নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরের জন্য কুয়া খুঁড়লে নিজেই তাতে পরতে হয়

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫


...
ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় ওমর (রাঃ) বলা হতো আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর এর ছেলেকে।মানি হযরত ওমর (রাঃ) এর নাতিকে।তার শাসন আমল এমন ছিল যে বাঘ আর মহিষ এক ঘাটে পানি পান করত কিন্তু বাঘ মহিষকে খেতে ভয় পেত।আশ্চর্য ব্যাপার নাহ?ওমর ফারুক (রাঃ) এর নাতি সবসময় বলে ফিরতেনঃ "আমার রাজক্তের এরিয়ায় যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায় তাহলে হাশরের ময়দানে আল্লাহর কাছে আমার জবাব দিতে হবে"।তাহলে বুঝে নিন তার মাকাম কত উঁচু পর্যায়ের ছিল।কিন্তু কথা হলো সাহাবাদের মধ্যে কোন একজন যদি ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে যুদ্ধে যেতেন ঘোড়ার খুড়ার তলদেশে যতটুকু মাটি থাকত তার সমানও তাকে ধরা হয় নি।
...
কারন তিনি মহানবী (সঃ) এর সাহাবা ছিলেন না।সাহাবাদের মাকাম অনেক উঁচু ছিল।কারন তারা মহানবী (সঃ) কে সরাসরি ফলো করতেন।উল্লেখ্য যে,মহানবী (সঃ) এর কাছে যে যত আগে এসেছেন তার মাকাম তত বেশি উঁচু।এখন কথা হলো মহানবী (সঃ) এর সিনা মোবারক থেকে যে জ্ঞান যে এলেম এসেছে তা ধারন-বাহন করে রেখেছে তাঁর উত্তরসূরিরা।আর কালের বিবর্তনে তা আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠা করে গেছে মাদ্রাসার বড় বড় আল্লাহ ওয়ালা লোকেরা।
আপনার জীবন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য মহানবী(সঃ) এর আদর্শ অবশ্যই দরকার।ইসলামের বাস্তবায়নতা দরকার যেকোন কাজ করতে।
...
এখন কথা হলো আমরা ও আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা বেশিরভাগই স্কুল-কলেজে পড়ে।তো প্রশ্ন জাগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কতটুকু ইসলামের জ্ঞান পায়?এইসব ছেলে-মেয়েদের যারা পড়ায় তারা ইসলাম সমন্ধে কতটুকু জানে? কারন আমরা শিক্ষকের কাছ থেকে শিখি।এখন শিক্ষকই যদি না জানে আমি কোথা থেকে জানবো?তো আমি বলতে পারি স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ৭৫% শিক্ষার্থীরাই ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ।তারা সঠিকভাবে নামাজের নিয়মটাও বোদহয় জানে না।
...
মূল কথায় আসি।এইসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ রাজনীতিবিদ হবে,কেউ ব্যবসায়ীক হবে,কেউ ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার হবে।এখন যেই কাজই করো না কেনো সব কাজে শান্তি লাগবে।এখন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে তোমার ইসলামের পরামর্শ লাগবেই।তুমি বিজ্ঞানীদের বই পড়ে কোন মেশিন বানাতে পারবে কিন্তু ওই মেশিন দিয়ে শান্তি আসবে কি না তা বলতে পারবে না।আর তুমি যদি কোন জিনিসের দ্বারা শান্তি বজায় রাখতে না পারো তাহলে তোমার সব কাজ ব্যর্থ।এখন তোমার শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে আর ইসলাম সম্পর্কে জানার মাধ্যম মাদ্রাসা।শুধুমাত্র এইখানেই তুমি ইসলামের সঠিক জ্ঞান পাবে।
...
