নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু পাগলার ডায়েরী

আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই।

এম এস নিলয়

স্রোতস্বিনীর বয়ে চলা ঢেউয়ের মত হতে চাই; সৃষ্টিশীল স্রষ্টাদের মাঝে থাকতে ভাল লাগে। ভালবাসি মাকে, বাবাকে, আমার আদুরে বোনকে আর পাশে রাখি বই বন্ধুকে। হতে চাই অনেক কিছু,হতে পারি অল্পকিছু। চেষ্টাটাই বা কম কিসে !!! আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই। আমি স্বাধীনচেতা। নিজের কোন বিষয়ে অন্যের হস্তক্ষেপ পছন্দ করিনা। বন্ধুদেরকে ভালবাসি। ভালবাসি আড্ডা দিতে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে। যুক্তি দিয়ে তর্ক করা পছন্দ করি। আমিই সেই নিলুপাগলা :D

এম এস নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ষক যখন রাক্ষস

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৫

খৃস্টান ধর্মগুরু পোপ গুলারে ক্যান আমি ২ চোক্ষে দেখতে পারিনা তার কারন তাদের করা গত কয়েক মাসের (গত ২০০০ হাজার বছরের ইতিহাস নাহয় নাই কইলাম) কাণ্ডকারখানা জানলেই বেশ বুঝতে পারার কথা।



ভ্যাটিকানের বর্তমান পোপ আগেরগুলার মতোনই আস্ত একটা চুদির্ভাই। তফাৎ খালি একটাই: তার মুখখান হাসিহাসি। তার সাম্প্রতিক ক্ষুব্ধ বাণী: পরিবার ও সমাজে শিশুদের নিপীড়িত হওযার ঘটনা চার্চের চাইতে বেশি হইলেও বেবাকেই খালি চার্চের পিছে লাগে! আরে হালা, চার্চের তোরা নাকি নৈতিকতার ধ্বজাধারী (বাস্তবে ধ্বজভঙ্গ-নৈতিকতার ব্যাপারী), তোরাই নাকি সদাচরণের পরাকাষ্ঠা, তাইলে তোগো ভিত্রে এতো শিশুধর্ষক আসে কইত্তে? যার মনে যা, ফাল দিয়া ওঠে তা। বিশ্বে শিশুকামীদের বৃহত্তম সংগঠন ক্যাথলিক চার্চের বর্তমান প্রধান মানে আমগো পোপ সেদিন জনসমক্ষে বক্তৃতার সময় 'ফাক' কইয়া ফালাইসে ভুলে। ধারণা করা যায়, সে কইতে চাইসিল 'ফাক চিলড্রেন'।



কিছুদিন আগে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল খ্রিষ্টধর্মের কঠোর নারীবিদ্বেষ প্রসঙ্গে, এই চুদির্ভাই উত্তরে বলেছে, 'ঘটনা হচ্ছে এই যে, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছিল পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে।' এক কথা বলার পরে যখন বুঝসে যে সে নিজের কথায় নিজেই ফাইসা গেসে তখন সে থতমত খেয়ে বলেছেন, 'আমি জোক করেছি!!!।'

হালা ফাউল।



বিশ্বে শিশুকামীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ক্যাথলিক চার্চের বর্তমান ভণ্ড পোপ লোক-দেখানো কিছু ঘোষণা দিয়ে অনেকেরই বাহবা কুড়োচ্ছে। সে সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে, সংগঠিত মাফিয়াদের চার্চ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এতে অবাক হবার কিছু নেই। ক্যাথলিক চার্চই তো একটি সংগঠিত মাফিয়ার দল। অতএব অর্থ, অপরাধ ও প্রভাব বিস্তারের জগতে কেই বা প্রতিযোগীদের পছন্দ করে বলুন!



