নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদৃষ্টরে শুধালেম, চিরদিন পিছে, অমোঘ নিষ্ঠুর বলে কে মোরে ঠেলিছে?সে কহিল, ফিরে দেখো। দেখিলাম থামি, সম্মুখে ঠেলিছে মোরে পশ্চাতের আমি।

মুবিন খান

নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।

মুবিন খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলি-ফিলিস্তিন সমস্যাটা ধর্মের অংশ নয়, বিশ্ব রাজনীতির

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮



আজকাল অনেকেই আমাকে বলছেন ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে আমি কেন কিছু লিখছি না। তাদেরকে বলি, আমি এমন কেউ নই যে সব বিষয়ে আমাকে বলতেই হবে। বলা উচিতও নয়। কেননা যিনি সবই জানেন তিনি আসলে কিছুই জানেন না।

আরেকটি বিষয় হলো, ধর্মীয় কোনো বিষয় নিয়ে বলতে যাওয়াটা বোকামি। আপনি যদি ধার্মিক হন তাহলে ধর্ম যা বলে দিয়েছে আপনাকে সেটাই মানতে হবে। কিন্তু ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত মোটেই ক্রুসেড, জেহাদ কিংবা ধর্মের কোনো সংঘাত নয়। এর পুরো সমস্যাটিি শুরুতে ছিল ভূমি দখল। এখন হয়েছে রাজনৈতিক।

আমাদের নিউ ইয়র্কে কিছু সুশীল আছেন। নিজেদের এরা মানবতাবাদী বলে দাবি করেন। এরা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির কিংবা দেবী মূর্তি ভাঙা প্রচার করেন কিন্তু ভারতে মুসলমান নির্যাতনের শিকার হলে তা নিয়ে কিছু বলেন না। চুপ করে থাকেন। এখন যেমন ফিলিস্তিন নিয়ে চুপ করে আছেন।

এদের মতো কিছু মুসলমানও আছেন। এরা ভারতে মুসলমান আক্রান্ত হলে বিপুল বিক্রমে পারলে তেড়ে ভারত চলে যান, কিন্তু বাংলাদেশে যখন হিন্দু মার খায়, এরা তখন উদাস হয়ে আকাশ দেখেন। হামাস যখন ইসরাইলিয়ের মানুষদের ওপর হামলা চালাল, এরা তখন আকাশে রামধনু খুঁজছিলেন।

আপনি যদি মানবিক মানুষ হন তাহলে মানুষের ধর্মীয় পরিচয় আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা নয়। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যে কোনো মানুষ নির্যাতনের শিকার হলেই প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠার কথা। যদি সেটি না করেন তাহলে আপনি সুশীল সমাজের কোনো প্রতিনিধি নন। আপনি একজন ভণ্ড এবং শুধুই একজন সাম্প্রদায়িক হিন্দু অথবা মুসলমান।

ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করেছে। এটি মারাত্মক অন্যায়। আর এই সেদিন হামাস অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ইসরাইলের নিরীহ মানুষদের হত্যা করল- এটিও ভীষণ অন্যায়। ইসরাইল বোমা মেরে গাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে এটিও অন্যায়। এই অন্যায়কে এখন ধর্ম দিয়ে মুড়িয়ে পরিবেশন করা হচ্ছে। সেকারণে এই অন্যায়ের প্রতিবাদে যারা এখন উচ্চকিত তারা কেউ মানুষ নন। তারা হলেন মুসলমান অথবা ইহুদি- অথবা এই দুইয়ের সমর্থক ধর্মীয় গোষ্ঠী। ঠিক নিউ ইয়র্কের হিন্দু গোষ্ঠী বা মুসলমান গোষ্ঠীর মতো। অথবা আপনি চাইলে ভারত কিংবা বাংলাদেশের হিন্দুর দল ও মুসলমানের দল বলতে পারেন।

মানুষকে হত্যা করা বীরত্ব নয়, কাপুরুষতা। ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না যারা তারা হয় চুপ করিয়ে দেয়, শক্তি থাকলে গলা চেপে ধরে, আর ক্ষমতা ও অস্ত্র থাকলে হত্যা করে। ফিলিস্তিনের ভূমি দখলকারী ইসরাইল যেটা করছে নিশ্চয় তাদের ধর্ম সেটা করতে বলে দেয় নি। তেমনি হামাসের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। মনে রাখতে হবে হামাস একটি সংগঠন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নয়। ১৯৮৭ সালে যখন হামাস প্রতিষ্ঠিত হয় তখন মিশরীয় মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি শাখা হিসাবেই ছিল। সেসময় গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। তাদের দ্বন্দ্বটা তখন ছিল প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে যার পরিচয় পিএলও- তাদের সঙ্গে।

একইভাবে দখলদার ইসরাইল সরকারের বিরোধিতা মানেই ইহুদী-বিদ্বেষ নয়।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



হামাস ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে কোন ভুমিকা পালন করতে পারবে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুবিন খান বলেছেন: আমার সিদ্ধান্ত ও মতামত আমি বলেছি। আপনি আপনারটা বলুন।

২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

নতুন বলেছেন: আমাদের উপমহাদেশের মানুষ এটাকে ধর্মীয় দৃস্টিকন থেকেই থেকে।

ব্লগেই এমন অনেক পোস্ট পাবেন...

