) উনার "সব কিছু ভেঙে পড়ে" উপন্যাসে বিস্তারিত লিখে সাধুবাদ জানানোর কাজ করেছেন।

কি বলেন? ;)




[কদবানের পুতেরা কদবানের পুত ই থাকে, মানুষ হয় না /:) ]

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৮

এম এস নিলয় বলেছেন: বন্য গাধার বংশধরেরা বন্য গাধা থেকে বেশী হলে গৃহপালিত গাধা হতে পারে। কিন্তু গাধা গাধাই থাকে; বিবর্তন আর হয়না।

আপনি এই কদবান ছাড়া আর তো কিছু জানেন না; কদবান হইলো মহামানবের ৭২ হুরীর এক হুরি। কোন সমস্যা??

১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

ভাসা মেঘ বলেছেন: আপনার কাছে শুধু গোড়াদেরই ধার্মিক মনে করেন তা আপনার ভাষ্যনুযায়ী বুঝা যায়। যাই হোক আপনাকে ভন্ড বললে কিংবা আপনার নাম ব্যঙ্গ করে একটা ইংগিত করি তাহলে কেমন লাগতে পারে ! নাস্তিকতা আর ধর্ম বিদ্বেষীর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। সেটা বুঝবার ক্ষমতা এখনো আপনার নয়নি তাই মনে এতো প্রশ্ন।

বাংলাদেশে ধর্ম অবমাননা বলতে যে শুধু ইসলাম ধর্ম অবমাননাই বোঝায় তা বুঝতে কেমব্রিজে যাওয়া লাগেনা। তখন মনে প্রশ্ন জাগে, তবে মুসলিমদের হাতে মন্দির, গির্জা ও বুদ্ধ মন্দিরে হামলা আর মূর্তি ও পবিত্র গ্রন্থে অগ্নিসংযোগ ও পদদলিত করা কি হিন্দু, বুদ্ধ ও খ্রিস্টানদের ধর্ম অবমাননা নয়???

অবশ্যি ধর্ম অবমাননা। আর লাখো লাখো মুসলমান এর প্রতিবাদ করেছে।

মুক্তমনা মানেই অন্যকে ব্যঙ্গ বা অন্যের বিশ্বাস কে গালাফালি করা না।


আপনার কাছে জামায়াত ইসলামী বা গোড়া ইসলামিক দল যারা করেন তাদেরই শুধু মুসলমান মনে হয়। অন্যদিকে মনে করেন পৃথিবীর সকল মুসলমানকেই মনে করেন জামাতী বা উগ্রপন্থি।


ভালো থাকবেন। আল্লাহ আপনার হেদায়েত করুন। আমিন।


০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৮

এম এস নিলয় বলেছেন: মডারেট মুসলিম বা সব ধর্মের প্রতি স্রদ্ধাসিল বলে কোন মুসলিম নেই; হতে পারেনা। উপরে উল্লেখিত আয়াত গুলো অস্বীকার করলে আপনি কি মুসলিম থাকবেন ??? মুসলিম হতে হলে আপনাকে পরধর্ম নিন্দা এবং পরধর্ম বিদ্বেষ করতেই হবে। নইলে আপনি মুসলমান ই না। আর তখন শুধুই জন্ম সুত্রে নাম পাওয়া মুসলমান। এখনে এই পোস্টে মন থেকে মুসলমানদের সম্পর্কে বলা হয়েছে। আপনি যদি আয়াত গুলা অস্বীকার করেন তাহলে আপনি আর যাই হন মুসলমান নন।

১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৮

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:

@ এম এস নিলয় :


আপনি আপনার পোস্টে নিচের বোল্ড করা কথা বলে ইসলামকে ব্যাঙ্গ করেছেন।

মোহাম্মদ যে ইসমাইলের বংশধর ছিলেন এবং মুসলমানদের যে ইসমাইলেরবংশধর বলা হয়, সেটা, সম্ভবত, কারো অজানা নয়। মানে বাইবেল অনুযায়ী মুসলমানেরা বন্য গাধার স্বভাবের ইসমাইলের বংশধর - মানে আরও উৎকৃষ্ট (!!!) স্বভাবের বন্য গাধা বলা হয়েছে।


