![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
একটা জিনিস খেয়াল করলাম।খুবই গুরুত্বপূর্ন
জিনিস।মানুষদের আধুনিকতার ভূতে পেয়েছে।
এমনভাবে পেয়েছে যে কোন উঝা বা কবিরাজ
দিয়ে ঠিক করা যাবে না।কিছু মানুষ আছে যারা
ইসলাম যা বলেছে তার থেকে এক চুল পরিমান ও
নড়বে না।আর এটাই বিপরীত পক্ষের লোকেরা
মানতে পারে না।কেন ইসলাম এই করতে না করল
ওটা না করল।এই নিয়ে তাদের চুলকানি।এখন কথা
হচ্ছে তারা আধুনিক তাই তাদের উৎসব করতেই
হবে নাহলে আধুনিকতার সাথে যুক্ত হতে পারবে
না।এই পহেলা বৈশাখ নিয়েই লিখছি কথাগুলা
কিন্তু বাকি যেই উৎসব গুলা ইসলামে হারাম
করেছে তাও ইঙিত করছি।যেমন পহেলা বৈশাখ
পালন করা ইসলামে হারাম এই বিষয়টা অনেকে
মানতে পারছিলেন না।তারা ইসলাম নিয়ে
কঠোর সমালোচনা করেছেন।কেও কেও এটাকে
অপমুক্ত করে চলেছিলেন কিন্তু তাদের কথা
তারা পালন করবেই।
.
কিছু লোক এমন আছে যারা উৎসব পালন করবেই
কিন্তু দুঃখ তারা জিজ্ঞাস করে নিবে এটা
ভালো না খারাপ।ভালো হলে করবে আর খারাপ
হলে বা ইসলামের সম্মতি ছাড়া হলে ইসলামের
সমালোচনা করে এটাকে পালন করবে।আমি বলছি
কেন ভাই জিজ্ঞাস করলি?তুই তো পালন করবি
তুই নিজেও জানিস তাহলে কি তুই ইসলামের
সমালোচনা করার জন্য জিজ্ঞাস করলি?হ্যা
এটাই হবে।কারন যদি সমালোচনা না করার জন্য
করে থাকিস তাহলে জিজ্ঞাস করেও কেনো
পালন করার তাগিদ করছিস।ইসলামের এই ব্যাপার
তো তুই মানবিই না তাহলে প্রতিবার একই কথা
যেনে শুনেও জিজ্ঞাস করে ইসলামকে কেনো
ছোট করতে চাইছিস?
.
এটা মানুষ ইচ্ছা করে করে না।আধুনিকতার
দোহাইয়ে করতে হয়।কারন তাদের সব ভুল উৎসব
পালনে ইসলামই একমাত্র বাধা আর এই বাধা
থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ইসলামকে কলংকিত করতে
চায়।অনেকের স্ট্যাটাসই দেখলাম যে ইসলাম
কেন পহেলা বৈশাখ পালন হারাম করল?ইসলাম
কেন মানুষদের আটকে রাখে?আরো অনেক কিছু।
এটার একটাই যোগ্য জবাব হলো "মহানবী (সঃ)
হিজরী সনই পালন করতে দিলো না আর কই
থেকে এলো তোর পহেলা বৈশাখ?এক বন্ধু একটা
পোস্ট আমার ইনবক্সে সেন্ড করেছিল।পড়ে
খারাপ লাগল।তারপর ও ম্যানশন দিলো পোস্ট
টায়।অনেক্ষন পড়ে আসায় আর পাই নি।মনোভাব
জাগল ওই লোকটার সাথে আমার এড নেই তাই
তার পোস্টে কমেন্ট করারও কোন প্রয়োজন দেখি
না বা করলেও তা অভদ্রতা বুঝাবে।তার পোস্টটা
হুবহু নিচে দিলামঃ
অনেক জ্ঞানীগুনী হুজুরগন বলতাছেন পহেলা
বৈশাখ পালন করা নাকি মুসলিমদের জন্য
হারাম........কিন্তু ওইসব জ্ঞানীগুনী মহাশয় গনই
কালকে মানুষের দোকানে দোকানে মিলাদ
পড়ানোর জন্য ঘুরবেন.....পহেলা বৈশাখ বাংলা
নতুন বর্ষবরন মাত্র......এইদিন মুসলিম
ব্যবসায়ীরাও আল্লাহর নামে মিলাদ পড়িয়ে
ব্যবসায়ে নতুন হালখাতা খোলে.....তো এইটা
হারামের কী হল.....? হ্যাঁ মানি পহেলা
বৈশাখে এমন কিছু কার্যক্রম হয় যেগুলো
মুসলিমদের জন্য হারাম....মুসলিম হিসেবে
ওইগুলি বাদ দিয়ে পালন করলেইতো হয়.....তাই
বলে পুরো পহেলা বৈশাখকে হারাম বলা চলবে
না।
.
