নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ হিসাবে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়: আমি একজন মুসলিম। মুসলিম পরিচয় বিহীন বাঙ্গালী হওয়ার কোন ইচ্ছে আমার নেই।

সত্য খুঁজিয়া বেড়াই

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার, আমি আরও বেশী জানতে, শিখতে, অর্জন করতে চাই, মহান আলাহ রব্বুল আলামিনের নিকট চাওয়া, তিনি যেন আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন

সত্য খুঁজিয়া বেড়াই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইবলিশ শয়তানদের গোপন রহস্যভেদ

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

পর্ব :১
জীন ইবনে কানজুর ; যার বয়স ১৮০বছর যা মানুষের জীবনকালের তুলনায় ১৭-১৮বছরের বালকের ন্যায় ।যার পিতা হুদের বয়স ছিল ৯৫০বছর।যার দাদা প্রথম আকাশের ফেরেশতাদের উপর নাযিলকৃত গাইবী বিষয়ের তথ্য চুরি করতে গিয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে উল্কাপিণ্ডের গজবে পতিত হয়ে মারা যায়। কুরআনে আল্লাহ প্রথম আসমানকে সুরক্ষিত করার কথা বলেন এই আয়াতের মাধ্যমে যা রাসুল্লাহ সাঃ এর পূর্বে জীনদের প্রবেশাধিকার ছিল।
إِنَّا زَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِزِينَةٍ ٱلْكَوَاكِبِ. وَحِفْظًا مِّن كُلِّ شَيْطَٰنٍ مَّارِدٍ. لَّا يَسَّمَّعُونَ إِلَى ٱلْمَلَإِ ٱلْأَعْلَىٰ وَيُقْذَفُونَ مِن كُلِّ جَانِبٍ.دُحُورًاۖ وَلَهُمْ عَذَابٌ وَاصِبٌ.إِلَّا مَنْ خَطِفَ ٱلْخَطْفَةَ فَأَتْبَعَهُۥ شِهَابٌ ثَاقِبٌ.
"যার ফলে তারা উচ্চতর জগতের কিছু শুনতে পারে না, চতুর্দিক থেকে তাদের প্রতি নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড)
আমি নিকটবর্তী আসমানকে তারকারাজির সৌন্দর্য দ্বারা সুশোভিত করেছি। আর (এটা করেছি) প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়ত্বান থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে।যার ফলে তারা উচ্চতর জগতের কিছু শুনতে পারে না, চতুর্দিক থেকে তাদের প্রতি নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড)। তাদেরকে) তাড়ানোর জন্য। তাদের জন্য আছে বিরামহীন শাস্তি।তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পিছু নেয়।"
(সূরা আস সাফফাত:আয়াত :৬-১০)
এই জীনটি ভারতের মুম্বাইয়ে থাকত এবং সে শুরুর দিকে পিতা মাতার মত নাস্তিক ছিল পিতা - মাতার মত।পরবর্তীতে মিশরের বিখ্যাত আরবীয় গবেষক ও সাংবাদিক ইসা দাউদের নিকটে ইসলাম গ্রহণ করেন ও এরপর উক্ত জীনের হাতে ১০হাজার জীন মুসলিম হয়। জীনদের জগতে তার বিশাল পাওয়ার ছিল কেননা উক্ত জীন আগে নাস্তিকতা ও খ্রিস্টান ধর্মে ইবলিশের হয়ে বিভিন্ন কাজ করত। কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর তার সেই শক্তিকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করা শুরু করেন। তিনি এলিয়েনদের অনুসন্ধানে ১০০বারের বেশি পৃথিবীর বাইরে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রে সন্ধান করেন কিন্তু কোন এলিয়েন পাননি। উনি জীনদের জীবন, ইবলিশের আস্তানা যেখান থেকে ইবলিশ শয়তান কলকাঠি নাড়ে সেগুলোর গোপন কথা, ufo তথা ফ্লাইং সোসার,ডেভিড কপারফিল্ডের জাদু রহস্য, বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলে জাহাজ ও প্লেন কিভাবে গুম হয়ে যায় তার ব্যখ্যা, এলিয়েন ভণ্ডামি সহ বিভিন্ন রহস্যগুলোর উত্তর দেন। আর এই সাক্ষাৎকারের জন্য মুসলিম বিখ্যাত জীনটিকে মানুষের রূপে আসতে অনুরোধ করা হয় ও তবে এগুলো উনি নিজ ইচ্ছায় দেননি বরং যেহেতু সে জীন ছিল তাই ইবলিশ কর্তৃক প্রাণনাশের ভয়ে তথ্য গোপন করতে চেয়েছিলেন।আর ইসা দাউদের নিজস্ব গবেষণার রিপোর্ট তুলে ধরার কারণে ও ইসা দাউদের রহস্য সমাধানের রিপোর্ট, জ্ঞান ও যুক্তি দেখে জীন ইবনে কানজুরকেও হতবাক হতে হয় এবং উত্তর দিতে অনেকটা বাধ্য হয়। এছাড়া উক্ত মুসলিম গবেষক ইসা দাউদের ঈমানী স্বান্ত্বনায় ইসলামের মূলভিত্তিতে রাজি হয় গোপন তথ্য ফাঁস করতে; যা আজ আমেরিকার FBI, CIA, NASA কোটি কোটি ডলার খরচ করেও উদঘাটন করতে পারছে না। জীন ও মানুষের মধ্যে এই রহস্যপূর্ণ সাক্ষাৎকারটির চুম্বকাংশ তুলে ধরা হল ইন্দোনেশীয়ান ভাষায় অনুবাদ করা বিখ্যাত বই ' জীন ' থেকে।যেই মূল আরবীতে ১৯৯২সালে প্রকাশিত হয়েছিল জেদ্দাতে। তারপর অনূদিত হয়েছে ইন্দোনেশীয়ান ভাষায়। আমিই প্লথম বাংলা করলাম আলহামদুলিল্লাহ -
ইসা দাউদ: তুমি কি কখনও ইবলিশ শয়তানকে দেখেছো?