অধিকাংশ ক্যাথলিকই ধর্মীয় যৌনশিক্ষা বা ধর্মীয় যৌনঅনুশাসন মেনে চলে না - খোদ ভ্যাটিকানই স্বীকার করেছে এ কথা। যে ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রচারক জীবনে কখনও সেক্স করেনি, তার দেয়া যৌনশিক্ষা মেনে চলা যে গাধামি, সেটা তার অনুসারী ভেড়ার পালও বোঝে। অবশ্য ডজনখানিক বউয়ের সঙ্গে ছহবতকারী এবং যুদ্ধবন্দিনী- ও দাসীধর্ষণকারী ব্যক্তিও যে যৌনবিশেষজ্ঞ হবে, সে কথাও সত্য নয়।





এইবার পোপের সাগরেদের কিছু কর্মকাণ্ড না বললেই নয়;



এক যাজিকা (nun), যৌনসঙ্গম যার জন্য নিষিদ্ধ, সন্তান প্রসব করে পত্রিকার শিরোনামে এসেছিলেন কিছুদিন আগে। সন্তান জন্মদানের পর সে বলেছে, সে যে অন্তঃসত্ত্বা ছিলো, সেটা সে জানতো না। খবরটা পড়ে একটা কৌতুকের কথা স্মরণে এলো: এক যাজিকা মোমবাতিতে কনডম পরাতে পরাতে বলছিল, 'আজকাল মোমবাতিকেও বিশ্বাস নেই।' নানদের সংগম নিয়া আমার কোন চুল্কানি নাই; আছে তাদের শপথ আর দর্শনে। লাগাবিই যখন তখন নান হইসিস ক্যারে???





ধর্মযাজকদের দ্বারা ধর্ষিত শিশুদের পক্ষ চার্চ কখনওই নেয় না। বরং চার্চের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে যে কোনও অপকর্ম সাধনে দ্বিধা করে না ধর্মবাজেরা। এই ঘটনাগুলো সযত্নে গোপন রাখা হয়, ধর্ষকদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়।



আজিব একটা খবর বলি এখন। সেদিন খবরে পড়লাম ৬০ বছর বয়সী খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ধর্ষণ করেছে ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী পাঁচ মেয়েকে। এদের মধ্যে দু'জন অন্তঃসত্ত্বা। ধর্মযাজককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রেপ্তারের বিরোধিতা করছে... কারা, বলুন দেখি? অনুমানও করতে পারবে না। এই পাঁচ মেয়ে এবং তাদের পিতামাতা। অন্তঃসত্ত্বা দু'জন তো বটেই এবং প্রতিবাদকারী বাকি সকলেরই বিশ্বাস, মেয়েগুলো সঙ্গম করেছে যিশুর সঙ্গে, ফলে অনাগত সন্তানদের পিতাও যিশু।

ওই খৃস্টান যাজক যে স্বর্গ-যীশু-পবিত্র আত্মা এইসব ভুগিজুগি দিয়া মাইয়া গুলার সাথে সংগম করেছিলেন সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।





আমেরিকায় গত মে মাসে প্রেপ্তার হওয়া ২৫ জন ধর্মযাজকদের একজন ছাড়া প্রত্যেকেরই অপরাধ যৌনতা সংক্রান্ত। তাদের অপরাধের তালিকায় শিশুধর্ষণ (৮ বছরের বালিকাও বাদ যায়নি) তো বটেই, আরও আছে প্রতিবন্ধী ধর্ষণ, দর্শনকামিতা (মই বেয়ে উঠে প্রতিবেশীদের যৌনসঙ্গম দেখার চেষ্টা), চার্চে মেয়েদের বাথরুমে ক্যামেরা স্থাপন, শিশুপর্নো, ড্রাগস।



হায়রে যীশু; নিজে নপুংশক (সম্ভবত) হইয়াও ভবিষ্যতে কতগুলা ধর্ষকের আইডল হবেন জানলে বিচি ফালাইয়া তখনই খাসী হইয়া যাইতেন।



পোপ আর তাদের সাঙ্গোপাঙ্গদের কুকর্মের কথা লিখতে বলসে বাইবেলের চাইতেও বড় বই হয়ে যাবে তাদের ১ বছরের (কে জানে হয়তো ১ মাসের) কুকর্মের ইতিহাসেই।



যীশুর এইসব "পরিত্রাণ প্রাপ্ত ঈশ্বরের সন্তানদের" কথা মনে এলেই ব্রাজিলে অবস্থিত বিশ্বের সবচাইতে বড় যীশুর মূর্তির বুইড়া আঙ্গুল এদের পাছায় ভরে দিতে মুঞ্চায়।

এদের অপরাধ স্বর্গীয় কারন এরা খৃস্টে বিশ্বাসী অর্থাৎ আস্তিক; আর আমরা নাস্তিকেরা সেগুলা নিয়া লিখলেই হইয়া যাই নরকের কীট!!!



আজীব!!



ফেসবুক পোস্ট লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.