নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেহ আমি চাই না

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

-বাবু রুমডেট করতে সমস্যা টা কোথায়?
-না আমি পারব না।
-কিন্তু কেনো?
-দেখ হিমেল বিয়ের আগে এইসব অবৈধ।
-আমরা তো বিয়ে করবই।তো সমস্যা কোথায়?
-এইটাই তো কথা বিয়ে তো করবোই তা না হয় বিয়ের পরেই।
-(হিমেল ভাবনার হাতটা ধরে) আচ্ছা তুমি কি আমাকে ভালবাসনা?
-হুমম।অনেক।
-আমাকে বিশ্বাস কর না।
-(মুখটা ফিরিয়ে) হুমম।
-তাহলে এমন করছ কেন?
-তুমি বুঝতে পারছ না কেন বিয়ের আগে এইসব ঠিক না।
-ওকে ফাইন তুমি থাক তোমার বিয়ে নিয়ে।
আমাকে ভুলেও আর কোনদিন ফোন দিবে না।তোমার সাথে ব্রেক-আপ।
.
কথাটা বলে চলে যাচ্ছিল হিমেল এমন অবস্থায় এক ধাপে হিমেলের হাতটা আকড়ে ধরে ভাবনা।হিমেল পিছে ফিরে তাকায়।ভাবনা মাথা নিচু করে ফেলে।
হিমেল অবস্থা বুঝতে পেরে একটা হাসি দেয় আর
বলে:
.
-তুমি কি সত্যিই রাজি?
ভাবনা মাথাটা আরো নিচু করে।তাই ভাবনার কথা বুঝতে পেরে হিমেল ভাবনাকে জড়িয়ে ধরে আর পিছনে দূরে দাড়িয়ে থাকা বন্ধুদের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে ডান।
.
বন্ধুরা ভংগিমার মাধ্যমে হিমেলের প্রশংসা করতে থাকে।তারপর ভাবনাকে পাঠিয়ে বন্ধুদের দিকে ছুটে যায় হিমেল।সবাই পিঠ চাপড়িয়ে হিমেলের প্রশংসা করতে থাকে।
-মানতে হবে বস তুই একখান চিজ ই।
হিমেল হাসি দেয়।তারপর বলে
-২১ নাম্বারটাও হালাল হয়ে গেল।
সব বন্ধুরা হাসিতে ফেটে পরে।
.
ওইদিকে ভাবনা বাসায় গিয়ে ভাবে কাজটা করা তো ঠিক হবে না।কিন্তু ও হিমেলকে যে অনেক বেশি ভালবাসে।কি করা যায় ভাবতে থাকল।
.
পরেরদিন আর কলেজে যায় নি ভাবনা।এই দেখে হিমেল ভাবনাকে ফোন দেয় ভাবনা ফোন ও ধরে না।রাত ৯ টার দিকে হিমেলের মোবাইলে ফোন আসে।ততক্ষনাক ফোনটা ধরে
-কি ব্যাপার সারাদিন ফোন দিলাম ধরলে না কেনো?
-এমনিতেই।
-এমনিতেই কেও ফোন না ধরে নাকি?
কথাটার উত্তর দিল না ভাবনা।তারপর হঠাৎ বলে
উঠল
-তুমি কি আমার বাসায় আসতে পারবে?
-তোমার বাসায় কেন?
-বাসা খালি তো তাই।
কথাটা শুনে হিমেলের লোভি মন জেগে গেল।
-আচ্ছা কখন?
-এখনি আসো।
-আচ্ছা আসছি।
.
ফোনটা রেখে হিমেলের মুখ দুষ্ট হাসিতে ভরে উঠল।তারাতারি বাসা থেকে বের হলো ভাবনার বাসার উদ্দেশ্যে। ১০ মিনিটের ভিতর ভাবনার বাসায় পৌছে গেল। দরজা নক করে বাগানের দিকে চাইল হিমেল। দেখল ভাবনা দোলনায় বসে দোলছে।ওইদিকে
যেতে লাগল হিমেল।গিয়ে ভাবনাকে বলল:
.
