নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"যারা পূজায় যায় তারা নিঃসন্দেহে অমুসলিম "

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

পলাশী যুদ্ধের পর বিশ্বাসঘাতক নবকৃষ্ণ
চেয়েছিলো লর্ড ক্লাইভকে সংবর্ধনা
দিতে। কিন্তু সে সময় কলকাতায় বড় কোন
গির্জা ছিলো না। তাই নবকৃষ্ণ এক ফন্দি
আটলো। সে বাড়িতে ৪দিন দিন ব্যাপী
এক পার্টি দিতে চাইলো, যা সকলের
কাছে পরিচিত ছিলো কোম্পানীর পূজো
হিসেবে। যা আজও শোভাবাজার
রাজবাড়ির পূজো বলে টিকে আছে।কালক্রমে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিণত
হয় শারদীয় দূর্গা পূজা রূপে। তাই
দেশপ্রেমিকরা এই পুজোকে "বেইমানের
পুজো’ বলে আখ্যা দিতো! বঙ্কিমচন্দ্রও
জানতো যে লর্ড ক্লাইভেরআমলেই
দুর্গার সৃষ্টি। সে এও জানত যে ওটা
ইংরেজদেরই কারসাজি। “বঙ্কিমচন্দ্র
বিদ্রুপ করিয়া লিখিয়াছিল যে, পরে
দুর্গাপূজার মন্ত্রও ইংরাজিতে পঠিত
হইবে।” (তথ্যসূত্রঃ এ এক অন্য ইতিহাস-গোলাম আহমদ মোর্তজা, বিশ্ববঙ্গীয়
প্রকাশন, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৩২-৩৪)
...
ভালোমতো পড়েছেন তো।দূর্গা পূজার সৃষ্টি হয় পলাশীর যুদ্ধের পর।তাও পশ্চিম বঙ্গে।তাহলে এর আগে তারা কাকে ঈশ্বর ভেবে পূজা করত?যাক ওই কথায় না যাই যথেষ্ট সম্মান করে বলছি তারা তাদের ধর্ম পালন করুক।কিন্তু কতিপয় মুসলিম নামের কলংকরা যে তাদের পূজা বা প্রতিমা দেখতে যায় তাদের জন্য খুবই আফসোস হয়।সবার একটাই কথা "আমি তো প্রতিমা দেখছি তার পূজা তো করছি না।এতে খারাপের কিছু তো দেখছি না"
...
আরে ছাগলের দল তুই যদি মুসলিম হস তাহলে অবশ্যই তোর আল্লাহর কথা মানতে হবে অন্যথায় তুই মুসলিম থাকবি না।আল্লাহতালা বলেছেন দুনিয়াবি চোখ দ্বারা তাকে দেখা সম্ভব না।কারন তিনি অনেক সুন্দর যা কোন মস্তিষ্ক কোনদিন কল্পনাও করতে পারবে না।আর তাই বলে তোমরা আরেক ধর্মের ঈশ্বরকে দেখতে যাচ্ছো।আরে তারা কারা?তারা তো ওই আল্লাহর সৃষ্টি যে তোমাদের সৃষ্টি করেছে।তাহলে তোমরা অন্য ধর্মের ঈশ্বরকে সত্যিকারের ঈশ্বর ভাবে তাদের সৌন্দর্য দেখতে যাচ্ছো মানি তোমরা অন্য কাউকে আল্লাহর সমতুল্য ভেবে আল্লাহর সাথে তাদের তুলনা করছো।এটা সরাসরি শিরকের অংশ।
...
তুমি শয়তানের কাছে নিজের ঈমান বেচেঁ টিকিট টিকিট হিসেবে মুরতাদ টাইটেল নিয়ে পূজার মন্ডপে প্রবেশ করছো।তারপর কিছুক্ষন প্রতিমাগুলো দেখছো ভাবছো এটা ওদের ধর্মের ঈশ্বর।এই ভাবাটাই তোমাকে ইসলাম থেকে আলাদা করে দিচ্ছে।যদি তুমি প্রতিমাগুলোকে অন্য ধর্মের ঈশ্বর না ভেবে থাকো তাহলে প্রতিমা দেখতে যাওয়ার তো কোন প্রশ্ন উঠে না।আল্লাহর সৌন্দর্য দেখতে না পেরে তুমি অধৈর্য হয়ে আরেক ধর্মের ঈশ্বরের সৌন্দর্য দেখতে গেলে তুমি আস্থা হারিয়ে ফেললে আল্লাহর উপর থেকে।এই ভেবে নিলে আমাদের ঈশ্বর আল্লাহ আর ওদের ঈশ্বর এই মূর্তিগুলো।মানি তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে তুলনা দিলে।
...