আপনাকে ব্যান করা হোক।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৪

এম এস নিলয় বলেছেন: আমি তো বলিনাই; বাইবেল বলেছে। আমি বাইবেলের কথা বললাম। বাইবেল ব্যান করে দেন বাংলাদেশ থেকে।

আপনি লেখাটা হয় পড়েন নাই নয়তো আপনার বন্য গাধার ঘিলুতে আমার যুক্তি গুলো ঢোকে নাই। লেখাটা আবার পড়েন; অন্য ধর্মকে আপনারা কোরআন দিয়া ব্যাঙ্গ করলে যদি সেটার জন্য ব্যান না দেয়া হয় তবে বাইবেল দিয়া মুসলিমদের ব্যাঙ্গ করলে কেন সেটার জন্য ব্যান দিতে হবে???
সোজা ভাষায় বোঝেন না দেখেই আমাকে একটু কঠিন তুলনা দিতে হয়েছে। তবুও যখন আমার লেখার মূল কথা বুঝেন নাই তাইলে আপনারা বন্য গাধা যে তাতে কোন সন্দেহ আছে কি ???

ব্যান করলে সমস্যা নাই; ছাগু অধ্যুষিত ব্লগে আমি আবার আসবো এটা ভাব্লেন কেমন করে যেখানে আপনার মতন কতগুলা মাথামোটা ছাড়া আর কোন মানুষ নাই।

১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: হিন্দুরা হিন্দুদের ধর্ম নিয়ে শান্তিতে আছেন, খৃষ্ট্রানরা-ইহুদীরা তাদের ধর্ম নিয়ে, বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম নিয়ে , আর মুসলমানরা তাদের ধর্ম নিয়ে শান্তিতে সহাবস্থান করে শান্তিতে আছেন সবাই। কিন্তু শান্তিতে নেই আপনার মত মানুষেরা ......আপনারা পারেন কিভাবে ধর্মে ধর্মে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করতে হয়, আপনারা পারেন এই সুন্দর সহাবস্থানের মাঝে ফাটল ধরাতে। আপনি আস্তিক-নাস্তিক যে ধর্মেরই হউন না কেন কোন ধর্ম নিয়ে কটুক্টি করার অধিকার আপনার নেই.......

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫০

এম এস নিলয় বলেছেন: ধর্মে ধর্মে প্রেম পিরিত কই পাইলেন আপনি???
কারা অন্য ধর্মকে খোঁটা দিয়ে হাজার বছর থেকে লুলামি করে আসছে আর বলে আসছে "সব ইহুদী নাসারাদের ষড়যন্ত্র" সেটা তো লেখাতেই প্রমান দিলাম।

পৃথিবীতে শান্তি ফিরিএ আনতে এসব বিষাক্ত বই ধ্বংস করা জরুরী।
এই বই গুলই মানুষে মানুষে বিষ ঢালে; দোষ হয় ইহুদী নাসারা আর নাস্তিকে। মূল কথায় সেটা তো প্রমান দিলাম ই। তবুও আপনারা বুঝবেন না। কারন আপনাদের যুক্তি জ্ঞান নেই; থাকলে কারা ধর্ম বিদ্বেষ করে সেটা বুঝতেন। দিনে ৫ বার ধর্ম বিদ্বেষ করেন আর অন্যদিকে নাস্তিকদের মুখ সামলাতে বলেন এটা কি কোন যুক্তির কথা হল???

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০০

এম এস নিলয় বলেছেন: কোন ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অধিকার কারো নেই সেটাই তো বললাম ভাই। আমি চাই কেউ কারো ধর্ম নিয়ে কটূক্তি না করুক। কোরআন ইহুদি নাসারা নাস্তিক পত্তলিকদের ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে এবং আপনারা তা আওরে যাচ্ছেন তাতে দোষ হচ্ছে না।

তবে বাইবেল মতে আপনাকে বন্য গাধার বংশধর বললে আমার দোষ টা কি ???

