![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
আফগানিস্তানের তালেবান তাদের ইউনিভার্সিটিগুলাতে নারীদের লেখা সকল বই নিষিদ্ধ করছে।
তালেবানরা বলছে মানবাধিকার শিক্ষা বন্ধ, যৌন হয়রানি বিষয়ক শিক্ষাও বন্ধ। তালেবান সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক বলছে, ধর্মীয় আলেম ও বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার ভিত্তিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিছে।
ঠিকই তো! মেয়েদের আবার মানবাধিকার কি! আর মেয়ে বিষয়টাই তো যৌনতার! তাইলে তাদের আবার যৌন হয়রানি হয় নাকি!
মহান তালেবানরা খেয়াল করে দেখছে, ইউনিভার্সিটিগুলাতে যে ৬৮০টি বই পড়ায়, তাদের ১৪০টাই নারীদের লেখা!
হায় হায়! এগ্লা বই তো শরিয়ত ও তালেবান-নীতির পরিপন্থি!
এখন থেকে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, দ্য রোল অব উইমেন ইন কমিউনিকেশন এবং উইমেন’স সোসিওলজিসহ ১৮টা বিষয় পড়ানো হারাম।
কারণ এগ্লা বিষয় নারীর সঙ্গে সম্পর্কিত। নারী হলো ঘরের জিনিস। সে ঘরে থাকবে, রান্নাবাড়া করবে, স্বামীর সেবা করবে, বাচ্চা-কাচ্চা জন্ম দিবে আর বড় করবে— তার আবার লেখাপড়া কি!
অবশ্য এমনিতেও তালেবানরা ক্লাস সিক্সের পর মেয়েদের লেখাপড়া নিষিদ্ধ করে দিছে। কিন্তু কলিকালের হলেও একটা সীমা থাকবে তো, নাকি!
আহা! সীমা! কত সৌন্দর্য নাম! মেয়েটা না জানি কত সৌন্দর্য! সৌন্দর্য হলে সীমা মেয়েটারে বিবি বানানো যাইতে পারে।
সীমার জন্যে আপনারও আনচান লাগতেছে। তাইলে নারায়ে তাকবির বলে একটা চিক্কুর দিয়ে স্লোগান ধরেন—
'আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান'।
কবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবাল বলেছেন, 'হে খোদা! যে বেহেশত বানিয়েছ ওটা মোল্লাদেরকে দিয়ে দাও। আমি বেহেশত চাই না; শুধু তোমার রহস্যের মাঝে ডুবে থাকতে চাই।'
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫০
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: সময় পরিবর্তশীল।আফগানদের নীতিমালাও সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হবে।কঠোরতার পরে সাধনরনত সহজীকরন করা হয়।আফগান তালেবানরা আপনার থেকে জ্ঞানী বলে আমি মনে করি।যেসব দেশে নারীদেরকে খোলামেলা চলতে দেওয়া হয়,সেসব দেশের গোপন অনেক তথ্য আপনার অজানা।সেসব দেশে প্রচুর পরিমানে ধর্ষনের খবর আসে।আফগানিস্তানের সব মানুষ যখন ফেরেশতা চরিত্রের হয়ে যাবে, তখন নারীদেরকে একটু ছাড় দেওয়া হবে।অনেক কথা এবিষয়ে বলার ছিলো।সংক্ষিপ্ত করলাম।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০০
কলাবাগান১ বলেছেন: @সুলাইমান হোসেন,
আপনার কি ক্ষমতা যে আপনি ইচ্ছা হলে নারীকে টাইট দিবেন এবং যখন সময় হবে তখন ছাড় দিবেন...।আপনি কি ওদের কে কিনে নিয়েছেন?
