![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি খুব সাধারন একজন মানুষ। মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি। মানুষের পাশে উপকারে নিজেকে নিবেদিত রাখতে চাই সবসময়। আমি পরিবর্তনে বিশ্বাসী। সুন্দর একটি দুনিয়া দেখতে চাই, যেখানে ধর্ম বর্ণ দেশ বা সংস্কৃতি নিয়ে হানাহানি হবে না। মানবতাই হবে মুখ্য। চাই দুর্নীতি মুক্ত একটি সমাজ। আর এই লক্ষে মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়াস নিয়ে সামনে যাবার চেষ্টা করছি।
রানা প্লাজার উদ্ধার অভিযানে কারো কোন চেষ্টার ত্রুটি ছিলনা। কাউকে ছোট বড় করবার অবকাশ নাই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ডাক্তার, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, সর্বস্তরের মানুষ যে যা পেরেছেন করেছেন। তবে সেটা খুব একটা গোছানো বা সুপরিকল্পিত ভাবে হয় নাই। যদিও কারর আন্তরিকতার কোন অভাব হয় নাই। তবে যদি কারো অভাব থাকে সেটা সরকারের। অনেকেই বলতে পারেন সরকার অনেক কিছুরই নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের বলবো সরকার অন্তরিক নাই তো নাই বরং এটাকে অন্য দিকে মোড় ঘুরানোর চেষ্টা করছে। আর যা বলছে তা নেহাতি চাপে পরে। আবার অনেকে বলতে পারেন সরকার নিয়ে এতো সমালোচনার দরকার কি? তাদের বলে রাখি, সরকারকেই আমরা দায়িত্ব দিয়েছি আমাদের ভালমন্দ দেখবার। অন্য কাউকে দেই নাই। তাদের হাতে দিয়েছি আমাদেরকে রক্ষার ভার। তাই তারা যা-খুশি তাই করতে পারে না। আমরা যতো সহ্য করবো ততো বাড়বে এদের অত্যাচার। সুতরাং আমাদের কথা বলতে হবে এদের বিরুদ্ধে, তবে সেটা সঠিক পথে।
খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার যে দেশে সংসদ সদস্যদের জন্য বিলাস বহুল গাড়ি কিনতে পারে, যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মাসে খরচ ৮৫লাখ টাকারও বেশী, একটা নাম পরিবর্তন করতে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করতে পারে, যে দেশ অযথাই ৮০০০ কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে পারে, যে দেশ দুর্নীতির কারণে বিশ্ব ব্যাংক এর কাছে ঋণ না পেয়ে নিজেরাই পদ্মা সেতু করবার চিন্তা করতে পারে সেই একই দেশে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের জন্য ভিক্ষা করতে হয়েছে। জনসাধারণকে জোগাড় করতে হয়েছে টুকিটাকি জিনিসপত্রও। নতুন রাষ্ট্রপতি দু বার চিন্তা করেন নাই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাতে যেতে। দেশের মাথাদেরকে নিজেদের দলের সাফাই গাইতে শোনা গেছে। ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে বলা হয়েছে অন্যদেশ হলে নাকি এতো বেশী সাফল্য আসতো না। তখন মনে মনে হাসি পেল কারণ, কোন এক দেশে একটা গরু উদ্ধার করতে হেলিকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল, মানুষের কথা বাদই দিলাম।
আমার মনে হয় না এখানে একটি পয়সাও বাহির থেকে নিতে হতো বা অন্য কাউকে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে হত। অদক্ষ লোকের থেকে দক্ষ লোক যে কোন কাজ কম সময়ে সুন্দর ভাবে করতে পারবে এতে কারো দ্বিমত না থাকারি কথা। আমার মনে হয়, পুরো দায়িত্বটাই সেনাবাহিনী ও সিভেল ডিফেন্সকে দিত। ৪০০০-৫০০০ সেনাবাহিনী নিয়োগ করত। কোন সাধারণ মানুষ ঘটনাস্থল বা হাসপাতালের আসে পাশে যাবে না। শুরুতেই একটা টিম করত যারা কি কি লাগে সেগুলোর তালিকা করে আনবার ব্যবস্থা করত। ১০০০এর মতো সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজ চালিয়ে যেত। এখন সব কিছুরই সমিতি কমিটি থাকে। দালান কাটা কাজে যারা জড়িত তাদের আনতে পারত। তাদের কাছে তো উপযুক্ত যন্ত্রপাতি আছেই। সুতরাং আমাদের যে সকল ভাই নিরলস ভাবে কাজ করেছেন তাদের কাজের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি কাজ টা আরও সুন্দর এবং দ্রুত হত। ওষুধ কোম্পানি