নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা কথাই বুঝি \"হয়ত প্রতিবাদ করো নয়ত মরো\"

মুহাম্মাদ আরজু

একজন পরিপূর্ন মায়ের কাছে তার ছেলে একটা রাজপূত্র।আর আমি আমার মায়ের রাজপূত্র।

মুহাম্মাদ আরজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"এমন পড়ালেখা করে বড়লোক হওয়া যায় ভাললোক নয়"

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

আমরা মুসলিমদের রীতি অনুযায়ী ছেলে হলে ডান কানে আযান আর বাম কানে একামত দেওয়া হয়।আর মেয়ে হলে বাম কানে আযান ডান কানে একামত দেওয়া হয়।অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রেও এমন রীতি থাকতে পারে এই ব্যাপারে আমার কোন ধারনা নেই।
...
কিন্তু যেই রীতিই হোক তা করার সময় মুখে যা বলা হবে তাই অন্তরে থাকা চাই অন্যথায় মুখেরটার বদলে অন্তরেরটা পূরন হবে।এখন কথা হলো আমাদের দেশে কোন সন্তান হলে এই ধরনের রীতি করার সময় প্রায় সব বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ মনে পোষন করে রাখে।
...
যেমন আমার ছেলে/মেয়ে ডাক্তার হবে,ইঞ্জিনিয়ার হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।কি আজিব একটা কথা?যেই ছেলেটা/মেয়েটা মাত্র দুনিয়ায় আলো দেখে কেঁদে উঠল তার ভবিষ্যৎ বাবা-মা এখনই নির্ধারণ করে ফেলেছে।পরবর্তীতে ছেলেটাকে/মেয়েটাকে তাদের টার্গেট পূরন করতেই হবে,যেকোন পরিস্থিতিতে।যেমন আমাদের দেশের সিম কোম্পানির এস,আর গুলোকে একটা টার্গেট দিয়ে প্রতিদিন ছাড়া হয়।টার্গেট পূরন করতে না পারলে বকা শুনতে হয়।
...
ঠিক এমনই ব্যাপারটা।প্রতিনিয়ত ছেলেমেয়ের মনে ভয় কাজ করে।এটা করতে না পারলে বকা শুনতে হবে,ওটা করতে না পারলে বকা শুনতে হবে।এই ভয়ে থাকে ছেলেমেয়েগুলা।এইভাবে বড় করে লাভটা কি?ধরুন একটা পরীক্ষায় ছেলেটা/মেয়েটা খারাপ করেছে।এখন বাসা থেকে বলা হয়েছে সামনের পরীক্ষায় ভালো করতে না পারলে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।এখন ছেলেটা/মেয়েটা সামনের দিকে তাকালে ভবিষ্যৎ তাকে ভয় দেখায় আর পিছে তাকালে অতীত।ছেলেটা/মেয়েটা ভবিষ্যৎ আর অতীতের মাঝখানে পিষে যাচ্ছে।
...
আজকে সকালে এক লোক আমাদের দোকানে এসে তার ছেলের ব্যাপারে দোয়া চাইছেন যে,তার ছেলে সহ ৫ জনকে ইতালি যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়।কি যেন একটা প্রতিযোগিতার জন্য।ভালো কথা।তারপর সে বলতে লাগলো তার ছেলেকে নাকি সে এতই গার্ড দেয় যে স্কুল থেকে বাসা আর বাসা থেকে স্কুল পর্যন্ত চালান।কোন বন্ধু নেই।কখনও বাইরে খেলতে যেতে দেয় না।অবাক করার বিষয় ছেলেটা মাত্র ৫ম শ্রেণীতে পড়ে।তার আশা ছেলে প্রতি পরীক্ষায় এ+ সহ গোল্ডেন আনবে তারপর এইখান থেকে গ্রেজুয়েড হয়ে অস্ট্রেলিয়া যাবে।
কি আজিব ব্যাপার ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলের বন্ধু থাকবে না।ছেলেটা দুনিয়া চিনল কয়দিন হলো আর এখনই ওর উপর এত প্রত্যাশা?
...
আসলে কি কিছু কিছু বাবা-মা চাই এটা যে ভবিষ্যৎ আর অতীতের যাঁতাকলের মাঝখানে ছেলেটা/মেয়েটা গমের মতো গুড়ো হয়ে যাক তারপর যেই গুড়োটা বের হবে না তা দিয়ে তারা রুটি বানিয়ে খাবে।প্রতিটা হাই লেভেলের ছেলেমেয়েরা এই ভবিষ্যৎ আর বাবা মায়ের চিন্তা করে বিকলাঙ্গ হয়ে যাচ্ছে।বাজ্যিক দিয়ে ঠিক আছে কিন্তু ভিতর দিক দিয়ে আস্তা একটা প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে।
...
স্কুল-ঘর,ঘর-স্কুল এই পরিক্রমার ভিতর কত যে শিক্ষার্থী তাদের জীবন দিয়ে দিয়েছে তারপরেও আমাদের দেশের মা-বাবারা তাদের ছেলে-মেয়েদের উপর প্রেশার দিতেই থাকে।ছেলে/মেয়ে গুলা বকা শুনতে শুনতে এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কেউ জোড়ে ডাক দিলেও মনে হয় কিছু একটা ভুল করে ফেলেছি।এমন ভাবে ছেলে/মেয়েদের গড়ে তুলে বড়লোক করা যায় ভাললোক নয়।আমার মতে এইসব ছেলে/মেয়েই বোদহয় তাদের বাবা-মাকে বৃদ্ধকালে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসে।
...
লেখায়-মুহাম্মাদ আরজু

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৬

কালীদাস বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে আমি একমত।
কিছু কারণে লোকজন চায় ছেলেমেয়ে ডাক্তার ইন্জিনিয়ার হোক। গরীব দেশ হওয়াতে এখনও নিজের পছন্দের সাবজেক্টে পড়ে শাইন করার কোন নিশ্চয়তা নেই; এদিক থেকে ডাক্তার ইন্জিনিয়ারদের ইনকাম সৎভাবে অনেক বেশি মনে করে অনেকেই। সেজন্যই এই চাওয়া বাবামার। আর পড়াশোনা সামাজিক চাহিদা হয়ে দাড়ানোতে যার যা খুশি পড়তে বাধাও এখন আগের চেয়ে অনেক কম; চাইলেই একটা প্রাইভেট ইউনিতে ঢুকে ইন্জিনিয়ার হয়ে বের হওয়া যায়, যেটা ১৫~২০ বছর আগে এত সহজসাধ্য ছিল না।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবাই ভালো হতে পারে না। কিছু ডিরেইলড হয় সবসময়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.