নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলাম ই একমাত্র জীবন বিধান যা বয়ে আনতে পারে শান্তি ও সমাধান আমাদের তথা মানবজীবনের

এম. সৌরভ

সত্য ও শান্তির তরে সদা নির্ভীক

এম. সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ-উল-আযহা ও আমাদের সকলের করণীয়… দেখে বুযে জেনে নিন...

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

মুসলিম উম্মাহ এর বিশেষ দিন হলো ঈদ।

তা কিছু জিনিস বা তথ্য জানা থাকলে তা হয়ে উঠবে আরো আনন্দের ও ফজীলতময়।

তাই সংগ্রহ করে সকলের তরে আমার এই পোষ্টেই ঈদ উপহার


ঈদ মোবারক।

সকলের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম...

ঈদের রাতের, দিনের ও পরিবেশগত করনীয়...



আরো ক্লিয়ার হতে মেইল করতে পারেন [email protected]

ওস্তাদরা আছেন ওখানে। দেখে নিনঃ



ঈদের রাতেঃ



হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাতে জাগরিত থেকে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকবে, তাহলে যেদিন অন্যান্য দিল মরে যাবে সেদিন তার দিল মরবে না অর্থ্যাৎ, কিয়ামতের দিনের আতংকের কারণে অন্যান্য লোকের অন্তর ঘাবড়ে গিয়ে মৃতপ্রায় হয়ে যাবে, কিন্তু দুই ঈদের রাত্রে জাগরণকারীর অন্তর তখন ঠিক থাকবে- ঘাবড়াবেনা। ”





ঈদের দিনঃ

**দুই ঈদ ও ঈদুল আযহার পরের ৩ দিন সহ মোট ৫ দিন রোযা রাখা হারাম।

**এই পাঁচ দিন পানাহারের মধ্যে কিছু বেশী জাঁকজমক করার সাধ্যানুযায়ী অবকাশ আছে এবং তা শরীয়তের কাম্য।



ঈদ-উল-আযহার দিন ১৩টা সুন্নত কাজ রয়েছেঃ-

১* ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা ।

২* মেসওয়াক করা ।

৩* গোছল করা ।

৪* যথা-সাধ্য উত্তম পোষাক পরা।

৫* শরী’আত সম্মতভাবে সাজ-সজ্জা করা ।



৬* সুগন্ধি বা খুশবু লাগানো ।

৭* ঈদ গাহে যাবার আগে কিছু না খাওয়া।

৮* আগে আগে ঈদগাহে যাওয়া।

৯* ঈদগাহেই ঈদের নামায পড়া।

১০* পায়ে হেটে ঈদগাহে যাওয়া।



১১* যাবার সময় তাকবীর জোরে জোরে বলতে বলতে যাওয়া ।

“ আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লালাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল হ্বামদ”

১২* এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া, অন্য রাস্তা দিয়ে প্রত্যাবর্তন করা।

১৩* ঈদুল ফিতরের তুলনায় আযহার নামায সকাল সকাল পড়া।



• **যেখানে ঈদের নামায আদায় হবে সেখানে আগে পরে নফল নামায পরা ঠিক না।



কোরবানীর পশু জবেহ করা প্রসংগেঃ



• **নিজ পশু নিজেই জবেহ করা উত্তম। না পারলে জবেহের সময় সামনে থাকা।

• **পশুকে কিবলামুখী করে শুইয়ে জবেহ করা, জবাই কারীও কিবলাহ মুখী হওয়া।

• **ধারালো ছুরি দ্বারা জবাই করা।

• **জবাই করার পর পশুটি সম্পুর্ণ নিস্তেজ হওয়ার পর বাকী কাজ শুরু করা, আগে না।

• **জবাই করার পুর্বে পানি খাওয়ানো বেশী পরিমাণে, প্রাণীকে ক্ষুধার্থ রাখা জুলুম।

• **ঈদের নামাযের পুর্বে কোরবানী না করা।

• **গোশত দিয়ে কোন পারিশ্রমিক দেয়া যায়েয নেই।

• **গোশত তিন ভাগ করে ১. নিজে ২. আত্বীয়-স্বজন ৩. গরীব-মিসকীন দের দেয়া উত্তম।



পরিবেশগত সতর্কতাঃ



• **আমাদের পরিবেশ ও চার-পাশ আমাদের পরিষ্কার রাখাই দায়িত্ব।

• **অন্যের চলাচলে কষ্ট যাতে না হয় খেয়াল রাখা।

• **জবেহ করার আগেই মাথার কাছে গর্ত করে নেওয়া, যাতে রক্ত ওখানে গরিয়ে যায়।

• **সকল বজ্র ঐ গর্তে ফেলতে হবে, যাতে দুর্ঘন্ধ না ছড়ায়। আমার পশুর কোরবানীর বজ্রে যাতে অন্য কারো কষ্ট না হয়।

** ছুরি-চাপাতি ব্যবহারে সতর্ক হোন। বাচ্চাদের নাগালের বাইরে রাখুন।

** চামড়া কাটতে দক্ষ ব্যক্তির সাহায্য নিন, অন্যথায় চামড়ার গুনগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

** ছুরি-চাকু জীবানু মুক্ত করে নিন।

** গোশত কাটতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন।



যেখানে আমি আছি, চাইলে যুক্ত হতে পারেন…



আশা করি সকলের ঈদ শুভ ও আনন্দের বাতাস বয়ে নিয়ে আসবে।

ভাল থাকবেন সবাই এবং আবারও ঈদ মোবারক…।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪১

এম. সৌরভ বলেছেন: জেনে আমলে আনবেন আশা করি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.