তোমার না চাইতেও তুমি "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" এর ইনকার করলে।অস্বিকার করলে আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নাই।তুমি অন্য কোন জিনিসকে আমার আল্লাহর সাথে শরিক করলে।তুমি মুসলিমের খাতা থেকে নাম কেটে নিলে।মুরতাদ হয়ে গেলে।না আমি তাদের মুসলিম মানতে পারি না।আমি কেন যাদের বুঝ আছে তাদের কেউ তাদের মুসলিম মানতে পারে না।আর একজন অমুসলিম যা ইচ্ছা করুক আমাদের মাথা ব্যাথার কোন মানে হয় না।
...
তোমরা যা ইচ্ছা করো আমার বাপের কি।কিন্তু যদি তুমি এই ভেবে থাকো "এই একবার যাই পড়ে তওবা করে নিবো।আল্লাহ তো মাফ করেই দিবে" তাহলে তোমার মতো বোকা আর কেউ নেই।আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দিবে কিন্তু শিরকের গুনাহ মাফ করবে না।তুমি বরবাদ হয়ে যাবে।হাজারো ডাকলেও আল্লাহ সারা দিবে ন।কারন আল্লাহ কোন অমুসলিমের ডাকে সারা দেন না।তাই বলছিলাম এবার যা পূজায় যাও হোলি করো যা ইচ্ছা করো আমাদের মাথা ব্যাথা নাই কারন তোমরা অমুসলিম তোমরা যা ইচ্ছা করতে পারো।
...
লেখায়-মুহাম্মাদ আরজু (পথহীন মুসাফির)
...
[বিঃদ্রঃ আমি কোন ধর্মের অবমাননা করি নি।শুধু মুসলিমদের ভালোর জন্য সত্যটা সামনে রাখলাম]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

সাদা মনের মানুষ বলেছেন:

তারা তো ওই আল্লাহর সৃষ্টি যে তোমাদের সৃষ্টি করেছে।তাহলে তোমরা অন্য ধর্মের ঈশ্বরকে সত্যিকারের ঈশ্বর ভাবে তাদের সৌন্দর্য দেখতে যাচ্ছো .........আমি ওদের পুজা দেখতে প্রায়ই যাই, কিন্তু সেটা আপনাকে কে বললো যে অন্য ধর্মের ঈশ্বরকে সত্যিকারের ঈশ্বর ভেবেই যাই!!!!!!!

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০

মুহাম্মাদ আরজু বলেছেন: @সাদা মনের মানুষ
তাহলে আপনি কি ভেবে ওইখানে যান?এইভেবে যে "আহা কি সুন্দর এই মাটির মূর্তিগুলো?অথবা আপনি এটা মেনে যান যে এই মূর্তিগুলো ওদের ধর্মের দেবতা?
শুধু শুধু তো আর অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে গিয়ে বসে থাকার কোন মানে নয় না।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

অনর্থদর্শী বলেছেন: আপনি তো মশাই দেখেছি অত্যন্ত বিচক্ষন লোক, আবার সেই সঙ্গে মানবদরদী থুড়ি ইসলামদরদীও বটে। আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন সর্বশক্তিমান আপনার জন্য বেহেশতে স্থান রেখে দিয়েছেন। অযথা বিচলিত হইয়া গুজব ছড়াইবেন না।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

অনর্থদর্শী বলেছেন: আপনি তো মশাই দেখেছি অত্যন্ত বিচক্ষন লোক, আবার সেই সঙ্গে মানবদরদী থুড়ি ইসলামদরদীও বটে। আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন সর্বশক্তিমান আপনার জন্য বেহেশতে স্থান রেখে দিয়েছেন। অযথা বিচলিত হইয়া গুজব ছড়াইবেন না।

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

রানার ব্লগ বলেছেন: দুর্গা পূজার ইতিহাসের ধারা
