নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলু পাগলার ডায়েরী

আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই।

এম এস নিলয়

স্রোতস্বিনীর বয়ে চলা ঢেউয়ের মত হতে চাই; সৃষ্টিশীল স্রষ্টাদের মাঝে থাকতে ভাল লাগে। ভালবাসি মাকে, বাবাকে, আমার আদুরে বোনকে আর পাশে রাখি বই বন্ধুকে। হতে চাই অনেক কিছু,হতে পারি অল্পকিছু। চেষ্টাটাই বা কম কিসে !!! আমি ইহার মত, তাহার মত, তাহাদের মত নই। আমি আমার মত। আমার মাঝে ইহাকে/উহাকে/তাহাকে খুঁজে লাভ নাই। আমি স্বাধীনচেতা। নিজের কোন বিষয়ে অন্যের হস্তক্ষেপ পছন্দ করিনা। বন্ধুদেরকে ভালবাসি। ভালবাসি আড্ডা দিতে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে ভাল লাগে। যুক্তি দিয়ে তর্ক করা পছন্দ করি। আমিই সেই নিলুপাগলা :D

এম এস নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যের যেমন মৃত্যু নেই; সালমানের তেমন মৃত্যু নেই

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৫

রাত অনেক; সবাই ঘুম। কোথাও কোন শব্দ নেই। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে একটি বাচ্চা ছেলে সমানে কেঁদে চলেছে; কেউ শুনছে না তার সেই কান্না।



আমার আম্মুর ঘুম খুব পাতলা; আম্মু বললেন "এই ছেলে এই, কান্না করিস কেন???"

কিছু বলিনা; মাকে জড়িয়ে ধরে সমানে কেঁদে চলি।



#সালমান_শাহ্‌ মড়ে গেছে; ছোট্ট ছেলেটার "মড়ে যাওয়া" কি জিনিস সেটা জানার কথা না। সে জানেও না মড়ে যাওয়া কি জিনিস। তার ধারনা কেউ মড়ে গেলে তাকে আর দেখা যায়না; টিভি সিনেমাতেও না। ভেবেছিলাম আর কোনোদিন "ও সাথিরে" গানটা শুনতে পাবোনা; দেখতে পারবো না আর প্রিয় সালমান শাহ্‌ কে টিভিতে।



প্রথম সিনেমা হলে সিনেমা দেখেছিলাম "আনন্দ" সিনেমা হলে; সিনেমার নাম ছিল "সত্যের মৃত্যু নেই"। শেষ সিনে সালমানকে ফাঁসী দেয়া হবে; আমি সিনেমা হলে বসেই চিৎকার করছিলাম "না! না!! না!!!"

সিনেমা দেখেই কেঁদে কেটে অস্থির; আজ সে সত্যি সত্যি মড়ে গেলো!!!

আমি কি কান্না না করে পারি???



আমার আম্মুর তখন খুব বিশ্বাস ছিল যীশুতে; আমি সারা রাত কান্না করেছিলাম আর আমার আমাকে জড়িয়ে ধরে সারা রাত প্রার্থনা করেছিলেন। যীশু; কত অলৌকিক কাজ তুমি করেছিলে। মৃত লাসারকে জীবন দিয়েছিলে। জীবন ফিরিয়ে দিয়েছিলে বিধবার ছেলেকে; জীবন দিয়েছিলে ছোট্ট সেই মেয়েটিকে। আজ আরেকটা অলৌকিক কাজ করো; কান্না থামিয়ে দাও আমার ছেলের। সালমান শাহ্‌কে জীবিত করে দাও; ফিরিয়ে দাও তাকে আবার আমাদের মাঝে।



আম্মুর প্রার্থনা ঈশ্বর-যীশু শোনেন নি; কারন তাদের সে ক্ষমতা কোন কালেই ছিলোনা। সবই গাল গপ্পো আর বানানো কিসসা।



আমার ছোট খালা আমার থেকে ২-৩ বছরের বড়। যখন থেকে সৃতি আছে; দাদু বাড়িতে তখন থেকেই দেখে আসছি সালমান শাহ্‌র বিশাল এক ফটো। সোনালী রিমের চশমা; আর গলায় চার কোনা একটা লকেট পড়া ছবি। কি সুন্দর সুদর্শন যুবক; দেখলেই দৌড়ে কোলে উঠে যেতে ইচ্ছে করতো।

ছবিটা আমার খালা সেই আমলের ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। কত কষ্ট করে টাকা জমিয়েছিলেন সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।



কি অসম্ভব ভালবাসা; ভালোলাগা।

আমি নিশ্চিত আমার মতন আমার খালাও সে রাতে কেঁদেছিলেন সালমানের জন্য; কেঁদেছিলেন তার আরও হাজার লক্ষ কোটি ভক্ত।



আজ সেই ৬ সেপ্টেম্বর; মহানায়কের মহাপ্রয়াণ দিবস।

ভাবতাম, এখন আর তার জন্য অতো কষ্ট লাগেনা; সময় সব কিছুই ভুলিয়ে দিতে পারে।

কিন্তু সেটা ভুল; যে ভালবাসা তখন ছিল; আজো সেটা অম্লান।

থাকবেও চিরকাল।



তুমি বলেছিলে, "ভালো আছি ভালো থেকো; আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ"।

এই স্ট্যাটাসটা লিখতে লিখতে বারবার চোখ ঘোলা হয়ে আসছে; এই চিঠি হয়তো পৌঁছাবে না তোমার কাছে। কিন্তু এই ২ ফোঁটা চোখের জল সে তো মিথ্যে নয়।



তোমাকে এখনো ভালোবাসি; এই চোখের জলই তার প্রমান।



তাদের ধন্যবাদ; যাদের স্ট্যাটাস না দেখলে ভুলেই গিয়েছিলাম আজকের দিনটার কথা।



গান শুনছি এখন;

ও সাথীরে, যেওনা কখনো দূরে,

তোমারই প্রানে আমার এই প্রান

তুমি ছাড়া বাঁচি কি করে!!!



ফেসবুক পোস্ট লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.