নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমস্ত মানবজাতির কল্যাণকামী, সাদামাঠা মানুষকে পছন্দ করি। আপনি আস্তিক নাস্তিক যাই হোন ধর্মিয় বিষয়ে হেঁয়, কটাক্ষপাত করবেননা। একটা জাতীয়তাবাদী দেশে যে কোন ধর্ম কর্মের মানুষ থাকাটা স্বাভাবিক, এর জন্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে পেরেশান বানি

muftisiraji

muftisiraji

muftisiraji › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের মাটি জুড়ে আমাদের কীর্তি

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

ঈমান ও দেশ রক্ষায় স্বাধীনতা আন্দোলন,
এবং দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক পটভূম

-----------



মুসলিম জাতীর মেরুদন্ড ভাঙতে হলে
প্রথমে তাদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করতে হবে ।
বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল ইংরেজরা ।
তারা মুসলমানদের দুর্বল করে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে
উপমহাদেশ থেকে
ছোটবড় কমপক্ষে ৮০ হাজার মাদ্রাসা ধ্বংস করে দেয় ।
মাদ্রাসা সমুহের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাখে ।
মসজিদ সমুহকে ঘোড়ার আস্তাবল বানায় ।
অতঃপর মুসলমানদের সাথে সংঘাত এড়াতে শান্তনা মূলক;
তত্‍কালিন বড় লাট লর্ড ওয়ারেন্ট হেস্টিংস ১৭৮১ সালে
কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে দেয় ।
কিন্তু এক সময় আলিয়া মাদ্রাসার
অনেক ছাত্র , শিক্ষক যেমনঃ মোল্লা মজদুদ্দীন রহঃ প্রমুখ
ও তার ছাত্ররা ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন ।
ফলে মাদ্রাসা থেকে যাতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে না পারে এ জন্য কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল পদে কোন মুসলমানকে রাখা হয় নি ,
পর্যায়ক্রমে ২৬ জন খৃষ্টান এপদে বহাল ছিল ।
এবং মাদ্রাসার সিলেবাস থেকে উচ্চ পর্যায়ের
তাফসীর , হাদিস , ফিক্বাহ বাদ দিয়ে জিহাদী প্রেরণাকে দমিয়ে দেয়া হয় ।
এমন কি মুসলমানদের তত্‍কালিন রাষ্ট্রভাষা ফার্সিকে বাদ দিয়ে ইংলিশে অফিস আদালত পরিচালন্া করা হয় ।
এভাবে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষা ও শিক্ষিতদেরকে পঙ্গু করে দেয়া হয় । আর মুসলিম জাতির উপর নির্যাতন নিপিড়নের ইতিহাস কারো অজানা থাকার কথা নয় । ১৮০৩ সালে উপমহাদেশের সর্বজনমান্য , শ্রেষ্ঠ আলেম শাহ আঃ আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলবী রাহঃ এই উপমহাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে সর্বপ্রথম স্বাধীনতার ডাক দেন ।
প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রু কবলিত "দারুল হারব" বলে ফতোয়া দেন ।
(নেহেরু , গান্ধী , শওকত কিংবা কায়েদে আজম জিন্না তারা কেউ
প্রথম আহ্বানকারী ছিলেন না।)
উক্ত ফতোয়ার উপর ভিত্তি করে আযাদী আন্দোলন ,
বালাকোট যুদ্ধ , শ্যামলীর যুদ্ধ ,
রেশমী রুমাল আন্দোলন সহ