-কি ব্যাপার এইখানে এইভাবে চুল এলোমেলো করে বসে রয়েছ কেনো?
পা দিয়ে দোলনি থামাল ভাবনা।তারপর হিমেলের দিকে চেয়ে হাসি দিল।হিমেল বিব্রত বোধ করল।
-চল ভিতরে চল?
-তুমি আমার দেহটা নিয়ে যেও।তারপর যা মন চায় করো।
-(চোখ বড় করে)মানে কি?
-হিমেল তুমি কি মনে করেছ আমি তোমার ব্যাপারে কিছু জানি না।তোমার আর ২০ টা গার্লফ্রেন্ড এর সাথে এই একই কাজ করেছ আমি কি তা জানি না।
-(ঘাবড়িয়ে গিয়ে)আরে না।
হাতটা উপরে উঠিয়ে ভাবনা বলল
-আর বলতে হবে না।তুমি কি জানো হিমেল আমি তোমাকে কতটা ভালবেসেছি।আর তুমি শুধু আমার দেহটাকে।আমি তো আমার ভালবাসাকে তোমার ভিতরের লোভির কাছে জিন্দা থাকতে
বিক্রি করতে পারি না।তাই একটু পর আমার নিথর দেহটাকে নিয়ে যা মন চায় করো।
-মানে কি এইসবের?
ভাবনা হাসি দিয়ে ডান হাতের মোঠটা খোলে।হিমেল দেখতে পায় ভাবনার হাতে বিষের বোতল।আর ঘাবড়িয়ে যায়।
-এটা কি?
.
মুচকি হাসি দোলনা থেকে নিচে পরে যায় ভাবনা।তারপর মুখ দিয়ে অনবরত ফেনা বের হতে থাকে।হিমেল সম্পূর্ন ঘাবড়িয়ে যায়।কাতরাতে কাতরাতে হিমেলের চোখের সামনেই দম ফেলে
দেয় ভাবনা।
.
হিমেলের শরিরে কাপুনি ধরে যায়।তারপর নিচে বসে ভাবনার গালে আস্তে আস্তে থাপড়িয়ে ডাক দিতে থাকে।ডাকে সাড়া না দেওয়ায়
বুঝতে পারে ভাবনা মারা গেছে।
.
হিমেল কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দৌড় দেয়। গেট থেকে বের হয়ে ডান দিকে জোড়ে দৌড়াতে থাকে।আর ভাবতে থাকে এটা কি করলাম।একটা নিষ্পাপের জিবন কেড়ে নিলাম।
.
দৌড়চ্ছে আর মাথার চুলগুলায় হাত দিয়ে এদিক ওদিক চাইছে।অনেক ঘাম বের হচ্ছিল তাই ঘাম মুছতে মুছতে ল্যাম পোস্টের দিকে চাইল।দেখতে পারল সুমি দাড়িয়ে রয়েছে।কিন্তু সুমিও
হিমেলের কারনে ২ বছর আগে মারা গিয়েছিল। দৃশ্যটা দেখে হিমেল ল্যাম্পপোস্ট থেকে একটু দূরে গিয়ে দাড়ায়।
.
সুমি বলতে থাকে:
-নাও হিমেল আমার দেহটাও নাও।
কথাটা শুনে হিমেল ভয়ে চিৎকার করে বলতে
থাকে:
-না দেহ আমি চাই না।দেহ আমি চাই না।
বলতে বলতে অচেতন হয়ে রাস্তায় পরে রইল
হিমেল।
.
(কাল্পনিক)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাবনার পরিণতি টা গতানুগতিক দেখানো হয়েছে , ভাবনাদের ঘুরে দাঁড়ানোটা দেখাতে হবে । ভাবনাদের সাহসী করতে হবে ।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৮

মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। :-) :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.