জীন: আমি যখন ছোট ও কিশোর বয়সে ছিলাম এবং ইসলাম গ্রহণ করেনি তখন তাকে দেখেছি।
ইসা দাউদ: তুমি তাকে কিরূপ দেখেছো যদিও তখন তুমি অনেক ছোট ছিল?
জীন: আমি নিজের ইচ্ছায় সেখানে যাই নি। আমার পিতা আমাকে জোড় করে নিয়ে গিয়েছিলেন। ইবলিশ আমাকে আর্শীবাদ করে দিয়েছিলেন।
ইসা দাউদ: আল্লাহ তাকে লানত বর্ষণ করুক। আল্লাহকে ধন্যবাদ যিনি তোমাকে ইসলাম গ্রহণের সুযোগ করে দিছেন।
জীন: আল্লাহকে ধন্যবাদ। আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমি ইসলাম ধর্মান্তরিত হয়েছি।
ইসা দাউদ: আমাকে বলবে কি ইবলিশের আকৃতিটি কিরুপ?
জীন : জীনদের আকৃতি যেমন থাকে তেমনই। যদিও সে বিভিন্ন রূপ ধারণ করতে পারে কিন্তু তার প্রকৃত চেহারা খুবই বিশ্রী। তার একটি ক্ষুদ্র লেজ আছে যার দৈর্ঘ্য চার থেকে ছয় সেন্টিমিটার বা তারও কম।
ইসা দাউদ : এইরকম লেজ কি সকল জীনদেরই থাকে নাকি শুধু ইবলিশ (devil) ও তার বংশধর (demon) দের মধ্যেই শুধু এই শুধু লেজ দেখা যায়?
জীন: সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ধন্যবাদ। সাধারণ জীনদের মধ্যে এই ধরণের লেজ থাকে না। শুধু ইবলিশ তার সন্তান - সন্ততি ও তার বংশধরদের মাঝে থাকে। তারা হল বিশেষ ধরণের সৃষ্টি । কিন্তু সাধারণ জীনদের মধ্যে এই লেজ থাকে না যেমনটি তুমি ধারণা করেছ। আর এই লেজ বিড়াল বা অন্যান্য পশুদের মত নয় যেমনটি মানুষ মনে করতে পারে।
ইসা দাউদ: তার উচ্চতা কিরুপ? একজন মানুষের তুলনায় সে কি বেশ লম্বা নাকি মাঝারি?
জীন: ইবলিশের উচ্চতা তুলনায় প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের একটি হাতের বাহুর সমান। ১৪০ থেকে ১৬০ সেন্টিমিটার। কিন্তু সে নিজেকে আরও লম্বা ও বড় আকারে রূপান্তরিত করতে পারে। সর্বোচ্চ ১০মিটার পর্যন্ত ।
ইসা দাউদ : তার কি কোন বাড়ি বা প্রাসাদ আছে?
জীন: তার প্রাসাদটি ব্যপক শক্তি সম্পন্ন।লক্ষ লক্ষ ইবলিশের অনুগত দাসী, প্রাহারাদার ও লক্ষ লক্ষ ইবলিশী জীনদের বংশধর দ্বারা তা পরিবেষ্টিত।তার এছাড়া আরও বিভিন্ন প্রাসাদ আছে। সবগুলো প্রাসাদগুলোর কেন্দ্রীয় শাসনব্যবস্থাগুলো একইরকম এবং খুবই শক্তিশালী ।
ইসা দাউদ : তার একটি সিংহাসন আছে তাই নয় কি?
জীন : হুম আছে। সে কিছুটা আশ্চর্য হয়ে উত্তর দিল।
ইসা দাউদ: সিংহাসনটি পানির উপর। প্রকৃতপক্ষে সমুদ্রের উপর। সত্যি নয় কি?
মুসলিম জীনটি বিস্মিত হতে লাগল এবং ভয় পেতে শুরু করল।
ভাই তুমি একজন মুসলিম জীন । মুসলিমরা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পায় না। যে আল্লাহ্র কথা মত মেনে চলে, শয়তান তাকে কোন ক্ষতি করতে পারে না। কানযুর(জীনের নাম) ! আমি এমনটি মনে করি।
জীন : হুম, আমি তেমনটাই মনে করি। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমি চার মাসেই কুরআন হেফজ করেছি।
ইসা দাউদ: যদি তাই হয় তুমি কেন তাহলে শয়তানকে ভয় পাবে। আল্লাহর নিরাপত্তায় তুমি তাদের চাইতেও বেশি শক্তিশালী হবে।
জীন : ঠিক ঠিক। এটাই সত্য। আমাকে এরকম জ্ঞান শিক্ষা দেওয়ার জন্য আল্লাহ তোমাকে উত্তম জাযাহ দান করুক। আমি এখন আরও সুদৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী।


ইসা দাউদ - যুলকারনাইন ও তার অনুগত সৈন্যবাহিনীর ইতিহাস যা আমি পড়েছিলাম এক জায়গায়। জুলকারনাইন যাকে আমি মেসিডোনিয়ান মনে করি এবং তার যেই ইতিহাসটি পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়নি যে, একদিন যুলকারনাইন ও তার সৈন্যবাহিনী চলতে চলতে এমন এক জায়গায় পৌছাল যেখানে প্রচুর পানি উপস্থিতি দেখতে পেল এবং যার অদূরে একটি দ্বীপ দেখা যাচ্ছিল। সেখানে তারা এমন এক জাতির কিছু লোক দেখতে পেল যাদের মাথা কুকুরের মত এবং মুখ থেকে বিঁষদাতগুলো বের হয়ে এসেছিল যেন অগ্নিশিখা ঠিকড়ে পড়ছিল দাঁতগুলো থেকে । জুলকারনাইন ও তার সৈন্যবাহিনীরা একযোগে বের হয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ করল। কিছু দূরত্বে তারা একটি উজ্জ্বল আলো দেখতে পেল যা একটি ক্রিস্টাল তথা কাঁচের প্রাসাদ থেকে বের হচ্ছিল। জুলকারনাইন ইচ্ছা প্রকাশ করল যে তিনি তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে প্রাসাদটি জয় করবে ও সেই প্রাসাদে প্রবেশ করবে।
কিন্তু বারহাইন নামক একজন বিচক্ষণ আলেম তাদেরকে উক্ত অভিযানে বাধা দিল এই বলে যে, "যেই কোন ব্যক্তি এই প্রাসাদে প্রবেশ করে সে এক অদৃশ্যশক্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে কখনও সে বের হতে পারে না এবং প্রাসাদের অবস্থানকারী লোকদের দ্বারা সে অবরুদ্ধ হয়ে যায়।কিছু লোক যারা সেই প্রাসাদে গিয়েছিল তারা আর কখনও সেখান থেকে ফিরে আসে নি। তারা সেখানে ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং আর কখনও জাগ্রত হয়নি। "
ঐ প্রাসাদটি কি শয়তানের প্রাসাদ নয়?
