![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
প্রতি পরিক্ষায় প্রিন্সিপাল সাহেব এসে জিজ্ঞেস করেন "প্রশ্ন পাইসো নাকি?স্যারেরা স্যার আর ম্যাডামরা তো আইসাই বলে "প্রশ্ন তো পাইসোই এত চিল্লানের দরকার কি?
পরে নিজেরা নিজেরা বলে "আমগো সময় তো আমরা কোন প্রশ্ন পাই নাই।পইড়াই তো কূল পাইতাম না।আর এখন ওরা পরিক্ষা দেওয়ার আগেই প্রশ্ন পায়।কত ভাল হইসে শিক্ষা ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগে যখন জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে সবাই হাসি-ঠাট্টা করা শুরু করল তখন মেজাজটা খুব খারাপ লাগসে।কারন সবার একটাই কথা আসিলো পোলাপাইন প্রশ্ন পাইয়া পরিক্ষা দিসে তাই এই অবস্থা।
.
হ রে ভাই আমরা প্রশ্ন পাইয়া পরিক্ষা দিতাসি।তোরা যে আমগো বলতাসোস বা যারা প্রশ্ন পাইয়া পরিক্ষা দিতাসে ওগো বলতাসোস তোরা কি দুধের ধোয়া তুলসী পাতা?তোরাও তো প্রশ্ন পাইয়া পরিক্ষা দিতাসোস।মেডিকাল,ইঞ্জিনিয়ারিং বড় বড় যেই পরিক্ষা থাকুক না কেন সব যায়গায় প্রশ্ন ফাস হয় আর তা দিয়া পরিক্ষা দেন আপনারা।তারপরেও আমাদের বলেন "পোলাপাইন প্রশ্ন পাইয়া পরিক্ষা দিয়া কি করব আল্লাহই জানে?
আপনারা প্রশ্ন পাইয়া পরিক্ষা দেন তারপরেও আমাদের একলা বলেন কেন আর আপনারা ভাল সাজেন কেন?বেশি থাইকা বেশি কিছু হইলেই বলে "শিক্ষা ব্যবস্থার হাল ভাল না তাই জমানা যেমনে চলে আমগোও তো সেমনেই চলতে হইব" যাক ভাল কথা শিক্ষা ব্যবস্থার হালটা খারাপ করতাসে কে মুরাদ (নাহিদ) টাকলায়?নাকি সমস্ত শিক্ষকেরা?
.
বুক ফুলাইয়া যে স্যার ম্যাডামরা বলে "এই পড়ালেখার কোন দাম নাই" তো তারাই তো আমাদের খারাপ করতাসে।আজ প্রেক্টিকেল দিতে গেসিলাম তো ম্যাডাম দাড়োয়ানরে দিয়া ৫০ টাকা কইরা তুলতাসে যে দিবো তার জন্য ছাড় মানি তাদের সাহায্য করব।এর মানি দাড়ায় সাহায্যের মূল্য এখন ৫০ টাকা।আর সবারে টাকা দেওয়ার তাগিদ দিতাসিলো।আমার এক বন্ধু পরে আসায় জিজ্ঞায়া করে বসলো "ম্যাডাম কিসের টাকা দিতে হইব?ম্যাডাম ওর দিকে এমনে চাইলো মনে হইল পোলায় তার মাইয়ারে বিয়া করতে চাইসে।তারপর উনি হকচকিয়ে বলতে লাগল "তুমি জানো না কিসের টাকা,সব কথা কি বইলা দিতে হইব।তার কথা শুইনা পুলিশের ঘুষ নেওয়ার কথা মনে পইড়া গেল।
.
তো উনারা আমাদের কাছ থাইকা টাকা নিয়া আমাদের আহ্লাদ বাড়াইতাসে "ধুর টাকা দিলে তো উনারা সব বইলাই দিবো।টেনশন কিসের"তো আমাদের নষ্টের পিছে দায়ি কে?
