![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
-দোস্ত দেখ হিমেল কেমন জানি একা একা
থাকে।
মোবাইল থেকে নজরটা শরিয়ে মেঘনার কথায়
ধ্যান দিল রাফা।
-হুমম।
-কি হুমম।ও কারো সাথে কথা বলেনা কোন
মেয়ের সাথে মিশেনা ইভেন কোন ছেলের
সাথেও না।একা একা শুধু পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে
ইস্ট্রেঞ্জ।
-ওর কিছু একটা করা দরকার।
-কি করব?
-আই থিংক ওর একটা প্রেম করিয়ে দেয়া দরকার।
ও চেঞ্জ হয়ে যাবে।
-প্রেম আর ওর সাথে ইম্পসিবল!!ও কাওকে পাত্তা
দিবে না।আর কেও ওর সাথে প্রেম করবে না।
-আর যদি করে।
-কে করবে শুনি?
-আমি আর কে?
-হা হা।ও তোর দিকে ফিরেও তাকাবে না।
-ও আমার সাথে প্রেম করবে।তুই দেখবি?
-বাজি ধর।তুই পারবি না।
-আচ্ছা ডান।ও যদি আমার প্রেমে পড়ে তুই
আমাদের বন্ধুদের সবাইকে ট্রিট দিবি।
-ওকে ডান।কিন্তু আবির কি বলবে।তোদের
রিলেশনের প্রবলেম হবে তো?
-আরে কিচ্ছু হবেনা।আমি ওরে সব বুঝিয়ে দেব।
-আচ্ছা দেখা যাক কি হয়।
-দেখ কি করি।
.
বলে হিমেলের কাছে যায় রাফা।চিকন চোখে
চশমা পড়া ছেলেটা হলো হিমেল।আর ও সবসময়
একা থাকতে পছন্দ করে।তাই রাফা মেঘনার
সাথে বাজি ধরে হিমেলের সাথে প্রেম করবে।
শিড়িতে বসা হিমেলের কাছে ছুটে যায় রাফা।
.
-হিমেল আজকের এসাইনমেন্ট করতে আমাকে
হেল্প করবে প্লিজ?
.
রাফা হিমেলের পাশ ঘেসে বসে তাই হিমেল
একটু দূরে সরে চশমাটা ঠিক করে।
-আজকেরটা।আচ্ছা ঠিক।
.
বলে রাফার এসাইনমেন্ট করতে হেল্প করে
হিমেল।তাদের মাঝে হাসি ঠাট্টা চলে।হিমেল
পরে বাসায় চলে যায়।
পরেরদিন ক্যান্টিনে বসে পড়তে থাকে হিমেল।
এর মধ্যে রাফা আসে।
.
-থ্যাংক ইউ সো মাচ হিমেল।তুমি না থাকলে
মনে হয় আজকে স্যার মেরেই ফেলত।
কথাগুলা বলতে বলতে টেবিলে রাখা হিমেলের
হাতে হাত পরে যায় রাফার।ঘাবরে গিয়ে
ততক্ষনাক হাতটা সড়িয়ে নেয় হিমেল।
.
-কি হলো?
-না কিছুনা।
.
কথাটা শুনে অটঠাসিতে ফেটে পড়ে রাফা।
তারপর দুজন কথা বলতে থাকে।এক পর্যায়ে রাফা
বলে:
-তোমাকে চশমা ছাড়া অনেক সুন্দর লাগবে।আর
টি-শার্ট না পড়ে শার্ট পড়লে অনেক মানাবে।
.
কথাগুলা হিমেল সিরিয়েসলি নেয়।আর মনে মনে
খুশি হতে থাকে।কারন জিবনের প্রথম কোন মেয়ে
ওকে এই কথাগুলা বলেছে।
বাসায় গিয়ে হিমেল চশমা ছাড়া শার্ট পড়ে
আয়নার সামনে দাড়ায় আর মুচকি হাসি দিতে
থাকে।তারপর সারারাত রাফার ব্যাপারে
ভাবতে থাকে।কারন ওর মনে রাফার জন্য একটা
জায়গা তৈরি হয়।
.
পরেরদিন হিমেলকে চশমা ছাড়া আর শার্ট পড়া
দেখে ভার্সিটির সবাই চমকে যায়।আর ওদিকে
রাফা মেঘনাকে বলে:
-দেখেছিস কি পরিবর্তন এনেছি।দেখবি এখন
আমার কাছেই আসবে।
হিমেল রাফার কাছে গিয়ে দাড়ায়।রাফা
হিমেলের প্রশংসা করতে থাকে:
-এইত কি সুন্দর লাগছে।তোমাকে দেখে তো
যেকোন মেয়ে ক্রাশ খেয়ে যাবে।
হিমেল নরমসূরে বলে
-সত্যি যেকোন মেয়ে?
