![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
কিছুদিন ধরে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম।আমি
কেমন জানি একটু প্রতিবাদী হয়ে উঠেছি।
প্রতিবাদ আমাকে করতেই হবে।অন্যায়ের প্রতি হোক আর মিথ্যার প্রতি আমার প্রতিবাদ না
করলে কে জানি এখন আর ভালো লাগে না।
.
কি করার?এই যে দেখুন এই বৈশাখের সবাই আনন্দ
ফুর্তি করছে(লোক দেখানোর জন্য)।আর আমার এই
বিষয়টা ভালো লাগছে না।এই ব্যাপারে মন
অনেকদিন ধরে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলছিল।
আমি ইচ্ছে করেই দমিয়ে রেখেছিলাম।কিন্তু
আজ আর পারলাম না।কেন পারলাম না তা জানি
না?কিন্তু এখন যে লিখছি তাও এই সময়ে লিখার
কোন তাগিদ ছিল না।এই সময়টাকে মুভি দেখে
পার করতে চাইছিলাম কিন্তু সত্যের সামনে কি
বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায়।
.
এটা একটা খুব কষ্টের বিষয় যে কেও কিছু লোক
দেখানোর জন্য করতে গেলেই আমাদের মতো
কিছু লোক উঠেপড়ে লেগে যায় তাদের মিথ্যা
সপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে।কি আর করার আমার
মতো লোকগুলা যে একটু সত্যের মেন্টালিটিতে
ভুগছে।এইসব সত্য বলতে গেলে আপন মানুষদেরই
রাগের শিকার হতে হয়।তারা আমাকে "বেশি
বুঝি"উপাধিতে ভূষিত করে।সাথে একটু অন্য
ধরনের নজরের মোকাবেলা করতে হয়।কিন্তু
এইসবকে আমি হাসি দিয়ে উড়িয়ে দেই।যাই
হোক এইসব বললে আবার বিজ্ঞ লোকেরা আমাকে
নিজেকে বড় মনে করি বলে সমোন্ধোন করবে।
.
এখন কথা হলো বাজ্ঞালিদের নববর্ষ যে পালন
করবেন আপনি কি বাজ্ঞালি?আল্লাহ মালুম
কতখানি।না ভাই এটা ওল্ড টপিক না যে
ভাবছেন একদিনের বাজ্ঞালি ওয়ালা কথাটা
বলব।আমার কথা হলো পহেলা বৈশাখে যে
পান্তা ইলিশ বা মুর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা
করবেন তা কতটা যুক্তি সম্পর্ন তা ঠিক আমি
বুঝতে পারি নি?আমার কাছে পহেলা বৈশাখে
পান্তা ইলিশ খাওয়াটাকে গরিবদের ব্যজ্ঞ করার
মতো লাগে।হ্যা সত্যি বলছি।
.
দেখুন আপনি সারাবছর পোলাও কোর্মা আর
দামি জিনিস খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন কিন্তু
হঠাৎ করেই একদিনের জন্য পান্তা ভাত আর
ইলিশ ভাজার আয়োজন করলেন আর ওইদিকে
যারা গরিব তারা প্রায় বছরের প্রতি সময়েই
পান্তা ভাত খেয়ে থাকে।তারা আপনাদের মতো
শখ করে খায় না।তারা খায় সময়ের প্রয়োজনে।
খেতে কিছু না পেলেই ভাতে খানিকটা পানি
দিয়ে তার ভেতর লবন ছেড়েই খাওয়া শুরু করে।
আমি আমার বাবাকে দেখেছি কাজ থেকে এসে
ভাতের সাথে কিছু না পেলে ওই ভাতে পানি
ঢেলে তারপর লবন দিয়ে খায়।আসলে এই খাবারটা
গরিবের জীবনের সাথে কেমনভাবে যেন জড়িত
হয়ে গেছে।তারা ইচ্ছে করলেও এটাকে ছাড়তে
পারে না।৩ বেলা গরম ভাত না পেলে তাদের
কোন সমস্যা নেই শুধু পান্তা হলেই চলবে তাদের।
মাঝে মাঝে যখন কাজ থেকে এসে খাবারের কিছু
থাকে না তখন মানুষগুলি পাশের ময়নার
মা,কাকলির মার কাছে যায় ভাত চাইতে তারা
মলিন্য মুখেই উত্তর দেয় "ভাতে তো পানি দিয়া
ফালাইসি।এই উত্তরেও লোকগুলি একগাল হেসে
বলে "চলবে।তাদের পান্তাতে সমস্যা নেই কোন।
যেকোন পরিস্থিতিতে চলবে।
.