বাংলাদেশ, পাকিস্থান, ভারত তথা ভারতবর্ষ অথবা পৃথিবীতে দুর্গোৎসবের কালক্রমিক ইতিহাস নির্মাণ করা এখনো সম্ভব হয়নি। এ কাজের উপযোগী সুস্পষ্ট ও অনুপুঙ্খ ধারাবাহিক তথ্য-উপাত্তও পাওয়া যায়নি। কোনো ইতিহাসবিদ বা সমাজবিজ্ঞানী ভারতবর্ষ তথা পৃথিবীতে দুর্গোৎসবের উদ্ভবের ইতিহাস ও আনুষঙ্গিক ঘটনাপঞ্জি নির্ভরযোগ্য দলিলপত্র ঘেঁটে পরিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হননি। ফলে কখন, কীভাবে দুর্গোৎসব শুরু হলো--তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে পূরাণ, মহাভারত, রামায়ন, ধর্মীয় কাব্য, নানা ঐতিহাসিক গ্রন্থ ও সূত্র থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।
পরিব্রাজক, বৌদ্ধ পন্ডিত হিউয়েন সাংকে নিয়ে দুর্গাপূজার একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। চীনা ভাষায় রচিত বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাখায় বিভ্রান্ত হয়ে তিনি বৌদ্ধ ধর্মের মূল পান্ডুলিপি সংগ্রহে ৬৩০ সালে ভারত সফরে আসেন। ভারত বর্ষের নানা বিহারে বিদ্যা অর্জন করেন। ৬৩৫-৬৪৩ পর্যন্ত দীর্ঘ আট বছর তিনি হর্ষবর্ধনের রাজ সভায় ছিলেন। তবে তার কাহিনী দূর্গা, কালী, কালীর আরেক রূপ চন্ডি নাকি বন দেবীকে নিয়ে-তা নিয়ে মতবেধ আছে। তবে তার রচনায় উল্লেখ করেছেন, হর্ষবর্ধন এর সময়ে দস্যু তস্কর এর উপদ্রব খুব বেশি ছিল এবং তিনি নিজেও একাধিক বার দস্যুর হাতে নিগৃহিত হয়েছিলেন। তার প্রবাস জীবনের কোন এক সময়ে গঙ্গাপথে (প্রাচীন গঙ্গারিডি) এই পরিব্রাজক কোন বৌদ্ধ বিহারে যাচ্ছিলেন। পথে দস্যুর কবলে পড়লেন। দস্যুরা তাকে দেবী দূর্গার সামনে বলি দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে। কেউ মনে করেন, বন দেবী, কেউ মনে করেন কালী, কারণ প্রাচীনকালে নরমুন্ড ভোগ দেবার বিষয়টি বনদেবী বা কালী দেবীর জন্য প্রযোজ্য ছিল--যা এখন পাঠা দিয়ে পূরণ করা হয়। দূর্গা মাকে খুশী করার জন্য নরমুণ্ড ভোগ দেবার বিষয়টি ইতিহাস থেকে জানা যায় না। যাই হোক, বলির পূর্ব প্রস্ততি প্রায় শেষ, এমন সময় প্রচন্ড বেগে ঝড় ছুটে এল। সব আয়োজন ঝড়ের কবলে লন্ডবন্ড হয়ে গেল। ডাকাতরা জান বাঁচাতে পালাতে লাগল। সেই সুযোগে হিউয়েন সাংও পালিয়ে যান।
দুর্গা পূজা কবে, কখন, কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল--তা নিয়ে নানা মতভেদ আছে। ভারতের দ্রাবিড় সভ্যতায় মাতৃতান্ত্রিক দ্রাবিড় জাতির মধ্যে মাতৃদেবীর পূজার প্রচলন ছিল। আর্য সভ্যতায় প্রাধান্য ছিল দেবতাদের। অনার্য সভ্যতায় প্রাধান্য ছিল দেবীদের, তারা পূজিত হতেন আদ্যাশক্তির প্রতীক রূপে। মাতৃতান্ত্রিক পরিবারের গঠন, দায়িত্ববোধ ও উর্বরতা শক্তির সমন্বয়ের কথা বিবেচনা করে অনার্য সমাজে গড়ে উঠে মাতৃপ্রধান দেবী সংস্কৃতির ধারনা। ভারতে অবশ্য মাতৃরূপে দেবী সংস্কৃতির ধারনা অতি প্রাচীন। ইতিহাস থেকে প্রমান পাওয়া যায়, প্রায় ২২,০০০ বছর পূর্ব ভারতে প্যালিওলিথিক জন গোষ্ঠি থেকেই দেবী পূজা প্রচলিত শুরু হয়েছিল। হরপ্পা ও মহেন্জোদারো সভ্যতা তথা