নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মানুষ হিসাবে আমার সবচেয়ে বড় পরিচয়: আমি একজন মুসলিম। মুসলিম পরিচয় বিহীন বাঙ্গালী হওয়ার কোন ইচ্ছে আমার নেই।

সত্য খুঁজিয়া বেড়াই

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার, আমি আরও বেশী জানতে, শিখতে, অর্জন করতে চাই, মহান আলাহ রব্বুল আলামিনের নিকট চাওয়া, তিনি যেন আমাকে সঠিক জ্ঞান দান করেন

সত্য খুঁজিয়া বেড়াই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্লাদিমির পুতিন এই যুগের যুলকারনাইন

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

খ্রীষ্টান জগত প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত । এক ভাগ ২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন পালন করে, আরেক ভাগ ৭ই জানুয়ারী বড়দিন পালন করে । এদের এক ভাগকে বলা হয় পাশ্চাত্য খ্রীষ্টবাদ (ক্যাথলিক) আর অন্য ভাগকে বলা হয় অর্থোডক্স খ্রীষ্টবাদ ।
রাশিয়া হইল অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের নেতা । অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদের কথা কি কোরআনে আছে ? হ্যাঁ, একটি বড় সুরাই আছে, "সুরা রুম" দেখুন সুরাটি কিভাবে শুরু হইয়াছে । “রুমানরা পরাজিত হইয়াছে” । “শীঘ্রই তাহারা (রোমানরা) বিজয়ী হইবে যখন মুসলমানরা আনন্দ উদযাপন করিবে”।
তাহলে এই রুম (রোমান) কাহারা ? এই রুম হইল অর্থোডক্স খ্রীষ্টানরা , বাইজানটাইন সাম্রাজ্য । কন্সট্যান্টিপুল ছিল তাহাদের রাজধানী । বর্তমানে রাশিয়া হইল রোমানদের নেতা ।
ইহুদীরা রাশিয়ায় বলশেভিক (কমুনিষ্ট) বিপ্লব সংঘটিত করিয়াছিল অর্থোডক্স খ্রীষ্টবাদকে ধ্বংস করিবার জন্য । তাহারা নাস্তিক রাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রতিষ্টা করিয়াছিল অর্থোডক্স খ্রীষ্টানদেরকে ধ্বংস করিবার জন্য। নাস্তিক কমিউনিষ্ট আমলে রাশিয়ায় হাজার হাজার পাদরীকে হত্যা করা হইয়াছিল, হাজার হাজার মঠ / আশ্রম বন্ধ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল । যখন ১৯৮৯ সালে সৌভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয়, রাশিয়া পুণরায় তাহাদের অর্থোডক্স খ্রীষ্টবাদে ফিরিয়া যায় । রাশিয়া অর্থোডক্স খ্রীস্টবাদে ফিরিয়া যাওয়ার কারণে ওয়াশিংটনের নিকট মাথানত করিতে অস্বীকার করে ।
আর এই কারণে তাহারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের আয়োজন করিতেছে, যাহাতে রাশিয়া পারমাণবিক শক্তি হিসাবে টিকিয়া থাকিতে না পারে ।
রাশিয়া তাহাদের নিকট নতজানু হইতে নারাজ । রাশিয়া বলে, তোমরা যুদ্ধ চাইলে তোমাদের যুদ্ধই দিব ।
কৃষ্ণসাগর ছাড়া রাশিয়ার কোন নৌবন্দর নাই । কারণ রাশিয়ার উত্তর দিকের পুরোটাই বরফ আচ্ছাদিত । কাজেই রাশিয়ার যদি নৌবাহিনী থাকে, তবে তাহার জন্য কৃষ্ণসাগর খুবই গুরুত্বপূর্ণ । কৃষ্ণসাগর থেকে রাশিয়াকে বিতাড়িত করিতে পারিলে রাশিয়া আর ইসরাঈল এবং যায়োনিষ্টদের জন্য কোন হুমকি সৃষ্টি করিতে পারিবে না । কাজেই কৃষ্ণসাগরের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশী ।