অন্য ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা অপরাধ হলে কোরআন লেখার অপরাধে এর লেখক এবং এই গ্রন্থ ব্যান করুন; তারপরে আমারে বুঝাইতে আইসেন ।

১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে আপনাকে ব্যান করা হউক, সাথে সাথে পোস্ট রিপোর্টেড

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

এম এস নিলয় বলেছেন: হাজার বছর ধরে যেই বই এবং যে সম্প্রদায় অন্য ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি এবং ঘ্রিনার চর্চা করে আসছে সেই বইকে আগে ব্যান করুন। ওই বই না থাকলেই পৃথিবীতে আর কোন গেঞ্জাম থাকবে না।

পৃথিবীতে মানুষের জন্য খতিকারক এমন একটি ঘটনা দেখান যার পেছনের ধর্মের প্রত্যক্ষ বা পরক্ষো হাত নেই।
ধর্মই সকল গেঞ্জামের মূল।
পৃথিবীর যত গেঞ্জাম তার একমাত্র কারন ধর্ম।

ধর্ম ব্যান করুন; তাহলে নাস্তিকদের আর ধর্মের খারাপ দিক দেখাতে কষ্ট করে লিখতে হবেনা।
যেটা খারাপ সেটাকে খারাপ বল্বই।
এখানে না বলি অন্য কোথাও অন্য কোন ব্লগে।

এই ব্লগে জ্ঞান আছে এমন কেউ নেই সম্ভবত; এতগুল কমেন্টের এত গুলো কমেন্তার একজনও আমার যুক্তি খন্দন করতে পারল না।

আপনারা নিজেরাও জানেন যে আমি সঠিক।
কিন্তু বন্য গাধার মতন গোঁয়ার না হলে কি আর রক্তের ইজ্জৎ থাকে???
তাই আমি সত্য সেটা জেনেও আমাকে ব্যান কড়াতে চাচ্ছেন :)
ভালো তো :)

১৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৭

এম এস নিলয় বলেছেন: বার প্রতি আহবান; আমাকে ব্যান করানর প্রচেষ্টার বদলে কোরআনের পক্ষে কিছু যুক্তি দিন। প্রমান করুন কোরআন পরধর্মনিন্দা এবং পরধর্মবিদ্বেষ শেখানোর ডিকশনারি নয়। প্রমান করুন ইসলাম সকল ধর্মের প্রতি স্রদ্ধাসিল।

সেটা না পারলে এখানে লেদানর দরকার নাই; আপনি নিজেও বুঝে গিয়েছেন কোরআন ইসলাম আসলেই গিল্টি।

তাই চুপ করে থাকুন; মৌনতা সম্মতির লক্ষন হিসেবে ধরে নেব।

কিন্তু যুক্তির বাইরে আউল ফাউল কথা বলে অযথা হাউকাউ করবেন না।

আমি যদি ভুল হয়ে থাকি তবে আমাকে সেটা বলুন। আমি মেনে নেব শুধুই যুক্তিকে; ধর্মের পক্ষে গলাবাজিতে নয়।

১৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩০

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন: @ এম এস নিলয় :

আরে শয়তান এম এস নিলয় আপনিতো নিজের বন্য গাধার ঘিলুতে আর মাথামোটা বুদ্ধি দিয়ে মুসলিম আর খ্রীস্টানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ব্যাবস্থা করেছেন।

আপনার মতো যাদের মাথা বন্য গাধার ঘিলুতে ভরা শুধু তারাই আপনার যুক্তিকে সমর্থন করবে।

আপনার কথা মতো বাইবেলে কি ইসমাইলের বংশধর বা মুসলিমদের কথা লিখা রয়েছে?
মিথ্যুক কোথাকার!!

