নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদৃষ্টরে শুধালেম, চিরদিন পিছে, অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরে ঠেলিছে?সে কহিল, ফিরে দেখো। দেখিলাম থামি, সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি।

মুবিন খান

নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।

মুবিন খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি সন্তুষ্ট হবো, না লজ্জিত হবো?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৩



জিনা পিকিরিলো বাড়ির ছাদে বসে রয়েছেন। নিউ ইয়র্কে যে ধ্বংসযজ্ঞ চলছে তাতে জিনার পক্ষে চুপটি করে ঘরে বসে থাকা সম্ভব নয়। টেলিভিশনে টুইন টাওয়ার হামলার খবর দেখতে দেখতে অস্থির লাগে জিনার। আবার ভয়ও লাগে। ভয়ে তার বুকের ভেতরে ঢিবঢিব করতে থাকে। তবুও চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারে না জিনা। ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সেটিও সম্ভব নয়। ভনকে নিয়ে ছাদে চলে যায় জিনা। ম্যানহাটনের এম্পায়ার বিল্ডিং আর টুইন টাওয়ার বেশ অনেকটা দূর হলেও ব্রুকলিনের এই বাড়িটির ছাদ থেকে সেটি বোঝা যায় না। মনে হয় দুটাই যেন পাশাপাশি। জিনা তাকিয়ে থাকে ম্যানহাটনের আকাশের দিকে। আকাশ দেখা যায় না। কালো একটা মেঘ ঢেকে রেখেছে পুরো ম্যানহাটনকে। আসলে মেঘ নয়। ধোঁয়া আর ধূলা। ধোঁয়া হলো বিস্ফোরণের। আর ধূলা টুইন টাওয়ার ধসে পড়বার। একটা ভয় এসে জিনার গায়ে কাঁটা ফোটায়। কেঁপে ওঠে জিনা। তারপর বেবি ক্যারিজে শুয়ে থাকা তিন মাসের ভনের দিকে ঝুঁকে ফিসফিস করে বলে, ‘এই উন্মাদ পৃথিবীতে তোকে নিয়ে এসেছি বলে ক্ষমা করে দিস্।’

আমি তখন একটা সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করি। ১১ সেপ্টেম্বর দিনটিতে দুপুর তিনটার দিকে খুব ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরেছিলাম। ঘুম ভেঙেছিল সন্ধ্যার আগে আগে। বিকেলের চা চেয়ে টেলিভিশন খুলে সিএনএনে ঢুকতে চমকে উঠতে হয়েছিল। সিএনএন তখন লাইভ টেলিকাস্টে টুইন টাওয়ারে বিমান ঝাঁপিয়ে পড়া দেখাচ্ছে। স্ক্রিনে লেখা ‘প্লেন ক্র্যাশ ইনটু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টাওয়ার’। মানে তখনও এটাকে বিমান দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আরেকটু পর আরেকটা প্লেন এসে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় ভবনটিতে যখন আছড়ে পড়ে বিস্ফোরিত হলো। তখন সকলে বুঝে ফেলল এইটি আসলে আক্রমণ। টেলিভিশন স্ক্রিনের লেখা পালটে দিয়ে লেখা হলো, ‘আমেরিকা আন্ডার অ্যাটাক’। বিবিসিতে গিয়ে দেখা গেল তাদের স্ক্রিনে লিখেছে, ‘টেরোরিজম অ্যাটাকস্ ইন ইউএস’।