সিন্ধু সভ্যতায় এসে তা আরো গ্রহণযোগ্য, আধুনিক ও বিস্তৃত হয়। মাতৃপ্রধান পরিবারের মা-ই প্রধান শক্তি, তার নেতৃত্বে সংসার পরিচালিত হয়, তার নেতৃত্বে শত্রু নাশ হয়, আর তাই মাকে সামনে রেখে দেবী বিশ্বাসে গড়ে উঠে, গড়ে ওঠে শাক্ত সম্প্রদায় মত। এই মত অনুসারে দেবী হলেন, শক্তির রূপ, তিনি পরব্রহ্ম। শাক্ত মতে, কালী বিশ্ব সৃষ্টির আদি কারণ। অনান্য দেব দেবী মানুষের মঙ্গলার্থে তাঁর বিভিন্ন রূপে প্রকাশ মাত্র। মহাভারত অনুসারে, দুর্গা বিবেচিত হন কালী শক্তির আরেক রূপে। নানা অমিল ও বৈচিত্র থাকা সত্বেও কিভাবে কালী দূর্গার রূপের সাথে মিশে এক হয়ে গেল সে রহস্য আজো অজানা। কেউ কেউ ধারনা করেন, সিন্ধু সভ্যতায় (হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো সভ্যতা) দেবীমাতার, ত্রিমস্তক দেবতা, পশুপতি শিবের পূজার প্রচলন ছিল। দুর্গা শিবের অর্ধাঙ্গিনী--সে হিসাবে অথবা দেবী মাতা হিসাবে পূজা হতে পারে।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আছে, দুর্গা পূজার প্রথম প্রবর্তক কৃষ্ণ, দ্বিতীয় বার দুর্গা পূজা করেন স্বয়ং ব্রহ্মা আর তৃতীয়বার দুর্গা পূজার আয়োজন করেন মহাদেব। আবার দেবী ভাগবত পুরান অনুসারে জানতে পারি, ব্রহ্মার মানস পুত্র মনু ক্ষীরোধ সাগরের তীরে দুর্গার আরাধনা করে বর লাভে সফল হন। মূল বাল্মীকির রামায়ণে, দুর্গা পূজার কোন অস্থিত্ব নাই। কিন্তু কৃত্তিবাসী রামায়নে দূর্গাপূজার অস্থিত্ব আছে। কৃত্তিবাসী রামায়ণ-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এটি মূল রামায়ণের আক্ষরিক অনুবাদ নয়। মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শক্তিশালী কবি কৃত্তিবাস ওঝা সংস্কৃত রামায়ণ বাংলা করার সময় মূল রামায়ণের বাইরের তৎলালীন সমাজে প্রচলিত বাংলার সামাজিক রীতিনীতি ও লৌকিক জীবনের নানা অনুষঙ্গ, অনেক মিথ, গল্প বাংলা রামায়ণে ইচ্ছাকৃতভাবে (নাকি গৌড়েশ্বর বা অন্য কারো অনুরোধে?) ঢুকিয়ে বাংলা রামায়ণ আরো অধিক সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, তিনি সংস্কৃত রামায়ণ উপাখ্যানের এমনভাবে বঙ্গীকরণ বা বাংগালীকরন করেন--যা পড়লে মনে হবে, রামায়নের ঘটনা তার সমাজের আদি কাহিনী।
তাঁর এই অনুবাদকৃত রামায়ণ পরিচিত পায় কৃত্তিবাসী রামায়ণ নামে--যা বাংলাভাষী হিন্দু সমাজে বেশ জনপ্রিয়তা পায়, সেখানে তিনি কালিকা পুরাণের ঘটনা অনুসরণে ব্রহ্মার পরামর্শে রামের দুর্গা পূজা করার কথা উল্লেখ করেছেন। শক্তিশালী রাবনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিজয় নিশ্চিত করতে শরৎকালে শ্রী রাম চন্দ্র কালিদহ সাগর থেকে ১০১ টি নীল পদ্ম সংগ্রহ করে প্রাক্ প্রস্তুতি হিসাবে দুর্গা পূজা করে দুর্গার কৃপা লাভ করেন বলে কৃত্তিবাস ওঝা বর্ণনা করেছেন। তবে দুর্গা পূজার সব চাইতে বিশদ বর্ননা পাওয়া যায় মার্কন্ডুয়ে পুরানে। যেখানে মহির্ষী জৈমিনি ও মহির্ষী মার্কন্ডুয়ের কথোপকথনের ভিত্তিতে পুরাণটি রচিত হয়। এই পুরাণের মধ্যে তেরটি অধ্যায় দেবীমহাত্ম্যম নামে পরিচিত। বাংলায় শ্রীশ্রী চন্ডি নামে সাতশত শ্লোক বিশিষ্ট দেবী মহাত্ম্যম পাঠ আছে--যা দুর্গা পূজার প্রধান ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পূজার আসরে স্থায়ী হয়ে গেছে ।
