![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ। মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি। মানুষের পাশে উপকারে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই সবসময়। আমি পরিবর্তনে বিশ্বাসী। সুন্দর একটি দুনিয়া দেখতে চাই, যেখানে ধর্ম বর্ণ দেশ বা সংস্কৃতি নিয়ে হানাহানি হবে না। মানবতাই হবে মুখ্য। চাই দুর্নীতি মুক্ত একটি সমাজ। আর এই লক্ষে মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়াস নিয়ে সামনে যাবার চেষ্টা করছি।
জন্মই যেখানে আজন্ম পাপ, সেটাই আমাদের জন্মভূমি! রানা প্লাজার ধসে তা প্রমাণ হল আরেকবার।
ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সবার আগে ধন্যবাদ জানাই তাদের সিদ্ধান্তের জন্য। তারা প্রমাণ করেছেন রানা প্লাজা এবং গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ চাইলে এক ফোটাও রক্ত ঝরত না, প্রানহানি তো দুরের কথা। উল্টো বেতন কাটার হুমকি দিয়ে কাজে বাধ্য করিয়েছে!!! টাকার কাছে পরাস্থ হল শতশত জীবন। আমাদের দেশে এরকম অবহেলা জনিত দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। আর দেশের প্রধানরা একের পর এক শোঁক প্রকাশ করেই যাচ্ছেন! কিন্তু সেই শোঁক শুধু মাত্র দাপ্তরিক প্রজ্ঞাপন মাত্র। যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নাই।
বলার অপেক্ষা রাখে না যাদের কাছে সামান্য কিছু টাকা যখন জীবনের নিরপত্তার থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয় তখন সেই টাকা তাদের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় এই মানুষ গুলো নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমের ঘাম গুলো সস্তায় বিক্রি করে তাদের পরিবারের খুঁটি হয়েছিল। যারা মারা গেলেন তারা তো বেঁচেই গেলেন প্রতিদিন তিলে তিলে মরার হাত থেকে। রেখে গেলেন তাদের পরিবারকে সেই ক্ষুধার গদ্যময় রাজ্যে। স্বজন হারানোর যন্ত্রণার কথা বাদই দিলাম। আর যারা অচল হয়ে বেঁচে রইলেন, তারা হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তারা তো এখন নিজেই বোঝা হয়ে গেলেন পরিবারের, এই বিবেকহীন সমাজের। কত টাকার বিনিময়ে এই প্রান গুলো বেঁচে উঠবে, কত টাকা হলে স্বজন হারানো বুকের আহাজারি থাকবে না, কত টাকা হলে এই অচল মানুষ গুলোর স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেয়া যাবে? কেউ কি বলতে পারবেন? গার্মেন্টস মালিকদের কত টাকা ক্ষতি হতো যদি কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিত? ক্ষতি হলে তো টাকাই হতো, সেই ক্ষতি কি এই জীবন গুলোর থেকেও বড় ছিল? এখন কি তাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না?
রাজউক নাকি মামলা করেছে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে। একের পর এক বিল্ডিং ধসে পরবে আর একের পর এক মামলা হবে। শাস্তির মাধ্যমে কি এই ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব? যখন গোঁড়ায় গলদ তখন আগায় পানি ঢেলে লাভ আছে কি কোন? ভবন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা না করে রাজউকের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। কারণ এগুলো মনিটর করার দায়িত্ব তাদের। রক্ষক যখন ভক্ষক এর ভুমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন আক্ষেপ করা ছাড়া আর কিবা করার থাকে। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এতো তৎপর হয়ে লাভ কি? যদি এর কানাকড়ি চেষ্টা ঘটনার আগে করে তবে এরকম দুর্ঘটনা ঘটে না।
তাজরিনের ক্ষত এখনও শুকায় নি, তার মধ্যেই আবার আরেকটি নাম যুক্ত হল রানা প্লাজা। তবু কারো মাথা ব্যথা নাই, জাগে না কারো বিবেক। কবে হতে পারবো আমরা মানুষ। জীবন নিয়ে এই খেলা আর কত দিন চলেব? কবে পাবো স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা?