কিছুক্ষণ পরই টুইন টাওয়ারের ভবন দুটা ধসে পড়তে শুরু করল। রাস্তায় প্রাণ বাঁচাতে মানুষ ছুটতে লাগল। কিন্তু যারা ওই ভবনে ছিলেন তারা কোথায় যাবেন? তাদের তো বাঁচবার পথ নেই। আমি জমে গিয়ে টেলিভিশন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। ওই মুহূর্তে জিনা পিকিরিলো হয়ত ব্রুকলিনের বাড়ির ছাদে বসে তিন মাস বয়সী ভনকে এই উন্মাদীয় পৃথিবীতে আনবার জন্যে অনুশোচনায় ভনের কাছে ক্ষমা চাইছে। আমারও অনেকটা জিনার মতো ভয় লাগতে লাগল। তবে জিনা পিকিরিলোর সঙ্গে আমার ভয়টার ফারাক আছে। নিউ ইয়র্কে বসে জিনা তার নিজের আর তিন মাস বয়সী শিশুটির নিরাপত্তা নয়, জীবন বাঁচানো নিয়েই চিন্তিত ছিল। বুকের ভেতরে নিষ্ফল আক্রোশ থাকলেও কিছুই করতে না পারার হতাশা ছিল। আমাদের অবস্থান জিনার মতো ছিল না। তবুও হাজার হাজার মাইল দূরে বসেও ওর কাছাকাছি একটা ভয় তখন তাড়িত করেছিল। ভয়টা ক্ষমতা আর শক্তিকে, এবারে নিশ্চয়ই একটা যুদ্ধ বেধে যাবে! সেটা বিশ্বযুদ্ধ হবে? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ? যুদ্ধটা তাৎক্ষণিক না বাধলেও পরের বছর বেধেছিল বটে। যুদ্ধের নাম ‘ওয়ার অন টেরর’। ৭ অক্টোবর ২০০১ থেকে ১৫ আগস্ট ২০২১ অবধি চলেছিল সে যুদ্ধ। ৯/১১ হামলা পৃথিবী জুড়ে একটা নতুন সমীকরণ তৈরি করে দিল

সেদিন টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড ছিল টুইন টাওয়ার হামলা। সন্ধ্যার পর বাসা থেকে বেরুতে দেখা গেল, আমাদের শহরের মানুষ দু ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একদল হামলার খবরে উল্লাস করছে, ‘আমেরিকা তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়! ওদেরকেও ধরা যায়, ছোঁয়া যায়, মারাও যায়!’ অন্য দল এ হামলাকে সমর্থন করছে না। এমন ভয়াবহ নৃশংস এবং কাপুরুষোচিত একটা কাজকে কি করে কেউ সমর্থন করতে পারে! কিন্তু করছিল আসলে। এই টুইন টাওয়ারে বিমান হামলার পর আমেরিকা যখন আফগানিস্তানে জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু করল, তখন আমাদের ঢাকার রাস্তায় কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলের নেতারা ‘আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ স্লোগান দিয়ে সভা সমাবেশ করেছিল- তবে এও আমাদের জন্যে নতুন নয়।

আশির দশকের শেষ দিকে ঢাকার রাস্তায় মিছিল করে ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল বা সংগঠন ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান’ শ্লোগান দিয়েছে। পরেও বিভিন্ন সময় ঢাকায় এমন স্লোগান দেওয়া হয়েছে। আশির দশকে বাংলাদেশ থেকে অনেকে আফগানিস্তানে মুজাহিদিন বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি আফগানিস্তান ফেরত এমন একজনের সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করেছিল। বাংলাদেশের দুটা জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদের দুই নেতা আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নানও আফগানিস্তান ফেরত। এ দুই জঙ্গি সংগঠনে আরও ১৪ জন আফগান ফেরত ছিলেন। জঙ্গি তৎপরতার দায়ে শীর্ষ এই দুজন এবং অন্য ১৪ জনের ফাঁসি হয়েছে।

২০২১ সালে যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে কথা চলছিল তখন এ সফরের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররম এলাকায় ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল ও সংগঠন বাংলাদেশকে আফগানিস্তানে পরিণত করার হুমকি দিয়ে নিজেদেরকে তালেবানের মতো জঙ্গিতে রূপান্তরের কথা জানিয়ে বিক্ষোভ করেছিল। তিরিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ওই ভয়াবহ স্লোগান দেওয়ার লোকজন তৈরি হয়েই চলেছে।

খবরের কাগজ জানিয়েছিল, টুইন টাওয়ার হামলা করেছে আল কায়েদা। যদিও আল কায়েদা নতুন কোনও সংগঠন নয়। আল কায়েদা আসলে একটা নেটওয়ার্ক। সৌদি আরবের কোটিপতি ওসামা বিন লাদেনের হাত ধরে ’৮০র দশকে গড়ে ওঠে।