বাইবেল ব্যান না করে আপনাকেই ব্যান করা উচিত।

আপনার সাথে বন্য গাধার অপূর্ব মিল রয়েছে।
যেমন-
আপনি অবাধ্য এবং সব খানেই গ্যাঞ্জাম লাগাচ্ছেন।
আপনার কথা গাধার মতোই বিশ্রি।
ইসলাম আপনার ক্ষতি না করলেও আপনি এর উপর রেগে আছেন এবং অল্পতেই সবার উপর আঘাত করেন।
এই ব্লগে যাদের মাথায় গাধার ঘিলুতে ভরা, তারা ছাড়া সবাই আপনাকে তারিয়ে দিতে চাচ্ছে।


ইহুদীরা যদি আপনাকে তাদের যুক্তিমত জারজ বলে তবে তাদের কি দোষ দেয়া যায়?

আপনার মতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানো অভিশপ্ত শয়তান থেকে সামু নিরাপদে থাকুক, এই কামনা করি।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৮

এম এস নিলয় বলেছেন: ইহুদীরা যীশুকে যে জারজ বলে সেটা সঠিক। যীশুর বাপের যেহেতু কোন ঠিকানা নাই তাই তাকে জারজ বলা যেতেই পারে :) কারন মরিয়ম যে আজগুবি কাহিনী বলসে সেটা ভাওতা সেটা যৌন জ্ঞান থাকা শিশুও অনুমান করতে পারে।

যীশুর সমসাময়িক মাত্র একটি সরকারি ডকুমেন্টে যীশু এবং তার মার নাম পাওয়া যায়। সেটা হল্ল জারজদের নামের তালিকায়। প্রতি বছর বরদিনের রাতে বিবিসির খবরে সেটা বলা হয়। অধিকাংশ ইতিহাস বিজ্ঞানী যীশুর নাম ওই জাজরদের নামের তালিকা ছাড়া আর কোথাও নাকি খুঁজে পান নি। সেখানে লেখা আছে দুজন রোমান সৈন্য কত্রিক ধরসিত হয়ে জারজ এই সন্তানের জন্ম হয়। বিশ্বাস না হলে খোঁজ করে দেখুন আমার কথার সত্যটা।
তাই ইহুদীদের কথাতে অবিশ্বাস করার কিছু নেই; কারন সেই কথার বাস্তব ভিত্তি আছে।

কিন্তু আমি জারজের মানে যীশুর বংশধর নই; আমি তাকে আর ১০ টা নবীর মতনই ভণ্ড বলেই জানি।

১৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যার যার ধর্মবিশ্বাসকে নিয়ে তাকে থাকতে দিন। হঠাৎ করেই সেটাকে তুলে ধরে একটা বিতর্কের সৃষ্টি করা কেন?? আর ধর্ম কাঁচের চুড়ির মত ভঙ্গুর নয় যে, দু'একটা মন্তব্যে বা তর্কে তা ভেঙ্গে যাবে। তাহলেতো পৃথিবীর প্রধান ধর্মগুলির অস্তিত্বই থাকতো না এতোদিনে।সুতরাং থাকতে দিন যার যার মত করে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২১

এম এস নিলয় বলেছেন: মিসরীয় দেবতারা; মায়ান দেবতারা; ইনকা দেবতারা; আরবিও দেবতারা (ইভেন আল্লার তিন মেয়ে লাত, মানত এবং ঊজ্জাও বিলুপ্ত); গ্রিস দেবতারা কিন্তু এখন শুধু বইতেই আছেন; কিন্তু তাদের বেইল দেয়ার কেউ নেই। কিন্তু তাদের কিসসা কাহিনী অথবা কাল্পনিক শক্তির কাহিনী কিন্তু বর্তমান অনেক ঈশ্বরের বা অনেক ধর্মের কাহিনীর থেকে শক্তিশালী ছিল।

