![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
.
মেঝ ঘরের রুমে শুয়ে হুমায়ন আহমেদের "গৌরিপুর জংশন" উপন্যাসটা পড়ছিল কেয়া।হটাৎ কারেন্ট
টা চলে গেল।আর ডাক পারা শুরু হয়ে গেল ওর:
-আম্মু!আম্মু।
-কি হয়েছে?চেঁচাচ্ছিস কেন?
-আই.পি.এস টা অন করো তো।
-আই.পি.এস এ চার্জ নেই।তুই মোম জালিয়ে নে।
-মোম কোথায়?
-বারান্দায় আছে।
-ও আচ্ছা।
.
খাট থেকে নেমে বারান্দায় গেল কেয়া।গিয়ে টেবিল থেকে মোমটা জালিয়ে নিল।আর তারপর ওমনিতেই চিৎকার শুরু করল:
.
-আ আ আ।
চিৎকার শুনে টর্চটা নিয়ে দৌড়ে আসল কেয়ার মা।এসে দেখল কেয়া মেঝেতে পড়ে রয়েছে
কেয়া আর মোমটাও নিভানো।নিচে বসে কেয়ার মাথায় হাত দিয়ে বলল:
.
-কিরে মা চেঁচালি কেন?কি হয়েছে?
-(কাপা কন্ঠে)আম্মু আম্মু।
-কি হয়েছে বল?
-আম্মু আমি মাত্র শুভ কে দেখলাম।
-কি বাজে বকছিস।শুভ আসবে কোথা থেকে।ও তো আরো ৩ মাস আগেই মারা গেছে।
-(কান্নাজরিত কন্ঠে)না আম্মু বিশ্বাস কর আমি ওকে দেখেছি।
-না মা তুই হয়ত ভয় পেয়ে গিয়েছিস।আয় উঠে
আমার রুমে আয়।
.
কেয়াকে ওর মা তুলে নিয়ে গেল।তার রুমে নিয়ে তার কোলে শুয়িয়ে দিল কেয়াকে।কেয়ার বাবা বাড়িতে আসলে সব খুলে বলে ওর মা।পরে তাদের সাথেই ঘুমাতে যায় কেয়া।
.
কিন্তু সারারাত ভয়ে ঘুমের কোন নাম নেই।শুধু মনে করছিল মোমবাতিটা জালিয়েই ও শুভর মুখ দেখেছে।কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব কারন ৩ মাস আগেই তো ও আর শান্ত মিলে শুভ কে পাহাড়
থেকে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলে।তাহলে কি ওর ভুত ওকে ভয় দেখাল।এগুলা ভাবতে লাগল কেয়া।
.
পরেরদিন শান্তর সাথে কলেজে দেখা করে সব
খুলে বলল কেয়া:
-আরে এটা ইম্পসিবল।কারন তুমি আর আমিই তো ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলাম।এত উচু থেকে বাচবে কিভাবে?
-তাইতো।তাহলে কি ওর ভুত এই কাজটা করল।
-ফাইজলামি করছো।ভুত টুত বলতে কিছুই নেই। রাখো ওইটা তোমার দেখার ভুল ছিল।
-হুমম আমিও এইটাই ভাবছি।
-আচ্ছা তাহলে যাই।
-আচ্ছা।
বলে দুজন দুদিকে চলে গেল।
প্রায় রাত ১১ টার দিকে কেয়ার মোবাইলে ফোন
দেয় শান্ত।ফোনটা রিসিভ করে কেয়া বলল:
-হ্যালো জান।
-(কম্পিত কন্ঠে)জান টান রাখো।তুমি জলদি করে আমার বাসায় আসো।
-কি বলছ।এত রাতে।কিভাবে সম্ভব?
-আমি এত কিছু জানি না আসতে বলছি আসো।
-না পারবো না।
-তাহলে আমাকে আর কোনদিন ফোন দিবা না। তোমার সাথে আমার ব্রেক-আপ।
-এই কি বলছ।রাখো আমি আসছি।
-রাইট নাও।
-ওকে।
.
ফোনটা রেখে শান্তর বাড়িতে যাওয়ার জন্য নিচে নামল কেয়া।নিচে নেমে দেখে রাস্তায়
একটা কুকুরও নেই।এর উপর আবার বৃস্টি পরছে কিভাবে যাবে তাই ভাবছে।একটু পর একটা অটো আসল।
.
-এই ভাই যাবেন?
-কোথায়?
-এমুক জায়গায়।
-হুমম।চলেন।
অটোতে উঠে যেতে লাগল কেয়া।কিছুক্ষনেই শান্তর বাড়িতে পৌছে গেল।ভাড়াটা দিয়ে
উপরে গেল কেয়া।বৃস্টির কারনে হালকা ভিজে গেছে কেয়া।তাই চুল ঝাড়তে ঝাড়তে কলিং বেলটা চাপল।
.
২ বার চাপার পর কেও একজন গেটটা খুলল।কিন্তু ঘরে অনেক অন্ধকার তাই কিছু দেখা যাচ্ছে না। ঘরে ঢুকে শান্তকে ডাকতে লাগল কেয়া:
-শান্ত!এই শান্ত!কি লুকোচুরি খেলছ নাকি?বের
হও।
.
হঠাৎ গেটটা লেগে গেল।অনেক ভয় পেয়ে গেল কেয়া।তারপর মনে করল শান্তই।তাই বলল:
.
-হুমম।হাইড এন সিক।সিলি বয়।বাইরে আসো।
.
বলতে বলতে পিছে গেল কেয়া আর ওমনিতেই কিছু একটার সাথে পা লেগে পড়ে গেল কেয়া।
দেখতে মোবাইলটা বের করল কিন্তু বিদুৎতের ঝলকানিতে মুখটা দেখে আর কিছু বুঝতে বাকি রইল না যে এটা শান্ত।
.
সোফায় মাথাটা গুজে বসে রয়েছে।তাই ফ্লাশ টা অন করে দেখল শান্তর সারা শরির রক্তে
ভেজা।আস্তে আস্তে পিছ যেতে থাকল।কিন্তু কিছু একটার সাথে বাড়ি খেল।আর পিছে
তাকাতে তাকাতেই কেও একজন মুখটা চেপে ধরে গলাটা ছুড়ি দিয়ে কেটে দিল।
আর দুজনের দেহ ওদিকে নিথর হয় পড়ে রইল।আর কারো অট্টঠাসির আওয়াজ ভেসে উঠল।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৯
মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: ধন্যবাদ। @প্রামাণিক
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
প্রামানিক বলেছেন: ভয়ঙ্কর ঘটনা।