![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খরস্রোতা নদীতে এক টুকরো কচুরিপানার মত, উদ্দেশ্যহীন ভাবে স্রোতের টানে অবিরাম চলছি। হয়তো হুট করেই একদিন শেষ হবে এই একপেশে পথচলা।
বকশিবাজার থেকে গুলিস্তান যাবো।
সচরাচর রিক্সায় ৫০-৬০ টাকার কমে যেতে চায় না। অনেক সময় জোরাজুরি করে ৪০ টাকায় ও যাওয়া যায়। চিন্তা করলাম দেখি উবারে ভাড়া কত আসে।
৩৫% অফার ছিলো তখন। প্রমোকোড অ্যাড করে দেখি ভাড়া আসে ৪০ টাকা (যদি বাইকে যাই), হাস্যকর বিষয় এটাই যদি কারে যাই ভাড়া আসে ৩৭ টাকা। আমি তো মহা খুশি। ক্লিক করেই ফোন পেলাম আর বাসার সামনে বাইক হাজির।
চটপট করে উঠে পড়লাম আর মিনিট পাঁচেকের মধ্যে গন্তব্যে।
রিক্সায় আসলে অবশ্য একটু বেশি সময় লাগতো। একটা বিষয় চিন্তা করে দেখলাম একটা অ্যাপের সাহায্যে যাতায়াত কেমন সহজ হয়ে গেলো। প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার মান কত দ্রুত বদলে দিচ্ছে। ঝক্কিঝামেলা এড়াতে আমরা প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছি যার কারনে কিছু মানুষ তাদের উপার্জন ক্ষমতা হারাচ্ছে। এখন পাঠাও, উবার শুধু ঢাকাতেই আছে, একটা সময় এটা সারাদেশ ব্যাপী ছড়িয়ে যাবে, অধিক সুবিধার আশায় গ্রাহকের পরিমাণ তরতর করে বাড়বে।
এখনই অনেকে রিক্সা, সিএনজি নেই না।
একটা সময়ে এমন ও হতে পারে রিক্সাওয়ালারা চাতকপাখির মত দাঁড়িয়ে থাকবে যাত্রির জন্য। ড্রাইভাররা সিএনজির সাথে হেলান দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। কেউবা প্রফেশন বদলে নিবে।
একটা সময় হয়তো রিক্সা, সিএনজি নামে কিছুই থাকবে না এ যন্ত্রের শহর গুলোতে।
কখনো হয়তো পেছন থেকে ডাক শুনবো না, " মামা আর দশটা টাকা বাড়ায় দিয়েন"
কখনো রিক্সার টুংটাং শব্দে সকালের ঘুম ভাঙ্গবেনা।
কখনো কেউ বলবে না ঠিক আছে মামা মিটারে চলেন।
তখন আর কেউ ছেলের ঈদের পোশাক কেনার জন্য বাবা রিক্সা চালাতে ঢাকায় আসবে না।
বিদেশী মেম কখনো ঘামে ভিজে চুপচুপ হওয়া বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালার হাতে নতুন একশ টাকার নোট ধরিয়ে দেবেনা।
এগুলো তখন শুধু বইয়ের পাতায় গল্প হয়ে থাকবে কিন্তু প্রযুক্তি ঠিক ই কারো না কারো মুখের খাবার কেড়ে নিবে।
( নিছক কল্পনা)
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:০৮
মুহাইমিনুল ইসলাম - মঈন বলেছেন: ji...
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: লিখুন...