![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের পরিচয় লেখার মত বিখ্যাত বা বিশেষ কেউ নই। অতি সাধারণের একজন আমি। লিখতে ভাল লাগে। কিন্তু লেখক হয়ে উঠতে পারি নি। তবে এই ব্লগে আসা সে চেষ্টাটা অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্য নয়। মনে হল ভাবনাগুলো একটু সশব্দে ভাবি।
মামুনুল হক সাতজন সঙ্গী-সাথী নিয়ে নাকি আফগানিস্তান গেছে শরিয়া আইন শিক্ষা করতে!
পত্রিকা ইংরাজিতে কৌতুক লিখছে, 'মামুনুল হক ইন আফগানিস্তান টু ইন্সপেক্ট হিউম্যান, ওমেন রাইটস্ পজিশন'। আচ্ছা বলেন তো, আফগানিস্তানে মানবাধিকার আছে? নারী অধিকার কই ওইখানে? তাইলে নিয়ে কি পরিদর্শন করতে গেল মামুনুল হকরা?
কথা হলো শরিয়া আইন তো ইসলামি আইন। এই আইন তো কোরান ফলো করে হবে। আফগানিস্তান ফলো করে করতে হবে ক্যান?
শরিয়া আইন ইরানেও আছে। সৌদি আরবে তো আছেই। আর আছে সুদানে।
তাইলে হোয়াই আফগানিস্তান?
ও! তারা তো নাকি তালেবান সরকারের আমন্ত্রণে আফগানিস্তানে গেছে!
হায় পেম! কি পচুর পেম!
মামুনুল হকরা ইরানে গেল না ক্যান? সৌদি আরবেও তো গেল না! গেল আফগানিস্তানে! তারা ক্যান কোরান ফলো করে শরিয়া আইন করতে রাজি না?
নিন্দুক লোকেরা বলে মামুনুল হকরা আফগানিস্তানে আসলে শরিয়া আইন শিখতে যায় নাই। গেছে তালেবানি শাসন শিখতে।
তারমানে শরিয়া আইন আর তালেবানি আইন— এক জিনিস না। দুইটা আলাদা জিনিস।
আমার কাছে তো 'শাসন' শব্দটা সমস্যাজনক। যেখান শাসন থাকে সেখানেই থাকে শাসিত। যাক, এইটা ভিন্ন আলাপ।
নিউ ইয়র্ক টাইমস্ লিখছে, সপ্তাহখানেক আগে আফগানিস্তানে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হইল। সে ভূমিকম্পে হতাহত নারী ও কিশোরীদের উদ্ধার করে করে নাই তালেবান কর্মীরা।
নারীরা বলছে, তালেবানরা তাদের সাহায্যের প্রস্তাবও দেয়নি, তাদের তাদের কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞাস করে নাই। নারীদের কাছেই যায় নাই তারা।
যেসব নারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ছিল, তাদের টেনে বের করে নাই।
নারীরা যেন অদৃশ্য ও অস্পৃশ্য। পুরুষ ও শিশুদের প্রথমে চিকিৎসা দিতেছিল তারা। বেঁচে যাওয়া নারীরা আলাদা হয়ে বসেছিল। তারা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করতেছিল।
যদি কোনো পুরুষ আত্মীয় উপস্থিত না থাকেন, তাহলে উদ্ধারকর্মীরা মৃত নারীদের পোশাক ধরে টেনে বের করে আনছিল, যাতে শরীরে কোনো স্পর্শ না লাগে।
চার বছর আগে যখন তালেবানরা ক্ষমতায় আসলো, তখন তারা আফগানিস্তানে নারীদের ওপর বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল।
তারা মেয়েদের ইউনিভারসিটি পড়া নিষিদ্ধ করে দিল। প্রাইভেট টিউশন কেন্দ্রগুলারে আদেশ করে বলল, তোমরা আর কোনও মেয়েকে লেখাপড়া শিখাইতে পারবা না।
তারা নিয়ম করল ক্লাস সিক্স পাশ দিলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষেধ। আর মেয়েরা নিজেরা একলা একলা কোত্থাও যাইতে পারবে না। সঙ্গে করে কোনও একটা পুরুষ নিয়ে বের হতে হবে। এরপর ভাগ মেয়েদের বেশির ভাগ চাকরি থেকে বের করে দিলো তারা।
মামুনুল হকরা কি এই শরিয়া আইন শিক্ষা করতে আফগানিস্তানে গেছে?
এদিকে মামুনুল হকদের গুপ্ত সঙ্গীরা কিন্তু গানের শিক্ষক নিয়োগের বিরুদ্ধে বিরাট আন্দোলন শুরু করে দিছে জনাব।
মানে তারা রেডি।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হেফাজত বিএনপির পকেটে । তালেবানরা পাওয়ার নিতে দুই যুগ লেগেছে ।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা হবো তালেবান , বাংলা হবে আফগান
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ট্রাম্পের ভয়ে, আরবরা সরাসরি তালেবানদের সাহায্য করতে পারছে না; আরবী ফান্ডের টাকা তালেেবানদের দেয়ার ব্যবস্হা করছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা .......... আমার ২০০১ সালের প্রশ্ন এখন করলেন?
”আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান”.. এই শ্লোগান করা দিয়েছিল বা দেয় এটাতো সবাই জানে।