তালেবান সংগঠনটির জন্ম ’৯০ দশকের শুরুর দিকে। পশতু ভাষায় তালেবান মানে হলো ছাত্র। এদের প্রায় সবাই সুন্নি মতাদর্শী মাদ্রাসার ছাত্র। কিন্তু এরা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে ’৯৬ সালে। ’৯৬-এ কাবুল দখলের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট আর তার ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দেহ রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। সরকার প্রতিষ্ঠার পর তালেবানরা ইসলামি শরিয়া আইনের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে শুরু করল। অপরাধী কিংবা ব্যাভিচারে অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে হত্যা করতে শুরু করল। চুরির দায়ে অভিযুক্তদের হাত কেটে ফেলতে লাগল। পুরুষদের দাড়ি রাখা এবং মেয়েদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করে দিল। টেলিভিশন, সঙ্গীত, সিনেমা নিষিদ্ধ করে দিল। দশ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই বলে নিয়ম জারি করল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তিটি ছিল আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে। ২০০১ সালে তালেবানরা সে মূর্তিটি ধ্বংস করে ফেলল।

বলা হয়ে থাকে রোম নগরী যখন আগুনে পুড়ে যাচ্ছিল সেসময় বাঁশি বাজাচ্ছিলেন নিরো। রোমান সম্রাট নিরো ছিলেন ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর আর পাগলাটে শাসকদের একজন। নিরো নিজের মাকে হত্যা করেছেন। হত্যা করেছেন তার সৎ ভাই ও স্ত্রীদেরকেও। খ্রিস্টানদের ওপর ভীষণ নিপীড়ন চালিয়েছেন। কেউ যখন অন্যের দুর্ভোগ উপেক্ষা করে প্রচণ্ড স্বার্থবাজ হয়ে উঠে নিজেতেই মগ্ন থাকেন তখন তাকে নিরোর সঙ্গে তুলনা করা হয়।

কথা শুরু হয়েছিল জিনা পিকিরিলোকে নিয়ে। জিনা তার তিন মাসের শিশুটিকে এই উন্মাদের পৃথিবীতে এনেছেন বলে তার কাছে ফিসফিসিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এছাড়া জিনার আসলে কিছু করবারও ছিল না। জিনাকে আমি চিনি না। কখনও পরিচয় হবে তেমন কোনও সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু জিনার অক্ষম বাসনার সঙ্গে নিষ্ফল আক্রোশকে আমি ঠিক ঠিক চিনেছিলাম। সেকারণেই জিনা পিকিরিলোর ভয় আমার কাছে পরিচিত। ক্ষমতাহীন মানুষেরা সবসময়ই বড় অসহায় হন।

জিনার ছেলে ভন এখন বড় হয়েছে। ছেলেটা যখন জন্মায় তখন বিশ্বব্যবস্থা একরকম ছিল। ওর তিন মাস বয়সে সে ব্যবস্থা আমূল পালটে গেল। পালটে যাওয়া বিশ্বব্যবস্থা আর আমেরিকায় ভন কেমন মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠেছে? এইটি কখনও জানা যাবে না। তবে জানা যাবে, ২০২০ সালে তালেবানের সঙ্গে আমেরিকা একটি শান্তি চুক্তি করেছে। জানা যাবে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের পক্ষে এই চুক্তিতে সই করেছেন।

আচ্ছা, ‘বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান’ শ্লোগান দেওয়া লোকেরা এখন কি ‘তালেবান’ হয়ে উঠতে আরও উৎসাহিত হবেন? কিংবা ‘উন্মাদীয় পৃথিবীতে আনবার জন্যে তিন মাস বয়সী ছেলের কাছে ক্ষমা চাওয়া’ জিনা পিকিরিলো লজ্জিত হবেন? আমি জানি না। আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে।

অনুস্বর ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৭

আবদুল বারি রোহিতপুর বলেছেন: লজ্ঝিজত

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭

মুবিন খান বলেছেন: আসুন নিজেদেরকে করুণাও করি।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লোক চক্ষুর অন্তরালে এরা হয়তো এখনো সংগঠিত হচ্ছে।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৮

মুবিন খান বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশে জঙ্গি উন্মাদনা কিছুদিন একটু কম ছিল, এখন আবার ওটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতেছে। জঙ্গিবাদের রিস্ক বাংলাদেশ থেকে কখোনোই পুরোপুরি দূর হবে না যদি শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন না আনা যায়।
জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ‘হিজরত’, ঘর ছেড়েছেন সাত তরুণ

