নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু পাগলার ডায়েরী

আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই।

এম এস নিলয়

স্রোতস্বিনীর বয়ে চলা ঢেউয়ের মত হতে চাই; সৃষ্টিশীল স্রষ্টাদের মাঝে থাকতে ভাল লাগে। ভালবাসি মাকে, বাবাকে, আমার আদুরে বোনকে আর পাশে রাখি বই বন্ধুকে। হতে চাই অনেক কিছু,হতে পারি অল্পকিছু। চেষ্টাটাই বা কম কিসে !!! আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই। আমি স্বাধীনচেতা। নিজের কোন বিষয়ে অন্যের হস্তক্ষেপ পছন্দ করিনা। বন্ধুদেরকে ভালবাসি। ভালবাসি আড্ডা দিতে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে। যুক্তি দিয়ে তর্ক করা পছন্দ করি। আমিই সেই নিলুপাগলা :D

এম এস নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা ইস্যু প্রেমী জাতি!!!

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৫

এইতো সেদিন সিরিয়ায় ইসলাম কায়েমের লক্ষে ১ লক্ষ ৭০ হাজার মুসলমান হত্যা হল; ইরাকে এখনো চলছে মুসলিমের হাতে মুসলিম গনহত্যা। ১ দিনে সেখানে ১০০০+ শিয়া মুসলমান হত্যার রেকর্ড আছে। নেটে গাজার শিশু গণহত্যা বা সর্বোপরি নির্যাতিত মানুষের যে সব ছবি শেয়ার হচ্ছে তার প্রায় সবই আসলে গাজার নয় বরং সিরিয়া আর ইরাকের গণহত্যার ছবি। কিন্তু ইরাক-সিরিয়ার এই একই ছবি যখন আগে শেয়ার হয়েছিলো তখন সেটা কেউ দেখেও দেখেনি। কারন তখন ছবির মৃতরা ছিল শিয়া-খ্রিস্তান-ইহুদি। এখন সেই একই ছবি যখন গাজার নামে চালানো হচ্ছে তখন আমাদের কষ্টে বুক ভেঙ্গে যাচ্ছে। বোকা হারাম যখন ইসলামের নামে নাইজেরিয়ায় ২০০+ মেয়ে অপহরন করে নিয়ে গেল (এখনো তাদের ফেরত দেয়নি; বরং তাদের জেহাদের নামে নির্যাতনের পরিমান আরও বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। মেয়ে গুলোর অপরাধ যে তারা লেখাপড়া করে। ইসলামে নাকি মেয়েদের লেখাপড়া হারাম। এইতো সেদিন তেঁতুল সফি বললো মেয়েদের ক্লাস ৪ এর বেশী পড়ার দরকার নেই। এরাই ইসলামের বড় বড় আলেম) তখন কেউ সেটা নিয়ে টু শব্দ করিনি। মিশর-আফহানিস্থানের কথা বাদ ই দিলাম। আমাদের প্রিয় ইসলামী দেশে মুসলমানদের হাতেই মুসলমান মড়ছে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন। পাকিস্তানের মুসলমানেরা মসজিদে যেতে ভয় পায়। কখন তাদের ভাইরাই বোমা মেড়ে উড়িয়ে দেয় সেই ভয়।



যখন ইসলামী জঙ্গি গ্রুপ হামাস ইসরাইলের উপরে রকেট হামলা করে হত্যা করলো ৩৮৬ জন তখন আমরা চুপ ছিলাম। কিন্তু যখন ইসরাইল ইটের বদলে পাটকেল মানে পাল্টা আক্রমণ শুরু করলো তখন আমরা আহা আহা শুরু করলাম।



জঙ্গিবাদ আর যুদ্ধের নামে মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে বরাবর আমি সোচ্চার ছিলাম। আমার কাছে সিরিয়া-ইরাক-ইস্রাইল-ফিলিস্তিনের কোন আলাদা গুরুত্ব নেই। আমি মানুষের পক্ষে; হোক সে সুন্নি-শিয়া বা ইহুদী। মানুষ হত্যা মুসলিমের হাতে নাকি ইহুদির হাতে সেটা কোন গুরুত্তের বিষয় নয়। যারা সিরিয়া-ইরাকের ব্যাপারে নির্বাক তাদের প্রো পিকে সেফ গাজার ছবি দেখে হাসি পায়। ইহুদীদের হাতে ১৫০ জনের মৃত্যু দেখে এত কষ্ট??? আর যেখানে লাশ গুনে শেষ করতে পারবেন না তাদের জন্য কি কখনো প্রোফাইল পিকচার বদলেছেন??? সেখানে খুনিরা মুসলমানেরা বলেই কি আপনি নির্বাক???