কোরআন-বাইবেলের-মহাভারত-রামায়নের কাহিনী থেকে তাদের কাহিনী বেশী যুক্তিযুক্ত হওয়া সত্তেও তারা যখন বিলুপ্ত হতে পেরেছেন তখন নতুনদের বিলুপ্তি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।

বর্তমান ঈশ্বরেরা টিকে আছেন শক্তিশালী ফলোয়ারদের কারনে। তাদের দমন এবং শোষণ নীতি বিলুপ্ত করতে পারলেই এরাও বিলুপ্ত হয়ে যেত।

বর্তমান পৃথিবীতেই এখনো হাজার হাজার ঈশ্বরের মিথ আছে। প্রতিদিন নতুন নতুন ঈশ্বর নতুন নতুন ধর্ম যেমন সৃষ্টি হচ্ছে তেমন বিলুপ্তও হচ্ছে।

একদম আধুনিক এক ঈশ্বরের কথা আমি আমার নতুন লেখাটায় বলেছি এখানে mukto-mona.com/bangla_blog/?p=40525 । এই ঈশ্বরের ফলোয়ার কিন্তু কম নয়। ঈশ্বরের পয়দা হতে যেমন সময় লাগেনা বিলুপ্ত হতেও তেমন লাগেনা।

লেটস সি :)

১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:

@ এম এস নিলয় :


আপনি বলেছেন।-

তবে প্রতি বছর উৎসব করে হিন্দুদের পূজার প্রাণী, যাকে তারা মা বলে ডাকে সেই গরুকে রাস্তায় জবাই দেয়া কি হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত নয়???

ইসলামে মূর্ত পূজা নিষিদ্ধ।

এখন বিধর্মীরা যখন রাস্তা ঘাটে মন্ঞ্চ বানিয়ে মূর্তি পূজা করে, তখন কি কেউ বলে যে বিধর্মীরা ইসলামের ধর্মানুভুতিতে আঘাত দিয়েছে?
নিশ্চয়ই এমন কথা কেউ বলেনা।
কারণ এটা নিজ নিজ ঘরোয়া ধর্মীয় স্বাধীনাতার ব্যাপার এবং তাতে অন্য ধর্মের সাথে কোন দন্ড তৈরি হয়না।

কিন্তু যদি হিন্দুরা অন্যায় ভাবে গরু জবাই করতে বাধা দেয়, তখনই কেবল ধর্মীয় স্বাধীনতা নষ্ট হয়েছে এমনটা বলা যায়।

সকলেই যদি অন্য কারো ব্যাপারে নাক না গলিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্ম পালন করতে পারে, তবে আপনার মতো বন্য গাধার ঘিলুতে ভর্তি মাথা আলা অমানুষের সমস্যা কোথায়?


এখন কল্পনা করুন, বাংলার হিন্দুরা যদি এখন রাস্তায় শূয়র জবাই দিয়ে অনুষ্ঠান পালন শুরু করে তবে কি বাংলার মুসলিমরা সেটাকে গরু জবাইয়ের উৎসবের মতন সাধারণ ভাবে নেবে ???

ভালো তো।
তাদেরকে বলুন বেশী করে শুয়োর বলি দিতে।
তারা এমনটা করলে আমাদের কি আসে যায়।
যদি পরে এটা আবিস্কার হয় যে শুয়োরও তাদের কাছে পবিত্র কিছু, তখন তারা আপনাকেই সাইজ করে দিবে।

আর তারা কি পৃথিবীর সমস্ত গরু ইশ্বরের কাছ থেকে লিজ নিয়েছে?
পারলে দলিল দেখান।
মুসলিমরা হিন্দুদের গরু জবাই করে না, বরং তারা নিজেদের টাকায় কেনা এবং নিজেদের মালিকানায় থাকা গরু জবাই করে।


“হিন্দুদের কাছে গঙ্গার পানি যতটা পবিত্র, জমজম কূপের পানি মুসলিমদের কাছে ঠিক ততটাই পবিত্র”।