কৃষ্ণসাগরে প্রবেশের সবচাইতে সুবিধাজনক এলাকা ক্রিমিয়া ? হ্যাঁ, ক্রিমিয়া । কাজেই বলা যায় ক্রিমিয়া যাহার দখলে কৃষ্ণসাগর তাহার দখলে । আর ক্রিমিয়া ছিল রাশিয়ার ভূখন্ড । তাহাদের পরিকল্পনা ছিল, বলা যায় মাস্টারপ্লান ছিল সোভিয়েত কমুনিষ্ট রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা । তারপর ১৯৫৪ সালে অর্থাৎ ইজরাঈলের প্রতিষ্টার ছয় বছর পরে নিকিতা ক্রুশ্চেভ রাশিয়ানদের মতামত ছাড়াই রাশিয়ান ভূখন্ড ক্রিমিয়াকে স্থানান্তর করিয়া ইউক্রেনের অন্তর্ভূক্ত করিয়া দেয় । কিন্তু তখনও কোন সমস্যা ছিল না, যেহেতু রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুটোই সৌভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে ছিল । তারপর সমস্যা দেখা দিল যখন যায়োনিষ্টরা রঙিন বিপ্লবের মাধ্যমে সৌভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটায় । তাহারা সৌভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটায় কেন ? যাহাতে ইউক্রেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভূত হয় । ফলে রাশিয়া হবে একটি ফেডারেশান আর ক্রিমিয়া হবে ইউক্রেনের অংশ । এই ভূরাজনৈতিক পরিকল্পনার দ্বিতীয় অংশ হইল ইউক্রেনে একটি পাশ্চাত্যপন্থী সরকার প্রতিষ্টা করা যাহাতে সে যায়োনিষ্ট ন্যাটোর সদস্য হইয়া যায় । আর ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হইতে পারিলে রাশিয়াকে বলিবে, ক্রিমিয়া থেকে দূর হও । ফলে রাশিয়ার আর কোন নৌবন্দর থাকিবে না এবং ইসরাঈলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হইবে । কাজেই বছর খানেক আগে ডিসেম্বরে তাহারা কি করিয়াছে ? রাস্তায় কিছূ মিছিল মিটিংয়ের আয়োজন করিয়া ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী সরকারের পতন ঘটাইয়া একটি পাশ্চাত্যপন্থী সরকার প্রতিষ্টা করিয়াছে । এই ঘটনার সাথে সাথে রাশিয়া এমন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়াছে, যাহাতে পাশ্চাত্য যারপর নাই বিস্মিত হইয়াছে । রাশিয়া তখন ক্রিমিয়ার পার্লামেন্টের স্মরণাপন্ন হয় এবং ক্রিমিয়ার পার্লামেন্ট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে একটি সিদ্ধান্ত পাস করে যে, ক্রিমিয়া রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত হইতে চায় । অন্যদিকে রাশিয়ার পার্লামেন্ট সাথে সাথেই ক্রিমিয়ার পার্লামেন্টের আবেদন গ্রহন করিয়া আরেকটি রেজুলুশান পাস করিবার মাধ্যমে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত করিয়া নেয় । মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুরো ঘটনাটি ঘটিয়া গেলো । সুতরাং বলা যায় ইহা ছিল যায়োনিষ্ট আন্দোলনের গালে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় চপেটাঘাত । কারণ এখন রাশিয়া আবার ক্রিমিয়াকে ফিরিয়া পাইয়াছে এবং রাশিয়া বর্তমানে একটি পারমাণবিক শক্তি । রাশিয়া বর্তমানে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী সকল দেশের নিয়ন্ত্রণ শক্তি এবং তুরষ্কসহ সকল দেশকেই রাশিয়া আক্রমণের পূর্বে দুইবার ভাবিতে হইবে । কাজেই অত্র এলাকার ভূরাজনেতিক অবস্থা নাটকীয়ভাবে পাল্টাইয়া গিয়াছে ।
রাশিয়া কি পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধ থেকে পেছনে ফিরিয়া যাইবে ? নাহ, রাশিয়া পিছাইতে প্রস্তুত নয় । কাজেই পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধ আসিতেছে । জালিমদের বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়ানো, ইহাই রাশিয়ার ভাগ্যলিপি । জালেমদের দমনে শক্তি প্রয়োগ করা । জুলকারনাইন ইহা প্রথমবার করিয়াছিলেন । ভ্লাদিমির পুতিন এই যুগের যুলকারনাইন ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.