জীন- হ্যাঁ, হতে পারে। আবার তা নাও হতে পারে।
ইসা দাউদ- তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছ?
জীন-ইবলিশের অনেক প্রাসাদ আছে। সে এক প্রাসাদ থেকে আরেক প্রাসাদে যাতায়াত করে তার বিশাল রাজ্য পরিচালনা করতে। তার বড় মেয়ের একটি প্রাসাদ আছে যাতে রয়েছে অসংখ্য প্রহরী। তার পুত্রদের রয়েছে অনেকগুলো বিশালাকারে প্রাসাদ। প্রসাদগুলো শাসিত হয়ে থাকে ইবলিশের বংশধরদের (বিশেষ ধরণের অভিশপ্ত জীন যেহেতু এরা ইবলিশের পাপের ফসল) দ্বারা যারা সরকারি কর্মকর্তাদের মত রাজ্য পরিচালনা করে ইবলিশের কথামত।
প্রাসাদগুলোতে বসে তারা মানবতার বিরুদ্ধে সকল ধরণের ছক কষে থাকে বা সকল খারাপ কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ইবলিশের কথা বা আদর্শকে তার অনুসারীরা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিকট থেকে প্রেরিত ওহীর মতো মনে করে(নাউযুবিল্লাহ) থাকে।
ইসা দাউদ - আচ্ছা ! তাহলে ইবলিশ শয়তানের হেডকোয়ার্টারটা কোথায়?
জীন- (কিছুক্ষণ দ্বিধাগ্রস্ত থাকার পর উত্তর দিল) গভীর সমুদ্রে।কুরআনের এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ইংগিত পাওয়া যায়-
"দুই সমুদ্রকে তিনিই প্রবাহিত করেছেন যা পরস্পরের মিলিত হয়। উভয়ের মধ্যে আছে এক অন্তরাল যা তারা অতিক্রম করতে পারে না।" (সুরা আর রহমান :আয়াত ২০-২১)
ইসা দাউদ - আচ্ছা বন্ধু! সংযোগস্থল বলতে তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছ যে, "নদীর সাথে সাগরের মিলনস্থল বা সাগরের সাথে সাগরের মিলনস্থল" এগুলোকে ?
জীন-হুম এগুলোই বুঝাতে চাচ্ছি যেমনটি তুমি বলছ।
ইসা দাউদ - প্রকৃতপক্ষে তা কোথায়?
আমি জানতে জিদ ধরলাম। সে থেমে গেল এবং চুপ থাকতে চেষ্টা করল। আমি পুনরায় তাকে আল্লাহর প্রতি দৃঢ়বিশ্বাসের কথা শিক্ষা দিলাম।
আমি আমার গবেষণার রিপোর্টগুলো গুছিয়ে তুলে ধরলাম যার উপর ভিত্তি করে আমি বিভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলাম। যার কিছু অংশ আমি এই বইটাতে আলোচনা করব এবং বাদবাকি অংশ পরবর্তীতে "দাজ্জাল" সংক্রান্ত বইয়ে আলোচনা করব।
রিপোর্টগুলো দেখানোর পর তাকে বললাম, "ইবলিশ শয়তানের হেডকোয়ার্টার বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলে নয় কি?"
তখন দেখলাম যে, আমার জীন বন্ধুটির চোখ উজ্জ্বল হয়ে গেছে। তারপর সে ঘুমের ভান করল। তাকে উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল যা পূর্বে কখনও দেখিনি।
ইসা দাউদ- ইবলিশের সৈন্যবাহিনী কি মানুষের আকার ধারণ করতে পারে না? মানুষ ও সাধারণ জীনদের বৈশিষ্ট্য ও স্বভাব - চরিত্র ধারণ করতে পারে না?
ইবলিশের বাহিনী কি দায়ী নয় বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল থেকে বিমান ও জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায়? সেই এলাকা অতিক্রমকারী অমুসলিম পাইলট ও ক্যাপ্টেনরা এই ভয়ানক শয়তানী আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কোন আশ্রয়স্থল খুঁজে পেত না। সেখান থেকে কারও বেঁচে যাওয়াটা ছিল একেবারে দূর্লভ ও বিরল ঘটনা। দূর্ঘটনা কবলিত কোনো বেঁচে যাওয়া মানুষের ছদ্মবেশ ধারণ করে ইবলিশ জীনেরা সেখানকার ভয়ংকর হুমকি থেকে মানুষকে অসতর্কও তো করতে পারে, তাই নয়কি?কেউ কেউ ধারণা করছে যে, জাহাজ ও প্লেনগুলো টর্নেডোর ন্যায় ঝড়ের কবলে পড়েছে।
আমার মুসলিম জীন বন্ধুটি নিরব হয়ে গেল। তার চেহারার মধ্যে কথাগুলোর সত্যতা স্বীকার ও সন্দেহ দোদুল্যমান অবস্থা বিরাজমান হচ্ছিল বলে আমি ধরতে পারলাম।
তারপর আমার জীন বন্ধুটি বলল, অন্য একদিন আমি এরচাইতেও বেশি সত্য প্রকাশ করব।
ইসা দাউদ - আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে আল্লাহর ইচ্ছায় বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের রহস্য উন্মোচন করতে যাচ্ছি বিশ্ববাসীর নিকটে। তুমি ইতিমধ্যে জেনেছ যে আমি এব্যাপারে অনেক জ্ঞান রাখি।
জীন-তুমি যেমনটি বলে থাক তেমনটিই হবে।
ইসা দাউদ - ফ্লাইট-১৯ যুদ্ধবিমান হারিয়ে (১৯৪৫সালে ৫টি বিমান একসাথে গায়েব হয় ) যাওয়ার প্রকৃত ব্যাখ্যা কি? তাকে অনুসরণ করা অন্যান্য সামুদ্রিক বিমান গুলো হারিয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা কি?

