![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পবিত্র কুরআনে নবীপ্রেম (prophet love) বেশ আলোচিত এবং নির্দেশিত।
আর তা নিয়ে সীমা এবং দ্বিধাহীনতা। এই দুই পক্ষপাত নিয়ে মুসলিম উম্মার বিভক্তি দেখা দিয়েছে (যদিও এটা ইংরেজ সৃষ্ট বিবাদ)
ইংরেজরা কোন দিন এদেশের মানুষ সাম্য,বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক হোক এটা চায়নি।
উপমহাদেশে মুসলমানদের বিভাজিত করে হিংসার কৃষ্ণ আঁধারে ডুবিয়ে রেখে গিয়েছে।
খোদার কসম! ইংরেজরা "যে মুসলিদের ওয়াহাবী আখ্যা দিয়ে নোটিশ চাপিয়েছে তারা মোটেও ওয়াহাবী নয়! তারাই প্রকৃত "আহলে সুন্নাত"।
আর যাদের সুন্নি বলে চাদরে গা ঢাকা দিয়েছে তারা মূলত "বেরলভী"।
মুসলিম ভ্রাতিত্বে চির ফাটল ধরিয়ে দিয়ে গেছে ক্রুসেডরা।
কোরআন-হাদীসের আলোকে আশেকে রাসুল...,
আল্লাহ বলেন ;
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُوْلِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
(59)
( سورة النساء )
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর (তথা কুরাআন-সুন্নাহর আলোকেই তা সিদ্ধন্ত গ্রহন কর)-যদি তোমরা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। (সূরা নিসা-৫৯)
এই ধরণের অনেক আয়াত, যেথায় ভালোবাসার পাশাপাশি অনুসরণের তাকিদঐ বেশি দেওয়া হয়েছে।
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। [সুরা ইমরান: ৩১]
যার কার্যকলাপের মধ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নবী প্রেম বিদ্ধম, সেই নির্ভেজাল আশেকে রাসুল (সাঃ)।
➽ নবীর মহব্বতের
মাফকাঠি হলো সুন্নাতে রাসূল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেন,
ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ؛ ﻣﻦ
ﺍﺣﺐ ﺳﻨﺘﻰ ﻓﻘﺪ ﺍﺣﺒﻨﻰ ﻭﻣﻦ ﺍﺣﺒﻨﻰ ﻛﺎﻥ ﻣﻌﻰ ﻓﻰ ﺍﻟﺠﻨﺔ
এখানে তিনি বলেছেন,
ﻣﻦ ﺍﺣﺐ ﺳﻨﺘﻰ ﻓﻘﺪ ﺍﺣﺒﻨﻰ
যে আমার সুন্নতকে মহব্বত করবে অর্থাৎ আমার সুন্নতের পায়বন্ধ
হবে,
তারাই আমাকে মহব্বত করে। অর্থাৎ মহব্বতের
মাফকাঠি হলো সুন্নাতে রাসুল।
ﻭﻣﻦ ﺍﺣﺒﻨﻰ ﻛﺎﻥ ﻣﻌﻰ ﻓﻰ ﺍﻟﺠﻨﺔ
আর আমার সুন্নাত পালন করার
মাধ্যমে যারা আমাকে মহব্বত করবে, তারা আমার
সাথেই জান্নাতে থাকবে।
♥
মনে, প্রানে, সর্বাঙ্গে তার ভালোবাসার স্বরূপ হল→ কাজে (সুন্নতে) তা বাস্তবায়িত করা।
এমন প্রকৃত ভালোবাসার প্রতিফলন সোজা জান্নাত!
আজ এমন একজন অসাধারণ মানবীর প্রেমালাপ আলোকপাত করবো, যার হৃদয়সিক্ত নবী প্রেমজলে।
তবে জীনের শেষ ইচ্ছাটুকু অপূরণই থেকে গেলো।
আমাদের প্রায়সময় বলতেন হজ্জ অবস্থায় মক্কা মদীনায় ওনার ওয়াফাত হবে আর নবীর দেশেই তাকে দাফন করা হবে!
এই মদীনাওয়ার আশেকটি কত যে প্রেরণা নিয়ে ঘুরতেন মদীনায় ওনার মৃত্যু ও দাফ হবে, এই মরণটি তার কাম্য ও সর্বউৎকৃষ্ট মৃত্যু বল ধারণা ছিল।
কিন্তু খোদার কৃপায় ব্রাক্ষণবাড়ীয়া "জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া" শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন!
আর সমাধিস্থ হলেন যুগ বিখ্যাত ওলীয়ে কামেল আল্লামা ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলাম (রহঃ)-এর পাশ্বে।
আমার প্রিয় ওস্তাদজীর জন্য ব্লগিং প্লেনটি উৎসর্গ করলাম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
muftisiraji বলেছেন: @গাজী সাব! আসলে আপনারা তো কলামিস্ট ; তাই লেখালিখিতে মহা জ্ঞানী। সুতরাং কমেন্টে আরও পরিস্কার করে বলার প্রত্যাশা রাখি।
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৭
গোধুলী রঙ বলেছেন: ইসলাম ধর্মের সমস্ত ক্ষতির দায় ইংরেজদের, নবী সঃ মৃত্যবরন করার একদিন বাদেই তো বড় ক্ষতিটার যাত্রা শুরু হলো, সেখানেও কি ইংরেজ ছিলো?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
muftisiraji বলেছেন: @গোধুলী! আপনি এ বিষয়ে কতটুকু ধারণা রাখেন তা, অজ্ঞাত থেকে যায়।
হুজুর (সাঃ) - এর মৃত্যুর প্রাক্বালে একটি ফিৎনার রূপরেখা দেখা দিয়েছিল (মুসাইলামাতুল কায্যাব) মিথ্যা নবী দাবিদার।
ওনার ওফাতর পরে মুনাফিকরা তো নিষ্ক্রয় হয়ে যায়নি।
যারা নবীজির অবর্তমানকে সুবর্ণসুযোগ মনে করে, মুসলিমদের বিভ্রান্তির বেড়াজালে ফাঁদে আটকিয়ে দেয়।
মুনাফিক ও ক্রুসেডরা সার্থক হতে পারেনি।
এই ফিৎনাকে মূলোৎপাটন করে ছিলেন খলিফাতুল মুসলেমিন "হযরত আবু বকর রাদিঃ"
৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
muftisiraji বলেছেন: গত রাতে ব্লগসারবারে সমস্যা দেখা দেওয়াই এই ব্লগটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও ছবিগুলি প্রকাশমান হয়নি। সে জন্য আন্তরিক দুঃখিত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"
উপমহাদেশে মুসলমানদের বিভাজিত করে হিংসার কৃষ্ণ আঁধারে ডুবিয়ে রেখে গিয়েছে।
খোদার কসম! ইংরেজরা "যে মুসলিদের ওয়াহাবী আখ্যা দিয়ে নোটিশ চাপিয়েছে তারা মোটেও ওয়াহাবী নয়! তারাই প্রকৃত "আহলে সুন্নাত" ।
আর যাদের সুন্নি বলে চাদরে গা ঢাকা দিয়েছে তারা মূলত "বেরলভী"। "
ওকে, ইংরেজেরা সুন্নী ও ওয়াহাবী বানায়েছেন; "আহলে সুন্নাত" ও "বেরলভী"। কি জার্মানরা বানায়েছে?