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মুবিন খান বলেছেন: যে যার মতো দেখতে থাকতে থাকুক। আমি আমার চোখ ও মগজ দিয়ে নিজের মতো করে দেখেছি, দেখছি এবং দেখবও। ... আপনিও তাই করুন।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নিমো বলেছেন: ব্লগে যারা অকারণ লম্ফ-লম্ফ করে ঈমানের দুর্বলতম স্তরের প্রদর্শনীতে ব্যস্ত, ফিলিস্তিন, গাজা বাদ দেন, নিজের দেশের সমস্যায়ই এদের খুঁজে পাবেন না। আজ যদি মিয়ানমার আক্রমণ করে, এদের তখন চৌকির তলায়ও পাওয়া যাবে না, ঈমানের দুর্বলতম স্তরের প্রদর্শনী করার জন্য।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৩

আমি নই বলেছেন: বিষয়টা আসলে শুরু থেকেই ধর্মীয়। ইহুদি ধর্মবিশ্বাস জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ ভেংগে থার্ড টেম্পল না বানানো পর্যন্ত তাদের মসিহের আবির্ভাব ঘটবেনা। সুতরাং গনগত্যা করে হোক আর যেভাবেই হোক তাদের জেরুজালেমের তথা ফিলিস্তিনের পুর্ন অধিকার চাই। সেই লক্ষেই তারা এগুচ্ছে। আপনার মনে হচ্ছে এটা বিশ্ব রাজনীতি, আরেকজনের কাছে মনে হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী, কেউ মনে করছে প্রতিশোধ, যে যাই মনে করুক উগ্রপন্থি ইহুদিরা তাদের লক্ষ থেকে বিচ্যুত হবে না। এটাই সত্য।

একটা প্রশ্ন, আপনার কি মনে হয়, ইহুদিরা কেন নিজেদের ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের জন্য এমন একটা জায়গা বেছে নিলো যেখানে চারিদিকে মুসলিম রাষ্ট্র দারা বেষ্টিত? কেনইবা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে উগ্রপন্থি ইহুদিদের এনে অবৈধ বসতি গড়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে?

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩২

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্যের সাথে একমত। তবে পুরো বিষয়টার সাথে গভীরভাবে ধর্ম জড়িয়ে আছে দেখতে পাই। অন্ততপক্ষে বাংলাদেশে ইসরাইলের বিরোধিতা আর ইহুদীবিদ্বেষ প্রায় সমর্থক - যদিও এটা হওয়া উচিত নয় বলে মনে করি।

আবার আমি যদি ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে মিসিল বের করি বা হয়ত ওয়ার্কপ্লেসে আমি সাধারন মানুষের উপর ইসরাইলের বোমাবর্ষণকে যুদ্ধাপরাধ বলি - আমাকে এন্টিসেমিটিক উপাধি পেতে হতে পারে এবং আমার চাকরিও খোয়া যেতে পারে। যদিও আমার মনে এক ফোটাও ইহুদীবিদ্বেষ নেই।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ধর্ম দ্বারা রাজনীতি ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গাজার বাসিন্দারা মুসলিম না হয়ে ইহুদি হলে কি ইসরাইল ঐ অঞ্চল দখল করতে চাইতো?

ব্যাপারটা আগাগোড়াই ধর্মীয়।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলিম বিশ্বকে ধ্বংসের জন্য দুইটি বিষাক্ত সর্প পরিবার আছে। তারা প্রতিদিন মুসলিম জাতিকে ধ্বংস করে। একটি হচ্ছে শরীফের পরিবার জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর পূর্ব পুরুষ, আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে সৌদ পরিবার।

৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৪

নতুন বলেছেন: আমি নই বলেছেন: বিষয়টা আসলে শুরু থেকেই ধর্মীয়। ইহুদি ধর্মবিশ্বাস জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ ভেংগে থার্ড টেম্পল না বানানো পর্যন্ত তাদের মসিহের আবির্ভাব ঘটবেনা। সুতরাং গনগত্যা করে হোক আর যেভাবেই হোক তাদের জেরুজালেমের তথা ফিলিস্তিনের পুর্ন অধিকার চাই। সেই লক্ষেই তারা এগুচ্ছে। আপনার মনে হচ্ছে এটা বিশ্ব রাজনীতি, আরেকজনের কাছে মনে হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী, কেউ মনে করছে প্রতিশোধ, যে যাই মনে করুক উগ্রপন্থি ইহুদিরা তাদের লক্ষ থেকে বিচ্যুত হবে না। এটাই সত্য।

একটা প্রশ্ন, আপনার কি মনে হয়, ইহুদিরা কেন নিজেদের ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের জন্য এমন একটা জায়গা বেছে নিলো যেখানে চারিদিকে মুসলিম রাষ্ট্র দারা বেষ্টিত? কেনইবা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে উগ্রপন্থি ইহুদিদের এনে অবৈধ বসতি গড়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে?



আমেরিকা মধ্যপ্রচ্যাে সকল দেশের কাছেই অস্র বিক্রি করে।

ধর্ম বাহানা মাত্র,। ধর্মের কথায় মানুষের সর্মথন পাওয়া যায়।

যদি ইসরাইল না থাকতো তবে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার এতো অস্রবিক্রি এতো ব্যবসা করা সহজ হতো না।

রাজাদের কাছে ধর্ম একটা হাতিয়ার মাত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.