সনাতন ধর্মের আর্য ঋষিরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের প্রতীক হিসাবে দেবী দুর্গার আশীর্বাদ লাভের জন্য আরাধনা করতেন। মার্কন্ডুয়ে পুরান (Markandeya Purana ) মতে, চেদী রাজবংশের রাজা সুরাথা(Suratha) খ্রীষ্ঠের জন্মের ৩০০ বছর আগে কলিঙ্গে (বর্তমানে ওড়িষ্যা) Duseehera নামে দুর্গা পুজা প্রচলন করেছিল। নেপালে Duseehera বা Dashain নামেই পুজা হয়। যদিও প্রাচীন ওরিষ্যার সাথে নেপালের পূজার যোগসূত্র আছে কিনা সে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। পুরাণ মতে, দুর্গা পূজার ইতিহাস আছে কিন্ত ভক্তদের কাছে সেই ইতিহাস প্রামানিক নয়, বিশ্বাসের।
মধ্য যুগে বাংলা সাহিত্যে দুর্গা পূজার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে আছে দুই ধরনের স্থাপত্যরীতি মন্দির। প্রাচীনতমটি পঞ্চরত্ন দেবী দূর্গার--যা সংস্কারের ফলে মূল চেহেরা হারিয়েছে। মন্দিরের প্রাচীন গঠনশৈলী বৌদ্ধ মন্দিরের মত। দশম শতকে এখানে বৌদ্ধ মন্দির ছিল--পরবর্তীতে কিভাবে সেন আমলে হিন্দু মন্দির হয়েছিল--তা ইতিহাসে লিখা না?। ১১শ বা ১২শ শতক থেকে এখানে কালী পূজার সাথে দূর্গা পূজাও হত। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস সম্পর্কে নানা কাহিনী প্রচলিত আছে। ধারণা করা হয় যে, সেন রাজবংশের রাজা বল্লাল সেন ১২শ শতাব্দীতে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে সেই সময়কার নির্মাণ শৈলীর সাথে এর স্থাপত্যকলার মিল পাওয়া যায় না বলে অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন। তবে বিভিন্ন সময়ে এই মন্দিরের গঠন ও স্থাপনার নানা ধরনের পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে। ইতিহাসবিদ দানীর মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে রমনায় কালী মন্দির নির্মিত হয়েছিল এবং এখানেও কালী পূজার সাথে দুর্গা পূজা হত।
১১শ শতকে অভিনির্ণয়-এ, মৈথিলী কবি বিদ্যাপতির ‌‌‌‌দুর্গাভক্তিতরঙ্গিনীতে দুর্গা বন্দনা পাওয়া যায়। বঙ্গে ১৪শ শতকে দুর্গা পূজার প্রচলন ছিল কিনা ভালভাবে জানা যায় না। ঘটা করে দূর্গা পূজা চালুর আগে কিছু কিছু উচ্চ বর্ণ হিন্দুদের গৃহকোণে অত্যন্ত সাদামাঠা ভাবে ঘরোয়া পরিবেশে এই পূজা চালু ছিল। আর ঘটা করে দূর্গা পূজার ইতিহাস, খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। তবে কখন থেকে ঘটা করে এই পূজা চালু হল--তা নিয়ে পরিষ্কার বিশ্বাসযোগ্য ঐতিহাসিক কোন প্রমান পাওয়া যায় না। যতটুকু জানা যায় তা হল, কারো মতে, ১৫০০ খ্রীষ্টাব্দের শেষের দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দুর্গা পূজা করেন। আবার কারো মতে, ষোড়শ শতকে রাজশাহী তাহেরপুর এলাকার রাজা কংশ নারায়ন প্রথম