এখানে আপনি/তালেবান একই মানসিকতার বলে মনে হচ্ছে তাি আপনাকে দিয়ে উদাহরন টা বললাম
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৩
বাজ ৩ বলেছেন: আফগানিস্তানের ব্যাপারে আমি ধৈর্য ধরতে পছন্দ করি।অনেক কঠিন কঠিন ঘাটি তারা অতিক্রম করে এপর্যন্ত এসেছে।নরীদের ব্যাপারে তারা মূলত খুবই সংবেদনশীল,এবং আত্মমর্যাদাশীল,এজন্য তারা নারীদের ব্যাপারে এত কঠোর
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৭
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: @কলাবাগান।আমি যদি আফগানিস্তানের আমিরুল মুমিনিন হতাম।নারীদেরকে আমি অনেক ছাড় দিতাম,কিন্তু এমন ছাড় নয়,তারা যেখানে সেখানে ধর্ষনের শিকার হবে।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: একটা দেশে কিভাবে কেয়ামত ডেকে আনা যায়, তা জঙ্গি তালেবানদের দেশ থেকে শেখা যেতে পারে।
আমরা হবো তালেবান
বাংলা হবে আফগান
যাবো মোরা কবরস্থান।
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৪
সামরিন হক বলেছেন: যারা দুর্বলদের অধিকার খর্ব করে তাদের কপালে আখেরাতে কিছুই জুটবে না আর দুনিয়াতেও ঘৃণা দিলাম।
৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা হবো তালেবান , বাংলা হবে আফগান ।
৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের দেশেও হবে।
সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অপেক্ষা করেন।
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৫
আলামিন১০৪ বলেছেন: ইলেকট্রনিক্স নিয়ে যারা পড়াশুনা করেন তাঁরা এমপ্লিফায়ার নামক একটি সার্কিট ডিজাইন করতে পারেন। এটার কাজ হলো একটি ক্ষুদ্র সিগনালকে অনেকগুন বাড়িয়ে বিবর্ধিত করা। রেডিও-টিভি-মোবাইল-স্পীকার সিস্টেম প্রত্যেকটিতে এরকম এক বা একাধিক এমপ্লিফায়ার আছে।
ঠিক তেমনি কিছু অপ সাংবাদিক আছে যারা, ছোট একটি ঘটনার আদ্য-পান্ত না লিখে ফুলিয়ে ফাপিয়ে মনের মাধূরী মিশিয়ে মসলা সহযোগে তার নিজের মতো করে পরিবেশন করেন এমন কি তার এমপ্লিফায়ার এর গুণে আসল ঘটনা বিলুপ্ত হয়ে যায়। শুধু একটি শাখাকে বিবর্ধিত করে দেখানো হয়।
ইসলামে নারী শিক্ষার কোন বাধা-নিষেধ নাই, কিন্তু সেটা যদি ইসলাম বিরোধীদের লেখা হয় তাহলে সেটা তালেবানরা বাদ দিতেই পারে। কী কী বই বাদ দিয়েছে সেগুলোর দুই এক পাতা কি পড়ে দেখেছেন? যে সাংবাদিক এগুলো ছেপেছে তার মূল উদ্দেশ্য ইসলামী রাষ্ট্র সম্পর্কে আপামর জনসাধারনকে ভয় ধরানো।
কিছু দিন আগে ভূমিকম্পে আহত নারীদের উদ্ধার করা নিয়ে একটা লিখা বেশ চাউর হয়েছিল। তালেবানরা নাকি নারীর সাথে ছোয়া লাগার ভয়ে, তাদেরকে উদ্ধার করা থেকে বিরত থেকেছে। অথচ, জীবন রক্ষার প্রয়েজেনে হারাম খাবার খাওয়ার আয়াত পবিত্র কোরআনে রয়েছে....
আল্লাহ মিথ্যাবাদীদের ধ্বংস করুন- আমীন
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬
আমি নই বলেছেন: এক জায়গায় দেখলাম তারা ৬৮০টা বই নিষিদ্ধ করেছে যার মাঝে ১৪০টার লেখক নারী। আর আপনি বলেছেন ৬৮০টা বই পড়ানো হয়, মাত্র ৬৮০টা বই দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অসংখ্য বিভাগে পড়ানো সম্ভব নয়, সুতরাং আপনার তথ্যে সম্ভবত ভুল আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ইসলামী সংস্কৃতি মানুষের প্রাকৃতিক জ্ঞানকে ধ্বংস করে; ইসলামী সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে আদি বেদুইনদের রূপকথাকে কেন্দ্র করে, যেভাবে গ্রীক রূপকথাগুলো গ্রীক ধর্মের জন্ম দিয়েছিলো।