নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাড়িওয়ালার দাড়ি-২

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

আজকালের সবচেয়ে কমন বিষয়গুলার একটা হচ্চে মুসলিমরা টেরোরিস্ট।কিন্তু এটা আমরা মুসলিমরা মানি না।হ্যা সত্যই আমরা মুসলিমরা টেরোরিস্ট।ইহুদি নাসারা আর আমাদের মধ্যে
কেবল ৩টি জিনিসই পার্থক্য করে।আর তা হলো টুপি,পাঞ্জাবি আর দাড়ি।
.
এখন প্রায়ই দেখা যায় অমুসলিমরাও পাঞ্জাবি তাদের নিজ নিজ ওকেশনে পড়ে।তাই এটা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।টুপি নিয়েও তাদের এত বলা কওয়া নেই।কিন্তু তাদের সব আক্ষেপ হলো দাড়ি নিয়ে।
.
দাড়িওয়ালা যত মানুষ দেখবে ততজনই হয়ত ওসামা বিন লাদেন নয়ত জে.এম.বি হিসেবে আখ্যায়িত হবে।কারন তারা নাকি মানুষের
ক্ষতি করে গেছে।এখন কথা হলো আসলেই যারা দাড়ি রাখে তারা টেরোরিস্ট।কারন মানুষটার মুখে যতটা দাড়ি থাকে তাদের এক একটা দাড়ালো অস্ত্রের সমান।যা দ্বারা ইহুদি নাসারা অমুসলিম আর বিনা দাড়ি ওয়ালাদের কলিজার ভিতর আঘাত করে।তাদের মনে ভয় জাগায় যে তারা নবির সুন্নত রেখে জান্নাতের টিকিট পেয়ে যাচ্ছে।আর তারা দাড়ি না রেখে যা পারছে না।
.
ও ভাই আপনি আপনাকে জিজ্ঞাস করছি যার কথা শুনে দাড়িগুলা রাখলেন না।বা সুন্দর হতে চাইলেন সে কি আপনাকে পারবে শেষ সময়ে পাড় করাতে।জিবনেও না।আপনি পারবেন দাড়িগুলা ফেলে দিয়ে এত্তগুলা মেয়ে বা মানুষ পাগল করতে কিন্তু পারবেন না মদিনার নবিকে পাগল করতে।আর এটা যদি না পারেন তাহলে
আপনি কিছুই পারলেন না।কারন শেষ সময়ে উনিই পাড় করাবে আপনাকে রাস্তা।আর যদি তার সুন্নতই না থাকে তাহলে সে কিভাবে বুঝবে আপনি তার উম্মত ছিলেন।আর যদি সে একবার
বলে দেয় "সরে যাও।আমি তোমাকে চিনি না। তাহলে কি ওই মানুষটির কাছে যাবেন যার দাড়ি ফালিয়েছিলেন।তিনি কি পারবেন
আপনাকে পাড় করাতে?যদি এটা মনে করেন তাহলে যা ইচ্ছা করেন।
.
আর দাড়িগুলা ফালিয়ে আপনি আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করছেন।আপনি বার বার ফেলে দিচ্ছেন আর আল্লাহ বার বার আপনার মুখে এটা দিয়ে দিচ্ছে। কারন আল্লাহ আপনাকে দাড়ির সাথে সুন্দর দেখতে চান।আল্লাহ কি পারতেন না আপনার জন্মের সময়ই মুখে দাড়ি দিতে।দেন নি কারন আপনার যৌবন বয়সে আপনাকে দাড়ির সাথে
সুন্দর দেখা যায়।আর আপনি ফালিয়ে আল্লাহকে চেলেঞ্জ করছেন যে আপনার মুখে দাড়ি মানায় না।আপনি ক্লিন সেভ করে মেয়েদের সুরত ধারন করছেন।।মেয়েরা আপনার দাড়ি না দেখে যতই
সুন্দর বলুক বা প্রশংসা করুক তা দিয়ে আল্লাহর কিছু যায় আসে না।
.
আল্লাহ মানুষের ভোট নিয়ে কাজ করে না।যে এতজন লোক দাড়ি ছাড়া লোকটিকে ভাল বলেছে এই জন্য ওনার গুনাহ মাফ।এই ধারনা নিয়ে বসে থাকবেন না।কারন এতে নিহাতই আপনি ধ্বংসের
দিকে যাবেন।আর আল্লাহ যাকে ধাবিয়ে দিতে চায় তাকে কেও উঠাতে পারে না।
.
কথাগুলা আমার এক বন্ধুর জন্য লিখলাম।কারন বয়স মাত্র ১৭।আল্লাহর রহমতে মুখে অনেক দাড়ি হয়ে গেছে আর যা দেখে নামধারী মুসলিম বা দাড়িছাড়া নারীরা উপহাস করে "কিরে এতটুকু
বয়সে বুড়ো হয়ে গেলি,দাদার মতো দেখা যায়,দাড়িগুলা কেটে আয় সুন্দর দেখা যাবে।
ছেলেটির সোজাসাপ্টা উত্তরঃ হুমম ভাই বুড়া হয়েছি।নিজের কাছে ভাল লাগে তাই রেখে দিয়েছি।আর বাকি সবাইকে এড়িয়ে যায়।
দাড়িগুলা ওর জান আর মান হয়ে গেছে।তাই অনেক সময় বলেঃ যার যার বুঝ,দাড়ি কেটে রাখে মুছ।
.
এখন কথা হলো আমরা আসলেই টেরোরিস্ট।দাড়ি
রাখা যদি খারাপ কাজ হয় তাহলে এই কাজ আমি
সারাজিবনের জন্য করছি আর এতে গর্ব করি।
দাড়ি ওয়ালারা যদি টেরোরিস্ট হয় তাহলে
মহানবী (সঃ) ছিলেন টেরোরিস্ট এর রাজা।আর
আমি উনার মতো একজন মহৎ ব্যক্তির দলে যোগ
দিতে পেরে আসলেই গর্ববোধ করি।আর আমি
নিমিষেই বলতে পারি
.
#proud2beAmuslim
#proud2beAterrorist

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.