নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময়ের পালা (পর্ব-৩)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

এক শুক্রবারে রবিন রকিব সাহেব আর রেহানা বেগমকে নিয়ে রিমাদের বাসায় যায়।রিমার মা আগেই মারা গেছে ও ওর বাবার সাথে থাকে।বাসা থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে পৌছে যায় তারা।গিয়ে কলিং বেলটা টিপ দেয় রবিন।রিমার বাবা এসে দরজাটা খুলে।রকিব সাহেব সালাম দেয়:
.
-আস সালামুয়ালাইকুম।
-ওলাইকুম সালাম ভাই।আসুন ঘরে আসুন।
.
রবিনরা সবাই ঘরে যায়।রবিন দেখে ঘরের মেঝের সোফাগুলার সামনে দাড়িয়ে রয়েছে রিমা।দুজন দুজনকে দেখে মুচকি হাসে।
.
-বসুন ভাই।কি খাবেন কফি ঠান্ডা নাকি চা?
-চা হলেই ভাল হয়।
-রিমা মা যাও গিয়ে চা বানিয়ে আনো।
-না না ও কষ্ট করবে কেনো।আমি বানিয়ে আনি।(রবিনের মা)
-না আন্টি আমি পারবো।
বলে কিচেনের দিকে যায় রিমা।আর এদিকে কথা বলতে থাকে তারা।
-তো ভাই-ভাবি কেমন আছেন?
-এইত আল্লাহর রহমতে ভালই আছি।
-রবিন কেমন আছো?
-জি আঙ্কেল ভাল আছি।
-ভাই সবই তো শুনেছেন বোধহয়।
-হ্যা ভাই।
-আপনার ছেলে স্মার্ট ভাল চাকরি করে।আশা করি মেয়েটাকে ভাল রাখবে।
-ওরা নিজেদের মধ্যে মানিয়ে নিলেই চলে।
-হ্যা ঠিক বলেছেন।
এর মধ্যে রিমা চা নিয়ে আসে।
-মেয়েটা আমার মা হারা।ছোট বেলা থেকে রানীর মতো পেলে বড় করেছি।
-হ্যা আপনি মা এবং বাবা ২ টোরই কর্তব্য পালন করেছেন।
রিমা আর রবিন একজন আরেকজনের দিকে চেয়ে মুচকি হাসছিল।
-আমার মনে হয় না আপনাদের কাছে আমার মেয়ের কোন রকম কষ্ট হবে।
-আরে ভাই চিন্তা করবেন না।আপনার মেয়েকে আমরা নিজের মেয়ের মতো রাখব।
-হ্যা আপনাদের উপর পুরো বিশ্বাস আছে।
-তাহলে শুভ কাজে দেরি কেন?ডেটটা ফিক্স করে ফেলুন।
.
ক্যালেন্ডার দেখে মামুন সাহেব পরের মাসের ৩ তারিখ বলে দেয়।তাতে রকিব সাহেবও সম্মতি দেয়।তারপর মিষ্টমুখ করে ওইখান থেকে বিদায় নেয় তারা।
.
৩ তারিখ:
--------
যথারিতী সময়ে রবিন আর রিমার বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়।মালাবদল সহ সব অনুষ্ঠান অনেক সুন্দরভাবে সম্পর্ন হয়।তারপর মামুন সাহেব তার মেয়েকে রকিব সাহেবদের হাতে তুলে দেয়।
.
-(কাদতে কাদতে)ভাই মেয়েটা আমার খুব আদুরী।আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি ওর খেয়াল রেখেন।
-আপনি এই ব্যাপারে কোন টেনশন নিয়েন না।ওকে আমার মেয়ের মতন রাখব।
.
রিমাও ওর বাবাকে ধরে কাঁদতে থাকে।মামুন সাহেব মেয়েকে সান্তনা দিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে দেয়।তারপর গাড়ি রওনা হয় রকিব সাহেবের বাসার উদ্দ্যেশে।২০ মিনিটের মধ্যে গাড়ি বাড়িতে পৌছে যায়।আর রকিব সাহেব ও তার আত্নিয়রা রিমাকে নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে গ্রহন করে নেয়।
.
[বিঃদ্রঃ পরের পর্ব ইনশাল্লাহ শুক্রবার দেয়া হবে।]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.