নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমস্ত মানবজাতির কল্যাণকামী, সাদামাঠা মানুষকে পছন্দ করি। আপনি আস্তিক নাস্তিক যাই হোন ধর্মিয় বিষয়ে হেঁয়, কটাক্ষপাত করবেননা। একটা জাতীয়তাবাদী দেশে যে কোন ধর্ম কর্মের মানুষ থাকাটা স্বাভাবিক, এর জন্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে পেরেশান বানি

muftisiraji

muftisiraji

muftisiraji › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরা গরুর স্তুপ এখন ভারতের কোলে→মুফতী সিরাজী

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৫১

ছবিতে ভারতের মেঘলায় মহামারী আক্রান্ত মরা গরুর স্তুপঃ



বিজেপী সরকার নির্বাচিত হওয়ায় ভারতে সহিংস, সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকহারে।
সানাতন ধর্মাবলম্বীদের উগ্রমতবাদের বলির শিকার হচ্ছে সে ধর্মেরই নিম্ন শ্রেণীর (অর্থাৎ বৈষম্য যুক্ত) হিন্দু সম্প্রদায়।
২০১৪ সালের জরিপ অনুযায়ী:- ভারতে শতকরা ৩০% সানাতন ধর্মাবলম্বী গো মাংশ ভক্ষক। কট্টরপন্থী হিন্দু ছাড়া বাকি ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে গো গোস্ত দৈনিন্দিন খাবারের প্রধান আইটেম হিসাবে ভোজন করে।

বিজেপী সরকার ক্ষমতার মসনদে বসার পরবর্তীকালে ভারতের চামড়া শিল্প ও কসাই ব্যবসার সূচনীয় অবস্থা। গরু খামারীদের অর্থনীতিক মান্দার করণে অনেকে আত্মহত্যার পাপকে ধারণ করছেন শেষ পরিণাম হিসেবে।



গুজরাটে খোদ নরেন্দ্র মোদীর নিজ জেলাতেই হিন্দুদের একটি জনগোষ্ঠী রোগাক্রান্ত মরা গরুগুলি রাস্তা-ঘাটে যেথায় সেথায় ফেলে দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত নগরী তৈরি করে "গো জবাই নিষিদ্ধ রায়ের ঘোর প্রতিবাদে উচ্ছাসিত হচ্ছেন

গো মাংশ নিষিদ্ধ করাতে গরু তিজারত (ব্যবসা) বিলুপ্তপ্রায়, এর প্রতিফলন হিসেবে লক্ষাধিক গরু চিকিৎসাহীন অযত্নে রোগাক্রান্ত হয়ে গো মাতা এখন মৃত্যু কোলে। তাই অনেক চাষি মজুর খাদ্যপানীয় সরবরাহ করতে অক্ষম, বাঁধন কেটে, লাগাম ছাড়িয়ে যেতায় সেতায় ফেলে দিচ্ছে বেক্বদরী গরুকে।



ক্যারেলা প্রদেশিক সানাতন ধর্মাবলম্বীদের করুণ দশা, সেখানকার অনেক দারিদ্র পরিবারের মূলপেশাই ছিল গরু পালন এবং চামড়া শিল্প।
জিবিকা নির্বাহ হতো এসবের মাধ্যমে, কিন্তু ভাগ্যের চাকা ঘুরে তাদের শাসনভার ন্যাস্ত হয় মোদী সরকারের উপর।
কোরবানীর জন্য তারা গরু চড়া দামে বিক্রি করতে নাপেরে চামড়া শিল্পের খাতকে কবর দিতে হচ্ছে তাদের। সেই ক্ষোভে অনেক আন্দলন মিছিল মিটিং -এর মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে তারা। বটে সরকার রাজ্য সরকার সেদিকে নজর ফিরিয়ে থাকাতে নারাজ। অবশেষে নিরুপায় কৃষাণ মজুর তাদের গোহালে মৃত্য গরু রাস্তায় পঁচিয়ে দুর্বার প্রতিবাদ করছে।

২০১৫ শেষ নাগাদে প্রশাসনিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দেন :
১) যারা নিজ গোহাল থেকে মৃত্যু গরুকে নির্ধারিত স্থানে ফেলবে তাদের জন প্রতি ৫০০ রুপি বখশিশ।
২) যারা মাটিতে পুতে গেরে নিবে তাদেরকে ১০০০ রুপি বখশিশ
৩) যারা সরকারী গাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে দিবে তাদেরকে ২০০০ রুপি বখশিশ।

এতদ্বা সত্বেও ভারত সরকারে শুভবুদ্ধি উদয় হচ্ছেনা।

আর বাংলাদেশি মুসলিম আমাদের উচিৎ দেশীয় গরু মহিষ কোরবানী দেওয়া, কারণ ইন্ডিয়ান গরু রোগা, অসুস্থ যেগুলি বিষাক্ত ঔষধের মাধ্যমে মোটা তাজা করে আমাদের ঠকাচ্ছে।

পোস্টটি মনপছন্দ হলে শেয়ার করুন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: ছবি দেখে চোক্ষু চড়ক গাছ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

muftisiraji বলেছেন: যারা ভারত পরিচালনা করছে তারা তো এখন শুধু এক চোক্ষা দেখছে। নয় তো ব্যাপারটি সমাধান সহজেই হয়ে যেত।

সাম্প্রদায়িকতা রুখতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে!

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

মিঃ অলিম্পিক বলেছেন: অনেক কিছুই জানতে পারলুম.....

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০৩

muftisiraji বলেছেন: সানে এই সম্বন্ধিত আরও কিছু লিখার সংকল্প করেছি। সাথেই থাকুন

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: গরু কি খেতেই হবে?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২২

muftisiraji বলেছেন: হ্যাঁ ! গরু খেতে পারবেন, তাতে ইতিবাচক দিক রয়েছে। ১ম, যেহেতু জন্তুটি ১০০% হালাল এবং এর বিশদ বিবরণ কোরআনে উল্লেখ আছে।
২য় , এদের নামে কোরআনের প্রথম ছুরাটির নামকরণ করা হইয়াছে।

৩য়, অন্যন্য হালাল প্রাণীর তুলনায় গরু জন্মেও বেশি পরিমানে।
৪র্থ, কোরবানী যেহেতু ব্যাপক উৎসব অনুষ্ঠান সেখানে গরুর বিকল্প নেই।

স্রেফ গরুকে কোরবানী দিতে হবে এই ধারণাটি ভুল! অন্যান্য গবাদিপশু কোরবানী দেওয়ার বিধান সমানভাবে আছে।
এখানে প্রত্যহ অভিরুচি, এখতিয়ার দেওয়া আছে। এজন্য গো কোরবানী / গো মাংশ ভক্ষণ নিষিদ্ধ করার কোন যুক্তিকতা ও অধিকার নেই।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কোরবানী ছাড়া বাকী সময়টা আমরা গরু না খেলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকা লাগেনা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৬

muftisiraji বলেছেন: তা তো বটে!! উপমহাদেশে গোহালে গরু পালনের ব্যাপকতা রয়েছে। তাই গরু চাহিদা অনুযায়ী ভোজন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন মিঠাতে পারে।

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রকৃতির প্রতিশোধ!

স্বাভাবিকতাকে জোর করে ব্যহত করলে এমনই হয়...

তা নদীর জল হোক বা গরু

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৯

muftisiraji বলেছেন: আমি আপনার ভাবধারা বুঝতে পেরেছি। আরও খুলাখুলি বল্লে জিনসটা পাঠক সহজেই বুঝ তো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.