জীন- প্রকৃতপক্ষে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের ঘটনাগুলো দীর্ঘ দিন ধরে হচ্ছে।জেলেরা ভীত হয়ে পড়ে যখন তারা বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল এলাকাটিতে প্রবেশ করে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয়টি হল যে, যখনই কেউ এই এলাকাটিতে অনুমতি ছাড়া গবেষণা করতে প্রবেশ করার সাহস করত, তখনই সে ধরাশায়ী হত।
ইসা দাউদ - এই অনুমতিটি কি অর্জিত হত ধূপ জ্বালিয়ে?
জীন- হুম মাঝেমাঝে এভাবেই করে।
ইসা দাউদ - (আশ্বার্যন্বিত হয়ে) কিভাবে?
জীন- কেউ কেউ ইবলিশী জীনদের সাথে ক্রয় - বিক্রয় করে এবং বলে, "আমরা সকল ধরণের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে এই এলাকার (বারমুডার ট্রাইএঙ্গেল) রাজ্যত্ববিস্তারকারী শাসকের কাছে আশ্রয় গ্রহণ করব।"
যেমনটি অন্ধকারাচ্ছন্ন জাহিলায়তের যুগে মানুষ নির্জন মরুভুমি বা যেখানে মানুষ বসবাস করে না এমন অঞ্চলগুলো অতিক্রমকালে সেখানে অবস্থানকারী ইবলিশী জীনদের সাহায্য নিত।
উক্ত এলাকা অতিক্রমকালে জাহাজ ও বিমানগুলোতে শয়তানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ জাদুকরকেও সংগে বহন করে নেয় । নতুবা যাত্রীসহ জাহাজ ও বিমানগুলো উক্ত এলাকা অতিক্রমকালে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অনেকসময় শুধু যাত্রীদেরকে হাইজ্যাক করে যাতে শয়তানের রাজ্যে বিভিন্ন বস্তুসামগ্রীর (শয়তানী প্রযুক্তি ) গবেষণায় ব্যবহার করা যায়। অথবা ইবলিশী জীনদের বলির শিকার হয় বা উৎসর্গীকৃত হয় কেননা ইবলিশ একজন মানুষের মৃত্যু দেখে খুবই খুশি হয় যখন সেই ব্যক্তিটি রাসুল্লাহ সাঃ এর আনিত দ্বীন ইসলাম প্রত্যাখান করে কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।দিনের শুরুতে ইবলিশের জন্য তাদেরকে আত্মোৎসর্গকৃত করা হয়।
ইসা দাউদ - কিন্তু কেন সেইখানে অতিক্রমকারী সকল ধরণের জাহাজ ও বিমানগুলোকে আটক বা গুম করে। আমাকে বুঝিয়ে বলবে না কি?
জীন-জাহাজ এবং প্লেনগুলোকে সমুদ্রের বিশেষ জায়গায় রাখা হয়।বিশেষ আলোকরশ্মি দ্বারা এগুলোকে অদৃশ্য করে ফেলা হয় অথবা হাজার হাজার শয়তান জীনদের দ্বারা ঘেরাও করে ফেলা হয়।
যা প্রকৃতপক্ষে জাদু যা নিয়ে আসবে ইবলিশের সৈন্যরা তোমার সম্মুখে নিক্ষেপ করার মাধ্যমে (চোখে ধূলা দেয়) এবং তারা চলে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তোমার তা (প্রকৃত বিষয়টি ) দৃষ্টিগোচর হবে না।
ইসা দাউদ- আমি জানি তুমি আমাকে এর চাইতে বেশি বলতে চাচ্ছ না।
জীন- আমি এর চাইতে বেশি বলতে পারব না।
ইসা দাউদ - নতুবা আমি যা জানি তা তোমাকে বলব না। কিন্তু আমি ফান্ডে ১০হাজার ডলারেও বেশি খরচ করে এই রহস্যটি বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি।
জীন- সেটি কি (আগ্রহের সাথে)?
ইসা দাউদ - আমি কিছু জানি এবং তুমি কিছু জান। একসময় আমরা সবকিছু বিশ্ববাসীর নিকট প্রকাশ করব।
তুমি ঐসকল লোকদের (অমুসলিম গবেষকদের) ধারণা সম্পর্কে কী মনে কর যারা বলে যে, "সমুদ্রে উপস্থিত জ্যোতিময় বা আলোকময় জাহাজগুলোর অধিকারীরা উক্ত এলাকাতে (বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলে) বিচরণরত জাহাজ হাইজ্যাক করে থাকে ।"
জীন - তুমি কি বুঝাতে চাচ্ছ?
ইসা দাউদ - তারা বলে সেখানে অতিবুদ্ধিসম্পন্ন ভিনগ্রহী প্রাণী তথা এলিয়েন আছে। তারা এই ধরণের ক্ষতিকারক অদ্ভুত কর্মকান্ড ঘটায়। তাদের জ্ঞানে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল অন্যান্য গ্রহ থেকে আসা ভীনগ্রহী প্রাণী তথা এলিয়েনদের জন্য একটি গবেষণা কেন্দ্র। সেখানে কী হতে পারে বলে তুমি মনে কর?
জীন- তারা যা বলছে তা সঠিক নয়। আমি ১০০বারেরও বেশি সময় মহাশূন্যে বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেছি কিন্তু কোন ভীনগ্রহী প্রাণী (এলিয়েন) এর সন্ধান পাই নি।বরঞ্চ বারমুডার ট্রাইএঙ্গেলের গোপন রহস্যের কিছু অংশ তোমাকে বলেছি।
ইসা দাউদ - তার মানে যতটুকু তুমি বলেছ তার চাইতেও তোমার কাছে আরও তথ্য আছে। ঠিক বলেছি কি?
