![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
সবার কাছ থেকে জঙ্গির সংজ্ঞাটা জানতে চেয়েছিলাম।সবাই না দিলেও মোটামোটি জঙ্গির ব্যাপারটা যতটুকু বুঝতে পারলাম জঙ্গি বলতে "এমন এক সম্প্রদায়কে বুঝায় যারা বিনা অপরাধে নিষ্পাপ মানুষদের ক্ষতি করে"।যদি এটা জঙ্গির সংজ্ঞা হয়ে থাকে তাহলে আমি বলতে চাই পৃথীবির প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ জঙ্গি।সবাইকেই নিধন করা অত্যান্ত জরুরি।সেই প্রতিটা কাজ জঙ্গিবাদের অন্তর্ভুক্ত যা অপরাধের তালিকায় পড়ে।এখন অপরাধ বলতে আমরা বুঝি "যেই কাজ খারাপ উদ্দেশ্যে করা হয় বা মানুষের ক্ষতির উদ্দেশ্যে করা হয় তাকে"।এখন দেখা যায় অপরাধ আর জঙ্গিবাদের সংজ্ঞার অনেক মিল আছে।আমি নির্ভয়ে বলতে পারি অপরাধ জঙ্গিবাদের তালিকাভুক্ত।অপরাধের প্রতিটা কাজই জঙ্গিবাদ।এর মধ্যে মিথ্যা বলাও এক ধরনের অপরাধ আর এই কাজও জঙ্গিবাদের অন্তর্ভুক্ত।
...
কথাগুলা সিরিয়াস মাইন্ডে নিলে বুঝতে পারবেন।আপনারা বলতে পারেন অপরাধের মারাত্নক দিকগুলা জঙ্গিবাদের অন্তর্ভুক্ত।হ্যা এটাও হয়।কিন্তু কোনটা ছোট অপরাধ হিসেবে আপনি ধরবেন মানি কোন জিনিসটাকে আপনি জঙ্গিবাদের তালিকা থেকে বাদ দিতে চান।যেদিকে প্রতি ধর্মেই বলা আছে "মিথ্যা বলা মহাপাপ" "মানুষ খুন করা মহাপাপ" "চুরি-ডাকাতি করা মহাপাপ"।এখন কথা হলো আপনি যদি মানুষ হত্যা করাকে জঙ্গিবাদ হিসেবে ধরেন তাহলে বাকি খারাপ কাজগুলাকে আপনি অপরাধের তালিকা থাকে বাদ দিচ্ছেন মানি জঙ্গিবাদের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন।সত্যি বলতে জঙ্গিবাদ একটা শব্দ।অপরাধের সমার্থক শব্দ।আমরা নির্দিদ্ধায় অপরাধের আরেকটা শব্দ জঙ্গিবাদ বলতে পারতাম।কিন্তু আমাদের মিডিয়া আমাদের কাছে জঙ্গিবাদকে এমনভাবে তুলে ধরেছে যে অনেকগুলা মানুষকে খুন করার নাম হলো জঙ্গিবাদ।আর এটাকে আরো সুন্দরভাবে লেপে দিচ্ছে ইসলামের গায়ে।তারা এটা প্রমান করতে চাইছে "আল্লাহু আকবার" বলা প্রতিটা মানুষ জঙ্গিবাদের অন্তর্ভুক্ত।আপনি এমন কোন নিউজ আজ পর্যন্ত শুনেন নি যেখানে জঙ্গিবাদের সংঙ্গে "আল্লাহু আকবার" আর ইসলাম শব্দটা লাগে নি।
...
কিরে ভাই কি দোষ হয়ে গেল আমাদের?মুসলিম হওয়া দোষ নাকি আল্লাহু আকবার বলা আমাদের দোষ?যদি আল্লাহু আকবার বলা অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে একজন পরিপূর্ন মুসলিম ৫ ওয়াক্ত নামাজে ২৩০ বার এই এই অপরাধটা করে থাকে।এখন কি তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।মিডিয়া "আল্লাহু আকবার" বলাটাকে জঙ্গিবাদের সাথে এমনভাবে যুক্ত করেছে যে দূর মসজিদে "আল্লাহু আকবারের"ধ্বনি শুনলেও মানুষ কিছুক্ষনের জন্য থমকে উঠে।আমি বলতে চাচ্ছি যারা মানুষের মাঝে এমন আতংক ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের মাঝে কি কেউ মুসলিম নাই?তার কি মৃত্যু হবে না?যদি তিনি মুসলিম হয়ে থাকেন আর তার মৃত্যু হয় তাহলে তো অবশ্যই তাদের জানাজার নামাজ পড়াতে হবে।সেদিন ঈমাম সাহেব কোন মুখ দিয়ে তার উদ্দেশ্যে "আল্লাহু আকবার" শব্দটা বের করবে।যে সারাজীবন এই শব্দটাকে কলুষিত করেছে তার ক্ষেত্রে এই শব্দটা ব্যবহার করা বড্ড বেমানন লাগে।
...
