![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার, আমি আরও বেশী জানতে, শিখতে, অর্জন করতে চাই, মহান আলাহ রব্বুল আলামিনের নিকট চাওয়া, তিনি যেন আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে সমঝোতার পথ থেকে সরে গিয়ে কঠোর পথেই আগাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে প্রধান বিচারপতিও সরকারের পতন ঘটাতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন ইতোধ্যেই।
সমঝোতা করে প্রধান বিচারপতিকে বাগে আনতে একাধিক বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর বিচারপতি সিনহাকে অভিশংসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। সেজন্য প্রধান বিচারপতির ‘অসদাচরণ’ ও ‘শপথ ভঙ্গ’ প্রমাণে বেশ কিছু অভিযোগ জোগাড় করছে সরকার। এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত মীর কাসেম আলীর পরিবারের সাথে বৈঠক, আবেদনকারীর অনুরোধে আপিল বিভাগের বেঞ্চ পরিবর্তনসহ প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন বক্তব্যের অডিও ও ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর চুড়ান্ত সিগনাল পেলেই এটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। অতঃপর সেটি তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে আপীল বিভাগের তিন সিনিয়র বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রীম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। তারা অভিাযোগগুলো তদন্ত করে জানানোর পরে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
সুপ্রীম কোর্টের একাধিক জানাচ্ছে, রাষ্ট্রপতির এমন উদ্যোগ ঠেকিয়ে দেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতি সিনহাও কঠোর পথে যাচ্ছেন। সরকার ও রাষ্ট্রপতি যদি ঐরূপ কোনো অভিযোগ গঠন করেন, তা হবে ষোড়শ সংশোধানীর রায়ের জবাবে প্রতিহিংসামূলক। আর তা হবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও অস্তিত্বের উপর চরম আঘাত। এই অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দিতে প্রধান বিচারপতি চুড়ান্ত ব্যবস্থা হাতে নিয়েছেন। আর তা হলো, ৫ জানুয়ারির সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করে একটি রায়। জানা গেছে, রায়টি লেখা হয়ে গেছে, এবং যথাসময়ে এর ঘোষণা আসবে। আর দু’দিন কোর্ট চলবে, এরপরে যাচ্ছে এক মাসের ছুটিতে। তবে এই দু’দিনে কিছু না ঘটলে ছুটির মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের আপীল বিভাগের কোর্ট বসিয়ে রায় ঘোষণা করার কথা। প্রশ্ন হলো, কোন মামলায়? এমন বহু মামলায় আপীল বিভাগে চুড়ান্ত রায় ঘোষিত হয়েছে, কিন্তু লিখিত রায় বের হওয়ার অপেক্ষমান, এমন একাধিক মামলায় দশম সংসদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর যে কোনো একটি মামলার চুড়ান্তে লিখিত রায়ে দশম সংসদের ১৫৪ জন বিনাভোটের সংসদ সদস্যকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হবে। সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করা হলে স্বাভাাবিকভাবেই বর্তমান সরকার অবৈধ হয়ে যাবে।
এরই মাঝে ম্যান্ডেটহীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল (২১ আগস্ট) ঢাকায় এক দলীয় সমাবেশে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে চরম আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বিচারপতি সিনহাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, কারন প্রধান বিচারপতি নাকি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে তুলনা করেছেন। এমনকি শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন যে, সু্প্রীম কোর্ট থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের জন্য চাপ দেয়া হয়েছে, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কেড়ে নিতে চাইছেন ইত্যাদি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কাউকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে দিবেন না, ইত্যাদি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং প্রধান বিচারপতির নানাবিধ আয়োজন দেখে পরিস্কার বোধ যাচ্ছে, ক্ষমতার লড়াইটা তীব্র হয়ে উঠেছে। প্রধান বিচারপতিকে অপসারনের চেষ্টা হবে দীর্ঘমেয়াদী, তবে তার আগে যদি সরকার অবৈধ ঘোষিত হয়, ক্ষেত্রে সরকারের পতন হবে দ্রুত।
©somewhere in net ltd.