জীন- অবশ্যই! কিন্তু এটা একটি গোপনীয় বিষয়।
ইসা দাউদ - আমরা এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর আমার জন্যও তা গোপনীয় হবে। চল আমরা আল্লাহর নামে বন্ধুত্বের চুক্তি করি।
জীন- আমি মহান আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি তোমাকে আল্লাহর মানোনীত ধর্ম (ইসলাম) এর ভিত্তিতে ভালোবাসি। আমি কোন মানুষের বাসায় ততটুকু সময় থাকি না যতটুকু তোমার বাসায় অবস্থান করি (দ্বীন চর্চা ও সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য)।
ইসা দাউদ - যতদিন আল্লাহর পথে আছ ততদিন আমিও তোমাকে ভালোবাসি।
(আল্লাহ হাফেজ। ১৮০ পৃষ্ঠার দলিল ভিত্তিক ইন্দোনেশীয়ান ভাষায় লেখা বইটির মধ্য থেকে চুম্বাকংশ তুলে ধার হল। আর সামনে ও পিছনের বিশাল রহস্যের জন্য ইনশাল্লাহ আমার বইয়ের জন্য সর্বোচ্চ বছরখানেক অপেক্ষা করুন। আমার জন্য দোয়া করুন। একটি ইতিহাস বইয়ের জন্য আরেকটি রহস্য বই লেখার সম্পূর্নের জন্য


"ফ্লাইং সোসার এবং গোপন রহস্য" নামক বইয়ের লেখক ফেবিও থেরেবা একটি রোমাঞ্চকর ঘটনা প্রকাশ করেছেন। যা তার বইয়ের বিভিন্ন আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে একটিতে উল্লেখ ছিল। রহস্যপূর্ণ রোমাঞ্চকর কাহিনীটি ছিল কার্লোস পালভিডারস নামক আমেরিকান একজন যুবককে নিয়ে; যিনি আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে বসবাস করতেন।
একদিন সে তার ঘর থেকে বের হয়ে লেক সংলগ্ন বাগানের দিকে পায়চারী করছিল। হঠাৎ তার চোখে পড়ল বাগানের জমিনের উপর স্থাপিত কুটিরের অদুরে লেকের পানির উপর অনেকটাই মানুষের আকৃতির ন্যায় তিনটি অদ্ভুত প্রাণী (লোকে যাকে এলিয়েন বলে) চলাচল করছিল লেকের পানির কোনরূপ আন্দোলিত করা ছাড়াই। মনে হচ্ছিল অদ্ভুত প্রাণী গুলো বাতাসের উপর ভর করে চলছে। পালভিডারস তাদের থেকে প্রায় ৮০মিটার দূরত্বে অবস্থান করছিল।তিনটি অদ্ভুত দেহের মধ্যে দুইটি ছিল ছেলে এবং একটি ছিল মেয়ে। পালভিডারস তাদেরকে ডাকতে গেলে তারা দিক পরিবর্তন করে দ্রুতগতিতে ছুটে লেকের অন্য অংশে আত্মগোপন করল। তারা প্রায় ৩০০মিটার দূরে সরে গেল। পালভিডারস আশ্চর্য হয়ে গেল, তাদের দ্রুতগতিতে এই পথ অতিক্রমের ঘটনা দেখে! মেয়েটি ছিল প্রায় ১৬০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং তার পোশাক ছিল কালোবর্ণের এবং তার চুলগুলো ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক লম্বা এবং কালোবর্ণের।সে যখন দ্রুতগতিতে ছুটল তখন তার পায়ের তলায় পাখির পাখনার ন্যায় একজোড়া পাখনা যুবকটির দৃষ্টিগোচর হল। ছেলে দুইটি মেয়েটির চাইতে আকারে কিছুটা খাটো ছিল। যখন তিনটি দেহে পাশাপাশি দাড়াল তখন ছেলে দুইটিকে একই উচ্চতায় মনে হল। ছেলে দুইটি একধরনের শক্ত কাপড় পরিধান করেছিল বলে মনে হল ;যা শরীরের সাথে ঢিলেঢালাভাবে সজ্জিত ছিল । ছেলে দুইটির চুলগুলো ছিল বাদামী বর্ণের এবং সেগুলো মনে হচ্ছিল মাথার চামড়ার সাথে আঠার ন্যায় জট পাকানো।
তিনজনের গায়ের চামড়াই ছিল সাদা বর্ণের।তাদের চোখগুলো ছিল ছোট এবং কপাল ছিল চওড়া।দ্রুতগতিতে বাতাসে ভেসে ছুটে চলার সময় হাত-পাগুলো নাড়াচাড়া না করেই এমনভাবে ছুটতে পারত যেন মনে হচ্ছিল যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো দেহের সাথে আঁটসাঁট হয়ে লেগে আছে।
পালভিডারস নামক যুবকটি দীর্ঘক্ষণ ধরে এই বিস্ময়কর প্রাণীদেরকে দেখতে লাগল। সময়ের দিকে তার কোন খেয়াল ছিল না। হঠাৎ তার চোখে একটি বিস্ময়কর বৈদ্যুতিক যান (যাকে ufo বা ফ্লাইং সোসার নামে পাশ্চাত্যরা বলে থাকে) ধরা পড়ল। সে দেখতে পেল অত্যন্ত উজ্জ্বল আলোর একটি ফ্লাইং সোসার যার দৈর্ঘ্যে প্রায় ৬মিটার, প্রস্থে প্রায় ৫মিটার এবং উচ্চতায় ২-৩মিটার মাটিতে অবতরণ করেছে। এটি প্রায় ৪০ মিটার ব্যাসার্ধের সীমা পর্যন্ত উজ্জ্বল বিশেষ ধরণের এক আলোর বিচ্ছুরণ ঘটাচ্ছিল যেন মনে হচ্ছিল সিনেমার থিয়েটারের প্রজেক্টর থেকে আলোকরশ্মির আভা চারদিকে আপতিত হচ্ছে।উজ্জ্বল আলোকরশ্মি যুবকটির মুখমণ্ডলে ঠিকরে পড়ছিল এবং তার দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল। ফলশ্রুতিতে সে তার চোখে সাময়িক অন্ধত্ব অনুভূত করছিল। ফ্লাইং সোসার যানটির আলোকচ্ছটা তাকে রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সেটির কাছে ঘেঁষতে নিরুৎসাহিত করছিল । সে উপয়ান্তর না দেখে লেকের পানিতে ঝাঁপ দিল।