জানি কথাগুলা ভালো লিখেছে কিন্তু এইখানে
উনার উপর আমার কয়েকটা অভিযোগ আছে।প্রথমত
উনি বলছেন যারা বলছে যে পহেলা বৈশাখ
পালন করা হারাম তারা বৈশাখের দিন
দোকানে দোকানে মিলাদ পড়িয়েছে।ভাই একটু
আধুনিক টাইপের তাই তার বোদহয় ইসলাম জ্ঞান
একটু কম।যারা বলেছিল ইসলামে পহেলা বৈশাখ
হারাম তাদের মধ্যে চরমোনাই পীর
সাহেব,জুনায়েদ বাবুনগরী,আল্লামা শফি,মুফতি
আবু সাঈদ সাহেব ও আছেন আর তাদের মাদ্রাসা
লক্ষ্য লক্ষ্য ছাত্র আছেন যারা পহেলা বৈশাখ
পালনের বিরুদ্ধে ছিলেন।আমি বলছি আপনারা
কেও কি দেখেছেন তাদের আপনাদের দোকানে
গিয়ে মিলাদ পড়াতে বা কওমি মাদ্রাসার কোন
ছাত্র বা হুজুরদের মিলাদে অংশ নিতে।আপনি
কিভাবে ধরে নিলেন যারা এর বিরোধিতা
করেছে তারা গিয়ে মিলাদ পড়াবে।যারা
মিলাদ পড়িয়েছে বা পড়াচ্ছে তারা আপনাদের
মতোই এইসব ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত
বা আপনাদের সাথে একমত।আর হালখাতা
খোলার ব্যাপারে বললেন ওটা তো অন্য ধর্মের
কালচার।খেয়াল করলে দেখবেন হিন্দু
সম্প্রদায়ের যারা আছে তারা তাদের দেবীদের
মুছে পরিষ্কার করে তাদের ভোগ চড়িয়ে পড়ে
নতুন খাতায় শুরু করে নতুন হিসাব।আর আপনারা
কি করছেন তাদের মতোই ঘর মুছে মিলাদ পড়িয়ে
নতুন খাতা খুলছেন।ব্যাপারটা এক হয়ে গেল না?
তাহলে তাদের মাঝে আর আমাদের মাঝে
পার্থক্য টা কোথায় রইল।আর কিভাবে ভেবে
নিলেন অন্য ধর্মের লোকেরা যা করে তা ইসলাম
করতে সম্মতি দিবে।যদি দিত তাহলে এটা আর
ইসলাম থাকত না।
.
আরেকটা ব্যাপার হলো অনেকজন মানতেই
পারছেন না যে পহেলা বৈশাখ হারাম।এই
ব্যাপারটা কেমন জানি অদ্ভুত লাগল।কারন যারা
এটাকে হারাম বলেছে তারা নিশ্চই না যেনে
না শুনে বলেছেন অথবা তাদের জ্ঞান ওইসব
লোকদের থেকে কম যারা বলছেন যে পহেলা
বৈশাখ হারাম না।কে জানে ভাই যারা কোরআন
আর হাদিস নিয়ে ঘাটাঘাটি করে তাদের জ্ঞান
কিভাবে এইজন সাধারন মানুষের থেকে কম হয়?
মানুষ এখন মনের সাথে আপোষ করে যেমন মন
বলেঃ কিরে এটা করা নাকি হারাম?মন ভয়
পেয়ে যায়।কিন্তু লোকটা এমনভাবে বুঝায় যে
"কিসের এইটা হারাম?তারপর মনগড়া একটা
হাদিস বলে জনসমুক্ষে মানুষ সাপোর্ট করলেই মন
বলে উঠে "হ্যা তুই ই ঠিক।
.
