নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সঙ্গেসার করুন ধর্ষন রোধ করুন"

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

একটা ৫ বছরের বাচ্চাকে ধর্ষন করা কেমন মানসিকতার পরিচয় দেয় তা আমার বলার উপেক্ষা রাখে না।এইত গেল প্রায় ৬ বছর আগে ওর বাবা ওর মায়ের মিলনের ফলে ওর জন্ম এই মেয়ে কি বুঝে এইসব জিনিসের কথা।তাদের মাথায় কেমন পাগলামি উঠল যে এই মেয়েকে দিয়েই তাদের মনের স্বাদ মিটাতে হবে।কত নিকৃষ্ট হলে একটা বাচ্চা মেয়ের যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে নিজের যৌনাঙ্গের জন্য যায়গা বানাতে পারে?এই তো মাত্র পাঁচ বছরের বাচ্চা যদি কোন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে বা মহিলার যৌনাঙ্গও ব্লেড দিয়ে কাটা হতো তাহলে সেও মারা যেত।কি দেখে এই বাচ্চা মেয়ের প্রতি তাদের উত্তেজনার সৃষ্টি হলো?
...
আমি একটা পাগলের কথা শুনেছি যে নাকি বছরে ২-৩ বার প্রেগন্যান্ট হয়।রেলি?একজন পাগলকে দেখলেও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়?ভাগ্য তো ভালো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের লোকেরা তাকে এবোশন করায়।একজন পাগলকে তো আর আটকে রাখা যায় না যার কারনে সে বারবার মানুষ নামের জানোয়ারের দ্বারা ধর্ষিত হয়।আবার একটা ঘটনা শুনতে পেয়েছিলাম কবর থেকে এক মেয়েকে তুলে ধর্ষন করা হয়েছে।জিন্দা মানুষ তো বুঝলাম মুর্দা মানুষকে দেখেও উত্তেজনা হয়।কোন দেশে বাস করছি রে ভাই?আচ্ছা এই লোকগুলা কারা?আপনার আমার সাথেই তো চলছে?তাদের এই খারাপ কর্মতে আমরাই হয়তো উৎসাহ দিচ্ছি।
...
কারন ইসলামের ধর্ষনের ব্যাপারে রীতি আছে "সঙ্গেসার" করে দেওয়া।মানি জানের বদলে জান নিয়ে নেওয়া।ধর্ষনের ব্যাপারে রীতি হলো, যদি কেউ ধর্ষন করে আর তা কেউ জানার আগে ধর্ষনকৃত মহিলার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আনা যায় আমি উত্তেজনার চোটে ভুল করেছি আমাকে ক্ষমা করুন আল্লাহর কসম লাগে আর কোনদিন এই ভুল হবে না।যদি এইভাবে বলে কেউ জানার আগে ধর্ষনকৃত মহিলা ক্ষমা করে দেন তাহলে আল্লাহও ক্ষমা করে দিবেন।আর যদি ধর্ষনের ব্যাপার সবাই জানতে পারে তখন সবার কর্তব্য হয়ে দাড়ায় ধর্ষনের জন্য তার "সঙ্গেসার" করে দেওয়া।এটা মানুষের কর্তব্য।সবাই জানার পরেও যদি ধর্ষনকৃত মহিলা ক্ষমা করে তাহলেও চলবে না তখন মানুষদের উপর "সঙ্গেসারের" কর্তব্য এসে পরে এতে কেউ পিছে চলে গেলে সে আল্লাহর বিধানের অকৃতজ্ঞ করল।
...
"সঙ্গেসারের"নিয়মানুযায়ী ধর্ষনকারীকে কমড় পর্যন্ত মাটিতে গেড়ে রেখে জুম্মার পর সব মুসুল্লির সামনে তাকে সবাই ঢিল দিয়ে মেরে ফেলা।আল্লাহ এই নিয়ম দিয়েছেন কারন তিনি বলেন "সঙ্গেসারের ক্ষেত্রে একটা জান গেলে দশটা জান ফেরত আসে"।তাফসীর কারকরা বলেনঃ যখন সঙ্গেসারের নিয়ম অনুষ্ঠিত হয় তখন সবাই জানতে পারে এই কাজের জন্য তার এই শাস্তি।তখন যারা ওই কাজটা করার জন্য মনে মনে পায়তারা করছিল তারা ভয়ে ওই কাজটা আর করে না।তাদের মনে ভয় থাকে তাকেও যদি এই শাস্তি দেওয়া হয়।এজন্য তারা ওই কাজ থেকে বিরত থাকে যার কারনে ইসলামিক কান্ট্রিগুলাতে ধর্ষনের মতো অপরাধ কম।
...
কিন্তু আমাদের দেশে ধর্ষন করলে কি হয়?বড়জোর ৩ মাসের জেল তারপর টাকা দিয়ে জামিন করিয়ে বেরিয়ে যায়।এর মানি দাড়ায় তাকে আরেকটা ধর্ষনের সুযোগ দেওয়া হলো আর তাকে দেখে অনেকেই ভেবে নিলো "ধর্ষন করলে কি আর হবে?তার মতো বের হয়ে যাবো নে।তারা প্রশ্রয় পেয়ে যায় ধর্ষন করার জন্য।তাই আমাদের দেশে এত ধর্ষন।RIP শব্দটাকে আমি ভারতের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতাম rape in progress হিসেবে কিন্তু ভারতের মতো আমাদের দেশেও যে পরিমাণ ধর্ষন হচ্ছে তাতে পৃথিবীর বুকে ধর্ষনের ক্ষেত্রে আমাদের দ্বিতীয় হতে খানিক সময় লাগবে।পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পারি এমুক জায়গায় এই ধর্ষন অমুক জায়গায় ওই ধর্ষন।মানি ভারতের সব ট্রেডিশন ফলো করার সাথে সাথে ধর্ষনকেও ফলো করা শুরু হয়ে গেছে।তাই বলছিলাম দেশে ইসলামের আইন করুন ধর্ষন তো দূরের কথা।যারা ধর্ষনের কথা ভাববে তাদের দর্শন করার অবস্থা থাকবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: কাউকে সঙ্গেসার করে দেখানো গেলে তার মধ্যে কোনভাবেই আর ধর্ষণের ইচ্ছা জাগবেনা। মুসলিম দেশ যেগুলোতে ইসলামী আইন মানবতার তোয়াক্কা না করে কার্যকর করা হয় - সেসব দেশে এরকম অপরাধ বলতে গেলে ঘটেই না।

শিশু ধর্ষণের প্রধান কারণ হল সে তেমন বাধা দিতে পারেনা, বা কে করল - তাও চিহ্নিত করতে পারেনা। তাই অপরাধ করে খুব সহজেই পার পাওয়া যায়।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন:

ঠি

ধর্ষনকারীকে কমড় পর্যন্ত মাটিতে গেড়ে রেখে জুম্মার পর সব মুসুল্লির সামনে তাকে সবাই ঢিল দিয়ে মেরে ফেলা হোক বাচ্চা
নট এলাও

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.