কিছুদিন আগে যখন শুনেছিলাম সবাই বলছিলো "জঙ্গিবাদের কোন ধর্ম নেই।তখন মনটাকে সান্তনা দিয়েছিলাম "যাক এবার বোদহয় জঙ্গিবাদ থেকে ইসলাম অপমুক্ত হবে।কিন্তু কিসের কি,ঘুরেফিরে সেই একই কাহিনি।কল্যানপুরের ঘটনা নিয়ে ওসি যা বললেন তা শুনে থ হয়ে গেলামঃ আমরা যখন উপরে উঠলাম তখন তারা "আল্লাহু আকবার"বলে আমাদের উপর হামলা শুরু করল।আমরাও তাদের উপর পাল্টা আক্রমণ করলে তারা গুলিবিদ্ধ হয়।তাদের "আল্লাহু আকবার" বলে আক্রমন করা।তাদের পোষাক পরিচ্ছেদ দেখে আমরা টার্গেট করলাম।তারপর ঘরে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে এইসব আলামত আমরা সংগ্রহ করি।
বাকি সব কথা থেকে উনি "আল্লাহু আকবার" শব্দটা দুইবার ব্যবহার করেছিলেন।কি বুঝাতে চাইলেন আমার বুঝে এসেও আসল না।যদিও সরাসরি ইসলামকে দোষি করে নি কিন্তু কোথাও ছাড়ও দেয় নি।এখন কথা হলো লোকগুলা কি দিয়ে তাদের আক্রমন করেছিল?টমেটো নাকি আপেল ছুড়ে মেরেছিল।যাকে গ্রেনেড হিসেবে ধরে তাদের গুলিবিদ্ধ করা হল।
...
আর যা দেখার দেখলাম।মৃত ৯জনের থেকে একজনের হাতে সবজি কাটার ছুড়ি ছিল আর গুলিবিদ্ধ ৯জনেরই পিছে গুলি লাগে।কিভাবে সম্ভব গোলাগুলিতে ৯জনেরই পিছে গুলি লাগে?আপনারা বোকা বানাবেন ভাল কথা একটু জ্ঞান বুদ্ধি তো খাটাবেন।এটা একটা বাচ্চাও জানে যে কিছু ছুড়তে হলে মুখোমুখি হতে হয়।ঘুড়ে কখন কিছু ছোড়া যায় না।আর গেলেও তা সঠিক যায়গায় যাবে না।এখন আপনাদের বলি মূল কথা।ছবিতে তো অনেকবার ক্রসফায়ারের দৃশ্য দেখেছেন।সেখানে কি হয়?লোকটাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।আর যেমনি দৌড়াতে থাকে পিছ দিয়ে গুলি মেরে কেস খালাস করে দেওয়া হয়।এখন তাদের ক্ষেত্রেও কি এমন কিছুই হয়েছিল?জানা যায় নি আর জানতে চেষ্টাও করবেন না।কারন এটা দেশের রাজা পুলিশ সাহেবরা করেছে।কিছু বললে বা জানতে চাইলে আপনাকেও জঙ্গি বানিয়ে লুঙ্গি খুলে ফেলবে।
...
রোজার ভিতর ১৫ হাজার মানুষ জঙ্গি সন্দেহে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।তারপর হোলি আর্টিসনের ঘটনা ঘটে।এই ১৫ হাজার মানুষ যে শুধু শুধু হেনস্তার শিকার হলো এটা কি পুলিশ মহোদয়ের অপরাধ হয় নি?হয়েছে তারা অপরাধ করেছে আর অপরাধ যেহুতে জঙ্গিবাদের অংশ সেহুতে ওই পুলিশ মহোদয়রা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করেছেন।বাংলাদেশে এখন শুধু জঙ্গিবাদের উপর নজর করা হচ্ছে।সন্ত্রাসবাদকে অতটা গুরুত্ত দেওয়া হচ্ছে না।আমার মতে প্রতিটা সন্ত্রাসবাদ কর্মকান্ড জঙ্গিবাদের অংশ।মানুষ খুন করা সন্ত্রাসবাদ,চুরি-ডাকাতি-রাহাজানি এইসব সন্ত্রাসবাদ হলে এগুলা তো জঙ্গিবাদেরই অংশ নাকি এখনো ভাবছেন শুধু মানুষ খুন করা জঙ্গিবাদ।যদি এখনো ভেবে থাকেন তাহলে চিন্তাভাবনা বদলান নয়ত সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদের উপরে চলে যাবে আর তখনও আপনারা জঙ্গিবাদীই খুঁজবেন।
©somewhere in net ltd.