পালভিডারস চেষ্টা করল লেকের পানি দিয়ে সাঁতরিয়ে বিস্ময়কর প্রাণীদের নিকটে যেতে ।মানুষের আকৃতিতে অদ্ভুত প্রাণী তিনটি যুবকটির অবস্থান থেকে প্রায় ১৫০মিটার দূরত্বে অবস্থান করছিল। কিন্তু সে সাঁতরিয়ে তাদেরকে ধরতে পারল না বরং তার সামনে একটি অদৃশ্য দেওয়ালের বাঁধা অনুভূত হল যা তার সামনে অগ্রসর হওয়ার সমগ্র প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছিল।বারবার চেষ্টার পরেও অদৃশ্য বাঁধাটি তাকে পিছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল।পালভিডারস দূর থেকে দেখল যে, অদ্ভুত প্রাণী তিনটি ফ্লাইং সোসার থেকে প্রায় ৩০-৪০মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। মেয়েটিকে মনে হচ্ছিল তাদের নেতা যে সবসময় অপর দুইজনের সামনে চলছিল।পালভিডারস দেখল যে, একসময় সেই মেয়েটি ফ্লাইং সোসারের দিকে ইশারা করে অপর দুইজনকে কিছু বলল। তখন ছেলে দুইজনের একজন ফ্লাইং সোসারটিকে ঢুকে সেটিকে প্রায় ৩০মিটার দূরত্বে সরিয়ে নিল। প্রাণী তিনটি কথা বলার সময় নিজেদের সাথে এমন এক অপরিচিত ভাষায় কথা বলছিল যার সাথে সাধারণ রেডিওর তরঙ্গদৈঘ্যের সাথে কোন মিল যুবকটি খুঁজে পেল না। তাদের কণ্ঠস্বরগুলো ছিল স্পষ্ট যদিও তখনকার আবহাওয়াতে তেমন কোন বায়ুপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছিল না পালভিডারসের কাছে ।যুবকটি দেখল যে, প্রাণী তিনটি নিজেদেরকে অন্য আকারে পরিবর্তন করছে যা তার নিকট স্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হল না। তারপর ঐ অদ্ভুত প্রাণী তিনটি ফ্লাইং সোসারে করে দ্রুত চলে গেল এবং মাটির উপর তিনটি লাইন সৃষ্টি হল। যুবকটি দেখল যে,লেকের পাড়ে তার খামারের শূকরগুলো ভয়ানকভাবে চেঁচামেচি করছে। আর বৈদ্যুতিক যান তথা ফ্লাইং সোসার্সটি মাটিতে ধাক্কা দিয়ে উপরের দিকে এমন দ্রুতগতিতে ছুটল যার গতিটি অনুমান করা তার বুঝার সাধ্য হল না। এরপর যুবকটি লেকের পানি থেকে তীরে উঠে এসে পড়ল এবং সে এমন এক সুগন্ধি অনুভব করল যার ফলে সে কিছুক্ষণের জন্য নিস্তেজ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। যখন তার ঘুম ভেঙ্গে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসল তখন সে আর অদ্ভুত প্রাণীগুলো ও তাদের বাহন ফ্লাইং সোসারটিকে আর দেখতে পেল না। যেগুলো তার প্রায় দেড় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তার মনকে আকর্ষণ করেছিল। ফ্লাইং সোসাসের আলোকচ্ছটায় খামারের শূকর এবং অন্যান্য গবাদিপশুগুলো এমনভাবে তাদের গোয়াল থেকে পালিয়ে গেল যে পালভিডারসকে দেখেও তারা আর তাদের গোয়লঘরে ফিরে আসল না।

ইবনে কানজুর :এই ঘটনার (যেটি আমি আমার পূর্ববর্তী পর্বে উল্লেখ করেছি) ব্যাপারে তোমার কি মতামত?
ইসা দাউদ :অবশ্যই এগুলো জীনদের কাজ। মানুষের চাইতে এইরূপ দ্রুতগতিতে তারাই চলতে পারে। অদৃশ্য দেওয়ালটি যুবকটিকে অদ্ভুত প্রাণীদের (তথাকথিত এলিয়েনদের) নিকটে যেতে বাঁধা দিচ্ছিল; যা আমি মনে করি, এটি শুধুমাত্র তার ভয়ের কারণেই হচ্ছিল। যা তাকে সামনে অগ্রসর হতে অক্ষম তুলছিল। মিষ্টি সুগন্ধটি সাধারণত জীনদের মাঝেই পাওয়া যায় । শুকর এবং অন্যান্য গবাদিপশুগুলো জীনদের দেখতে পায়, তাই তারা তাদের গোয়ালঘরে যেতে চাচ্ছে না। কারণ, তারা জানে যে, জীনদের বন্ধুগুলো এখন গোয়ালঘরে অবস্থান করছে। ছোট মানব শিশু এক বা দুই বছর বয়সে তারা জীনদেরকে তাদের আসল আকৃতিতে দেখতে পায়। "
আল্লাহর প্রেরিত রাসুল মুহাম্মদ সাঃ এর একটি হাদিস ( বুখারী ও মুসলিম ও আবু দাউদের বরাত দিয়ে জাবির রাঃ থেকে) বর্ণিত, "যখন তোমরা গাধার ডাক শুনবে তখন তোমরা আল্লাহ্র কাছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাবে। কেননা, এরা জীনদেরকে দেখতে পায়। আর যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে তখন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় কর। কেননা, এরা ফেরেশতাদেরকে দেখতে পায়।"
ইবনে কানজুর : তুমি এখন বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে জান।তবে কেন তুমি সত্যটি বিশ্বব্যাপী প্রচার করছ না? জীনদের কলাকৌশল এবং তাদের বিভিন্ন আকৃতির ব্যপারে বিষয়টি এখন আর কোন অস্পষ্টতা নাই এবং এলিয়েনের স্বপক্ষে অমুসলিম গবেষকদের যুক্তিপ্রদর্শনগুলো ভুল হবে।
ইসা দাউদ : আমি সত্যিই বিস্মৃত হই যে, কেন পাশ্চাত্যের গবেষকরা বুঝতে পারছে না যে, এগুলো জীনদের কারসাজি? যেখানে পারটারিকো নামক তাদের একজন খ্রিস্টান গবেষক পর্যন্ত তা ঈর্ষান্বিতভাবে স্বীকার করেছেন তার গবেষণা রিপোর্টে ।
তিনি তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন যে, "এক ধরণের মিষ্টি সুগন্ধ ;যা অদ্ভুত এই জীবগুলো (তথাকথিত এলিয়েনদের) থেকে ছড়িয়ে পড়ে ;তা শয়তানদের ছাড়া অন্য কোন সৃষ্টজীব থেকে প্রকাশ হওয়াটা প্রমাণ পাওয়া যায় না।ঘটনাগুলো রহস্যের দিকে লক্ষ্য করলে স্পষ্টত বুঝা যায় যে, এগুলো শয়তান ও তার বংশধরদের কারসাজি। "