দুর্গা পূজা করেন। ১৫১০ সালে কুচ বংশের রাজা বিশ্ব সিংহ কুচবিহারে দুর্গা পূজার আয়োজন করেছিলেন। অনেকে মনে করেন, ১৬০৬ সালে নদিয়ার ভবনানন্দ মজুমদার দুর্গা পূজার প্রবর্তক। ১৬১০ সালে কলকাতার বারিশার রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গা পূজার আয়োজন করেছিল বলে ধারণা করা হয়। ১৬১০ সালে কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবার দুর্গার ছেলে মেয়ে সহ সপরিবারে পূজা চালু করেন।
১৭১১ সালে অহম রাজ্যের রাজধানী রংপুরে ? শারদীয় পূজার নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের দূত রামেশ্বর নয়ালঙ্কার। নবাব সিরাজ-উদ-দ্দৌল্লার আক্রমনে কলকাতার একমাত্র চার্চ ধ্বংশ হবার পর সেখানে কোন উৎসব করা অবস্থা ছিল না। পলাশীর যুদ্ধে বিজয় লাভের জন্য ১৭৫৭ সালে কলকাতার শোভা বাজার রাজবাড়িতে রাজা নব কৃঞ্চদেব লর্ড ক্লাইভের সন্মানে দুর্গা পূজার মাধ্যমে বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছিলেন।
আধুনিক দুর্গা পূজার প্রাথমিক ধাপ ১৮ম শতকে নানা বাদ্যযন্ত্র প্রয়োগে ব্যক্তিগত, বিশেষ করে জমিদার, বড় ব্যবসাযী, রাজদরবারের রাজ কর্মচারী পর্যায়ে প্রচলন ছিল। বাংলাদেশের সাতক্ষীরার কলারোয়ার ১৮ শতকের মঠবাড়িয়ার নবরত্ন মন্দিরে (১৭৬৭?) দুর্গা পূজা হত বলে লোকমুখে শোনা যায়। পাটনাতে ১৮০৯ সালের দুর্গা পূজার ওয়াটার কালার ছবির ডকুমেন্ট পাওয়া গেছে। ওরিষ্যার রামেশ্বরপুরে একই স্থানে ৪০০ শত বছর ধরে সম্রাট আকবরের আমল থেকে দুর্গা পূজা হয়ে আসছে। জমিদার বাড়ি থেকেই এই পূজার প্রচলন হয়েছিল। বর্তমানে দুর্গা পূজা দুইভাবে হয়ে থাকে, ব্যক্তিভাবে, পারিবারিক স্তরে ও সমষ্ঠিগতভাবে, পাড়া স্তরে। সমষ্ঠিগতভাবে, বার ইয়ার বা বারোয়ারী পূজা ১৭৯০ সালের পশ্চিম বঙ্গের হুগলি জেলার গুপ্তি পাড়াতে বার জন বন্ধু মিলে টাকা পয়সা (চাঁদা) তুলে প্রথম সার্বজনীনভাবে বড় আয়োজনে দুর্গা উৎসব পালন করেন--যা বারোইয়ার বা বারবন্ধুর পূজা নামে ব্যাপক পরিচিতি পায়। কাসীম বাজারের রাজা হরিনাথ ১৮৩২ সালে বারোইয়ারের এই পূজা কলকাতায় পরিচিত করান। পরে তাদের দেখাদেখি আস্তে আস্তে তা উচ্চ বর্ণের হিন্দু বাঙ্গালী জমিদারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সম্ভবত সেই থেকে বারোয়ারী পূজা শুরু। ১৯১০ সালে সনাতন ধর্ম উৎসাহিনী সভা ভবানীপুরে বলরাম বসু ঘাট লেনে এবং একই জেলায় অন্যান্যরা রামধন মিত্র লেন, সিকদার বাগানে একই বছরে ঘটা করে প্রথম বারোয়ারী পুজার আয়োজন করে।
১৯২৬ সালে অতীন্দ্রনাথ বোস জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে পূজা উৎসবে অংশ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে দূর্গা পূজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল (যেমন, কবি নজরুলের আনন্দময়ীর আগমনে কবিতা, বঙ্কিচন্দ্রের বন্দে মা তরম কবিতা, পরবর্তীতে ভারতের জাতীয় সংগীত...)। বৃটিশ বাংলায় এই পূজা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দুর্গা স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে জাগ্রত হয়। বিংশ শতাব্দির প্রথমার্ধে এই পূজা ঐতিহ্যবাহী বারোয়ারী বা কমিউনিটি পূজা হিসাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে। আর স্বাধীনতার পর এই পূজা পৃথিবীর অন্যতম প্রধান উৎসবের মর্যাদা পায়।