ইহাতে কোন দ্বিমত নেই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৩

এম এস নিলয় বলেছেন: মূল লেখা কিন্তু গরু শুঁয়োর নিয়ে ছিলনা; ওটা আস্তিক-নাস্তিক কথোপকথনের অংশ ছিল।

প্রমান করুন কোরআন ধর্ম বিদ্বেষ ছরায় না; ইহা দুধে ধোয়া গ্রন্থ। প্রমান করুন আস্তিক এবং নাস্তিকের ধর্ম বিদ্বেষের বা পর ধর্ম নিন্দার গুরু মুহাম্মদ নয়।

আপনার জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।

১৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৩০

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:

@ এম এস নিলয় :

আপনি বলেছেন।-

=কিন্তু মুসলিমরা এই কথায় অবিশ্বাস করে (আন নেসা ১৫৭)। খ্রিস্টের মৃত্যু ও পুনুরুত্থানকে মিথ্যা বলা মানে হল সম্পূর্ণ খ্রিস্ট ধর্মকে মিথ্যা বলা। কথাটা ততটাই খারাপ যতটা খারাপ এই কথাটা বলা যে “মুহাম্মদ ভণ্ড নবী অর্থাৎ ইসলাম ভুয়া”।


আপনার মাথাতো বন্য গাধার ঘিলুতে ভরা, তাই আসল জিনিস ধরতে পারেননি।
ইসলাম খ্রিস্টের মৃত্যু ও পুনুরুত্থানকে অস্বীকার করে খ্রীস্ট ধর্মকে মিথ্যা বলেনি। বরং বলতে চেয়েছে ওগুলো পাদ্রীরা ওই ধর্মে ঢুকিয়েছে।

শুনেছি বাইবেল নাকি খ্রীস্টের বহু পরে লিখা এবং সেটা নিয়ে এখনো যাচাই ও বাছাই হয়।

হাদীস যেমন অনেক পরে লিখা এবং এই জন্য একে সব সময়ে যাচাই ও
বাছাইয়ের মধ্যে থাকতে হয়, অনেকটা তেমনি।

তাছাড়া কোরআন যেমন একটি বাইবেল কিন্তু তেমন ভাবে একটি নয়।


এখন খ্রিস্টানরা যদি দিনে ৫ বার বলে “মুহাম্মদ ভণ্ড নবী, কোরআন মুহাম্মদ নিজে লিখেছেন” সেটা কি ইসলাম ধর্ম অবমাননা হবে ??? কেন হবে ??? মুসলিমরা বললে যদি খ্রিস্টানদের ধর্ম অবমাননা না হয় তবে খ্রিস্টানরা বললে কেন মুসলিমদের ধর্ম অবমাননা হবে ???

বাইবেলে তো আর এইসব কথা ঢুকানো নেই।

এখন আপনারা যদি নতুন করে এই সব ঢুকাতে থাকেন, তবে বাইবেলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।

কাজেই আপনার ওই যদি এমনটা থাকতো এই সব ফালতু প্রশ্ন এনে লাভ নেই।


প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ নামাজ পড়ে। আর নামাজে উপরে উল্লেখিত আয়াত গুলো কোরআন থেকে পাঠ করে খ্রিস্টানদের ধর্মকে ভুয়া বলে গালি দেয় ।

কোরআনে কোথায় খ্রিস্টানদের ধর্মকে ভুয়া বলে গালি দেয়া রয়েছে ?

এখানে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী আল্লাহ নিজেকে সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা বলে সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন।

তাছাড়া ইহুদী এবং খ্র্রীস্টান তারা কি একে অন্যকে সঠিক বলে?