বিষয়টিকে আরেকভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে ।শয়তান জীনেরা কোনো এক স্থানে যখন আত্মপ্রকাশ করে থাকে তখন তারা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের প্রকৃত আকৃতি ছাড়া অদ্ভুত প্রাণী (তথাকথিত এলিয়েন) বা মানুষের আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করে থাকে।কেননা,মানুষের সামনে প্রকৃত আকৃতিতে তারা দৃষ্টিগোচর হয় না। "
ইবনে কানজুর : পূর্বে উল্লেখিত(তিনটি ঘটনার মধ্যে আমি একটি টাইমলাইনে বর্ণনা করেছি) ঘটনাগুলো ঐ শয়তান জীনদের একদলের কাজ। কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, ইবলিশ শয়তানকে সকলক্ষেত্রে তাদের সাথে স্বয়ং উপস্থিত থাকতে হবে। ইবলিশ এবং তার সন্তান-সন্ততিরা এমন সকল স্থানে বসবাস করে থাকে যেখানে মানবজাতিকে অদ্ভুত সকল কর্মকান্ড দেখিয়ে ভড়কে দিতে পারে।মুসলমানরা যখনই তাদের সাক্ষাৎ পাবে তখন যেন মুসলিমরা সতর্ক থাকে এবং ঈমানের বিশ্বাসকে সুদৃঢ় রাখে। তারা আয়তাল কুরসী(সুরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত) এবং সুরা সাফফাতের প্রথম দিককার আয়াত গুলো (প্রথম ১০আয়াত) পড়ে নেয়। তাহলে অবশ্যই খোদায়ী শক্তিতে শয়তানের বংশধররা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে নতুবা দৌড়ে পালাবে এবং পিছনের দিকে আর ফিরেও তাকাবে না।
আমি তোমাকে এবং বিশ্ববাসীকে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে চাচ্ছি । আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের এলাকার রহস্য উন্মোচনের জন্য ইচ্ছুক এবং এইজন্য সেই দেশগুলো উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট গঠন করেছে যেই ধরনের স্যাটেলাইটগুলো অনুসন্ধানের জন্য পূর্বে কখনও ব্যবহার করা হয় নি।
তাদেরকে বল যে," তারা যেন এই বিষয়গুলি গবেষণায় বেশি উচ্চাকাঙ্খী না হয়। উক্ত দেশগুলোর গবেষকরা শয়তানদের প্রযুক্তির কাছে পাত্তা পাবে না কেননা তারা প্রযুক্তিগতভাবে মানুষের চাইতে অনেক এগিয়ে। তবে তারা তোমাদেরকে কোন ক্ষতি করতে পারবে না যদি তোমরা আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ কর। "
ইসা দাউদ :যাইহোক ,তাদের কেউ কেউ অবশ্য আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলেছে এবং ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে ।
ইবনে কানজুর : আমি তোমাকে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, যদি কোন মুসলিম উক্ত এলাকা অতিক্রম করে এবং আল্লাহর কুরআনের ঐ আয়াত গুলো পড়ে তবে অবশ্যই ইবলিশ এবং তার সৈন্যরা কোন ক্ষতি করতে পারবে না।"
ইসা দাউদ : সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে এটাই হওয়ার কথা ছিল। কেননা, আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেছেন,
"তুমি যখন কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে। যারা ঈমান এনেছে তাদের উপর তার কোন প্রভাব খাটে না। আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। তার(শয়তানের) প্রভাব শুধু তার উপরই খাটে যারা তাকে আল্লাহর শরীক করে। "(সুরা নাহল:আয়াত :৯৮-১০০)
বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত রাসুল্লাহ সাঃ ওমর রাঃ এর সম্পর্কে বলেছেন," ও ওমর বিন খত্তাব! শয়তান তোমাকে দেখে ভয় পায়। তুমি যে রাস্তা দিয়ে যাও শয়তান তোমাকে দেখে অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যায়। "
কিন্তু আমার মুসলিম ভাই! যেই মানুষই বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের রহস্য উন্মোচন করতে যাবে তার পক্ষে আর ফিরে আসা সম্ভব হবে না যদিও সে মুসলিম হয়।তবে সেই ঘটনাগুলো ছাড়া যা উন্নত দেশগুলো মোকাবিলা করে থাকে বিশেষত যারা ইবলিশকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসেবে নিয়ে তার সিংহাসনের পাশে স্থান দখল করে থাকে।
ইসা দাউদ :তারপর আমার জীন বন্ধুটি নিরব হয়ে গেল। এবং তাকে মনমরা দেখাচ্ছিল এবং আর কোন কথা বলছিল না। আমি তাকে আরও জিজ্ঞেস করলাম তুমি আরেকটি এলাকা সম্পর্কে কি ধারণা রাখ যার নাম "ফরমসার শয়তানী ঘূর্ণিপাক "।
যা বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের মতই ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চল।যাকে শয়তানী সমুদ্র বা ড্রাগন ট্রাইএঙ্গেল বলেও ডাকে। ঐ এলাকায় তাই ঘটেছে যেমনটি ঘটেছে বারমুডার ট্রাইএঙ্গেলে। এমনকি সেখানকার লোকেরা এটিকে বারমুডা ট্রাইএঙ্গেলের চাইতেও বেশি বিপজ্জনক মনে করে।
ইবনে কানজুর : ঐ এলাকাটির ঘূর্ণিবর্তও কি বিমান বা জাহাগুলো গুম করে ফেলে?