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
গোলাম রাব্বানী (মুক্তির সৈনিক) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এই তথ্যটি শেয়ার করার জন্য। আমাদের দেশে যারা ধনকুবের মালিক তাদের ৯০% মানুষেরই সকল সম্পদ দুর্নীতি করেই গড়া। রাজনীতি আজ একটা ব্যসবসা। রক্ষকই আজ ভক্ষক।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
কে বা কারা বলেছেন: কলুর ছেলে সোহেল রানা। সাভারের এক সময়ে যুবলীগ নেতা। ক্ষমতার দাপটে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার দখলবাজির হাত থেকে রেহাই পাননি সংখ্যালঘুরাও। গতকাল যে ভবনটি ধসে পড়ে, তার মধ্যেও এক সংখ্যালঘুর সম্পত্তি রয়েছে। এক সময়ে এই সোহেল রানা তার বাবার তেলের ঘানিতে কাজ করতেন। বোতলে ভরে সরিষার তেল বিক্রি করতেন হেঁটে হেঁটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোহেল রানার বাবার নাম আবদুল খালেক। সবাই তাকে খালেক কলু বলেই চিনতেন। বাড়ি সাভারের বাজার রোডে। বাড়িতে গরুর ঘানিতে তেল বানাতেন আবদুল খালেক। স্থানীয় অধরচন্দ্র হাইস্কুল থেকে নবম শ্রেণী পাস করেছেন রানা। এরপর অভাবের তাড়নায় তার আর লেখাপড়া হয়নি। তাদের বাড়িটিকে এখনো কলুর বাড়ি হিসেবেই জানেন স্থানীয়রা।
এই সোহেল রানাই রাজনীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। প্রথমে একটি তেল তৈরির মেশিন বসান। গরুর ঘানি থেকে উন্নতি হয় মেশিনে। নাম দেন রানা অয়েল মিল। গোলাপ ফুল মার্কা নামের সেই সরিষার তেল সরবরাহ করা হয় রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায়। সেই রানা আজ পৌঁছেছেন সমাজের উচ্চপর্যায়ে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তিনি থোড়াই কেয়ার করতেন স্থানীয় প্রশাসনকে। ১৯৯৮ সালের ঘটনা। তখনো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এই সোহেল রানা তখন দখল করেন স্থানীয় রবীন্দ্রনাথ সাহার জমি। সেখানে ডোবার ওপরে রানা প্লাজা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ওই বছরই। রবীন্দ্রনাথ সাহা আদালতে মামলা করলেও সে মামলা বেশিদূর এগোয়নি। একপর্যায়ে পাগল হয়ে যান রবীন্দ্রনাথ সাহা। ২০০৬ সালে পৌরসভা থেকে ছয় তলা ভবনের অনুমোদন নেয়া হয়। ২০০৭ সালের পরিবর্তিত প্রোপটে রবীন্দ্রনাথ পাগলা আবার মাঠে নামলে র্যাব-৪-এর কর্মকর্তা কমান্ডার আরিফের কারণে তিনি আবার পিছু হটেন বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোহেল রানা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। সাভারের অসংখ্য মানুষের জমি তিনি দখল করেছেন বলে জানা যায়। স্থানীয় প্রশাসন ছিল তার কাছে জিম্মি। তার ইশারায় সাভারে অনেক কিছুই ঘটত। গতকাল হরতালকারীদের শায়েস্তা করতেই তার নির্দেশে গার্মেন্টগুলো খোলা রাখা হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়। এলাকায় তার রয়েছে বিশাল বাহিনী। এই বাহিনী সাভারের বেশির ভাগ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করছে বলে জানা যায়। গতকাল ভবন ধসের সময় তিনি নিজেও আটকা পড়েছিলেন। দুপুর ১২ টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে প্রশাসনের সহায়তায় তিনি অজ্ঞাত কোথাও গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
http://www.dailynayadiganta.com/?p=171181