নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মুসলিমরা কখনো সাম্প্রদায়িক ছিল না আর হবেও না"

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

১:আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন,ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে
ভালবাসেন। (৬০:৮)

২:যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কৃত করেছে এবং বহিস্কার কার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম। (৬০:৯)

৩:তোমরা অন্য ধর্মের ঈশ্বরকে গালি দিও না তাহলে তারা অজ্ঞাতবশত তোমার আল্লাহকে গালি দিবে।
...
তিনটা আয়াত আপনাদের সামনে রাখলাম কারন সবাই বলে ইসলাম সাম্প্রদায়িক মুসলিমরা সাম্প্রদায়িক।সৃষ্টির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইসলাম কখনোই সাম্প্রদায়িক ছিল না আর আল্লাহর জাতের কসম কখনো হবেও না।কিন্তু বাকি ধর্মগুলো সবসময় মুসলিমদের উপর সাম্প্রদায়িকতার বোঝা চাপিয়ে দেয়।যেইখানে কোরআনে আল্লাহ স্পষ্ট বলে দিয়েছেন শুধুমাত্র তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা যাবে না যারা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে অথবা আমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে অথবা তাদের সাহার্য্য করেছে।সাধারনত মুসলিমরা কেন কেউ পছন্দ করবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যারা তার ক্ষতি করে।এমনকি আল্লাহ অন্য ধর্মের কোন ঈশ্বরকে গালি দিতেও মানা করেছে।এখন যারা অন্য ধর্মের ক্ষতি করে তারা অবশ্যই আল্লাহর কথার অমান্য করেছে আর যারা অমান্য করে তারা অবশ্যই মুসলিম না।
...
একদিন মহানবী (সঃ) সাহাবীদের নিয়ে মসজিদে নববীতে বসা ছিলেন।মসজিদে নববীর অবস্থা খুবই সোজা-সাপ্টা ছিল যার কারনে এক অমুসলিম বুঝতে না পেরে মসজিদে নববীতে ঢুকে এক কোণায় গিয়ে প্রশাব করতে থাকে তখন সাহাবীগন রাগে ফেটে পড়ে কিন্তু মহানবী (সঃ) তাদের শান্ত করেন।পরে যখন লোকটির প্রশাব শেষ হয় মহানবী (সঃ) তাকে ডেকে বলে "ভাই এটা প্রশাবখানা নয় এটা মুসলিমদের পবিত্র উপাসনালয়।লোকটি তখন তার ভুল বুঝতে পারে।
...
আরেকটা ঘটনা বলবঃ
উমর ফারুক (রাঃ) এর শাসনামলে কিছু উগ্র হিন্দু তাদের মুর্তির নাক ভেঙ্গে ফেলে যার কারনে পুরো রাজ্যে হইচই হতে থাকে।সবার ধারনা ছিল কোন মুসলিম এই কাজটা করেছে।তারা যখন উমর ফারুক (রাঃ) এর কাছে বিচারের দাবি করে তখন উমর ফারুক (রাঃ) জিজ্ঞাস করেন "তোমরা কি সত্যিই ভাবছো কোন মুসলিম এই কাজটা করেছে?তারা উত্তরে হ্যা বলে তখন উমর ফারুক (রাঃ) বলেঃ তোমরা যদি সত্যিই মনে করো কোন মুসলিম এই কাজ করেছে তাহলে তরবারি দিয়ে আমার নাকটা কেটে নিয়ে যাও।
...
যদি ইসলাম সাম্প্রদায়িক হতোই তাহলে মহানবী (সঃ) প্রশাব করা লোকটাকে না বুঝিয়ে সাহাবীদের বলতেন তাকে হত্যা করার জন্য।কিন্তু ইসলাম সুন্দর ইসলাম অসাম্প্রদায়িক যার কারনে লোকটার এত বড় ভুলও ক্ষমা করেছিলেন।যদি ইসলাম সাম্প্রদায়িক হতোই তাহলে উমরা ফারুক (রাঃ) হিন্দুদের মুর্তি ভাঙ্গার জন্য নিজের নাক কেটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেন না।আরো অনেক ঘটনা আছে যা বলতে বাধ্য করে ইসলাম কখনো সাম্প্রদায়িকতা শেখায় নি আর শেখাবেও না।
...
কিন্তু পৃথিবীর যেই জায়গায়ই অমুসলিমদের কোন উপাসনালয়ে হামলা হলেই মুসলিমদের উপর সাম্প্রদায়িকতার তকমা লেগে যায়।সম্প্রতি বাক্ষ্মনবাড়িয়ায় প্রতিমা ভাংচুরেও এমন ঘটনা শুনতে পেলাম যে মুসমিলরা সাম্প্রদায়িক।তাই তারা "হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জোট" বের করে নিন্দা জানাচ্ছে।আচ্ছা এই পরিষদের ব্যানার কি অসাম্প্রদায়িকতা বোঝাচ্ছে?এই পরিষদের লোকগুলা কি অসাম্প্রদায়িক?যদি তারা অসাম্প্রদায়িক হতো তাহলে আর মুসলিমদের এক সাইডে রেখে তারা ঐক্য পরিষদ গড়ে তুলতো না।অবশ্যই তারা মুসলিমদের শত্রু ভাবে তা না হলে এমন পরিষদের কোন মানে হয় না।এটা কখনো অসাম্প্রদায়িকতা হতে পারে না।যারা প্রতিমা ভাংচুর করেছে তারা মুসলিম না তারা এই লোকগুলারই একটা অংশ যাতে করে মুসলিমদের ব্যাপারে মানুষের ভুল ধারনা জন্মায়।সর্বশেষ একটা কথাই বলবো মুসলিমরা কখনো সাম্প্রদায়িক ছিল না আর হবেও না।
[আমি শুধু মুসলিমদের কথা বলেছি।নামধারী মুসলিমদের কথা না]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৭

আহা রুবন বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। কিন্তু সেই সব জঙ্গী-সন্ত্রাসী তো আপনাকেই বলবে আপনি খাঁটি মুসলমান নন। আর এই ভুল বার্তাটাই পৌঁছাচ্ছে অমুসলিমদের কাছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.