ইসা দাউদ : হ্যাঁ। এবং বৈজ্ঞানিক কিছু প্রমাণপত্র নির্দেশ করছে যে, বারমুডা ও ড্রাগন ট্রাইএঙ্গেলের এলাকাগুলো উষ্ণ এবং গরম পানির একটা সংযোগস্থল।
ইবনে কানজুর : "আমি প্রথমবারের মতো মানুষদেরকে একটি গোপন তথ্য দিতে চাই।"
ইসা দাউদ :দয়া করে বল।
ইবনে কানজুর : স্থানগুলো দুই সমুদ্রের সংযোগস্থল বা যাকে বলা হয় উষ্ণ পানি এবং ঠান্ডা পানির সংযোগস্থল।"এই এলাকাগুলো শয়তান এবং তার সাহায্যকারী বাহিনীর কেন্দ্রবিন্দু এবং শয়তান জীনদের প্রশাসনের জন্য পছন্দনীয় জায়গা। আমি জানি না কেন তারা এমন জায়গাটি পছন্দ করে তবে রাসুল্লাহ সাঃ এর একটি হাদিসের ভিত্তিতে আমি তোমাকে তা বললাম।
রাসুল্লাহ সাঃ উষ্ণ এবং ছায়া স্থানের মাঝামাঝিতে কোন ব্যক্তিকে বা মানুষকে বসতে নিষেধ করেছেন।
ইসা দাউদ : এমনটি বলার পিছনে রাসুল্লাহ সাঃ এর অবশ্যই কোনো যুক্তি বা অর্থবোধক ইংগিত রয়েছে ?
ইবনে কানজুর : হুম। যেহেতু, ঐটা শয়তানদের বসার স্থান।
ইসা দাউদ : ঐটা কেবল একটি ব্যাখ্যা যা রাসুল্লাহ সাঃ এর অন্যান্য হাদিসের আলোকে উপলব্ধি করা গেছে।তাই নয় কি?
ইবনে কানজুর :(জীন বন্ধুটি অর্থপূর্ণ হাসি দিয়ে বলল) হ্যাঁ, বিষয়গুলি এমনই বা তার কাছাকাছি যেমনটি তুমি বলছ। কারণ, শয়তান এমন জায়গা পছন্দ করে যা দুইটি বিদ্বেষপূর্ণ বিষয়ে নিহীত। শয়তান ও তার বংশধর সেই জায়গাতে বসতে খুবই অগ্রাধিকার দেয় যা অর্ধেক ছায়া এবং অর্ধেক সূর্যের আলোতে প্রকাশিত অথবা এমন জায়গা যেখানে অর্ধেক উষ্ণ এবং অর্ধেক ঠান্ডা অনুভূত হয়। (হাদিসটি আবু হুরাইরা রাঃ রাসুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেছেন যা আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমদে আছে)
ইসা দাউদ : কেন এইরূপ পরস্পর বিরোধী জায়গাগুলো পছন্দ করে?
ইবনে কানজুর :মানুষের পক্ষে তা বুঝা সম্ভব নয়। আমি যা বলি তাই কি যথেষ্ট নয় যে, তা শয়তানদের জন্য শক্তির যোগান দেয়।
ইসা দাউদ : সকল জীনেরা কি শয়তানদের মত ঐ ধরণের স্থানগুলোতে বসতে পারে?
ইবনে কানজুর :না,সকল জীনেরা পারে না। শুধুমাত্র ইবলিশ এবং তার বংশধরদেরাই পারে। যারা অভিশপ্ত হওয়ার কারণে বিশেষ ধরণের জীন। এমনকি তাদের বসার ধরণও সাধারণ জীনদের থেকে ভিন্ন।
ইসা দাউদ : শয়তানের প্রাসাদ কি ১২ টি যেমনটি মার্কিন গবেষক আইভেন সেন্ডারসনে "magnetic vortex" সংক্রান্ত গবেষণার রিপোর্টে ধারণা করেছেন?
(https://en.m.wikipedia.org/wiki/Vile_vortex)
ইবনে কানজুর : আমি জানি না। এটা অবশ্য একটা বিশাল রাজত্ব। আল্লাহ আমাদেরকে ইবলিশ এবং তার সৈন্যবাহিনীর অনিষ্ট ও প্রভাব থেকে রক্ষা করবেন এই দোয়া করি ।আল্লাহ সুবহানা তাআলা বলেছেন, "যারা আল্লাহকে ভয় পায়, আল্লাহ তাদেরকে অবশ্যই মুক্তির পথ দেখাবেন। "
বিঃদ্রঃ
✨ভারতের নওমুসলিম জীন ইবনে কানজুর ও মিশরের বিখ্যাত গবেষক ইসা দাউদের মাঝে কথাপোকথন। "কিতাবুল ফেতান" বইয়ে যার গবেষণার ভিত্তির উপর ফ্লাইং সোসার তথা ufo,
এলিয়েন বলতে কিছু নাই বরং তা শয়তানী শক্তি সেই বিষয়টি অসংখ্য রিপোর্টের আলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল যা আমার পূর্ববর্তী অসংখ্য পর্বে বিস্তারিত আছে।ইসা দাউদের নাম "কিতাবুল ফেতান" এ উল্লেখ পাবেন। ঐ বইয়ে যা নাই তা আমি আরবী থেকে ইন্দোনেশীয়ান ভাষায় অনূদিত বইটি থেকে সরাসরি তুলে ধরেছি। যা আমি ইংরেজীতে অনূদিত করে সর্বশেষ বাংলায় অনুদিত করেছি এই ব্যাপারে বিভিন্ন স্কলারদের ও গবেষকদের রিপোর্ট থেকে থেকে জ্ঞান অর্জনের পর।ভুল হলে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থী। এটাই এই বিষয়ে আমার সর্বশেষ পোস্ট। আল্লাহ যদি তৌফিক দিন তবে ইনশাল্লাহ এই বিষয়ে আমি বিস্তারিত আমার লেখা বইয়ে এর রহস্য উন্মোচন করব ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.