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১

মুবিন খান বলেছেন: ঠিক তাই। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এর জন্যে শিক্ষা ব্যবস্থাই দায়ী। কিন্তু দয়া করে আর 'আমূল পরিবর্তনের' কথা বলবেন না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে সাজাতে এই ব্যবস্থা আজকের অবস্থানে এসে ঠেকেছে। আর চাই না। এখন 'তোমার কুকুর সামলাও' অবস্থানে আছি।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এখন আর কেউ বলবেনা , আমেরিকা সাধু সুফির দেশ ।
..................................................................................
তাদের উস্কানী বিশ্বের নানাহ স্হানে আজও নিরীহ মানুষ মারা
যাচ্ছে, এখন সবাই জানে আল কায়দাকে তৈরী করেছিলো ।
ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য একমাত্র আমেরিকা দায়ী ।
তাদের অস্ত্র কোথায় বেঁচতে হবে তার নীল নক্সা সিআই্এ ২/৩ বৎসর পূর্বে
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করে ।
বিশ্ব মোড়লরা কখনো আমাদের ভালো চায়না ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৪

মুবিন খান বলেছেন: 'বিশ্ব মোড়ল' কারা ভাই?

যদি বিশ্ব মোড়ল বলে কেউ বা কোনও গোষ্ঠী থেকেও থাকে, তবে বিশ্ব মোড়লরা কখনো আমাদের ভালো কিংবা খারাপ- কিছুই চাইবার কথা নয়। সময় কোথায়!? তারা কেবলই নিজের ভালোটা চায়। ফলে পরস্পরের দিকে আঙুল উচিয়ে গলাবাজি করে না। আমরা করি।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০৩

কামাল৮০ বলেছেন: টুইনটাওয়ার ধ্বংসের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের রাষ্ট্রগুলির ধ্বংস শুরু হয়।বিশ্বে ইসলাম ধর্ম একটা ঝুকিতে পড়ে।ইসলাম ধর্মের লোকদের পশ্চিমে একটু সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে।টুপি দাড়ি দেখলেই তারা ভাবে জঙ্গী।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৬

মুবিন খান বলেছেন: আপনার অভিযোগ অনুযায়ী যদি সত্যিই 'ইসলাম ধর্মের লোকদের পশ্চিমে একটু সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে' থাকে তবে তার দায়টা ইসলাম ধর্মের লোকদেরকেই নিতে হবে। পশ্চিমের লোকেদের দেয়া যাবে না।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৫

মোগল বলেছেন: ৯/১১ এর টুইন টাওয়ার এবং পাশের ৪৭ তলা টাওয়ার সেভেন (দ্য সলোমন ব্রাদার্স বিল্ডিং) কন্ট্রোলড ডেমোলেশনের মাধ্যমে ধ্বসিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিমান হামলা ছিল নাটকের একটা অংশ। উল্লেখ্য ৪৭ তলা টাওয়ার সেভেনে কোন বিমান আঘাত করে নাই। কিন্তু সেইটাও ফ্রি ফল স্পিডে ধ্বসে পড়েছিল, আরও মজার ব্যপার হল, টাওয়ার সেভেন ধ্বসে পড়ার ২৬ মিনিট আগেই বিবিসির সংবাদ পাঠিকা জেন স্ট্যান্ডলি যখন এই বিল্ডিং ধ্বসে পড়ার খবর প্রচার করছিলেন, তখনও ভিডিওতে উনার পিছনে টাওয়ার সেভেন দেখা যাচ্ছিল। আমেরিকান ইনসাইড মাফিয়া কিভাবে কত বড় লার্জ স্কেলে নাটক তৈরি করেছিল তার প্রমান হিসাবে টাওয়ার সেভেনের নিউজ ক্লিপ ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭

মুবিন খান বলেছেন: হাহাহা... নিঃসন্দেহে আপনি একজন প্রতিভা।

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩০

নতুন বলেছেন: আগামীতে ইসলামী জঙ্গি হামলা কমে যাবে। কারন আমেরিকা ইসলামী দেশগুলিকে তার পাশে চাইবে।

চীন এখন আমেরিকার সম্রাজের জন্য বড় ঝুকি তাই তারা চীনের বিরুদ্ধে এক হবে।

আর যতই ধর্ম নিয়ে এগিয়ে আসুকনা কেন সবাই কিন্তু রাজনিতিক উদ্দেশ্যেই এসেছে। ক্ষমতা.টাকার জন্যই এসেছে। এর পেছনে সত্যিকারের ধর্মের আদর্শ নেই।

একটা যুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দরকার, এই টাকা কোথা থেকে আসে? অবৈধ অস্র যোগাড়ে আরে বেশি টাকার দরকার।

এই টাকার উতস খুজলেই আসলে ঘটনা বের হয়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২১