আর আপনি যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন, তবে সেই জায়গা থেকেই কথা বলুন।

আপনি বলতেই পারেন যে, আপনি কোন ধর্মে বিশ্বাসী নন, কিন্তু তাই বলে অন্যের ধর্মকে আঘাত করার অধীকার আপনাকে কোন শয়তান দিয়েছে।

পৃথীবির সকলেই নিজ নিজ ধর্মেকে বিশ্বাস করে পালন করলে এবং অন্য ধর্মকে অবিশ্বাস করলেও কোন সমস্যা হয়না এবং এতে অন্য ধর্মের অমর্যাদা্ও হয়না।
সমস্যা তখনই হয় যখন অন্য ধর্মের উপর জবরদস্তি চালানো হয়।

কেউ যদি ইসলামের উপর আক্রমন না করে, তবে ইসলামও অন্যের উপর আক্রমন করবেনা।
এই ভাবেই শান্তি বজায় রাখা যায়।

কিন্তু বেশীর ভাগ সময়ে দেখা যায় কেউ না কেউ ইসলামের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে।
যেমন
চিন ও বার্মায় মুসলিমদের অধিকারের উপর।
কাশ্মিরে, ফিলিস্তিনে, রাশিয়ায়, ফিলিপাইনে, আফ্রিকায় মুসলিমদের স্বাধিনতার উপর।
আরবে এবং আফ্রিকায় অমুসলিমরা ক্ষমতা, তেল, বাণিজ্য ইত্যাদির জন্য মুসলিমদের উপর হানা দিচ্ছে।

এখন মুসলিমরা যদি নিজের স্বাধীনতা, অধীকার বা অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অস্ত্র ধরণ করে তবে আপনাদের মতো বন্য গাধার ঘিলুতে ভরা মাথা ওআলা এবঙ স্বার্থপর ও ভোগী লোকেরাই তাদেরকে সন্ত্রাসীর ত্যাগ বসিয়ে দেয়।

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০১

জগ বলেছেন: আপনার অবৈধ বাপ হনুমান আজাদের কাছে আপনার মা "কদবান বিবি" কিন্তু হুরি ছিল না, সম্ভবত বাসার কাজের লিক ছিল।

বাসার কাজের লোকের দিকে বদ লোকেরা যেইভাবে কু-নজর দেয়, হনুমান আজাদ সেইভাবে আপনার মায়ের দিকে বদ নজর দিত, সেইটা তার বই পড়লেই বুঝা যায়।

কদবান বিবির ঝুলন্ত পেপের বর্ননাই সে শুধু দেয় নাই, সাথে আরো অনেক কিছুর বর্ননা দিছে। (কি কি বর্ননা দিছে, সেটা আরেকদিন বলব)

কদবানের পুত বলে ডাকলে এত প্রতিক্রিয়া দেখান ক্যান? মায়ের নাম ফাঁস করলে সমস্যা কি? নাস্তিকদের তো আর জন্ম পরিচয় নিয়া কোন নুনুভূতি থাকার কথা না।

নাকি আপনার নুনুভূতি আছে !!??

২০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য মদ, জুয়া, লটারী, ব্যভিচার ইত্যাদি অন্যতম অনুষঙ্গ। ইসলামে এগুলোকে হারাম করা হয়েছে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কি ?

ইসলাম সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিক্ষা দেয়। কিন্তু আপনার কাছ থেকে সেই শ্রদ্ধাটুকু না পেয়ে খারাপ লাগল।

ভাল থাকুন।

২১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৯

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
@ এম এস নিলয় :

ব্যান করলে সমস্যা নাই; ছাগু অধ্যুষিত ব্লগে আমি আবার আসবো এটা ভাব্লেন কেমন করে

ভাবি এই কারনে যে, আপনারা সকল নাস্তিকরাই ছাগু।

যারা বাংলাদেশের মানুষের সাথে ৭১-এ বেঈমানী করেছে সেই সব রাজাকারদের যদি ছাগু বলা যায়, তবে আপনারা যারা সৃষ্টিকর্তার সাথে বেঈমানী করে নাস্তিকতা করছেন তারাও রাজাকার এবং ছাগু।

আপনাদের মত রাজাকার এবং ছাগু শুধু শয়তানের বন্ধু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.