সরকারী বা জাতীয়ভাবে এই উৎসবকে দুর্গা পূজা বা দুর্গা উৎসব হিসাবে অভিহিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় এটাকে শরৎ কালের বার্ষিক মহা উৎসব হিসাবে ধরা হয় বলে ইহাকে শারদীয় উৎসবও বলা হয়। রামায়ন অনুসারে, অকালে বা অসময়ে দেবীর আগমন বা জাগরণ বলে শরৎকালের দুর্গা উৎসবকে অকালবোধনও বলা হয়। বসন্তকালের দুর্গা পূজাকে বাসন্তী পূজা বলা হয়। ধর্মীয় শাস্ত্রে এবং বিভিন্ন দেশে আমরা দুর্গার বিভিন্ন নাম পাই--যেমন, মহিষ মর্দিনী, শূলিনী, পার্বতী, কালিকা, ভারতী, অম্বিকা, গিরিজা, বৈষনবী, কৌমারী, বাহারী, চন্ডী, উমা, লক্ষী, হৈমবতী, কমলা, শিবানী, যোগনিদ্রা প্রভৃতি নামে ও রূপে মায়ের পূজা হয়ে থাকে।
কোথাও কোথাও দেখা যায় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ দিকে এই পূজা শুরু হয় | দিনাজপুর ও মালদার জমিদার এই পূজা প্রচলন করেন , অন্যমতে তাহেরপুরের জমিদার কীর্তিনারায়ন ১৫৯০ তে কলিকালে অশ্বমেধ যজ্ঞ করে ফল লাভের আশায় আশ্বিন মাসে এই পূজা করেন | কলকাতার প্রথম বাড়ির পুজো হয় বেহালা সখেরবাজার অঞ্চলে । খানিকটা ভেতর দিকে গেলেই চোখে পড়বে দ্বাদশ শিবমন্দির। ঠিক ভগ্নদশা বলা যায় না তবে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে পরের প্রজন্ম হয়তো তাই-ই বলবে। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তারা।মোগল সেনাপতি মানসিংহ কামদেব ব্রহ্মচারীর পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হয়ে তারপুত্র লক্ষ্মীকান্তকে তিনটি গ্রামের জমিদারী দান করেন। সাবর্ণ গোত্রীয় রায়চৌধুরী পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে, শহর কলকাতার গোড়াপত্তন এই ঘটনা থেকেই।
কলিকাতা, গোবিন্দপুর, সুতানুটী— এই তিন গ্রামের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতির
জন্য জমিদার লক্ষ্মীকান্ত, হালিশহরের আদি বসতি ছেড়ে বরিষা (এখনকার
বেহালার সখেরবাজার অঞ্চল) গৃহ নির্মাণ করলেন, সঙ্গে আটচালা দেবদালান এবং১৬১০ খ্রিস্টাব্দে আয়োজন করেন কলকাতা শহরের প্রথম পারিবারিক পুজো।
নদীয়ার জমিদার ভবনেন্দ্র মজুমদার ১৬০৬ (?) এই পূজা করেন |অষ্টাদশ শতাব্দিতে শোভাবাজার রাজবাড়ীর রাজা নবকৃষ্ণ দেব সহ অনেকেই এই পূজা শুরু করেন |বারোয়ারী পূজা প্রথম শুরু হয় ১৭৯০ সালে হুগলী জেলার গুপ্তি পাড়ায় (১২ জন বন্ধু মিলে এই পূজার আয়োজন করেন এটা ছিল জগদ্ধাত্রী পূজা), কলকাতায় এই পূজা শুরু হয় কাশিমবাজার এ রাজা হরিনাথ এর সময়|
বারোয়ারী পূজা , সত্যিকার অর্থে সার্বজনীন পূজা হয়ে ওঠে ১৯১০ এ ...সনাতন ধর্মত্সহিনী সভা এই পূজার আয়োজন করে...