প্রো পিকে গাজা বাচাও না লিখে লিখুন মানুষ বাচাও।

তা সে শিয়া হোক বা সুন্নি; ইহুদী হোক বা খৃস্টান।

নির্যাতিতই মানুষ সুধুই মানুষ; ইহুদী মুসলিম বলে কিছু নেই।



মানুষ হত্যা বন্ধ কর; হোক তা ধর্মের নামে কিংবা হোক তা সাম্রাজ্যবাদের নামে।







### একটা ভবিষৎবাণী; গাজা উত্তেজনা কিছুদিনের মধ্যেই ঠাণ্ডা হয়ে যাবে কারন মুসলিমদের জন্য নতুন ইস্যু হাজির হইসে :)

নেটে "মোহাম্মদ এন্ড আয়েশা" নামের সাড়ে ৪৭ মিনিটের (২য় পর্ব এখনো বের হয়নাই) একটি এনিমেটেড মুভি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অন্যান্য দেশের মুসলমানেরা এইটা নিয়া বেশ হাউকাউ শুরু করে দিসে। বাঙালী মুসলমানেরা সম্ভবত এখনো এই হুজুগের খবর পায়নাই :P তাই কষ্ট করে জানাইলাম :)

কারো মুভিটা দেখার ইচ্ছা হইলে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। ৬০০ মেগাবাইটের মুভিটা নামানোর পথ বাতলে দেব ;)



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:১৫

আরজু মুন জারিন বলেছেন: প্রো পিকে গাজা বাচাও না লিখে লিখুন মানুষ বাচাও।
তা সে শিয়া হোক বা সুন্নি; ইহুদী হোক বা খৃস্টান।
নির্যাতিতই মানুষ সুধুই মানুষ; ইহুদী মুসলিম বলে কিছু নেই

চমৎকার !! আমি একই ভাবে ভাবি।
যে কোনো নির্যাতন মানবতার লুন্ঠন। আমাদের অবস্থান হবে সবধরনের অমানবিকতার বিরুদ্ধে। আপনার চমৎকার পোস্ট টির জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৪০

এম এস নিলয় বলেছেন: একটি বড় লেখা আছে http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=41940 এখানে। পড়ে দেখবেন আশা করি :)

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:১৭

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: আমার যতদূর মনে পড়ে, ইয়াসির আরাফাত যখন বেঁচে ছিলেন তখনও ইসরাইল সরকার হামলা করার জন্য বিভিন্ন ছুতা খুঁজতো আর ধাপে ধাপে ফিলিস্তিনীদের জমি গ্রাস করতেছে, ফলে পশ্চিম তীরে অনেকগুলো ছিটমহল তৈরী হয়েছে. এসব থেকে আমার যেটা মনে হয়, সাধারন ফিলিস্তিনিরা চুপচাপ থাকলেও কোন লাভ হবে না, ইসরাইলী গোয়েন্দা এজেন্টরা হামলার ইস্যু তৈরী করে দিবে এবং গাজাতেও ছিটমহল তৈরী করবে.

আর হ্যাঁ ইসলাম রিলিজিয়নে একাধিক মাজহাব থাকায় মুসলমানদের এক গ্রুপ মনে করে অন্য গ্রুপ বাতিল পথে আছে, শুধুমাত্র সেই সঠিকপথে আছে. মুসলিমদের এই বিভক্তি কাজে লাগাচ্ছে অন্যরা, এখন আর আমেরিকাকে কষ্ট করে ইরান,সিরিয়া,হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়তে হবে না. সুন্নি বনাম শিয়া লড়াই এখন তারা দূর থেকে উপভোগ করবে, যখন দুই পক্ষ মরতে মরতে আধমরা হবে তখন তারা উড়ে এসে তেল সম্পদ ভোগ করবে।

বি.দ্র. মিডিয়াতে সুন্নি বনাম শিয়া বিরোধ উস্কে দেওয়া হচ্ছে রিসেন্টলি, যেমন- মুতা বিয়ে নিয়ে নিউজ কাভার করা, অথচ মুতা বিয়ে, হালাল বিয়ার এগুলোর প্রচলন কিন্তু অনেক আগে থেকেই ইরানে রয়েছে.

যাই হোক শুধু পশ্চিমাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ মুসলমানদের নিজিদের.সিরিয়ার সুন্নি ইসলামী গোষ্ঠীগুলো যদি নিজে থেকে তুরস্কের সীমান্তে গিয়ে সিআইএর কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে না আসত তাহলে তো আর তাদেরকে দিয়ে জোর করে কিছু করাতে পারত না, জিহাদী জোশ থেকে তারা নিজেরাই এগিয়ে যায় সিআইএর কাছে ট্রেনিং নিতে, অস্ত্র নিতে.

শিয়া-সুন্নি বিরোধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের জন্য পোয়াবারো,সুন্নি ইসলামী গোষ্ঠীগুলোর কাছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমারা আর শিয়াদের কাছে রাশিয়া অস্ত্র বেঁচতেছে.

অন্যদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ মুসলমানদের নিজিদের. আমাদের কপাল ভালো যে বাংলাদেশে আহলে হাদীস,শিয়া বা কাদিয়ানীরা সংখ্যায় কম অন্যথায় খবরই ছিল. আমার হোম ডিস্ট্রক্ট টাংগাইলে তাঁতের শাড়ীর ব্যবসা যাদের দখলে তাদেরকে অন্যরা জোলা বলে সম্মোধন করে, বিয়ে প্রসঙ্গে বলে "কি! জোলার মেয়েরে বিয়ে করবো"

টাংগাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা সুপারী বাগান রোডে কাছাকাছি দুটি পৃথক মসজিদ আছে একটিকে বলে ছাপড়া মসজিদ আর একটিকে বলে জোলা মসজিদে (হানাফী মাজহাবের লোকজন এখানে যায় না)

মুসলমানদের মধ্যে এই যে পরস্পর বৈরীতা,এর অবসান হবে এটাই কাম্য [তবে সত্যি কথা বলতে কি....এর অবসান মাজহাব রিলেটেড রিলিজিয়াস বইগুলো দিয়ে হবে নাহ বরং আরো উস্কে দিবে]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.