মুবিন খান বলেছেন: উৎস খুঁজতে এত রহস্য করার কিছু নাই ভাই। উৎস খুবই সহজ। টাকা আসে অস্ত্র সোনা আর মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। অস্ত্রের ব্যবহার না থাকলে ব্যবসা টিকবে না। সোনা আর মাদক তাতে বুঁদ হয়ে থাকতে ঘি ঢালে। এবং এই ঘি ঢালা হয়ে গেলে পরে আমি ও আপনি ওতে দেশলাই জ্বেলে আগুন ধরাই।

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

মুদ্‌দাকির বলেছেন: মৌলবাদ সাম্যবাদ নাকি ভ্রাত্নিবাদ অনেক আগে এই ইসলাম আর ব্রেইন ওয়াসড জঙ্গিদের নিয়ে লিখেছিলাম। একি দুঃখ !! যারা সব কিছুতেই ইসলামের শেষ দেখেন তাদের জন্য দুঃখ হয়।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৩

মুবিন খান বলেছেন: দুঃখ করতে রাখা বজায় রাখুন।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

মোগল বলেছেন:

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯

মুবিন খান বলেছেন: ভাই শোনেন, আপনার সঙ্গে বিতর্কে জড়াবার কোনও ইচ্ছে আমার নেই। আপনার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ আছে, আপনি নিশ্চয়ই তার থেকে বের হবেন না। আমারও আপনার নিজস্ব ধারণা থেকে টেনে বের করবার দায় নেই। তবে কি জানেন, ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়া কখনও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারে না। কেননা এখানে যে কেউ নিজের ইচ্ছেমত বানিয়ে লিখতে পারেন। এই যে আমি-আপনি এখানে লিখছি, যদি সেটি কারও কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হয় তাহলে এরও কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। একারণেই খবরের কাগজে একটা লোক মারা গেছে নিশ্চিত জেনেও লেখে, পুলিশ জানিয়েছে, কর্তব্যরত ডাক্তার নিশ্চিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভেরিফাইয়ের ব্যাপারটা থাকে না বলেই এখান থেকে গুজব ছড়ায়।

আপনাকে ভ্যারিফায়েড একটা নিউজ লিংক দিচ্ছি। বিশ্বাস করতে হবে না, এমনি দেখেন-

https://www.bbc.com/bengali/news-42929978

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২২

মোগল বলেছেন: চোখে দেখেও আপনার মত যারা মিথ্যাবাদি পশ্চিমা মিডিয়ার কথা অন্ধের মত বিশ্বাস করে তাদের জন্য আফসোস। সোস্যাল মিডিয়া না থাকলে অনেক সত্য আমরা জানতেও পারতাম না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০২

মুবিন খান বলেছেন: আপনি ইউটিবের যে ভিডিও লিংক দিয়েছেন সেটি যে পূর্বের বা পাশ্চত্যের এটা আমি বুঝতে পারি নি বলে দুঃখিত। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার একজন একনিষ্ঠ হিসেবে আপনার জন্যে আমার অভিনন্দন।

এবারে একটা কৌতূহল বলি। আমার লেখার কোথাও আমি কন্সপিরিসি থিওরি বা এ সংক্রান্ত কিছু বলি নি। আমি কেবল মানবিক একটা জায়গা থেকে যা বলা দরকার মনে হয়েছে সেটিই বলেছি। লেখার শেষে এসে ঘটনাটির একটি রাজনৈতিক ছবির দিকেও নির্দেশ করা আছে। কিন্তু আপনি ভাই গায়ে পড়ে এসে তথাকথিত 'কন্সপিরিসি থিওরি' দিয়ে নানান কথা বললেন। এখন আবার অন্ধ বলেও অভিহিত করছেন। কেন বলুন তো? আপনার নামটিও অসত্য। আপনার উদ্দেশ্য তো সন্দেহজনক!

আমি পরমতসহিষ্ণু বটে কিন্তু গালাগালে স্বচ্ছন্দ্য নই। দয়া করে আমার থেকে দূরে থাকুন। শুভকামনা থাকল।

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন ভাই।

দুঃখের বিষয়, এই ব্লগেও প্রচুর তালেবানদের অহরহই দেখা যায়। এই পৃথিবীতে তালেবান এবং জঙ্গীর মত ভয়ংকর কুৎসিত আর কিছুই নেই!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০৪

মুবিন খান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। আমার এই লেখাটিতেও একজন এসে তার গাত্রদাহ জানিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এবং সত্যটি বলবার জন্যে কৃতজ্ঞতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.