নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন বাঙ্গাল

নতুন বাঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ…………তবুও…………বিজয় আমাদেরই!

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২



কত সংশয়, কত সন্দেহ,অপেক্ষা,হতাশা,পক্ষ,বিপক্ষ, প্রতিরোধ, প্রপাগান্ডা সবকিছু শেষে সত্যি বিজয় আমাদেরই।ঠিক যেমনটা ছিল একাত্তরে, একটা নিয়মিত প্রশিক্ষিত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধটা তখনও অনেকের কাছে পাগলের চিন্তা মনে হয়েছিল। কেউ কেউ হয়তো ২৫শে মার্চের পরের দুরবস্থার জন্য তখনকার রাজনীতিকদের গালাগাল করেছিলেন, কেউবা আবার সুশীল কোকিল সেজেছিল এখনকার মতই।তবে এই কেউদের দলে ছিল না বেশীর ভাগ মানুষই, যারা চেয়েছিল যেকোন ত্যাগের বিনিময়েও স্বাধীনতা।আর সব সংশয়ের অবসান ঘটিয়ে সংখ্যাগরিস্ঠ জনতার এই চাওয়া, তারাই পুর্ন করেছিল, তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে।শেষ পর্যন্ত বিজয় তাদেরই।



আজ ৪১ বছর পরে একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে।জাতির জন্মলগ্নে ঘটে যাওয়া শত্বাব্দীর ঘৃন্যতম গনহত্যা, লুন্ঠন,পাশবিক নির্যাতনের নায়কদের বিচারের বানী আর নিভৃতে কাদছে না।সব সংশয়কে লাথি মেরে, বাংলাদেশ ইতিহাসের দায় শোধ করছে।



'দেশে কোন যুদ্ধোপরাধী নেই' এরকম আস্ফালনের বোধহয় সঠিক জবাব দিতে পেরেছে জাতি।তাদের আস্ফালন, তাদের ঔদ্যোত্তে একসময় সবাই ধরে নিয়েছিল, সত্যি বোধহয় এটা সম্ভব হবে না।তাছাড়া সংঘবদ্ধ প্রোপাগান্ডা- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে গেলে মধ্য প্রাচ্য থেকে আমাদের শ্রমিকদের বের করে দেবে, ওআইসি থেকে বহিস্কার করে দেবে, তেল বেচা বন্ধ করে দেবে, দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হবে কতরকম কথা।কেউ কেউ তো বলত এদের লোমে হাত দিলে দেশে গজব নাজিল হবে ইত্যাদি।



কিন্তু এসবের মধ্যেই যখন একে একে ধরা শুরু হল, তখন বলা হল দাড়াও, সব রেডি আছে সময় মত শুরু হবে।হ্যা সত্যি তাদের সংগবদ্ধ প্রস্তুতি ছিল , তবে সেই পুরোনো চেহারায়- আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি কিন্তু সবাই জেনেছি ৭১ এ পাক হানাদারেরা প্রথম হামলা করেছিল 'রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, ঘুমন্ত পুলিশের উপর' , সবাই খেয়াল করেছেন, এবারও জামাত-শিবিরের প্রথম আক্রমনের শিকার কিন্তু সেই পুলিশ বাহিনী। মানে হল তারা পাবলিকের ফার্স্ট লাইন অফ ডিফেন্সকে সবসময় প্রথম লক্ষ্য হিসাবে বেছে নেয়।এরপর পাবলিকের উপরে শুরু করে।



এবারও তাই পুলিশের উপর তাদের আক্রমন শুরু করেছে, এরপর তারা হয়তো তাদের পুরোনো পথেই হাটবে।কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তারা পারবে ?সম্ভবত পারবে না, কারন এবারও কেউ কেউ না চাইলেও, কেউ কেউ সুশীল হলেও বেশীরভাগ মানুষই চায় এ বিচার হোক।তাই ৪১ বছর আগে পরাজিত কৌশলে তারা এবারও পরাজিত হবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু আমাদেরকে ঠিক ৪১ বছর আগের মত অবিচল থাকতে হবে,কিছু ত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে।কারন ভেবে দেখুন ৭১ সালে আমাদের পুর্বপুরষরা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছে, না খেয়ে , না ঘুমিয়ে রাত কাটিয়েছে, যুদ্ধ করেছে, জিবন দিয়েছে, সম্ভ্রম দিয়েছে শুধু মা্ত্র তাদের একটি চাওয়া কে পুর্ন করতে।অথচ আজকে আমাদের এর কিছুই করতে হচ্ছে না।হয়তো জামাত শিবিরের তান্ডবের কারনে রাস্তায় আতংকে চলতে হচ্চে, কিছুটা হয়রানিও হয়তো হতে হচ্ছে অনেক সময়।অথচ আমরা অনেকেই বলে ফেলি, কি দরকার ছিল এসব ঝামেলা করার, দেশে অশান্তি করা উচিত নয়' ইত্যাদি, এটা একদম স্বার্থপর আচরন , আমরা একটা দাবি করবো, কিন্তু তার জন্য কোনরকম প্রচেস্টায় থাকবো না সেটা আসলে হয়না।



কিন্তু ভেবে দেখুন আমাদের সবার একটি ইচ্ছা পুরনের জন্য কি এতটুকু সহনশীল আমরা হতে পারিনা? আওয়ামী লীগ, বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার হরতাল, আন্দোলন, অর্থনৈতিক ক্ষতি,হয়রানি যদি আমরা দিনের পর দিন সহ্য করতে পারি, তাহলে জাতির জন্মলগ্নে ঘটে যাওয়া সেই ঘৃন্য অপরাধের বিচারের জন্য কি আমাদের কিছুটা সহনশীল মানষিকতা থাকা উচিত না?



তাই পরিশেষে বলবো, হয়তো অপেক্ষার প্রহর অনেক দীর্ঘ!!…………পরিক্রমা ত্যাগের!!…………কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয় আমাদেরই!!





পদটীকা: বাচ্চু রাজাকারের ফাসির রায়, সত্যি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে………এ বিচার হবেই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.