গুলোতে যদি ফোন করে জানায় দিত কি কি ওষুধ লাগবে, একই ভাবে পানি এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাড় করা যেত। হসপিটালেও কোন সাধারণ মানুষ যাবে না। সেখানেও সেনাবাহিনী থাকবে। যারা চিকিৎসা পাবে এবং বিপদমুক্ত হবে তাদের দুরের কোন হাসপাতালে সরিয়ে নেয়া যেত। তাহলে গুরুতর আহতদের জন্য সুবিধা হতো লাশ নিয়ে অন্য খানে থাকবে যেখানে স্বজনরা এসে লাশ নিতে পারবে। অনেকেই বলেছিলেন ওরিয়ন গ্রুপ যাত্রাবাড়ীর ফ্লাইওভার এর কাজ করছে, তাদের আধুনিক সব যন্ত্রপাতি আছে। সেগুলো আনলেও হয়তো অনেকটা সহজ হয়ে যেত। সব মিলিয়ে সরকার চাইলে পরিকল্পিত ভাবে কাজ করতে পারত, এতে হয়তো আলতাফ ভাইয়ের মতো অনেক প্রান বেঁচে যেত। সরকারের এতে খুব বেশী টাকা খরচ হতো না। তানভীরকে যে ঋণ দেওয়া হয়েছে তার শতভাগের এক ভাগই যথেষ্ট ছিল। সবাই নিজেদের মতো করে করতে গিয়ে খাবার থেকে শুরু করে অনেক কিছু অপচয় হয়েছে। কারণ কেউই জানেনা কি পরমান আছে আর কি পরিমাণ লাগবে। একক ভাবে অর্থাৎ সুপরিকল্পিত ভাবে একক তত্ত্বাবধায়নে কাজ টা করলে যে পরিমাণ অর্থ ও সময় লাগতো তার থেকে কয়েক গুন বেশী অর্থ ও সময় ব্যয় হয়েছে, আবার উদ্ধার কাজটাও সেভাবে হয় নাই।
সরকার করবে কোথা থেকে? সকাকার তো ব্যস্ত তখন ব্যস্ত নিজেদের সাফাই গাওয়ায় এবং অন্যদের দোষারোপ করায়। তাদের মন্তব্য পাগলদেরও হাসবার মতো। বাংলার মানুষ এখনও মানুষ আছে তাই সরকারের আসায় চুপ করে থাকতে পারি নাই। ঝাপিয়ে পড়েছে আরেকজন মানুষকে বাঁচাতে। কেউ জাত পাতের বিচার করে নাই। না হলে হয়তো আরও বেশি প্রান যেত। তাই সেই সমস্ত মানুষদের প্রতি মানুষ মাত্রই ঋণী। মনবতার জয়গান গেয়েছেন তারা।
অনেকেই বলতে পারেন চোর পালালে বুদ্ধি বারে। তাদের উদ্দেশে বলে রাখি আমাদের দেশে এমন ছুরি বহু হয়েছে আর ভবিষ্যতেও হবে। আর এখানে সরকারের অবহেলা তুলে ধরেছি। সুতরাং সেটা ঘটবার পরেই বলা সম্ভব। শত মানুষের মৃত্যুর করুন দৃশ্যও যাদের হৃদয়কে সামান্য নাড়া দিতে পারে নাই, তাদের রাজনীতির নোংরামো করতে যাদের সামান্য বাধে নাই তাদের কাছে কি বা চাইবার আছে। রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন কিবা করার থাকে সাধারণ মানুষের!!!
তাই সকলের কাছে অনুরোধ, আপনি আমি যদি এদের নোংরামোতে সারা না দেই তবে এদের খেলা বন্ধ হয়ে বাধ্য। আসুন আমরা এই ভাবে মিলে মিশে কাজ করি, মানুষ হয়ে থাকি, একটি দলের হয়ে না মরে মানুষের হয়ে মরি। আমাদের মধ্যে যেন কেউ কোন ফাটল ধরাতে না পারে। ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে বিরত থাকি এবং সৃষ্টিশীল কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
গোলাম রাব্বানী (মুক্তির সৈনিক) বলেছেন: ধন্যবাদ পরিবেশ বন্ধু আপনাকে।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০
প্রচুর বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা। কিন্তু কে শোনে কার কথা? বিরোধী দলের দোষ দেওয়ার জন্য “পিলার নাড়ানো” থিওরি দেবে নাকি সঠিক ব্যবস্খাপনার নিদেশনা দেবে?
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
গোলাম রাব্বানী (মুক্তির সৈনিক) বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। যাদের মনে মৃত্যু পথযাত্রীর করুন আর্তনাদই ছুতে পারে না তারা শুনবে আমাদের কথা!!!! তহলে তো দুনিয়াই বদলে যাবে। এই জন্য আমাদেরকে ওদের কথা শোনা যাবে না। আমাদেরকে মিলে মিশে আমাদের মতো চলতে হবে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর ভাবনা
************
মৃত দের আত্মার প্রতি শান্তি এবং তাদের অসহায় ম্রিয়মান স্বজন
দের পাশে দাঁড়ানো এখন বিবেকবান মানুষের জন্য অবশ্যই মানবিক
দায়িত্ব ও কর্তব্য ।
নহে এদের প্রতি মিথ্যাচার রাজনীতি
চাই দুর্গতদের পাশে থেকে
সেবা ও সহযোগিতা ।
আল্লাহ আমাদের সৎকাজে মন মানসিকতাকে সাভার দুর্গত দের
সাহায্যার্থে রহমত দিন ।