![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
কি লিখমু আর তনু রে নিয়া?কিছু লিখলেই তো
তনুর ভাই-বাবা-মা-বোন রা চিল্লা চিল্লি শুরু
করব।কারন আমার এইখানে উল্টা যুক্তি আছে।
.
তনু যেদিন ধর্ষিত হইল ওইদিন আরো ২ টা ধর্ষন
হইসে যার মধ্যে একটা ক্লাস ফোরে পড়া একটা
শিক্ষার্থীও আসে।এখন কথা হইল আপনি শুধু তনুর
জন্য আন্দোলন কইরা কি তাদের প্রতি অবিচার
করছেন না?কিছুদিন আগেও শুনলাম ধর্ষনের জন্য
আত্নহত্যা করেছে এক নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
এই মেয়েটা কি দোষ করেছিল যে ওর জন্য
আন্দোলন করলেন না।নাকি ধর্ষনের পর ওই
মেয়েটার মা হাসছিল যে "যাক নিজের উপর
বোঝাটা কমল" এই বলে।না যেমন তনুর মা
অঝোরে কাঁদছিল তেমনি ওই মেয়েটার মা আর
হাজারো ধর্ষিতার মা কাঁদছিল।আপনি তনুর মার
কান্না দেখে নিজেও কেদে দিয়েছেন।নিজেকে
ভাই-বাবা-মা-বোন বানিয়ে নিয়েছেন।ওই
মেয়েগুলার মায়ের কান্নাটা একটু অনুভব করুন।
.
আপনি তনুর জায়গায় নিজের বোনকে ভাবছেন
মেয়েকে ভাবছেন।তাহলে ওই মেয়েদের বেলা
কেন নিজের মেয়ে ভেবে আন্দোলন করেন নি।
এটা কি তাদের প্রতি অবিচার না।এক বড়
ভাইয়ের স্ট্যাটাস পড়েছিলাম যাতে লিখা
ছিলঃআল্লাহ জীবে দয়া করতে বলেছেন।তাহলে
কেন আপনি মশার উপর দয়া করেন না।আপনার সব
দয়া কেনো ওই সুন্দর হরিণির জন্য জাগে?
.
ঠিক এমটাই এই ঘটনায় দেখছি আপনার সব দয়া
তনুর মতো বোনদের জন্য।কিন্তু ওই মেয়েদের জন্য
আপনার দয়া জাগে নি।আরে দয়া তো দূরের কথা
মন থেকে আফসোসের "আহা" শব্দটিও বের হয় নি।
তখন আপনার অনুভুতিটা ছিল যেমন এটা একটা
প্রতিনিয়ত ব্যাপার হতেই পারে এমন অবস্থা।আর
আজ আপনার বিবেক জাগ্রত হয়েছে।ভাল কথা এই
বিবেক যাতে আবার বোথা না হয়ে যায়
"ফেলানির মতো "মশা" জীবদের প্রতি।
.
সহানুভূতি যখন দেখাবেন তখন সবার ক্ষেত্রেই
দেখান।একজনকে করবেন আরেকজনকে না এমন
অবস্থা করে তাদের প্রতি অবিচার করবেন না।
তনুর জন্য বহু লোক দাড়িয়ে গেছে আন্দোলন
করতে।কিন্তু সত্য হলো যাদের সাথে আপনার
দাঁড়ানোর কথা তাদের প্রতি আপনার অনীহা
জাগে।এখন তা ধর্ম হোক কর্ম হোক আর তার বংশ
হোক তার প্রতি সহানুভূতি দেখাতে কেও আসে
না।আর ভবিষ্যৎ এ বোধহয় আসবেও না।আল্লাহই
ভালো জানে।
আর হ্যা তনুর বিষয়টা দিয়ে মেয়েরা একটা
জিনিস এখন বুক ৪ ইঞ্চি উচু করে বলতে শুরু করেছে
"ধর্ষনের জন্য পোশাক দায়ি না।মাইন্ড ঠিক
করলেই সব হয়"।মাইন্ড ঠিক করার ব্যাপারটা সত্য
কিন্তু বাস্তবতা কঠিন।আমার মাইন্ডটা আমি
কিভাবে ঠিক করব যেমন ধরুন আপনি "সেন্টু
গেঞ্জির" মতো জামা পড়ে রয়েছেন আমার
মাইন্ড ঠিক এমন ভাবে করতে হবে যে আমার
ভাবতে হবে "আহারে মেয়েটার জামা বানাতে
কাপড়ের কমতি পড়েছে।থাক তার জন্য অনুশোচনা
করি।
.
আবার এইভাবে করতে হবে যে তার বুকের ওড়না
নেই আমার ভেবে নিতে হবে তা আল্লাহর কত
সুন্দর একটা নেয়ামতের অংশ যাক মাশা আল্লাহ
বলি।তাইনা।এইটাই তো দেখা যাচ্ছে
পরিস্থিতি।আপনাদের কথায় তো এইটাই বোঝা
যাচ্ছে।একটা গল্প বলিঃ এক হুজুর এক লোকের
সাথে কথা বলছিল তো বাড়ির একজন লোক
বেড়িয়ে এসে বললঃ
হুজুর একটু চোখটা নিচু করেন আমার বউ বাইরে
যাবে।
তো জমানাটা এমন চলছে যে মেয়েরা বড়দের
সম্মান করে পর্দা করবে তো দূরের কথা বড়রা এখন
মেয়েদের দেখলে পর্দা করতে হয়।
.
যাক পর্দার ব্যাপারে না যাই।তাহলে তো
একেকজনের ভিন্নমত শুরু হয়ে যাবে।তনুর
ব্যাপারেও আর কিছু বললাম না।কারন বললেই তো
হাজি সাহেবের মুখ খারাপ আখ্যায় পড়ে যাব।আর
এই ব্যাপারটা আগেই লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু
দেখলাম নিজের লোকেরাই নিজেকে তনুর ভাই-
বোন বানিয়ে নিচ্ছে কিন্তু এখন কিছু না বললে
থাকতে পারলাম না।কারন সত্যটা বলতেই হয়।
এতে আমাকে যদি নারী বিরোধী বা হেটার
বলে আখ্যায়িত করেন তাহলেও সমস্যা নেই।
কারন সত্য শুনতে কড়াই লাগে।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৮
মানবী বলেছেন: "সহানুভূতি যখন দেখাবেন তখন সবার ক্ষেত্রেই
দেখান।একজনকে করবেন আরেকজনকে না এমন
অবস্থা করে তাদের প্রতি অবিচার করবেন না।"
- যে কোন অনাচার, ধর্ষন, হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হলেই বরাবর এধরনের অভিযোগ উঠে..
অভিযোগকারীদের মনে রাখতে হবে প্রতিবাদী হবার দায়িত্বটা তাদেরও। এখন একদল তনুকে ধর্ষন হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছে বলেই সকল হত্যা ধর্ষনের প্রতিবাদ জানানোর দায়িত্ব শুধুমাত্র তাঁদেরই নয়। যাঁদের প্রতি অনাচারের প্রতিবাদ জানানো হয়নি প্অভিযোগকারী নিজে উদ্যোগ নিয়ে সেই প্রতিবাদ আন্দোলনটি শুরু করতে পারেন.। তাই না?
একজন ধর্ষিতা, একজন নির্যাতিতা, একজন মৃত মানুষের পক্ষে ন্যায় বিচারের দাবীতে কেউ সরোব হলে এধরনের অভিযোগ শুধু অভিযোগকারীর মানসিক দৈন্যতাই প্রকাশ করে।
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++