ইংরেজ বিরোধী আরো আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটে ।
১৮৫৬ সালে আযাদী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী
ও কর্মী আলেম উলামাদের লিস্ট করে ১৮৬৪-১৮৬৭ সালের ভিতর
একের পর এক ১৪,০০০ চৌদ্দ হাজার আলেম উলামাদেরকে হত্যা করে
। নেতৃত্ব শুন্য করতে থাকে ।
শেষ পর্যায়ে "উপমহাদেশকে শত্রু কবলিত দেশ " ঘোষণাকারী
শাহ আঃ আজিজ রহঃ এর পিতা হযরত শাহ ওলিউল্লা রাহঃ এর
মাদ্রাসায়ে রহিমিয়া কে ১৮৬৭ সালে বুল ড্রোজার দিয়ে ভেঙে দেয়।
এভাবে আলেম ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নিধনের ফলে মুসলিম জাতির মধ্যে
নেতৃত্ব শুন্যতা ও ইসলামী শিক্ষা-দিক্ষায় শুন্যতা দেখা দেয় ।
আলেম উলামাদের এমন মর্মান্তিক শাহাদাত জাতীকে গভীর
অন্ধকারে নিমজ্জিত করে ।
এমন ভয়াবহ অবস্থায় অবশিষ্ট বিদগ্ধ জ্ঞান তাপস আলেমগণ
চিন্তিত হয়ে পড়েন ।
উদ্ভুত পরিস্থিতির নাজুকতা লক্ষ্য করে
আপাতত স্বশস্ত্র সংগ্রাম স্থগিত রেখে এ পর্যন্ত যুদ্ধে ইংরেজদের আগ্রাসনে
যে পরিমানে আলেম উলামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষয় হয়েছে
তার শুন্যস্থান পূরণ করতে
শ্যামলী (শামেলী) যুদ্ধের সেনাপতি হযরত কাসেম নানুথবী রাঃ
পুনঃরায় জেহাদী চেতনাকে ফিরিয়ে আনতে ও
মুসলমানদের ঈমান আক্বীদা সংরক্ষণের জন্য দেওবন্দের মাটিতে
সরকারের প্রভাব মুক্ত "দারুল উলুম দেওবন্দ" নামে ১৮৬৬ সালে একটি ঐতিহাসিক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন।
[0:1:সেখান থেকে শুরু হয় আন্দোলনের নতুন মাত্রা ।]
দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র
শায়খুল হিন্দ মাওঃ মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী রাহঃ যার নেতৃত্বে
সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক রেশমী রুমাল আন্দোলন ।
এই আন্দোলনের ইস্যুতে তত্‍কালিন মক্কার গাদ্দার গভর্ণর
শরিফ হুসাইন শায়খুল হিন্দ রাহঃকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয় ।
ইংরেজরা তখন তাঁকে মাল্টার দিপে কারাবন্দী করে রাখে ।
বন্দীর সময় শায়খের ছাত্র হুসাইন আহমদ মাদানী রাহঃ নবী সাঃ এর রওজা মোবারকের দিকে চেয়ে চোখের অশ্রু ফেলতে ফেলতে বলেছিলেনঃ চমকতা রহে তেরে রওজা কা মানজর.....।

¤ চমকিতে থাকুক আপনার রওজার দৃশ্যখানী ।
¤ নিরাপদ হোক আপনার রওজার বেষ্টনী ।
¤ দান করা হোক মোদেরে জজবায়ে আবু জর ও বেলালী ।
(রাজিঃ)
অতঃপর হুসাইন আহমদ মাদানী রাহঃ স্বীয় শায়খের সাথে
স্বেচ্ছায় কারাভোগ গ্রহন করেন ।
মাল্টার জেলে শায়খুল হিন্দকে নির্জন ঘরে নিয়ে
লোহার শিক গরম করে কোমর থেকে হাটু পর্যন্ত দাগ দিত
এবং বলত হে মাহমুদ হাসান !
তুমি ইংরেজদের পক্ষালম্বন কর ।
তিঁনি অজ্ঞান হয়ে যেতেন ।
যখন জ্ঞান ফিরে পেতেন তখন বলতেনঃ হে ইংরেজ জাতী !
আমার শরীরের চামড়া গলে যেতে পারে ।
চামড়া তুলে নেয়া যেতে পারে তবুও তোমাদের পক্ষে ফতোয়া দিব না ।
আমি হযরত বেলাল রাজিঃ এর উত্তরসূরী ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.