![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার, আমি আরও বেশী জানতে, শিখতে, অর্জন করতে চাই, মহান আলাহ রব্বুল আলামিনের নিকট চাওয়া, তিনি যেন আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন
1971 সালে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জনাব মোঃ মুজাহিদকে 22 নভেম্বর 2015 সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত 12 টা 45 মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করে ইসলাম বিদ্ধেষী আওয়ামী সরকার। তারপর, উনার মৃত্যু নিশ্চিত করতে দুই হাত এবং দুই পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়। ভোর 6 টা 15 মিনিটে মুজাহিদের পরিবারের নিকট তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়। কফিন খুলে যারা উনার লাশ বের করে আনছিলেন, তাদের হাত তরল রক্তে ভিজে যাচ্ছিল। মুজাহিদের হাত ও পায়ের কাটা অংশ থেকে এই রক্ত বের হচ্ছিল। (পূর্বেই উল্লেখ করেছি, ফাঁসি কার্যকরের পর মৃত্য নিশ্চিত করতে হাত পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছিল।) কিন্তু একজন মৃত মানুষের রক্ত এত দীর্ঘ সময় তরল থাকতে পারে না। পবিত্র কুরাঅনের একটি আয়াতের দিকে আসুন একটু দৃষ্টি নিক্ষেপ করিঃ
"আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বল না বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বোঝ না।" (সূরা বাকারা; আয়াত-153)
ইসলামী আন্দোলনের এই সংগ্রামী বীর ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে ফাঁসির পূর্ব সেকেন্ড পর্যন্ত নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে। তিনি 1970 সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাকা অঞ্চলের ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি 2001 থেকে 2007 সাল পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যান মন্ত্রী হিসাবে অত্যন্ত সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ইসলাম বিদ্ধেষী মিডিয়া শত চেষ্টা করেও উনার বিরুদ্ধে একটি টাকা দূর্নিতির অভিযোগও বের করতে পারে নি। আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল তো উনাকে দোষী বা অপরাধী হিসাবে অভিযুক্ত করেছে। কিন্তু, সকল বিচারকের শ্রেষ্ঠ বিচারক মহান আল্লাহর কাছে কি তিনি অপরাধী হিসাবে বিবেচিত হবেন? মৃত্যু পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে তিনি আল্লাহর দরবারে সম্মানিত অতিথি হিসাবে মর্যাদা পাবেন।
©somewhere in net ltd.