বিষয়টা শুধু পহেলা বৈশাখ বা ওই ভাইয়ের
স্ট্যাটাস নিয়ে নয়।প্রতেকটা সময় যখন ইসলাম
থেকে কোন বেদাত কাজের উপর হারাম শব্দ
আরোপিত হয় তখনই তারা ফুসে উঠে ইসলামকে
কলুষিত করতে।কিন্তু হায় দুঃখ তাদের চেষ্টা
বিফল যায়।আর ওই ভাইয়ের স্ট্যাটাস টা শুধু
নমুনা হিসেবে দিলাম তারটা দিয়ে ওই সবাইকে
বুঝালাম যারা ইসলামের মনোনীত হারাম
জিনিসকে হালালে রূপান্তরিত করতে উঠেপড়ে
লেগে থাকে।আপনাদের ধন্যবাদ।যতবার আপনারা
ইসলামের উপর আচড় টানতে চাইবেন ততবার
দেখবেন আমার মতো কয়েকটা এসে হাজির
যাদের দিলে অনেক মর্ম রয়েছে ইসলাম নিয়ে।
আর যদি হারাম দিনগুলা পালন করতে হয় তাহলে
আল্লাহর দেয়া ৩৬৫ দিন থেকে পারলে একটা
দিন কেড়ে নিয়ে যান।তারপর ইচ্ছামত উৎসব
করেন।কারন প্রতি দিনই আল্লাহর দিন।তাই
যেদিন আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হবে তার
দিনের বাইরে গিয়ে করুন যদি সাধ্য থাকে।
.
যেটা হারাম ওইটা তো হারামই।ওটাকে কেন
কিছু জিনিস বাদ দিয়ে হালাল করার পায়তারা
করছেন।কুকুরকে খাওয়া হারাম এখন কুকুরকে যদি
ভালভাবে গোসল করিয়ে খান তাহলে কি ওটা
হালাল হয়ে যাবে?নিশ্চই না।তাহলে সব হারাম
উৎসবকে কেন হালাল বানাতে চাইছেন?
.
লেখায়- Muhammad Arju (পথহীন মুসাফির)
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১০
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ইসলামের প্রতি আপনার ভালবাসার জন্য ধন্যবাদ!
Click This Link
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: @আগুন্তক।আমি তো হারাম ট্যাগ লাগাই নি।যারা লাগিয়েছে তারা অনেক বড় আলেম।আর তারা কোর আন আর হাদিস পড়েই বলে।আমার বলার কোন অধিকার নেই কোনটা হারাম আর কোনটা হালাল।তারা বিজ্ঞ তাই তারা ভালো বোঝেন।আর তাদের কথা মানাটাই আমাদের জন্য ভালো।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯
Rahat Islam বলেছেন: @মুহাম্মাদ আরজু ভাই এদের বুজিয়ে লাভ নাই। যে মানবে না বা শুনবে না তাকে কোনোভাবেই মানাতে পারবেন না। এদের যুক্তিটা এরকম, " তুমি বলছ আমি ভুল কাজ করছি, কিন্তু অন্যরাও তো একি কাজ করছে, তাহলে ওদের আগে থামাও না কেন? "
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৬
মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: @রাহাত ভাই।হয়ত ঠিক বলেছেন কিন্তু সবাই যদি একই কথা বলে তাহলে তো কিছুই হবে না।যেমন রাস্তায় যদি আবর্জনা পড়ে থাকে তাকে সড়ানোর কর্তব্য সবার এখন সবাই যদি বলে "আর কেও করে না কেন?সবাই করুক আমিও করব" তাহলে তো আর ময়লাটা সড়বে না।কেও একজন তো স্টেপ আউট হয়ে ময়লাটা সড়াতে হবে।তাহলেই হয়।এখন এইসব করতে ভাল মন থাকা দরকার যেমন "আমিই প্রথম ময়লাটা সড়াই কেও আসুক বা না আসুক এইটা আমার কর্তব্য।অনুরূপ সব সময় এই কথাই ভাবতে হবে।এখন তারা কেমন লোক এটা তাদের কর্মেই ভালো বুঝা যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৪২
অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: তোরা ভাই জীবনেও ঠিক হবি না। পহেলা বইশাখ হারাম এ কথা হাদিস অথবা কুরানের কোথায় লেখা আছে? হারামের Definition কি জানো?? না জেনে অযথা হারাম ট্যাগ মারাও! আর রমনার বটমুলে গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া আর পদযাত্রাতে পুরো রমনা চক্কর লাগানোর মাঝে নাজায়েজের কি আছে তা আমার বোধ্গম্য নয়.