কিন্তু যারা মাছে-ভাতে বাজ্ঞালি শব্দটির
আখ্যা পাওয়ার
জন্য বৈশাখে পান্তা ইলিশ খাওয়া শুরু করে
তাদের প্রতি খুব আক্ষেপ হয়।মন থেকে শুধু একটাই
শব্দ বের হয় "আহা!তারা গরিবদের কেনো
এইভাবে ব্যাজ্ঞ করছে?আমার মতো লোকদের
তখন কপালের সাথে সাথে নাকটাও কুচকে যায়।
তারা সারাবছর ভাল খাবার খেয়ে বাঁচছে আর
এইদিন মাছে ভাতে বাজ্ঞালি সাজার জন্য
লোক দেখানো পান্তা-ইলিশ খাচ্ছে।যেদিকে
রাতে ভাত একটু নরম হলেও ফেললে দেওয়া হয়
সেদিন পান্তার জন্য খরচ করতে হয় এক থেকে
দেড় হাজার টাকা যা একজন গরিবের ৫ দিনের
ভালো খাবারের টাকার সমান।হাসি পায় এই
অবস্থা দেখলে।মানুষ নাকি এইভাবেও বর্ষবরণ
করে?আর ৩-৫ হাজার টাকা দিয়ে ইলিশ কেনা
হয়।মজাদার একটা ব্যাপার তখনই হয় যখন একটা
ইলিশের জন্য মানুষগুলা ইলিশের নিলাম শুরু
করে।কেউ যদি বলে ২ হাজার আরেকজন ফট করে
বলে উঠবে "আড়াই হাজার দিমু দিবি।দামটা
দুজন বাড়াতে বাড়াতে একজন ঠিকই নিয়ে যায়
কিন্তু তাদের মাঝে লাভ হয় ওই মাছওয়ালার।
.
এটা কি খুব দরকার যে একটা মাছকে ৫ হাজার
দিয়ে কিনবেন?যেদিকে আপনি এই ৫ হাজার
দিয়ে আপনার উন্নতমানের খাবার খেতে পারেন
সেই যায়গায় কেন আপনি একটা মাছ এত দামে
কিনবেন?নিশ্চই গরিবেদের অপমান করার জন্য।
কেননা তারা এত দামে মাছ কিনতে পারবে না
তাই আপনারা তাদের বুঝাচ্ছেন "আমরা একদিনে
খাওয়ার জন্য একটা মাছ যত দিয়ে কিনতে পারি
তোরা ৭ দিনেও সেই টাকার বাজার খেয়ে পাস
নে"।না এইখানে একটা উল্টা যুক্তি আছে
আমাদের সুশীল সমাজের যে,তারা গরিবের দুঃখ
বুঝার জন্য পান্তা ইলিশের আয়োজন করে।আসলে
এই কথার কোন ভিত্তিই আমি পাই নে।কারন
কারো দুঃখ একদিনের লোক দেখানোতে বুঝা
যায় না।যদি দুঃখ বুঝতে চাও তাহলে তাদের
মতো মানবেতর জীবন-যাপন করে দেখাও।
.
থাক আর বেশি কিছু বললাম না পরে সুশীল
সমাজের মানুষগুলি রেগে গেলে আমার আবার
খবর আছে তাইনা।সত্য বলা তো ছাড়তে পারছি
না তাই আমার মতো অশ্লীল মানুষের কথাগুলা
মাফ করবেন।
.
লেখায়- Muhammad Arju (পথহীন মুসাফির)
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৫
মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: @রয়।সুশীল তারাই যারা সত্য পক্ষে প্রতিবাদ করলেই বলে ছেলেপুলে গুলা খুব পেকে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৭
বিজন রয় বলেছেন: শুশীল কারা?