বাংলাদেশে এই পূজা প্রথম শুরু হয় রাজশাহীর তাহেরপুরে সপ্তদশ শতাব্দিতে .....( বাংলাদেশে দূর্গা পূজার পূর্ণ ইতিহাস কারো জানা থাকলে এখানে দিতে অনুরোধ করছি..)
markondeo পুরাণ মতে মহিষাসুর মর্দিনী দ্বিভূজা,চতুর্ভূজা, অষ্টভূজা, দশভূজা,অষ্টাদশভূজা বা সহস্রভূজা হতে পারে |সহস্রভূজা ছাড়া আর প্রায় সব মূর্তি পূজা করা হয় বিভিন্ন জায়গায় | এই পূজার বিশেষত্ব এই যে সিংহবাহিনী, মহিষাসুর মর্দিনী দূর্গা পূজিত হন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক,গনেশ এর সাথে..
দুর্গা পূজা ভারতে অসম, বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে উৎযাপন করা হয়। সেখানে পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়। পশ্চিম বঙ্গ ও ত্রিপুরায় সবচেয়ে বড় সামাজিক, সাংস্কৃতিক উৎসব হিসাবে ইহা পালিত হয়। এসব স্থানে বাঙ্গালী হিন্দুরা ব্যাপক সংখ্যায় বসবাস করে। বাঙ্গালী হিন্দুদের বাইরে এ পূজা অতীতে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল না। বর্তমানে পূর্ব ভারতের কলকাতা, হুগলী, শিলিগুড়ি, কুচবিহার, লতাগুড়ি, বাহারাপুর, জলপাইগুড়ি এবং ভারতের অন্যান্য অঞ্চল যেমন, আসাম, বিহার, দিল্লী, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাট, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, কেরালায় ঘটা করে এই উৎসব পালন করা হয়। নেপালে ও ভুটানেও স্থানীয় রীতি-নীতি অনুসারে প্রধান উৎসব হিসাবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশের ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বগুরা এবং অন্যান্য জেলায়ও ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করা হয় এবং সরকারীভাবে এক দিনের এবং হিন্দুদের জন্য তিন দিনের ছুটি ঘোষনা করা হয়। বিদেশে যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, জামার্নী, নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, ফিজি, টোবাকো, কুয়েত, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের বহু দেশে অভিবাসী হিন্দুদের বা বাঙালী হিন্দুদের নানা সংগঠন এই উৎসব পালন করে থাকে। ২০০৬ সালে, মহাদুর্গা পূজা অনুষ্ঠান ব্রিটিশ মিউজিয়ামের গ্রেট কোর্টে অনুষ্টিত হয়েছিল। বঙ্গে এই পূজাকে শারদীয় পূজা, শারদোৎসব, মহা পূজা, মাযের পূজা, ভগবতী পূজা এবং বসন্তকালে বাসন্তী পুজা হিসাবে উৎযাপন করা হয়। বিহার, আসাম, উড়িষ্যা, দিল্লী, মধ্যপ্রদেশ--এ দুর্গা পূজা, মহারাষ্ট, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, কেরালায়, হিমাচল প্রদেশ, মহীশুর, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশে এ পূজাকে নবরাত্রি পূজা বলা হয়।
সূত্রঃ ---
১. দুর্গা পূজা, উইকিপিডিয়া, ফ্রি এনসাইক্লোপিডিয়া
২. বাংলাদেশ ও পাক ভারতের ইতিহাস, জে.এম. বেলাল হোসেন সরকার, আনোয়ারুল হক মজুমদার, আবদুল আউয়াল
৩. ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী, মুনতাসীর মামুন
৪. দৈনিক পত্রদূত, সাতক্ষীরা
৫. ঢাকেশ্বরী মন্দির, উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ
৬. প্রবন্ধ শব্দাঞ্জলিতে দুর্গাপূজা, হরিপদ ভৌমিক, নতুন বাংলার মুখ পত্রিকা, আশ্বিন ১৪১৪, অক্টোবর ২০০৭, পৃ. ১৬৩-৬৪ দ্রঃ
৭. রামায়ণ কৃত্তিবাস বিরচিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ও ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় লিখিত ভূমিকা সম্বলিত, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, ১৯৫৭ সংস্করণ)

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৪

আহা রুবন বলেছেন: পুজায় গেলে মুসলমান থাকবে না, ঈদে সেমাই খেলেই কি কেউ মুসলমান হবে? চমৎকার! ধর্ম যেন কচুপাতার পানি!

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: বর্তমানের মুসলমানরা এসব শুনতেই পারে না। ব্লাডি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

শেখ আশেক ইব্রাহীম জিহাদ বলেছেন: মুহাম্মাদ আরজু আপনি সমালোচক, সত্যালোচক না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.