![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
রিটায়ার্ডের পরের দিনগুলি খুব ভাল কাটছিল রকিব সাহেবের।প্রতিদিন ফজরের সময় উঠে নামাজটা পরে তার স্ত্রীর সাথে মর্নিং ওয়াল্ক এ বের হতো তারপর বাসায় এসে নাস্তা করে ঘুরে ফিরে দিনটা কাটাত।
কিছুদিন পরের ঘটনা।রকিব সাহেবের ছেলে সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য গোসল করছে।এর মধ্যে রেহানা বেগম ওর রুমে যায়।
.
-রবিন!!
-(বাথরুম থেকে) হ্যা মা।
-কতক্ষণ লাগবে।সাড়ে আটটা তো বেজে গেল অফিসের জন্য লেট হয়ে যাবে।জলদি কর।
-হ্যা মা হয়ে গেছে।তুমি টেবিলে নাস্তা দাও।
-দিচ্ছি জলদি বের হ।
.
বলে রুম থেকে যাওয়ার জন্য পিছে ফিরলেন রেহানা বেগম।কিন্তু তার চোখ পড়ল বিছানায় পরে থাকা ল্যাপটপটার উপর।ল্যাপটপের স্ক্রিনে একটা সুন্দর মেয়ের ছবি দেয়া যা দেখে আস্তে আস্তে রেহানা বেগম ল্যাপটপের দিকে যায়।তারপর বসে ছবিটাকে তাক করে দেখতে থাকে।ফোল্ডারে থাকা সবগুলি ছবি আস্তে আস্তে রেহানা বেগম দেখতে থাকে।
এর মধ্যে রবিন বাথরুম থেকে মাথা মুছতে মুছতে বের হয়।ওর মার হাতে ল্যাপটপ দেখে তারাতারি করে তার হাত থেকে ল্যাপটপটা নিয়ে নেয়।রেহানা বেগম দাড়িয়ে যায়।
.
-কিরে মেয়েটা কে?
-কেওনা মা।
-আমি চশমা পরি ঠিকই কিন্তু কানা না।এখন বল কে?
-অফিসের কলিগ মা।একসাথে কাজ করি।
-আবার মিথ্যা বলছিস।কলিগ হলে এমন করে ছিনিয়ে নিতি না।আমার দিকে তাকিয়ে বলতো?
হেসে দিয়ে রেহানা বেগমের কাধে মুখটা লুকিয়ে নেয় রবিন।
মাথায় হাত বুলাতে থাকে রেহানা বেগম।
-আমাকে বললেই তো পারতি।শুধু শুধু মিথ্যা বলতে গেলি কেন।আমি কি তোর পছন্দকে ফেলে দিতাম।
-না মা।
-তাহলে শুভ কাজটা কবে করবি?
-করব মা।একদিন সময় করে ওর বাবা-মার সাথে তোমাকে আর বাবাকে কথা বলিয়ে দিবো।
.
রেহানা বেগম হেসে দেয়।তারপর রবিন যাওয়ার পর রেহানা বেগম বিষয়টা রকিব সাহেবকে জানায়।রকিব সাহেব অনেক খুশি হয়।
.
-ভালই হলো।আরেকটা কাজ থেকে মুক্তি পাব।ছেলেটার বিয়ে হলে কিছুদিন পর নাতি-নাতিন নিয়ে শুধু আরামের দিন গুনব।
-তুমি যে কি না।এখনো বিয়েই হয় নাই আর কত সপ্ন দেখা শুরু হয়েছে।
-হয় নি হবে।তারাতারি বিয়েটা দিতে হবে।কারন শুভ কাজে দেরি করতে নেই।
-হ্যা ঠিক বলেছ।
.
[বিঃদ্র:গল্পের পরের পর্ব ইনশাল্লাহ পরের সোমবার দেয়া হবে।আর যারা ১ম পর্ব পড়েন নি তারা পড়ে নিন: Click This Link
©somewhere in net ltd.