-আরে হ্যা।আমি কি মিথ্যা বলব নাকি।যাও এখন
ক্লাসে যাও আমাদের ওখানেই দেখা হবে।বায়।
.
হিমেল ক্লাসের দিকে এগিয়ে যায়।আর ওদিকে
মেঘনা রাফাকে বলে:
-মানতে হবে।তুই বাবা লা-জবাব।ছাগল দিয়েও
হাল চাষ করতে পারিস।
-এখন দেখবি কাল ও আমাকে প্রপোস করেছে।
-আচ্ছা দেখি।
.
পরেরদিন:
--------
মাঠে সবাইকে রাফা আগে থেকেই বলে
রেখেছিল।হিমেল পকেটে গোলাপ ফুলটা রেখে
দৌড়ে আসে রাফার দিকে।
-(হাপাতে হাপাতে)রাফা!!রাফা।আমি
তোমাকে কিছু বলতে চাই।
-হ্যা বলো।
তারপর হিমেল হাটু গেরে বসে রাফাকে প্রপোস
করে।
-আই লাভ ইউ রাফা।তুমি আমাকে অনেক বদলে
দিয়েছ।ওয়িল ইউ ম্যারি মি।
.
কথাটা শুনে আনন্দে লাফ দিয়ে উঠে রাফা।আর
চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে:
-হে গায়েস আই ডু ইট।
বলে দৌড়ে গিয়ে মেঘনার হাতের সাথে হাত
মিলায় রাফা।হিমেল বোকার মতো দাড়িয়ে
দাড়িয়ে দেখছিল।তারপর রাফা গিয়ে সব খুলে
বলে হিমেলকে।
রাফা চলে যাওয়ার সময় হিমেল পিছ থেকে
হাতটা ধরে।
.
-দাড়াও।তুমি এইভাবে চলে যেতে পারো না।
রাফার হাসি মুখ বন্ধ হয়ে যায়।আর হাতটা
ছাড়ানোর চেষ্টা করে।
-হাত ছাড়ো হিমেল।সবাই দেখছে।
-দেখতে দাও।তুমি কেন এমন করলে বলে যাও।
-হাত ছাড়তে বলেছি ছাড়ো।
-ছাড়বো না।
হাত না ছাড়াতে বাম হাত দিয়ে একটা থাপ্পড়
দেয় রাফা।আর সবার সামনে বলে উঠে:
-কি মনে কর তুমি নিজেকে?আমার সাথে প্রেম
করার মতো কি যোগ্যতা আছে তোমার।হেসে ২
টা কথা কি বলেছি তুমি মনে করেছ আমি
তোমার প্রেমে পড়েছি।তোমার মতো ফাউল
ছেলেকে আমি আমার জুতা মুছার জন্যও রাখি
না।
.
কথাগুলা বলে চলে যায় রাফা।ওদিকে গালে হাত
দিয়ে চলে যায় হিমেল।
.
পরেরদিন:
--------
হিমেলের বন্ধু রনি এসে রাফাকে একটা চিঠি
দেয়।তারপর কাদতে কাদতে চলে যায়।চিঠিটা
খুলে পড়তে থাকে রাফা:
.
আসলে ঠিকই বলেছ আমার কোন যোগ্যতা ছিল
না তোমার সাথে প্রেম করার।তুমি হয়তোবা
বাজি ধরে কাজটা করেছ কিন্তু আমার ভালবাসা
তো সত্য ছিল।তোমাকে ঘৃনা করতে আমি
পারবোনা।কারন তোমাকে জুড়ে আমার মনে শুধু
ভালবাসা আছে ঘৃনার কোন জায়গা নেই।তাই
চলে যাচ্ছি বহুদূর।যেখানে তোমাকে ঘৃনা করতে
হবেনা আমাকে।সুখে থেক ভাল থেক।
.
চিঠিটা পড়ে কাদতে লাগল রাফা।আর
নিজেকেই নিজে বলতে লাগল:
-কি ভুল করলাম।যার প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগও
পেলাম না।
.
লেখক- Muhammad Arju (পথহীন মুসাফির)
©somewhere in net ltd.