দেশ এখন অশান্তির মুখে আছে।চারদিকে শুধু জঙ্গিদের ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে।প্রশ্ন জাগে তারা তো স্কুল-কলেজের ছাত্র ছিলো।ওইসব ছাত্র-ছাত্রীদের মতো তারাও ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলো।যার কারনে ইসলামের অপব্যবহার করে তারা মানুষকে খুন করে বেড়াচ্ছে।তারা ইসলাম সম্পর্কে জানে না বিধায় ইহুদি-নাসারাদের এক বিশেষ দল তাদের মাথায় ভুল ঢুকিয়ে তাদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে।আমি বলতে চাচ্ছি যাদের মধ্যে ৭৫% মানুষই নামাজ সম্পর্কে অজ্ঞ তারা জঙ্গি হবে না তো হবে কে?আর ইহুদি-নাসারাদের দল কোন মাদ্রাসার ছাত্রকে ভুল বুঝিয়ে তাদের কাজে আনতে পারে নি কারন তারা ইসলাম সম্পর্কে সচেতন।মহানবী (সঃ) এর থেকে নির্গত জ্ঞানের কিছু অংশ হলেও তারা পেয়েছে যার কারনে তাদের দিয়ে এই কাজ করানো সম্ভব না।
...
কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কোন বোমা হামলা বা দেশের পরিস্থিতি খারাপ হতো তখন দেশের নেতারা বুক ফুলিয়ে বলতো কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গি তাদের গ্রেফতার করতে হবে।সজিব ওয়াজেদ জয় তো হুংকার ছেড়ে বলেছিলেন এদেশে কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে।কিন্তু একটা কথা আছে "বড় কথার মান আল্লাহ রাখে না"এটাই সত্য।আপনাদের বুক আর সাথে মাথাটা আল্লাহ নিচে করে দিলেন।পরের জন্য কুয়া খুঁড়ছিলেন এখন সেই কুয়ায় নিজেরাই পড়ে গেলেন।কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের জঙ্গি বলতেন এখন দেখা যায় কোন মাদ্রাসার ছাত্র না স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্ররাই জঙ্গি।
...
সবসময় তারা ইসলাম ও মাদ্রাসাকে হেয় করতেন।কিন্তু সময় আল্লাহ পাল্টে দিয়েছে।তাদের গলায়ও স্বর উঠে "ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতাই জঙ্গিবাদের জন্ম দিয়েছে।সবসময় নাটক বানাতেন মাদ্রাসার ছেলেগুলাকে নিয়ে রং তামাশা করতেন এখন দেশ বাঁচানোর জন্য ওই পাঞ্জাবিওয়ালাদের পকেটেই মুখ গুঁজে রাখছেন।সব জিনিসের সঠিক সময় আছে।মাদ্রাসাকে যেমন আল্লাহ অকলুষিত করেছেন তেমনি আপনাদের বানানো জঙ্গিবাদের সাথে "আল্লাহু আকবার" শব্দটার ব্যবহার করার নাটকটারও শেষ হবে।অপেক্ষায় রইলাম।
...
লেখায়-মুহাম্মাদ আরজু (পথহীন মুসাফিরর‍)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

খান সাব বলেছেন: আমিন

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এস এস সি পর্যন্ত ইসলাম সম্পর্কে অনেক জানার পরও কেন ছাত্র ছাত্রীরা পরবর্তীতে ইসলাম বিমুখ হয় সেটা নিয়ে চিন্তার অবকাশ আছে। এর অন্যতম কারণ হলো, অভিভাবকদের অসচেতনতা। আমাদের অনেক অভিভাবক এমন কি আত্মীয় স্বজনরা অবাক হয়ে যায় যখন কেউ দাড়ি রাখে, নামাজ কালাম পড়ে। অনেকে প্রকাশ্যে বিস্ময় প্রকাশ করে! কোন মেয়ে হিজাব করলেও তাকে তাচ্ছিল্য কথা শুনতে হয়। এসব কিছু আসে অভিভাবক কিংবা আত্মীয়দের কাছ থেকে। অভিভাবকরা যদি ছোট থেকেই এসব ধর্মীয় বিষয়ে উৎসাহিত করে তাহলে সবাই নৈতিক ভাবেই বড় হবে। আর দেশও চলবে সুন্দর। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য...

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: @তালগাছ আমার
আপনার কথার সাথে একমত প্রকাশ করলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.