খালি শিক্ষা ব্যবস্থার ভুল ধরেন।আপনারাই ভুল ধরেন আবার আপনারাই সেই পথে চলেন তো শিক্ষা ব্যবস্থাকে পাল্টাইব টা কে?যদি না পাল্টাইতে পারেন তাইলে বইলা কোন লাভ নাই।
.
আগে নিজে ভাল হোন তারপর শিক্ষা ব্যবস্থার দোষ দিন।চিন্তায় পড়লাম একজন ছেলেরা কাছ থেকে যদি ৫০ টাকা করে নেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশে কত পরিক্ষার্থী আছে।তাহলে কত টাকা পায় শিক্ষকগন।না না এটা কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থারই দোষ।মুরাদ টাকলায় উনাদের টাকা নিতে বলেছেন।
.
আমরা প্রশ্ন পেয়ে পরিক্ষা দিবো না তো কি করবো?এ+ চাই নয়ত জিবনে উন্নতি করতে পারবে না বাপজি।সবার কথাই একটা এ+ চাই।কিভাবে পাবো আমরা এ+।সব ছাত্র তো আর ভাল না।সবাই সব পারবে না পারেও না।তো ওদের সবাই কি করবে এ+ না পেলে সমাজে দাম নেই আত্নিয়দের কাছে দাম নেই।আর মা-বাবার প্রত্যাশা তো অনেক তাদেরটা কিভাবে পূরন করব।অসৎ পথ তো অবলম্বন করতেই হবে।যেখানে পুরো দেশ এ+ নিয়ে ব্যস্ত সেখানে আমি যদি না পাই তাহলে "তোরে এত কষ্ট করে পড়ালাম ভাল কিছু করে দেখাতে পারলি না।তার উপর প্রতিবেশি আর আত্নিয়রা তো আছেই "ভাবি আমার ছেলেটা না গোল্ডেন পেয়েছে।দিয়ে যায় কাটা গায়ে লবন।তারপর বাবা-মায়ের মুখের দিকে চাওয়া যায় না।
.
কিভাবে পূরন করব সবার প্রত্যাশা?আমি ছাত্র আমি একজন মানুষ।আমি রসায়ন বা পদার্থের চাপ প্রয়োগের কোন যন্ত্র না যে আমায় পরিক্ষনটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবেই হবে।বাংলাদেশে ২০১৪-১৬ পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৭ জন আত্নহত্যা করে থাকে তার মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থী।কি কারনে ওরা মারা যায়।আর চাপ নিতে পারে না তাই।
ওরা বেচেও হাজারবার মরে।শিক্ষা জ্ঞানের বিষয়। এ+ পাওয়ার বিষয় না।শিক্ষাকে শিক্ষা হিসেবে নিলেই হয়।আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি শিক্ষার্থীদের উপর থেকে প্রত্যাশার হার কমিয়ে দেয় তাহলে কেও প্রশ্ন পেয়ে পরিক্ষা দিবে না।
.
Muhammad Arju (পথহীন মুসাফির)
২| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০২
মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: @বিজন রয়।আরে ভাই যেই কলেজে পরিক্ষা দেই সেই কলেজের প্রিন্সিপাল এসে কক্ষ পরিদর্শন এর সময় জিজ্ঞেস করে।
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১
আমি নবপ্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সবকিছুই খারাপ নয়। হতাশা হওয়া পরাজয়ের লক্ষণ।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনি সমস্যাটা খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন, ভাই। দুর্ভাগ্য হলো আপনার নিজের, কিংবা আপনাদের কথা শোনার মতো লোকেদের কোনো ক্ষমতা নেই; আর যারা ক্ষমতা দখল করেছে তাদের কোনো ইচ্ছাই নেই।
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: @বাদিয়া।আমি লিখছি আপনি পড়ছেন এটাই আমার বড় পাওয়া।আমার কথা কেউ শুনুক বা না শুনুক আমি বলেই যাবো।
৬| ১৩ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
সুমন কর বলেছেন: আগে কখনো এতো প্রশ্ন ফাঁস হতো না, এটা স্বীকার করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: প্রতি পরিক্ষায় প্রিন্সিপাল
পরীক্ষা হবে।