| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুহাম্মাদ আরজু
একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।
আচ্ছা আমি যদি কাশ্মীরের মুক্তির জন্য আওয়াজ তুলে পাকিস্তানের পক্ষে বলি তাহলে কি আমার জিহ্বা কেটে ফেলা হবে?
অথবা,
কাশ্মীরিদের আত্মনাদ দেখে ভারতের উপর রাগে যদি আমার চোখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় তাহলে কি তা উঠিয়ে ফেলা হবে?
অথবা,
আমার হাতের আঙ্গুল যদি কিবোর্ড স্পর্শ করে ভারতের নিন্দা জানায় তাহলে কি তা কেটে টুকরো টুকরো করা হবে?
অথবা,
আমার দেহ যদি পাকিস্তানীদের সাথে হুংকার দিয়ে উঠে তাহলে কি আমাকে নব্য রাজাকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হবে?
...
এইসব হলেও আমি আশ্চর্য হবো না।কারন আমার দেশের মন্ত্রী পরিষদ আর সরকার বাহাদুর ভারতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।এখন আমি যদি পাকিস্তানের পক্ষে একটা কথাও বলি তাহলে আমাকে এইসব করতেই পারে।কারন জোড় যার মূলক তার।এই দেশে ক্ষমতাবানদের বিপক্ষে যাওয়া মানেই তো দেশের ক্ষতি চাওয়া।কাশ্মীর মুক্তি চায় যেমনটা বাংলাদেশ চেয়েছিলো ১৯৭১ সালে।তখন বাংলাদেশ সঠিক ছিল তাই আল্লাহ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে।এখন কাশ্মীর স্বাধীনতা চাইছে মুক্তি চাইছে যদি তারা সঠিক হয় তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তাদের পক্ষে থাকবেন।
...
মহানবী (সঃ) বলেছেনঃ
মুসলিমগণ সকলে মিলে যেন একটি মানুষ-
যার চোখে ব্যাথা হলে গোটা দেহ অস্থির হয়,
মাথায় ব্যাথা হলেও গোটা দেহ অস্থির হয়। (নুমান ইবনে বাশীর রা.-এর সূত্রে সহীহ মুসলিম, হাদীস :২৫৮৬)
কাশ্মীরের মুসলিম গুলিও এর ব্যতিক্রম না।তারা মুসলিম হিসেবে আমার একটা অঙ্গ।আর আমার অঙ্গে প্রতিনিয়ত আঘাত করছে ভারত।এখন আমার অঙ্গ মুক্তি চায় স্বাধীন হতে চায়।শব্দগুলো শুধু শব্দ নয় আরো বেশি কিছু।যদি কোন মুসলিমের ক্ষতিতে নিজের ক্ষতি মনে না হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনি এখনো মুসলিম হতে পারেন নি।শব্দ গুলো দিয়ে এই বুঝায় নিজের অঙ্গের যেমন কোন ক্ষতি হলে যেই দুঃখ পাওয়া যায় অন্য কোন মুসলিমের ক্ষতিতে তেমন দুঃখই পাওয়া উচিত।
...
আবার আল্লাহতালা বলেনঃ
মুমিনগণ তো একে অপরের ভাই ...।-সূরা হুজুরাত (৪৯) :১০
এই হিসেবে আমরা একে অপরের ভাই।ভাই বলতে শুধু ডাক ভাই নয়।নিজের আপন ভাইয়ের মতো ভাই।নিজের ভাইয়ের ক্ষতি হলে যেমন মানুষ রাগান্বিত হয় তেমনি কোন মুসলিম ভাইয়ের ক্ষতি হলেও তেমনই রাগান্বিত হওয়া উচিত।কাশ্মীরের প্রতিটা মুসলিম আপনার ভাই আপনার মা আপনার বোন।এখন আপনার ভাইকে যদি কেউ গুলি করে হত্যা করে কেউ যদি আপনার বোনকে ঘরে গিয়ে তার যোনীদ্বারে রাইফেল ঢুকিয়ে গুলি করে আপনার মাকে মাথা ফাটিয়ে মেরে ফেলে তাহলে কি আপনি চুপ থাকবেন?নিশ্চই না।আমিও চুপ নেই।না এটা ভারতবিদ্বেষ বা পাকিস্তান প্রীতি না।এটা মুসলিম ভ্রাতৃত্বের টান।
...
হয়তোবা এই কারনে আমার বডির পার্টসগুলো আলাদা হয়ে যাবে কিন্তু মন মনের জায়গায়ই থাকবে আর মনের কানেকশন তারবিহীন আল্লাহ পর্যন্ত যায়।ওটা তো আর থামাতে পারবে না।হয়ত আমার দেশের সব সহায়তা ভারকে করবে।তাদের হাতে জোড় যা ইচ্ছা করবে।এখন আমরা শুধু দোয়া করতে পারি।মন ভরে দোয়া করতে পারি।যেদিকে কিচ্ছু কাজে আসে না ওইদিকে দোয়া কাজ করে।কাশ্মীরিদের জন্য একটু দোয়া করুন তারা যাতে মুক্ত হতে পারে।
...
লেখায়-মুহাম্মাদ আরজু (পথহীন মুসাফির)
২|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: পাকিস্তান মুসলিম প্রধান দেশ ঠিক আছে, কিন্তু ৭১ ইস্যুতে তা আমাদের শত্রু দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এ শত্রুতার মাত্রা বেড়ে যায় যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। পাকিস্তান বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতে চায়, কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজের স্বার্থেই এই শত্রুতা জিইয়ে রেখেছে। তবে বিভিন্নভাবে পাকিস্তান এবং আওয়ামী লীগ তাদের স্বার্থও দেখে আসছে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে পাকিস্তানের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া যুদ্ধাপরাধীদের কোন উপকারে না আসলেও আওয়ামী লীগের জন্য তা আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
তাই যে কোন ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন জানানো এদেশে স্বাধীনতা বিরোধী কার্যকলাপের আওতায় পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
অরিন্দম চক্রবত্রী বলেছেন: জনঘিরা ও ভাই।